আমাকে ডেকোনা মিতা, তোমাদের ঐ লাল, নীল কৃত্তিম রেন্ডমি শহরের ভীরে, কনক্রিটের গলিতে, যেখানে হাজারো তারা উবে গেছে হৃদয়পুড়া গন্ধের বাতাসে। যেখানে যান্ত্রিকযুগের খুব গভীরে সন্ধের সূর্যের মতো মুখ লুকিয়েছে মমতাময়ী। আমাকে ডেকোনা আমি খুব সুখে আছি ঢের সুখে আমার এই পল্লী-গায়ের সবুজ ঘাসের বুকে, এক স্বর্গীয়-কস্তূরীনারীর মতো সবুজ আঁচলে আমাকে ধরে রেখেছে। ফেরদাউসের এই বাঁধন ভূলে আমি কোখায় পাব এমন নরীর মুখ? যেখানে অতি সন্তর্পনে বিকেলের শান্ত চাহনি সবুজ আমনের ডগায় মিশে যায়। টোরাধানের শীষ কেটে এক বোঝা নিয়ে যায় ধানকুড়ানী। সমস্ত দিনের পর গোধুলীর হাত ধরে কোটি মানুষের জীবন প্রবাহের অন্তর চিরে নীলাজ অরূণ তন্দ্রায় লুটিয়ে পরে রজনীর বুকে।তখন তার কী যে সুখ- তাই দেখে স্বর্গনারীর অশ্রু কুহেলিকা উল্কার শতযোযন পথ পেড়িয়ে খুব সোহাগে চুমু দিয়ে যায় বাশের পাতায়, সন আর বিলের বধূ মৃণালির ঠুটে। আমি খুব সুখে আছি আমাকে ডেকোনা বন্ধু ঢের সুখে শান্তি-প্রিয় মানুষের সাথে, মাটির গন্ধে বুক মিশিয়ে, যেখানে চিরুনির দন্তরাজির মতো মৃদু হাওয়া দোলা দিয়ে যায়, আউশের ক্ষেতে একসমান্তরালে। যেখানে পবনী আর রৌদ্দুর প্রেমের লীলায় হারিয়ে যায় কোন এক দূর অজানায়। এখানেই যেন শুনতে পাই কৃষ্ণের বাশির সুর-সে সুরে হেমন্তিরাধা নেচে উঠে দিগন্তজোড়া মাঠের পর মাঠ সোনালি আচলে, তাদের দেখে ভাতশালিকেরা উড়ে উড়ে যায় ঐ দূর বাশের বনে। এদের সাথে এক অমূর্ত বাধনে আমি জড়িয়ে আছি। বৃষ্টিজমা মাঠের পানিতে কাগজের নৌকো ভাসাতে ভাসাতে তুমি চলে গেছ শহরের কালো ধুয়ার পাংশুজাল ঠেলে এক কৃত্তিম গ্রহে। আমি আছি এখনো পল্লী-গায়ের আনন্দ-মুখর নবান্ন উৎসবের ভীরে, নদীর তটে মাঝির সনপাতার ঘরে দু’মুঠো ঢেকিসাটা শাক-ভাতে। আমি খব সুখে আছি। এর আঁকাবাকা পথে একতারা হাতে বাউলের পোষাকে । জ্যোস্নাভরা রাতে তারার সাথে গল্প-পুথি আর গানের আসরে। কোয়াশার চাদর মোড়ে শীত, রাস্তা ভরা খেজুর গাছে রসের হাড়িগুলো উন্মোখ ঠুটে বসে থাকে। সারা রাত নাড়ার আগুনের উষ্ণতা গায়ে শীতের পোষাক বানিয়ে গল্পের তুবরি আকাশে উড়িয়ে দেই উল্কার দেশে। চেয়ে থাকি, কোয়াশার ধূম্রজালের যবনিকা দু হাতে সরিয়ে চেয়ে থাকে দূর হতে বহুদূরে ক্ষীন প্রদীপ। বনোলতায় আচ্ছন্ন নির্জনবাসে শিয়লের ঘুমভাঙ্গা রব শুনতে পাই। নদীর ঐ পাড়ে রুপোলি জলে স্নান করে রাখালের বিরহবাশির সুর ভেসে আসে ধানশুন্য এপাড়ের তটে, নদীচরে পরে থাকা চিংড়ি মাছের বাসায় অসংখ্য পিপড়ের দল তাইতে উতলা হয়ে নেচে উঠে, খালের মুখে পেতে রাখা ভ্যাসালে লাফিয়ে উঠে খলশে-পুটি আর ঢেলা মাছের ঝাক। মেঘবালিকারা তাইতো বারুনীর রাজ্য ছেড়ে আকাশের ভেলায় গা ভাসিয়ে উড়ে উড়ে আসে, পাড়াগায়ের সনের ডেরায়, কাশের ফুলে আর সবুজ প্রকৃতির বুকে। আমি খুব সুখে আছি, ঢের সুখে।আমাকে ডেকোনা বন্ধু তোমার ঐ কনক্রিটের গলিতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মামুন আবদুল্লাহ
যেখানে হাজারো তারা উবে গেছে
হৃদয়পুড়া গন্ধের বাতাসে।
যেখানে যান্ত্রিকযুগের খুব গভীরে
সন্ধের সূর্যের মতো মুখ লুকিয়েছে মমতাময়ী। .......খুবই চমৎকার আপনার অভিব্যক্তি।
মিজানুর রহমান রানা
চেয়ে থাকি, কোয়াশার ধূম্রজালের যবনিকা
দু হাতে সরিয়ে চেয়ে থাকে দূর হতে বহুদূরে
ক্ষীন প্রদীপ। বনোলতায় আচ্ছন্ন নির্জনবাসে শিয়লের ঘুমভাঙ্গা রব শুনতে পাই।-------------বেশ সুন্দর লাগলো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।