বৃষ্টি

বৃষ্টি (আগষ্ট ২০১২)

তানি হক
  • ৩৫
  • ৫৯
‘এই ছেমড়ি !কোই গেলি!’
হটাৎ করে আমার মায়ের চিৎকারে আমি চমকে উঠলাম। ব্যাপারটা কি চিল্লায় কেন !হাতের তিন গোয়েন্দার বইটি বন্ধ করে ছুটলাম মায়ের রুমের দিকে।
‘কি হইছে? চিল্লাও ক্যান’ !
চেষ্টা করেও আমি গলা থেকে রাগটুকু আটকাতে পারলাম না ।ছেমড়ি শব্দটা সব সময়ই আমার রক্তে রাগের একটা ঢেউ তোলে কিন্তু হাজারবার সতর্ক করার পরও আমার মা তাঁর এই প্রিয় শব্দটি ব্যাবহার করা ছাড়তে পারেননা।
‘শুনিস না মেঘ ডাকছে’ ! বারান্দা থেকে কাপড় গুলা ঘরে নিয়া আয়’
সরতা দিয়ে দ্রুত গতিতে সুপারি কাটছেন তিনি। রুমের মেঝে সুপারির ছোলায় ভর্তি । বাতাসে ভাসছে পাকা সুপারির মিষ্টি ঘ্রাণ।
আমি ভ্রূ কুঁচকালাম । তিন গোয়েন্দার অন্ধ ভক্ত হয় সবাই শুনি। আমি নিজেও তাই ।কিন্তু অন্ধের সাথে সাথে কালাও হয়ে গেলাম নাকি আজকাল?মেঘ ডাকছে আর আমি শুন ছিনা। সত্যি তাই, হালকা মেঘের ডাক কানে এলো আমার। দেরি না করে বারান্দায় চলে এলাম ।ঘরে লাইট জ্বালানো ছিল তাই বুঝে উঠতে পারিনি। বাহিরে অন্ধকার অন্ধকার ভাব। নিঃশ্বাসে ভেজা ভেজা গন্ধ লাগলো । বৃষ্টি আসছে। কাপড় নামানোর ফাঁকে বারান্দার সামনে বিল্ডিঙটার দিকে ঘৃণা মিশ্রিত হিংস্র দৃষ্টি হানলাম।এই উজবুকটার জন্য বারান্দা দিয়ে দুনিয়ার কিচ্ছু দেখা যায়না।না সূর্যের আলো না চাঁদের জোছনা ।
‘শালা শকুন কোথাকার!
আমার ঠোঁটের ফাঁক থেকে গালি বেরিয়ে এলো। ব্যাটার কুৎসিত সরিলটা আমার বারান্দার সামনের পুরো আকাশটা ঢেকে দিয়েছে।যা আমার জীবনের এক মারাত্মক কষ্টের কাহিনী।তাই যত বার আমি বারান্দায় আসি,এই নিরেট বুদ্ধুটার চোদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করি।
কাপড় গুলো ঠিক ঠাক করে রেখে আমার রুমে ঢুকতেই মোবাইলটা বেজে উঠল।মোবাইলের স্কিনে আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড নীলাঞ্জনার ছবি দেখে ,একটু আগে আম্মুর উপর বিরক্তি আর বিল্ডিঙের উপরের রাগ নিমেষেই উধাও।স্বাভাবিক ওর মুখের গড়নটাই এমন মিষ্টি যে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।
‘হ্যাঁরে দোস্ত বল’ মোবাইল কানে চাপলাম আমি ।
‘জুঁইফুলদের বাসায় চলে আয় এখুনি’ ওর সুরেলা কণ্ঠে তাগিদ ফুটে উঠল।
‘ক্যান?
‘আরে আগে আয় তো!
আমি আরও কিছু বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু ওপাশ থেকে লাইন কেটে দিলো ও ।
আমি কিছুটা অবাক হয়ে ঘড়ী দেখলাম। বিকাল ৫টা । নীলটার তো এখন কোচিং এ থাকার কথা । জুঁইফুলদের বাসায় কি করে?
‘মা আমি একটু দোতলায় যাচ্ছি’ আমার আর এক প্রাণপ্রিয় বন্ধু জুঁইফুলদের বাসা আমাদের বিল্ডিঙেরই দোতলায়।
‘এই অবেলায় ক্যান!তোর বাবা এখুনি আসবে’।
‘৫টা বাজে আব্বু আসতে আরো এক ঘণ্টা বাঁকি!
মা ঠাণ্ডা চোখে আমার দিকে তাকালেন।হাতের সরতা স্থির ।
‘তোমার এখন ওখানে যাবার দরকারটা কি?
‘মা প্লীজ এমন করোনা ...আমি ১০ মিনিটেই চোলে আসবো’ আমি নরম গলায় অনুরোধ করলাম।
নিজেই জানিনা কেন যাচ্ছি । তাঁকে কি বলবো ।মা আবারো সুপারি কাটায় ব্যস্ত হলেন । আমি চট করে সরে এলাম ওখান থেকে।মা আর কিছু বলেননি তাই হাঁফ ছাড়লাম।
জুঁইফুলদের বাসার হস্থিনি মার্কা কাজের মেয়েটা দরজা খুলল।আমাকে দেখে অকারণেই হি হি করে হাসল সে।অকারণে হাসা তার একটি বিরক্তিকর বাতিক।
‘এই হাসিস ক্যান ? চরম একটা ধমক দিলাম ওকে ।
কিন্তু ওর কথার উত্তর শোনার জন্য আমি দাঁড়ালাম না হন হন করে হেঁটে জুঁইফুলের রুমের দিকে আগালাম । দেখলাম জুঁইফুলের আম্মার রুমের দরজা লাগানো। হয়তো ওর ছোট ভাইটাকে নিয়ে বাইরে গেছে ।
জুঁইফুলের রুমে ঢুকে দেখলাম নীল আর একটা অপরিচিত মেয়ে বসে আছে খাটে ।জুঁইফুল ওর বুক সেলফে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো ।আমি রুমে ঢোকা মাত্রই জুঁইফুল আমার নাম নিয়ে চীৎকার দিলো।
‘মিফতা’! ওর চোখে মুখে উত্তেজনা উপচে পড়ছে।
‘কিরে নীল তুই এখানে ক্যান ? নিল কে উদ্দেশ্য করে বললাম।
লক্ষ্য করলাম নীলের মুখ টানটান হয়ে আছে। যেন এই মুহূর্তে জীবনের কঠিন এক ডিসিশন নিতে চলছে । ওর পাশে বসা মেয়েটাও আমার কৌতূহলের কারণ । মেয়েটাকে আগে কখনো দেখিনি ।সিক্স বা সেভেনে পড়ে এমন বয়স ।সালোয়ার কামিজ পরা হালকা পাতলা এক কিশোরী । খেয়াল করলাম মেয়েটা কাঁদছে । নাক মুখ লাল । আমি খাটের পাশের টুলটা টেনে ওদের দুজনের মুখোমুখি বসলাম।
‘কে রে মেয়েটা?’ আমার ভ্রূ কুঁচকে উঠেছে।
‘অই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছিল’ হারিয়ে গেছে’ গম্ভীর সুরে বলল নীল।
‘কি?’ বিসুম যাবার অবস্থা হল আমার ।
আমি একবার নীল আর একবার মেয়েটার দিকে তাকালাম। আমার বিস্মিত চোখ মেয়েটার উপর স্থির হল । এত বড় মেয়ে হারিয়ে গেছে!
‘তুই ক্যামনে পেলি ওকে?’ নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে নীলকে জিজ্ঞেস করলাম ।
‘ভাইয়ার সাথে রিকশায় কোচিঙে ঢুকার সময় রাস্তার মোড়ে দেখেছি যে কাঁদছে, অনেক লোক ওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। সবাই ওর নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করছে । কিন্তু ওর মুখে কথা নেই ।শুধু কেঁদেই যাচ্ছে। দেখেই বুঝতে পেরেছি যে আতংকে ওর কথা বন্ধ হয়ে গেছে। ভাইয়াকে ওকে সাহায্য করার কথা বলতেই ধমক লাগাল । পরে ভাইয়া চলে যাবার পর।একা একা মোড়ে এসে দেখি তখনো কাঁদছে। আশে পাসে কোনো মহিলাকেও দেখতে পাইনি । তার পর জোর করে এখানে নিয়ে এলাম। ঠিক করলাম না ভুল করলাম বুঝতে পারছিনা’ । ওর কণ্ঠে দ্বিধা জড়ানো অসস্থি ।
আমি চুপ করে আছি,ব্যাপারটা হজম করতে সময় দরকার। মেয়েটির দিকে গভীর দৃষ্টি হানলাম। ভয়ে কচি মুখটা বিকৃত হয়ে আছে । পাতলা ঠোঁট কেঁপে কেঁপে উঠছে।আমি মেয়েটির কাঁধে হাত রাখলাম । শান্ত কণ্ঠে বললাম
‘তোমার নাম কি?
জল ভর্তি চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকাল সে।
‘বৃষ্টি’
‘তুমি কি এই এলাকাতেই থাক ?
‘হ্যাঁ’
কোন ব্লক? কত নাম্বার রোড বলতে পারবে?
মেয়েটা না সূচক মাথা নাড়ল।
‘মাত্র কিছুদিন হল আমরা ঢাকায় এসেছি।আমি কিছুই চিনি না’ এতোটুকু বলেই সে হু হু করে কেঁদে দিলো ।আমি নিলের দিকে তাকালাম ওর মুখ থমথমে। বুঝতে পারছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়েটার অবস্থা কি হয়ে ছিলো।
‘শোন ! তোমার কোনো ভয় নেই আমরা তোমাকে তোমার বাসায় পৌঁছে দেবো ও কে? জুঁইফুল বলে উঠল।
ও আমার পাঁশে এসে দাঁড়িয়েছে। জুঁইফুলের কথাটা শুনে হটাৎ আমার খুব গর্ব হল। আমি একবার নীলাঞ্জনা আর একবার জুঁইফুলের দিকে তাকালাম। ওরা আমার বন্ধু ভেবে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে হল ।
‘তোমাদের বাসায় ফোন নেই’ নীল প্রশ্ন করলো ।
‘না ...ভাইয়ার মোবাইল আছে কিন্তু আমি নাম্বার জানিনা’ হতাশায় দুহাত দিয়ে মুখ ঢাকল বৃষ্টি। ফুফিয়ে উঠল।
‘তুমি হারিয়ে গেলে কিভাবে? নরম কণ্ঠ আমার ।
‘ভাইয়ার সাথে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম’ হটাৎ দেখি ভাইয়া আমার পাশে নেই’ ভাইয়াকে খুঁজতে খুঁজতে দেখি আর কিছু চিনি না’
‘সর্বনাশ! তাহলে তো তোমার ভাইয়াও তোমাকে খুঁজছে’
‘আমি বুঝতে পারছিনা কি করবো’ মেয়েটা আবারো কান্নায় ভেঙে পড়ল ।
‘প্লীজ কেঁদনা’! ধরা গলায় বলল নীল।
আমি নিজেও আবেগী হয়ে উঠলাম। বেচারি ঢাকার শহরে নোতুন এসেই হারিয়ে গেছে । গ্রামের মেয়ে খুব বেশি চালাক চতুর ও না ।রাস্তার অপরিচিত লোকদের সামনে একদমই ভড়কে গিয়ে কিছু বলতে পারছিলনা । ভালই হয়েছে যে নীল ওকে নিয়ে এসেছে ।এক তো কিশোরী মেয়ে তাও এমন ভোলা ভালা; খারপ কোনো লোকের খপ্পরে পড়লে কি হতো ভেবে কেঁপে উঠলাম আমি ।
‘বৃষ্টি তুমি একদমই ভয় পেওনা’এই এলাকায় আমরা দীর্ঘ দিন ধরে থাকি। সব কিছুই আমাদের চেনা যানা ।তোমার বাসা খুঁজে বের করতে সময় লাগবেনা।আমরা তোমাকে ঠিক ঠাক বাসায় পৌঁছে দেব!
আমার গলার আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠ বৃষ্টিকে নাড়া দিলো । ও নিষ্পাপ দৃষ্টিতে আমাদের তিনজনের দিকে তাকাল। নীল আর জুঁইফুল ওকে অভরের হাসি দিয়ে আমার কথার পূর্ণ সমর্থনের সম্মতি দিলো ।
আমি আমার বন্ধুরের প্রতি কৃতজ্ঞ বোধ করলাম ।জানি এই হারিয়ে যাওয়া অপরিচিত মেয়েটার বাসা খুঁজে বের করে তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেয়া নিশ্চয়ই সহজ কথা নয় ।তার পর ও এই ছোট্ট মেয়েটাকে এই মুহূর্তে মানসিক ভাবে সাপোর্ট করাটা অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরী ।
হটাৎ জুঁইফুলদের বাসার কলিং বেল বেজে ওঠায়।আমরা তিনজনই চমকে উঠলাম।
‘আম্মু এসেছে! জুঁইফুল বলে উঠল।
‘তোরা বস আমি আম্মুকে ব্যাপারটা খুলে বলি’ ও আমার দিকে তাকিয়ে সমর্থন চাইলো। আমি মাথা ঝাঁকাতেই জুঁইফুল রুম ত্যাগ করলো। ভালই হল আনটি তাড়াতাড়ি ফিরে এসেছেন। উনি বড় মানুষ ব্যাপারটা দ্রুত হ্যান্ডেল করতে পারবেন।
কিন্তু একটু পরই চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে আমি আর নীল দুজন দুজনের দিকে তাকালাম। পাশের রুম থেকে জুঁইফুলের আম্মার উত্তেজিত কণ্ঠ ভেসে আসছে ।নিল আর আমি একি সাথে উঠে দাঁড়ালাম । বৃষ্টিও কান্না থামিয়ে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে ।
‘খাইছে!আনটি কি চেতে গেল’ ? নীলের গলার আওয়াজ কম্পিত।আমি নিজেও ঘাবড়ে গেলাম।
‘দাঁড়া ! আমি দেখে আসি’ বলেই আমি দু পা সামনে আগালাম । ঠিক ওই মুহূর্তয়েই আনটি ঝড়ের বেগে রুমে ঢুকলেন ।প্রচণ্ড রাগে তিনি হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন।এমন অবস্থা ।
‘এই মেয়ে তোমার এতো বড় সাহস !কোথাকার কোন মেয়ে কে এনে আমার বাসায় ঢুকিয়েছ! নীল কে উদ্দেশ্য করে চীৎকার দিলেন তিনি।
আকস্মিক এই ঘটনায় আমার পা দুটো একেবারে যমে গেলো।আনটির রাগের সাথে আমি বহু আগে থেকেই পরিচিত ।কিন্তু উনি যে এমন রেগে যেতে পারেন তা আমার ধারণার বাইরে । আমি মুখ থেকে কথা বের করার চেষ্টা করলাম । কিন্তু আমার ঠোঁট আমার সাথে বেইমানী করল । আমি তোতলাতে লাগলাম।
‘আনটি আই এম স স স ররররই ই ই ’ নীল তোতলাতে থাকলেও অন্তত কিছু বলতে পারল ।
‘আম্মু প্লীজ আমার কথা শোন! কান্না জড়ানো সুরে জুঁইফুল ওর মাকে রুম থেকে টেনে বের করতে চাইলো ।
কিন্তু আনটি ঝাড়া দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিলেন।
‘তুমি একটা কথাও বলবে না’ চরম ভাবে ধমক দিলেন তিনি জুঁইফুল কে ।
তার ধমকে আমি আর নীল এক সাথে কেঁপে উঠলাম।
‘সব সময় তো তোমাকে বুদ্ধিমতী ভাবতাম নীল’ কোন মেয়ে হারিয়ে গেছে বলল আর তাকে তুমি সাথে করে বাসায় নিয়ে এসেছ’! আনটির গলায় তীব্র তিরস্কার ঝোরে পড়ল।
‘পাগল হয়ে গেলে নাকি ? বর্তমান যুগের অবস্থা তুমি যান না ?
‘এত বড় মেয়ে বলল হারিয়ে গেছে আর তুমি বিশ্বাস করলে? তিনি রাগী ভাবে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রইলেন।
‘আনটি ও গ্রামের মেয়ে কিছু চেনে না’ ভাইয়ের সাথে বেড়াতে বেরিয়ে হারিয়ে গেছে’ বাসা এই এই এলাকাতেই’ আমি তাড়াতাড়ি বললাম। মুখ থেকে কথা বের করতে পেরেছি দেখে ধন্যবাদ দিলাম নিজেকে ।
‘মিফতা তুমিও!’ তিনি অবিশ্বাসী গলায় এবার আমার উপর চড়াও হলেন।
‘কোন ক্লাসে পড় তুমি?ক্লাস টেনে ...না ? তিনি হাত তুলে আমাকে সহ জুঁইফুল আর নিলের দিকে আঙ্গুল ঝাঁকালেন।
তোমাদের সব গুলা কে হির হির করে টেনে হিঁচড়ে ক্লাস ওয়ানে নামানো দরকার বুঝলে !
এই যুগের মেয়ে হয়েও মাথা ভর্তি গোবর! আরে এই মেয়ে হারিয়ে গেছে না ? বলল আর বিশ্বাস করলে ? সন্ত্রাসী আর ডাকাতদের ফাঁদ এগুলি! এমন ভোলা ভালা মেয়েকে টোপ সাজিয়ে মানুষকে সর্বস্বান্ত করে ওরা। এমন হারিয়ে যাওয়া মেয়ে হয়ে বাসায় ঢোকে তার পর... কত বড় লোক... ছেলে মেয়ে কয় জন ...বাসায় মানুষ কয় জন ...তার পর গোপন ক্যামেরায় ছবি তুলে নিয়ে যায়। আরও কত রকমের ইনফরমেশন নিয়ে গুন্ডা ডাকাতদের হাতে তুলে দায় ,এই সব তথ্য পেয়েই তো সময় মত একটা পরিবার কে লুটে নিয়ে যায় ওই সব জাহান্নামীরা!’
এতটুকু বলে আনটি থামলেন । আমি যেন নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গেলাম । নীল আর জুঁইফুলেরও একি অবস্থা চোখ বড় বড় হয়ে গেছে ওদের দুজনের ।তবে ওদের দুজনেরই চোখে স্পষ্ট অবিশ্বাস দেখতে পেলাম ।বেচারি বৃষ্টির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ । ভয় আর আতংক নিয়ে আনটির দিকে তাকিয়ে আছে।
‘আমার রাগ আরো বেড়ে যাবার আগেই তোমরা দুজন এই মুহূর্তয়ে বাসায় চোলে যাও’ না হয় আমি তোমাদের আব্বুর নাম্বের ফোন দিতে বাধ্য হব’ আনটি আমাকে আর নীল কে উদ্দেশ্য করে হুংকার ছাড়লেন।
আর তার এই হুংকার আমাদের কলিজা কাঁপিয়ে দিলো ।আমি বৃষ্টির দিকে একবার অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করে । চুপ চাপ মাথা নিচু করে সামনে পা বাড়ালাম। কারণ ওই মুহূর্তে এটাই আমার কাছে সঠিক লাগলো । জুঁইফুলের আম্মু সেই ছোটকাল থেকে আমাকে কোলে পিঠে আদরে শাসনে বড় করেছেন তিনি আমার আম্মুর মতই ... কাজেই তার কথার অবাধ্য হওয়া বা তার সাথে বেয়াদবি করা আমার পক্ষে কোন ভাবেই সম্ভব কখনো হয়নি আর হবেও না । আমি নীলের দিকে তাকালাম । আমার দোস্তের মুখ একেবারেই নীল বর্ণ ধারণ করেছে ।আমি ওর দিকে তাকিয়ে সান্ত্বনা আর অভয়ের হাসি দিলাম । আর মাথা ঝাঁকি দিয়ে আনটির আদেশ পালনের ইশারা করলাম।

কিছুক্ষণ পর ...
আমি আর নীল সিঁড়ীতে দাড়িয়ে আছি । বৃষ্টিকে আসতে দেখেই দুজনে নড়ে উঠলাম । আমাদের দেখে বৃষ্টির চোখে আনন্দ আর প্রত্যাশা ফুটে উঠল ।
‘তোমরা এখনো যাওনি? ওর কণ্ঠে বিস্ময়।
‘না বৃষ্টি তুমি আমাদের বাসায় চলো’ ও কাছে আসতেই আমি ওকে টানলাম।
‘কিন্তু তোমার পরিবার ও যদি এমন রেগে যায়? দ্বিধা আর সংশয় নিয়ে বলল বৃষ্টি।
আসলেই তো! আমি থমকালাম। কল্পনায় মায়ের রাগী মুখ ভেসে উঠল। ভেবে ছিলাম মায়ের অনুমতি নিয়ে বৃষ্টিকে তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করব । কিন্তু মা ও যদি আনটির মত আচরণ করে । বৃষ্টিকে চোলে যেতে বলে আর আমাকে আর নীল কে আটকে রাখে । আমি গভীর ভাবনায় ডুব দিলাম । আনটির কথা গুলো মনে পড়ল। বৃষ্টি ডাকাতদের চর! আমি মেয়েটার মুখে তাকালাম । নিষ্পাপ চোখ দুটোতে ভয়,উৎকণ্ঠা আর কৃতজ্ঞতার ছাপ দেখতে পেলাম । সেখানে অপবিত্রতা বা পাপের ছায়া মাত্র নেই । আমি আনমনে মাথা নাড়লাম। না ... এই মেয়ে খারাপ হতে পারেনা । যদি তাই হতো তাহলে প্রথমেই আমি ওর চোখে তাকিয়ে বুঝতাম । আমার আল্লাহ্‌ থেকে পাওয়া এই অন্তর্ভেদী দৃষ্টিকে আমি কিছুতেই অবিশ্বাস কখনো করি নি... আর আমার বিশ্বাসের পূর্ণ আস্থা আছে । আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভাবলাম ১৫ বছর ধরে এই এলাকাতে থাকি এখানকার রাস্তা ঘাট আর দোকান বাড়ি আমার ভালো মতই চেনা । সেক্ষেত্রে হয়তো বৃষ্টির বাসাটা বের করতে খুব বেশি অসুবিধা হবেনা ।
‘বৃষ্টি তোমরা যে বাসায় থাকো তার আশে পাসের কোন কিছুর কথা বলতো ...এই যেমন ধরো দোকান অথবা অন্য কোন... স্কুল ...এমন কিছু ! হটাৎ আমি বলে উঠলাম।
‘দোকান! আমরা যে বাসায় থাকি তার নীচতলায় আমার ভাইয়ার দোকান!’ বৃষ্টি চাপা কণ্ঠে চীৎকার দিলো ।
‘আর আমাদের বাসার পাশেই মসজিদ আছে !
‘ওয়াও এটা দারুণ ব্যাপার ! তাহলে তো তোমাদের বাসা বের করা একদম সহজ !’ নীল উত্তেজিত গলায় বলল ।
আমি সস্থির নিঃশ্বাস ফেললাম। যাক কিছু তথ্য তো যানা গেলো ! আমাদের এলাকায় দুটি মসজিদ আছে । একটি প্রথম ব্লকে আর একটি শেষের দিকে ।
‘আমার মনে হয় মিফতা’ ওদের বাসাটা ডি ব্লকের মসজিদের কাছে হবে’ নীল আমার কাঁধে ঝাঁকি দিয়ে আমি যা ভাবছিলাম তাই বলে উঠল ।আমি ওর কথায় সম্মতি দিলাম ।
‘আমারও মনে হয় তাই’
‘ওহ !আল্লাহ্‌ তুমি আমাকে রক্ষা কর! তোমরা জায়গাটা চেন’! আমরা যে চিনতে পেরেছি ব্যাপারটা বুঝে আনন্দে বৃষ্টি কেঁদে দিলো।আর ওর গলা ভেঙ্গে গেল।
কিন্তু আমি তখনো চিন্তিত । কারণ আম্মুর অজান্তে ব্যাপারটা করতে হবে । আমি নিজেকে সাহস যোগালাম । জেহতু আমি প্রায় সবসময় আমার বন্ধুদের নিয়ে ডি ব্লকের লাইব্রেরীতে একা একা যাই তাই ওই অবধি যেতে আমার পরিবার থেকে অনুমতির দরকার নেই । শুধু আম্মুকে পরে ব্যাপারটা খুলে বললেই হবে।তার পরও আমি নার্ভাস ভাবে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লাম।এতে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়বে। এবং দেরি না করে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম ।
‘নীল তুই বৃষ্টিকে নিয়ে এখানে দাঁড়া আমি বোরকাটা নিয়ে আসি’ ঝট পট নীল কে বললাম।
‘আনটিকে বলবি না ?
‘হা বলবো ...পরে’
নীল বুঝে নিলো। আমি দেরী করলাম না । আমার বাসার দিকে পা বাড়ালাম।

২০ মিনিট পর ...
আমি নীল আর বৃষ্টি ঠিক ডি ব্লকের মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি । বৃষ্টির মুখ আনন্দে ঝলমল করছে । শুধু ও নয় আমি আর নীল দুজনই সমান আনন্দিত।
‘আমি চিন্তাও করতে পারিনি যে এত সহজেই পেয়ে যাব! উচ্ছ্বাসিত গলায় বলল নীল ।
‘তোমাদের কি বলে যে ধন্যবাদ দেব ...আ ...আমি বুঝতে পারছিনা । বলল বৃষ্টির ভাই আসাদ।
এই কিছুক্ষণ হল তার সাথে আমরা পরিচিত হয়েছি । বৃষ্টির মতই হাল্কা পাতলা গড়নের এক যুবক । ভাই এবং বোনের চেহারা দেখতে অবিকল একই রকম ।
‘আল্লাহ্‌কে কে হাজার ধন্যবাদ যে আপনাকে আমরা এখানেই পেয়ে গেছি’ বললাম আমি ।
আমরা ঠিক মসজিদের সামনে আসতেই বৃষ্টি তার ভাইয়াকে দেখতে পেয়ে চীৎকার করেছিলো। ওর ভাই তখন পাগল প্রায়। বোন হারিয়ে গেছে বুঝতে পেরে । পাগলের মতো ছুটো ছুটি করছিল।
‘আমি যানতাম ও বেশিদূর যায়নি’ কিন্তু কিছু চেনে না আর খারাপ মানুষের হাতে যদি পরে এই ভেবে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো’ কাঁপা কণ্ঠে বলল আসাদ । চোখে পানি টল টল করছে।
‘তোমাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন ... তোমাদের এই ঋণ আমার জীবনটা দিয়ে দিলেও শেষ করতে পারবনা’ ঢাকার কিছুই চেনেনা ও মাত্র ক দিন হল এসেছে’ হয়ত এই কাছ থেকে কাছেই হারিয়ে ছিল কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি হতে পারত আমার বোনটার’ তার গাল বেয়ে অশ্রু ঝরল।
বৃষ্টিকে জড়িয়ে ধরে আছে আর বৃষ্টিও ভাইকে জড়িয়ে ধরেছে এমন ভাবে যেন ডুবন্ত মানুষের শেষ সম্বল । একটা পুরুষ মানুষ কে এমন দ্বিধাহীন ভাবে কাঁদতে পারে এটা এর আগে আমি কখনো দেখিনি । আর বৃষ্টিও কাঁদছে । দু ভাইবোনের এই দৃশ্য দেখে আমার আর নীলের চোখেও পানি । অনেক কিছু বলেতে চেয়েছিলাম বৃষ্টির ভাইকে কিন্তু আবেগে আমার মুখ থেকে কথা বের হলো না ।
‘এমন করে বলবেন না ভাই’ আমরা শুধু আমাদের দায়িত্ব টুকু পালন করেছি’ ধরা গলায় বলল নীল ।
‘ভাইয়া! সবার আগে বৃষ্টিকে বাসার ফোন নাম্বার টি মুখস্থ করিয়ে দিবেন’ আমি বললাম ।
‘হা বোন এমন ভুল আর হবেনা’ অপরাধী গলায় বলল আসাদ ।
আমি আমার মোবাইলে সময় দেখলাম ৫ টা ৪০ মিনিট । আব্বু আসার সময় হয়ে গেছে।
‘আচ্ছা ভাই আমরা এখন আসি? দ্রুত গলায় বললাম আমি ।
‘প্লীজ আমাদের বাসায় আসো এইতো এই বিল্ডিঙটাই ! আমি এখনো বাসায় কিছুই বলিনি’
‘ হা! আস না আপু তোমারা’! ভাইয়ের সাথে বৃষ্টিও গলা মেলাল।
‘এই তো তোমাদের বাসা চিনে গেলাম একদিন আসব ... বাসায় বলে আসিনি তো তাড়াতাড়ি জেতে হবে’ ... আমি ওদের বুঝিয়ে বললাম।
আসাদ আমাদের ব্যাপারটা বুঝল । তাই জোর করলনা । আবারো হৃদয়গ্রাহী ধন্যবাদ জানালো আমাকে আর নীল কে ।
ওদের ভাই বোনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি হাতের ইশারায় রিকশা ডাকলাম।বাবা বাসায় আসার আগেই পৌঁছুতে হবে । নীল কে বললাম সোজা কোচিঙয়ে যেতে। কিন্তু বাঁধ সাধল বৃষ্টি । হটাৎ করেই ঝমাঝম বৃষ্টি শুরু হল । নীল আর আমি লাফিয়ে রিকশায় উঠলাম।
রিকশায় উঠে হটাৎ নীল অকারণেই হাসি শুরু করল। আমি রিকশার পলিথিন ভাল ভাবে গায় জড়িয়ে নিচ্ছি বৃষ্টির ছাঁট যেন গায় না লাগে।
‘কিরে হাসিস ক্যান ! অবাক হয়ে বললাম।
‘বলি যে আজ কি বৃষ্টি পিছু ছাড়বে না নাকি!
আমিও ওর কথার অর্থ বুঝে হাসতে শুরু করলাম। যদিও আমার মনে কিছুটা অপরাধ বোধ হানা দিচ্ছে । সেটা অবশ্যই আম্মুকে মিথ্যে বলেছি তাই । বাসায় ঢুকে আমি আম্মুকে বলেছিলাম যে নিল এর একটি বই কিনতে হবে তাই ডি ব্লকে যাব ।আম্মু এখুনি আব্বু আসবে বলে কিছুটা অমত করেছিলো পরে নীলের কথায় অনুমতি দিলেন । আমার নিজেকে ভীষণ অপরাধী লাগলো । আম্মুর সাথে এমন প্রতারণা আমি এর আগে কখনো করিনি । জখন আম্মুকে ব্যাপারটা খুলে বলব তখন জানিনা কি হবে । একটা হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে এমন রিস্ক নিয়ে তার ভাইয়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি বলে কি খুশি হবেন না তাকে মিথ্যে বলে এবং আনটির কথা অমান্য করে এই কাজ করেছি এই জন্য ভীষণ ভীষণ রাগ করবেন ।আমি মনে মনে রব্বুল আলামিনের কাছে আম্মুকে মিথ্যে বলেছি সেই জন্য মাফ চাইলাম আর সাহায্য ও চাইলাম। তবে হা ...আমি যানতাম যে বৃষ্টি খারাপ মেয়ে নয় । এই বিশ্বাস এবং আমাদের নিজের এলাকা বলে আমি এই রিস্ক টুকু নিয়েছিলাম। ওই মুহূর্তে যদি বৃষ্টি আমাদের সাহায্য না পেত তাহলে কি হত জানিনা । যাইহোক এটা আমাদের অনেক বড় পাওয়া যে ওই নিষ্পাপ মেয়েটাকে খুব তাড়াতাড়ি ওর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি।
‘নিল তোকে অনেক অনেক থ্যাংকস দোস্ত ! তুই আজ একটা মহান কাজ করেছিস’ আমি নীল কে বললাম।
‘আর তোকেও ধন্যবাদ’ তুই না হলে আমি আগা মাথা কিছুই বুঝতে পারতাম না’ নীল পরিতৃপ্তির হাসি দিলো ।
আমিও হাসলাম । তবে হটাৎ জুঁইফুলের কথা মনে পড়ল। সাথে সাথে আমার মন খারাপ হয়ে গেল। আজ যা হয়েছে ওদের বাসায় তাতে সারাদিন হয়তো কেঁদেই কাটাবে আমার প্রিয় বন্ধুটি।
‘আর কোচিঙে কি যাবি বাসায় চল’ কাঁচা সর্ষের তেলে মুড়ি মাখা আর লেবু চা খাব’ আনমনে বললাম নীল কে ।
‘হা তাই চল আম্মুকে ফোন দিয়ে ঘটনাটা যানাতে হবে’ তবে ভাইয়া জানলে খবর আছে আমার’
আমি চুপ চাপ ভাবছি আম্মুকে কি ভাবে কথা গুলো বলব। নীল ওর ভাবনায় ডুবন্ত। আর আমাদের দুই বন্ধুর ভাবনার সাথে তাল মিলিয়ে ঝরছে বৃষ্টি। ঝড়ো বাতাস আমাদের গায় আছড়ে পড়ছে আর বৃষ্টির ছাঁট ভিজিয়ে দিচ্ছে আমাদের দুজনের কাপড় । সত্যি বৃষ্টি আজ নাছোড়বান্দা হয়ে পিছু লেগেছে ।

**একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে **







আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাফিসা রাফা মুগ্ধ!!মুগ্ধ!!
ধন্যবাদ আপু ... আমার গল্পটি পড়েছ জেনে সুখী হলাম
এফ, আই , জুয়েল # ছেমড়ী ছেমড়ী মার্কা আমেজের গল্পটা ভালোই হয়েছে ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জুয়েল ভাইয়া .... সালাম রইলো
মামুন ম. আজিজ রিয়েলীটি আছৈ ..ওহ শেষ তো বলেই দিলে সত্য ঘটনা
সালেহ মাহমুদ সত্য ঘটনা হোক বা মিথ্যা ঘটনা- তাতে কিছু যায় আসে না। অসম্ভব সুন্দর লিখেছেন তানি হক। মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফয়সাল বারী সুন্দর আপনার golpo
প্রদ্যোত পাঠক হিসাবে আমি পঁচা হলেও এই লেখাটা .....
ধন্যবাদ ভাইয়া ..আমার মনে হচ্ছে আপনার পুরো কমেন্টস টি আসেনি ...
দিপা নূরী অনেক সুন্দর গল্প। ভালো লেগেছে।
রোদেলা শিশির (লাইজু মনি ) বুঝলাম না .............. জুই ফুল .... নিল... তানির .... কলমে ঢুকলো .... কি করে .... ?? ওরে ... ভাইরে ... দুর্দান্ত ... গল্প ... পড়ে ... শেষ করলাম ... !! কেমন লাগলো ... তা মুখে না বলে ... ডান পাশে ক্লিক করেই দেখালাম ... !!
হিমেল চৌধুরী খুব সুন্দর একটি গল্প। অনেক ভালোও লাগলো।

০৯ সেপ্টেম্বর - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪