সকাল ১১টা নাকি তারচেয়ে কম ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা, কারণ রূমের দেয়াল ঘড়িটা উধাও! আশ্চর্য ঘড়িটা নিল কে? বাবা মা নাকি নুপূর! নিক যার ইচ্ছে হয়েছে নিয়েছে এই মুহূর্তে এ্যাকজ্যাক্ট সময়ের কোন প্রয়োজন নেই। গতকালের কাজটা ঠিক করেছি কিনা বুঝতে পারছিনা। তবে নিজেকে কেমন যেন নির্ভার লাগছে। খবরের কাগজ হাতে নিয়ে বসে আছি। ইদানিং কোন হট নিউজ বের হচ্ছেনা। যেমন : "শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা, শিল্পপতি জালাল উদ্দিনের কংকাল উদ্ধার কিংবা ব্রাক ব্যাংক ডাকাতি" টাইপ। তার মানে কি দেশের উন্নতি হচ্ছে, সন্ত্রাস কমছে: কিন্তু আমার তো তা মনে হয় না কারণ এটা বাংলাদেশ! যে দেশের জন্মের চার (৪) দশক পরও সাধারণ সচেতন মানুষদের মিছিল করতে হয় "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" বলে। আবার বাবার কথা মনে হলো। ৭১ এ বাবার ভূমিকা আজও আমাকে লজ্জিত করে। মানুষের মুখে শুনেশুনে নিজের ভেতর কেমন যেন একটা অপরাধবোধ কাজ করছে। অথচ এই মানুষটার ভেতর কোনদিন আমি অনুতপ্তবোধ দেখিনি। অন্য সব রাজাকার যা করেছে শুনা যায় আমার বাবা তাদের থেকে কোনো অংশে কম ছিলনা। কিন্তু কালক্রমে দুষ্ট বুদ্ধির জোড়ে থেকে গেছে সকলের ধরাছোয়ার বাইরে। আজও চলছে তার দূনর্ীতি বাণিজ্য আর নিজেদের ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে ভাইদের সাথে মামলা মকদ্দমা। তাহলে নিত্য কাদের জন্য শুধু শুধু এতো মিছিল,মিটিং "যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই" বলে !!! দুঃখ আমার তাদের জন্য যারা প্রাণ দিল শহীদ হলো। কারণ আজও তাদের স্বপ্ন আমাদের পূর্ব জীবিত পুরুষ কিংবা আমরা কেউই পূরণ করতে পারিনি। হায়, স্বাধীনতা! পেপারের ভিতরে ঢুকতেই চোখ পড়ল একটি ফিচারের উপর : লেখা "স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত" এই একটি বিষয় যা প্রতিদিন কম করে হলেও দু'চারটা পাওয়া যাবে প্রতিটি পত্রিকায়। সাংবাদিকরাও বেশ পটু এ ব্যাপারে লিখতে যথা সম্ভব ঘটনাটাকে রসালো করা চাই! বুঝিনা অন্যান্য পাঠক এটাকে ঠিক কিভাবে গ্রহণ করে। এটা তো এক প্রকার লজ্জা; ধর্ষিত নারীর চেয়েও আমাদের সমাজের জন্য। মহা অবক্ষয়! পিছনে পায়ের শব্দ হচ্ছে বুঝতেই পারছি এ বাবা ছাড়া অন্য কেউ নয়। হঠাৎ মনটা খারাপ হয়ে গেল। ইদানিং আমি এই লোকটা থেকে দূরে দূরে থাকি। এই মানুষটার সঙ্গ আর ভাল লাগেনা। এর কারণ কি ভয় নাকি ঘৃনা ঠিক জানিনা। এক সময় ধীর পায়ে রূমের কাছে এসে বলবে, "কিরে ব্যাটা তুই তো আর নাইট গার্ড না আর লঞ্চের সারেং ও না যে দিনে এতবেলা পর্যন্ত ঘুমাবি। এসব কিন্তু চলবেনা! চাকরি-বাকরির খোঁজ খবর করিস না তাও ছেড়ে দিয়েছিস? বোন একটা আইবুড়ো হচ্ছে সে খেয়াল আছে নাকি সংসারের সব দায়িত্ব আমার! শেষ সময়ে না আবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতে হয় যে 'আইবুড়ো পাত্রীর জন্য পাত্র চাই'। সন্ধায় বাসায় থাকিস...ছেলেপক্ষ আসবে নুপূরকে দেখতে " আর তখনি প্রচন্ড ইচ্ছে হয় যে, বলি রাজাকার তোমার ঘ্যানর ঘ্যানর প্রতিদিন আমার ভাললাগে না। একটু শান্তিতে থাকতে দাও। তোমার প্রথম মেয়ের বিয়ের কথা আমি ভুলে যাইনি। রাতের আধারে মেয়েকে বিয়ে দিলে! টাকা খরচের ভয়ে কোনো প্রকার অনুষ্ঠান ছাড়াই। প্রতিটা মেয়ের বিয়ে নিয়ে একটা স্বপ্ন থাকে। বাড়ি ভড়তি স্বজন,বন্ধ-ুবান্ধব,মেহেদী মাখানো,পার্লার,গায়ে হলুদ আরো কত আনন্দ! কিন্তু তুমি তোমার মেয়ের স্বপ্নগুলো দু:স্বপ্নে পরিণত করলে। আমি ভুলে যাইনি সেদিনের বড় আপুর কান্না! আজ কিনা ভূতেঁর মুখে রাম রাম! আমি নিশ্চিত বাবা তার দ্বিতীয় মেয়েকে ঠিক একই ভাবে বিদায় দিতে চাইছে। তাই এতো তাড়াহুড়ো।
বিষন্ন দুপুরে রুমে বসে অরুন্ধতি রায়ের "দ্যা গড অব স্মল থিংস" পড়ছি। ভেজানো দরজার ফাঁক দিয়ে নুপূর তাকিয়ে আছে। ওর দিকে তাকিয়ে ইশারায় ডাকলাম। কাছে এসে বললো "ভাইয়া তুমি এতো কম কথা বলো কেন? বাবা তোমাকে এই জন্যে বেয়াদব বলেছে। তুমি নাকি বাবার কথার উত্তরই দাওনা"। আমি বললাম তোরা সবাই বাচাল তো এই জন্য আমি কম কথা বলি। এ্যাভারেজ ঠিক রাখি। নুপূর তুই এখন যা। কিছু বলবি? তোমার ফোন এসেছিল। কিছু বলেছে? নাহ্। শুধু বলেছে নাম বললেই হবে। কি নাম বলেছে? দিপা। ভাইয়া দিপাটা কে? জানিনা। বাবা বলেছে "এই মেয়ের সাথে তোমার সম্পর্ক কিসের?" নুপূর তুই এখন দূর হ। সন্ধায় নাকি তোকে দেখতে আসবে? দেখতে তো কতজনই আসলো এটা নতুন কি! এই বলে বিষন্ন মুখে চলে গেল। মেয়েটা মনে হয় কষ্ট পেয়েছে।
সন্ধায় ঘুড়তে বের হলাম। ইদানিং কিছু ভালো লাগেনা। ডিপ্রেশনে ভুগছি। সাগরের সাথে দেখা করা জরুরী। বাবার উপর অন্তত এই একটা বিষয় আর ডিপেন্ড করা যায়না। শুভ কাজ বলে কথা! দ্য সুনার দ্য বেটার। সাগরের অবস্থা আমার মত নয়। আমি বেকার আর ও চাকরি করে। সুতরাং খারাপ না। ছেলে ভাল। তারচেয়েও ভাল কথা হলো যে, আমি জানি সাগরের দূর্বলতা বাস করে আমাদেরই মাঝে। যার নাম নুপূর। সো নো মোর লেট। আজই কথা বলতে হবে, আজই! হাটতে হাটতে হঠাৎ বিদু্যৎ চলে গেল। আমি অভিভূত হয়ে গেলাম। বিষ্ময় চোখে আকাশের দিকে তাকালাম। অদ্ভুত! অদ্ভুত সুন্দর! চাঁদের আলো যে এত অদ্ভুত সুন্দর হতে পারে জানা ছিল না। কেবল উপন্যাসে জোছনার বাড়াবাড়ি বিবরণ পড়েছি আর আজ বাস্তব। কে না পাগল হবে এই জোছনায়? হঠাৎ দিপার কথা মনে পড়লো। যদি ও আমার থেকে ওর দূরত্ব প্রায় চারশ কিলোমিটার। তবুও এই মুহূর্তে দিপার সঙ্গ আমার খুব;খুব পেতে ইচ্ছে করছে। আচ্ছা একটা কাজ করলে কেমন হয় দিপাকে ফোন করা যাক। কিন্তু মোবাইল নাম্বার তো জানা নেই। ল্যান্ডফোনে করা যায়। যদি ওর বাবা থাকে তাহলে তো সর্বনাশ! অবশ্য আমার সিঙ্থ সেন্স বলছে ওর বাবা বাসায় নেই। টেলিফোনে মিথ্যে করে বলবো "দিপা আমি এখন কুয়াকাটা। রাত দশটায় আমরা সমুদ্র পাড়ে যাব জোছনা দেখার জন্যে"। ও ভয়ে ভয়ে বলবে আমরা মানে কি; তোমার সাথে আর কে? আমি বলবো "ভীতু মেয়ে অযথা ভয় পেয়োনা। আমরা মানে আমাদের বয় ফ্রেন্ডরা। দিপা ওপাশ থেকে সি্নগ্ধ গলায় বলবে "ও"! আমি বলবো" তোমাকে এই মুহূর্তে প্রচন্ড মিস করছি। ইচ্ছে করছে সারারাত তোমাকে নিয়ে জোছনা রাতে সমুদ্র পাড়ে হাটতে। কল্পনা করো তো তোমার এক পাশে আমি অন্যপাশে বিশাল সমুদ্র। মাথার উপর অষ্টমতিথীর চাঁদ। জোছনা তোমার চারপাশে। দু'জনে হাটছি জনশূন্য জোছনালোকিত সমুদ্র তীর ধরে .......। হঠাৎ ওপাশ থেকে শুনা যাবে দিপা বলছে, প্লিজ আর বলোনা ......... আমি আর কল্পনা করতে পারছিনা। আমি বলবো তাহলে চলে আসো তুমি। দিপা বিরক্ত স্বরে বলবে "কি পাগলের মত কথা বলো আমি আসবো কিভাবে? আমি কি সুপারম্যান যে নিমিষেই যেকোন জায়গায় চলে আসতে পারবো"। হঠাৎ মনে হলো আরে দিপার সাথে তো আমার ব্রেক আপ চলছে! (অবশ্য এটা আমি করিনি। মাঝেমাঝে ও নিজেই ব্রেক আপ চালু করে।) তবে এসব ভাবছি কেন? বোধহয় মস্তিষ্ক উত্তেজিত। ঠিক তখনি চারদিকে যেন প্রাণ ফিরে পেল। ইলেকট্রিসিটি চলে এসেছে। আমি অবাক হয়ে আবিষ্কার করলাম আমার চোখে জলের খেলা চলছে। চারদিক আবছা লাগছে। ইদানিং এক ধরনের কষ্ট আমাকে প্রায়ই আক্রমণ করে। কিন্তু এই কষ্টতো আমি ভুলে গেছি! আমি তো এখন আত্মনিয়ন্ত্রিত। তবে কি আমার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাচ্ছে! আমাকে কি অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে? অসম্ভব, এটা হতেই পারেনা। আমি চোখ মুছতে মুছতে অদূরে রাখা দুটো মাইক্রোবাসের দিকে এগুচ্ছি। এরা কারা? এরাই কি পাত্রপক্ষ! যারা নুপূরকে আজ দেখতে যাবে নাকি গতকাল বাবা'র বিরুদ্ধে দূদক (দূনর্ীতি দমন কমিশন) এ অভিযোগের কারণে র্যাপিড এ্যাকশন ! ছেলে হিসেবে আমার এই কাজটা কতটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে নিজেকে আর প্রশ্ন করতে ভালো লাগছেনা। অনেক রাত অবদি রাস্তায় ঘুড়লাম। জোছনা মানুষকে এমন পাগল করে আমার জানা ছিলনা। এতো দেখি আমাকে ঘড় ছাড়া করবে! এই জন্যই কবি সাহিত্যিকরা জোছনা নিয়ে এত মাতামাতি করছেন। আমি লেখক হলেও তাই করতাম। আচ্ছা জোছনা কি মানুষকে কখনো কখনো নস্টালজিক করে দেয়? ধ্যাত কিসব আজেবাজে চিন্তা। এতো দেখি দার্শনিক হবার পালা। যাকে বলে ভ্যাগাবন্ড ফিলোসফার। বাসায় যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না। দুঃখের সাথে মিশতে আর ভাল লাগে না। তবুও ঘরে ফেরা। গভীর রাত। সুনসান নিরবতা। বাসার সামনে আসতেই শুনতে পেলাম কান্নার শব্দ। এত রাতে কে কাঁদে? মা নাকি নুপুর? নুপুর এসে দরজা খুললো। কোথায় ছিলে এতো রাত পর্যন্ত? তোমার মোবাইল ফোনও বন্ধ। বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে! মা কি করছে রে? কাদঁছে। তুই কাঁদছিস কেন? এমনি। এমনি কেউ কাঁদে! এমনি কাঁদে বোকা আর পাগলীরা। জানো ভাইয়া পাত্রপক্ষ আজ আমাকে দেখতে আসেনি। আমি সেই সন্ধে থেকে সেঁজে বসে আছি। আচছা ভাইয়া! বাবা কবে মুক্তি পাবে জেল থেকে? বলেই আবার কান্না.......। আমি বললাম এই জন্যে বুঝি কাঁদতে হয়? তুই এ যুগের মেয়ে। এ যুগের মেয়েরা কাঁদেনা। চল ছাদে যাই। আজ খুব জোছনা ঝড়ছে। তুই দেখে অবাক হয়ে যাবি। মেয়েটা এখনও কান্না কন্টোল করতে পারেনি। নুপূর কাদঁছে কি কারণে ঠিক বুঝতে পারছিনা। বাবার জন্যে নাকি ছেলেপক্ষ দেখতে আসেনি বলে! আমরা ছাদে উঠে এলাম। নুপুরের মাথায় হাত রেখে বললাম "দ্যাখ তোর এই বিয়েটা আমিই ভেঙ্গে দিয়েছি। রাস্তায় ওদের সাথে আমার কথা হয়েছিল। আমি সব বলে দিয়েছি। মিথ্যে দিয়ে কখনও শান্তি-সুখ হয়না"। বাবা পাত্র পক্ষকে বলেছে তিনি জমিদার। লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যাংক ব্যালেন্স সহ অনেক কিছু। কিন্তু তুই চিন্তা করে দ্যাখ বিয়ের পর যখন তোর বর জানবে এসব মিথ্যা। তার শ্বশুর একজন দূনর্ীতিবাজ, মামলাবাজ। নিজেদের মধ্য জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে মামলা করতে করতে নিঃস্ব প্রায়। তখন হয়তো দেখা যাবে এর ফল ভোগ করছিস তুই। ছেলেদের মানসিকতা এখনও আদিম যুগের মত অসুস্থ রয়ে গেছে। তুই হয়ত ডির্ভোসী হলি। তখন কি হবে? লক্ষ্য করলাম মেয়েটা একমনে কথা শুনে যাচ্ছে। এখনও কি কাঁদছে মেয়েটা? বললাম আচ্ছা এক কাজ করি চল্ মা কে সঙ্গে নিয়ে জাফর আংকেলের কাছে যাই দেখি তিনি কিছু করতে পারেন কিনা বাবার জন্যে। ভালো কথা তোকে আর সং সেজেঁ বিয়ের জন্যে বসে থাকতে হবেনা। এই কথা শুনে মেয়েটা খিলখিল করে হেঁেস উঠলো। চারপাশের পরিবেশ কেমন অদ্ভুত হয়ে গেল। ব্যাখ্যাতীত অনুভূতি। কি দারুন লাগছে মেয়েটাকে। কিছুটা রহস্যময়ী। আমি তাকিয়ে আছি এক দৃষ্টিতে। ওর জন্যে একটা সুখবর আছে এটা ওকে বলা দরকার। তাহলে মেয়েটার মন ভাল হয়ে যেত। প্রকৃতি বোধহয় আর সহ্য করতে পারছেনা ওর কষ্ট। তাই এত স্বপ্লীল আয়োজন। জোছনায় সাধারণ রূপ গুলোও অপরূপ মনে হয়। কি আশ্চর্য কম্বিনেশন! একটি মেয়ের বিয়ে ভাঙ্গার কষ্ট; কষ্টের বহিঃপ্রকাশ তার দু'চোখে অশ্রুস্নান হচ্ছে আবার মাঝেমাঝে হাসিতে ফেটে পড়ছে! জোছনাতে কি সুন্দরই না লাগছে। দুঃখ সুখের সংমিশ্রন। কান্না-হাঁিসর মেলামেশা। একমাত্র মানুষই পারে এই বিচিত্র খেলা খেলতে। আমি বোধ হয় পাগলই হয়ে যাব এই অদ্ভুত অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখে। কি অদ্ভুত! কি অদ্ভুত!!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
অযোগ্য পিতার যোগ্য সন্তান হওয়ার সাহসী প্রয়াশ দেখে ভালো লেগেছে। মাঝখানে ভালোবাসা রেখে এক পাশে সাগর আর অন্য পাশে নিজেকে তুলনা করে যে সেইতো পারে এমন মহত কাজ করতে।লেখায় জোছনার ভ্যাবহার খুব ভালো লাগলো। আপনার লেখা প্রিয়তে নিয়ে আপনার প্রাপ্যটা দিয়ে গেলাম..ধন্যবাদ।
সালেহ মাহমুদ
অদ্ভূত সুন্দর গল্প। তবে একটা কথা, বাবাকে ঘৃণা করতে না শিখিয়ে ভালোবাসতে শেখাতে দোষ কি? একজন দুষ্ট প্রকৃতির বাবা কি শুধুই দুষ্ট প্রকৃতির? সকল ক্ষেত্রে? বাবার হৃদয়কে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করা কি যায় না? আমার মনে হয় সে রকম কিছু করার চেষ্টা করা উচিত। তারপরও সার্বিকভাবে খুবই উঁচু মানের গল্প। পূর্ণ নম্বর দিয়ে গেলাম।
সূর্য
ভ্যাগাবন্ড ফিলোসফারদের এভাবেই চিত্রিত হতে দেখে আসছি বলে তার কাজের ধরনটা আগেই মনে আঁকা হয়ে যায়। গল্পের বুনট, বিন্যাস এবং প্রাঞ্জলতা মুগ্ধ করার মতো।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।