হাতছানি

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

রোদের ছায়া
  • ৪৪
  • 0
  • ৭৩
বিশ বছর অনেকটা সময় /.বিশ বছরে কত কিছু বদলে যায়! কত কিছু বদলে গেছে জীবনে . সেই চেনা মানুষ গুলো , চেনা পথ ঘাট . অথচ আমার মনের ভিতর আজ অবিকল আগের মতই রয়ে গেছে আমার প্রিয় গ্রামের সেই ধুলি উড়া মেঠো পথ.সেই লাল মাটির রাস্তা যার সাথে গ্রামের প্রতিটি মানুষের যোগসূত্র/ আজ থেকে ২০ বছর আগে এই রাস্তা ধরে চলত বাসন্তিপুর গ্রামের মানুষগুলো.গ্রামের এমন কেও নেই যে কোনদিন এই রাস্তায় আসে নাই.হাট বারে এই রাস্তায় কত মানুষ না হেটে গেছে হাটে. গ্রামের একমাত্র পাঠশালায় যেতে হত এই মেঠোপথ দিয়েই /আরো মনে পরে ঘন গাছপালায় ছাওয়া আমাদের বাড়ি থেকে এই রাস্তা বেশ ভালই দেখা যেত/ আমাদের দিন শুরু হত এই রাস্তার দিকে তাকিয়ে কত .ক্লান্ত দুপুরে বা সন্ধ্যা বেলা আমরা এই রাস্তার দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি তার হিসাব নেই /বাড়িতে কোনো মেহমান আসার কথা থাকলে আমরা ভাইবোন রা উত্সুক নয়নে তাকিয়ে থাকতাম /তারপর যখন মেহমান দের নিয়ে আসা গরুর গাড়ি দেখা যেত আমরা দোল বেধে ছুটে যেতাম রাস্তায় / .রাস্তার দুপাশে ধান ক্ষেত আর শেষ মাথায় bishal দুটো আম আর বরই গাছ,ছিল. কত আম যে হত গাছটায় আর বরই গাছের মিস্টি বরই খেতে ভালবাসত না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যেত না গ্রামে./আজ কত দিন সেই গাছের আম আর বরই খাওয়া হয় না. ছুটে যাওয়া হয় না সেই লাল মাটির পথ ধরে পাঠশালায়!!এখন শিলাবৃষ্টি তে আর শীল কুড়াতে যাওয়া হয় সেই রাস্তায় উপর /কিভবে কেটে যায় জীবন / সব ভুলে শুধু এগিয়ে চলা , কিন্তু ভুলা কি যায় সেই শৈশব ./ সেই গ্রাম বাংলার নিষ্পাপ শৈশব /আজ আমায় হাতছানি দেয় আমার পর গ্রাম, সেই মেঠো পথ , সেই ধানক্ষেত , আমগাছ . আজ হাতছানি দিয়ে বলে তোমরা এস আবার আমার বুকে . সেই লাল ধুলা উড়া মেঠো পথ হাতছানি দিয়ে বলে আমি অপেক্ষায় আছি তোমাদের যত একসময় আমার বুকের উপর হেটে গেছ নিজ নিজ কাজে./ আমি আজ খুব বেশী হাতছানি শুনি সেই ফেলে আসা শ্যামল বাংলার/ যেই সবুজ গ্রামে কেটেছে জীবনের শুরুটা/ এই হাতছানি উপেক্ষা করার নয় , আমাকে আবার ফিরে যেতে হবে সেই লাল মাটির রাস্তা ধরে ছায়াময় গৃহে. আমার মত আর কেও কি সেই হাতছানি পেয়েছে?? গ্রাম বাংলার নির্মল হাতছানি ?? বাংলার পল্লিকবির মত মাঝে মাঝেই আমি শুনি সেই হাতছানি '' তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে আমাদের ......
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
rakib uddin ahmed বহুদূর যেতে হবে,এখনও পথের অনেক রয়েছে বাকি....পথচলায় আস্হা রেখো,দিনের দিনেশ রাঙাবে যখন,তখন রোদের ছায়ায় থেকো;প্রিয়তার মাঝে প্রিয় লিখাগুলো সব সাবস্ক্রাইব হয়ে থেকো।
রোদের ছায়া জুয়েল দেব আমার গ্রামে থাকার এবং গরুর গাড়ি দেখার সৌভাগ্য হয় নাই/ আর বাংলা টাইপ করতে না পারার জন্য দাড়ি, কমার ভুল গুলো হয়েছে/ তোমাকে আর তানি হক কে ধন্যবাদ আমার লেখা পড়ার জন্য/
জুয়েল দেব আপনি অনেক সৌভাগ্যবান/সৌভাগ্যবতী, গরুর গাড়ি দেখেছেন। আমার শৈশব গ্রামে কাটলেও গরুর গাড়ি দেখার সৌভাগ্য হয় নি। চমৎকার লিখেছেন। তবে, দাঁড়ি, কমা গুলোতে মনে হয় একটু সমস্যা হয়েছে।
তানি হক খুব ভালো লাগছিল ..কিন্তু হঠাত শেষ হওয়াতে কষ্ট লাগলো...আগামীতে তৃপ্ত মনে ফিরব সেই কামনায় রইলাম ,,আপনাকে ধন্যবাদ
রোদের ছায়া Khondaker Nahid Hossain , ঝরা , সূর্য সবাই আমার আন্তরিক ধন্যবাদ গ্রহণ করবেন. আর অবশ্যই ভালো থাকবেন/
সূর্য ফোনেটিকে লিখাটা অনেক বিরক্তকর ব্যপার। লখকেরও ধৈর্যের পরীক্ষা হয়ে গেছে নিশ্চয়ই। লেখার বিষয়বস্তু গ্রামের পরিবেশ হলেও গল্পের চেয়ে স্মৃতিকথা/ডায়রী/ব্লগে লেখার মতো হয়েছে। তবে লেখার ধারাটা ভাল। সামনে পূর্ণাঙ্গ গল্প পাবার আশায় রইলাম।
খন্দকার নাহিদ হোসেন টানটা টের পাওয়া গেলো। আর আকুলতাটুকুও ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে বেশ লেখা।
রোদের ছায়া ধন্যবাদ জানানোর আর কোনো ভাষা জানা নাই, তাই শুধুই ধন্যবাদ সবাইকে.

১৭ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৪৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪