আইকন সিন

ইচ্ছা (জুলাই ২০১৩)

ইয়াসির আরাফাত
  • ১৩
  • ২৭
একটি আইকন সিন পাবার জন্য কত কান্নাকাটি ,চেঁচামেচি ও মান অভিমান করেছি ।স্বপ্নে দেখি আমি আইকন সিনে চড়ে দেশের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্ত মুক্ত বিহঙ্গের মত উড়ে যায় । মানুষের বিপদে এগিয়ে যায় । অপরাধীদের খুঁজে বেড় করে আইনের হাতে তুলে দেয় । হাজারো আলোয় আলকিত আমার চারপাশ । সেই আলোয় আমি নিশিথেও সবুজ দেখি । মাঝে মাঝেই ভিত্তিহীন ইচ্ছার চাদরে ঢাকা রোদস্বপ্ন দেখি । প্রতিদিন আমার দায়িত্ব বেড়ে চলেছে সময়মত ঘুমাতে পারিনা ।চারপাশ ঘিরে শুধু মানুষের আনাগোনা । রাত গভীর হয়ে যায় ঝি ঝি পোকারা ঝি ঝি শব্দ করতে করতে ক্লান্ত , চাঁদের আলো নিবুনিবু । রাতজাগা পাখিদের ডানা ঝাপটানোর শব্দে শেষ রাতের ঘুম টুটে যায় , কোটি কোটি জনতার দায়ভার কাঁধে নিয়ে ঘুমতে পারছিনা ।মাত্র কয়েক বছরে দেশ উন্নতির চরম শিখরে ভাবতেই ভালো লাগে।।দেশি বিদেশী সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে একটু মেকআপ করে নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে বসব সে সময় আমার নেই ।দেশকে আরও উন্নত করতে হলে আমাকে ক্লান্তিহীন পথ চলতে হবে ।আমাকে কেন্দ্র করে দেশে আলোড়ন পড়ে যাবে তা ভাবিনী কখনো ।রক্তের স্রোত আমাকে সস্থি দেয়না । রবু ডাক্তার সেই অসময়ে ঘোড়ায় চড়ে গ্রামের মানুষদের বিনামুল্যে সেবা করেছে । আঁধার রাত্রি ঝড় বৃষ্টি তাকে থামাতে পারেনি । আমার বড় চাচা দাদীর আঁচলের বাঁধা অতিক্রম করে মুক্তিযুদ্ধ করেছে ।আমার আব্বাও সংসারের দেখাশোনা করে যাচ্ছে সকলের চাহিদা পুড়ন করছে । আর আমি তো রাজপুত্র আজ মহারাজা হয়ে পৃথিবীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছি ।বাংলাদেশটাকে পৃথিবীর সুখি কয়েকটি দেশের মধ্যে একটিতে নিয়ে এসে ।কোন ক্ষমতায় নয় নাগরিকদের ভালবাসায় আমি রাজা । মিডিয়ার সামনে নো কমেন্ট বলেও কোন লাভ হয়না । তাই বেশ সময় বেড় করেছি তাদের উত্তর দেবার জন্য ।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন- আপনার এই সাফল্যের গল্প শোনান ?মাত্র তিন বছরে দেশকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাবার গল্প ?

আমি উত্তর দেয় -আমরা সকলে জানি , একদিনে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় , এবং সকল চাহিদা ,স্বপ্ন ,ইচ্ছা পুরন সম্ভব নয় ।আত্নসুদ্ধ না হলে আমাদের বিবেক জাগ্রত না হলে, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন না হলে । আমাদের ভিতরে লুকিয়ে থাকা লোভকে নির্বাসনে না পাঠালে যতই চেষ্টা করি সুখি হতে পারবোনা । ইচ্ছে পুরনের জন্য তিনটি জিনিশ গুরুত্ব পূর্ণ । আপনি যে ইচ্ছে করবেন তার পুরনের জন্য কত টুকু শ্রম দিতে পারবেন ? অর্থাৎ অধ্যবসায় চেষ্টা সাধনা ।দ্বিতীয়টি হলও সেটি করার মত অর্থ । তৃতীয়ত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন । আমি স্বপ্ন দেখি ইচ্ছা পোষণ করি আমাদের দেশকে উন্নতদেশে পরিনত করার । কিন্তু হবে কিভাবে ? আমাদের তো এই তিনটির একটিও নেই । আমরা সকলে মিলে ইচ্ছানা করলে আমাদের এই ইচ্ছা পুরন হবার নয় । আমাদের দেশের আয়তনের তুলনায় অধিক জনগণ এর জন্য প্রাকৃতিক সম্পদ এর উপর ভিত্তি করে একটি সম্রিধ রাষ্ট্র গড়ে তোলা সম্ভব নয় । প্রবাস জীবনে একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতাম সে কোম্পানি পরিচালনার পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন এনে দেশকে এই জায়গায় এনেছি ।বাংলাদেশ মানবতাবাদী দল হিসেবে আত্নপ্রকাশ করে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে প্রথমচান্সে পাশ করে নিবো তা ভাবিনী কখনো ।
আমি বড়সড় ভুড়ি মোটা ইশতেহার দেয়নি আমি আমার দেশের মানুষের সামনে এইটুকু বলেছি ।প্রবাস জীবনে জটটুকু আয় করেছি তাতে সারাজীবন বসে খেতে পারবো । আপনাদের একটি টাকাও আমার প্রয়োজন নেই । আমার বংশানুক্রমে প্রাপ্ত সম্পদ প্রয়জনে দেশের সেবায় কাজে লাগাবো ।আমি একটি ইচ্ছা পোষণ করেছি আপনাদের সেবা করার দেশটা সামনে এগিয়ে নেবার । যদি আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেন ভোট দেবেন না করলে দেবেন না ।পাঁচ বছরে আমি যদি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারি জুতার মালা পড়ে নিজের চুল কেটে কালি মিশ্রিত ঘোল মাথায় ঢেলে বাদক দল ভাড়াকরে কুকুরের সাথে গলায় রসি বেঁধে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবো ও রাজনীতি করবোনা । আমি পাশ করে বড্ড বিপদে পড়ে গেলাম , টেবিল চেয়ারে মানুষ নেই সকলে খচ্চর ,কিছুদিনে বাঁধা পেরিয়ে গেলাম । বিগত সরকারদের হিসেবের কাগজ বড্ড এলোমেলো মনে হচ্ছে দেশ একটি ঋনের মুখে আছে । নিজের সম্পদ ও অর্থ দিয়েও গ্যাপ পুরন সম্ভব নয় ।দেশকে সাজানো গোছানো ও ঘারতি পুরনের খেলায় মেতে উঠলাম । বাংলাদেশ ব্যাংক কে কড়া নির্দেশ দিলাম সকল ব্যাংক একত্রিত করতে ।কারন আমরা জানি বাংলাদেশ ব্যঙ্ক এর অধীনে সকল ব্যাংক । সরকারি চারটি ব্যাংক ও বেসরকারি অনেক ব্যাংক তেমন কোন সুবিধা দিতে পারছেনা । বাংলাদেশে শুধু বাংলাদেশ ব্যাংক থাকবে । ও অন্যান্য সকল ব্যাংক একত্রিত করে একটি বেসরকারি ব্যাংক করা হবে । এখানে বলা যেতে পারে বেসরকারি ২০০ ব্যাংক এর যত টাকা জামানত সরকারের কাছে আছে তার ১০০ গুন বেশি টাকা জমারেখে ব্যাংক ব্যবসা করার অনুমোদন পাবে । ফলে সকল ব্যাংক একসাথে হয়ে ব্যবসা করতে বাদ্ধ হবে ।জনগণের সুবিধা বাড়বে ফলে প্রতিটি জেলা উপজেলা ব্যাংক এ ছেয়ে যাবে । তছারা এটিএম বুথ তো থাকবেই । তাছাড়া আশা, ব্রাক ইত্যাদি সমিতি গুলো একত্রিত করা হবে যা দেশকে আরও সামনের দিয়ে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে । কয়েক মাসের মধ্যে সকল ব্যাংক এক হয়ে গেলো । মোড়ে মোড়ে ব্যাংক লোকালয় গুলোতে বিনদন কেন্দ্র শপিং মল গুলোতে বুথ ।২৪ ঘণ্টা সার্ভিস প্রদান শুরু করল তারা ।
মোবাইল কোম্পানিদের টাওয়ার পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর,দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ , অতিরিত্ত মোবাইলে কথা বলা সাস্থের জন্য ক্ষতিকর ।কিন্তু মোবাইল যানজট ও সময় বাঁচানোর দ্রুত মাধ্যম তাই এই ছোট দেশে একটি কোম্পানি ব্যাপক সুবিধা ও প্রদান সাপেক্ষে অনুমোদন দেবার সিধান্ত নিলাম । ব্যাংক গুলোর মত এরাও এক হতে বাধ্য হলও । একটি জায়গার ছয়টি টাওয়ারের থেকে পাঁচটি খুলে অন্য জাইগায় স্থাপন করলো ।৫জি সার্ভিস চালু হলও ।ব্যাংক ও মোবাইল টাওয়ার এর জ্যাম মুক্ত দেশ পেয়ে জনসাধারণ বেশ খুশি হলও আমিও প্রতিদানে ডাস্টবিন ব্যবহার ও নিরাপত্তার উপর গুরুত্ব দিয়ে পথ চলা ।বৃক্ষ রোপণ , শিশুদের স্কুলে পাঠানো , অন্যায় অবিচার , চুরি ছিন্তায় , ঘুষ দুর্নীতি থেকে ৫০০ গজ দূরে থাকার আহবান জানায় ।তরুণদের বোঝাতে চেষ্টা করি বেকার আনলাকি বলে কোন শব্দ নেই ।যে কোন শ্রমজীবী মানুষের সন্মান অনেক বেশি ।পৃথিবী সুন্দর হয় ত্যাদের মহিমায় ।

এর পর আমি প্রতি জেলা ও থানা উপজেলায় রেশন প্রদান কেন্দ্র গড়লাম । সবচেয়ে কম মুল্যে দ্রব সরবরাহ শুরু করলাম । সকলের এমনককি আমারও রেশন কার্ড বানালাম ।আমি নিজে এই রেশন কেন্দ্র থেকে খাবার কিনে খায় ।আমি যদি এই কেন্দ্রের খাবার খেতে পারি আমার দেশের মানুষের না পারার কথা নয় । বিত্তবানরা অবস্য এখান থেকে দ্রব্য কেনেনা এটা তাদের অভিরুচি। এই কেন্দ্র চালানোর জন্য নিম্ন বিত্ত মধ্যে বিত্ত সবজি বিক্রেতা বা দোকান ব্যবসায়িদের নিয়োগ দিলাম । তাছাড়া নদীতে মাছ চাষের জন্য জেলে নিযুক্ত করলাম ।
কিন্তু ব্যর্থ হলাম বিরোধী দোলগুলো জোট বেঁধে মিথ্যে প্রচারনা করে সাধারণ জনগণদের বিভ্রান্ত করতে শুরু করল । দেশে বেকারের হার বেড়ে গেলো । হরতাল অবরোধের নামে সাধারণ জনগণের উপর হামলা ,ও সম্পদ নষ্ট শুরু করল তারা । আমি বিরোধী দলদের সোজা জানিয়ে দিলাম । আপনাদের দাবী পুরনের চেষ্টা চলছে কিছুদিন দেড়ি হবে মাত্র তবু যদি আপনারা ক্ষোভের অনলে পুড়তে থাকেন সে অনলে আমাকে পোড়ান জনসাধারণকে নয় ।
তাদের যানজট নিরসনের দাবি অনেকটা স্বপ্নের মত সড়ক প্রস্থে বড় করতে গেলে অনেক বড় বাজেট ও কোটি মানুষের অশ্রুর অভিশাপ আমাকে বহন করতে হবে । পরিপূর্ণ অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া সম্ভব নয় ।শেষ পর্যন্ত সড়ক পরিবহন সমিতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে পরিবহন ব্যবসা করা বাধ্যতামুলুক করেদিলাম । যা জ্বালানি সাশ্রয় ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক হবে । উদাহরন- চাঁপাই ববাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী প্রতিদিন প্রায় ৫০০ বাস ছেড়ে যায় ১০০ বাসের যাত্রী নিয়ে । বাস ফুল করার জন্য ১৮ টি বাস স্টপ ব্যবহার করেও অনেক সীট খালি থেকে যায় ।ফলে জ্বালানি অপচয় সময় নষ্ট পরিবেশ দূষণ অকারন যানজট সৃষ্টি হচ্ছে । কিন্তু যদি পরিবহন সমিতির অন্তর্ভুক্ত হয়ে ব্যবসা হয় তবে । ১০০ বাস সরাসরি ঢাকা গমন করবে । ব্যতিক্রমি ২০ জন যাত্রী যদি বেশি হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আরও একটি বাস২০ জন যাত্রী নিয়ে গমন করবে ? কিছু লোকাল বাস গমন করবে নাম মাত্র মূল্যে । প্রতিটি বাসের মালিক আলাদা হলেও পরিবহন সমিতি হবে প্রধান । পরিবহন সমিতি চালকদের বেতন ভাতা প্রদান করে , সরকারের ট্যাক্স প্রদান করে নিজেদের কমিশন রেখে লাভের টাকা মালিকদের ভাগ করে দিবে । ফলে সাধারণ জনগণ , মালিক উভয়ে লাভবান হবে । জ্বালানি সম্পদ বাঁচবে পরিবেশ দূষণ ও যানজট কমবে ।ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রতিটি গাড়ির কাগজ পত্র ফিটনেস টেস্ট লোড চেক করানো বাধ্যতা মুলুক করা হলও লাইসেন্স প্রদানের জটিলতা দূর করা হলও । রেলের সময় শিডিউল এ কিছুটা পরিবর্তন আনা হলও । সুপরিকল্পনায় বন্ধুর পথ অতিক্রম করতে সক্ষম হলাম ।
স্কাউটস , রেড কিসেন্ট কে সেফটি ফার্স্ট ( নিরাপত্তায় প্রথম ) বিষয়ক ট্রেনিং দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হলও ।
বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে বেকার সমস্যা দূর ও মৌলিক চাহিদা্র মুল খাদ্য চাহিদা পুরনের জন্য ১৮ বছরের উপর প্রতিটি নাগরিকের জন্য সরকারী খাত থেকে প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা করে বেতনের মত উত্তলন করার সুবিধা দেয়া হলও ।সরকারের লক্ষ এক মুঠো ভাতের জন্য বাংলাদেশের কেউ কারো দ্বারে ভিক্ষা করতে যাবেনা । এক কাপ চা এর জন্য কেউ কোন অন্যায় করবেনা ।ঘুষ দুর্নীতি ,চুরি ছিন্তায় , প্রতারণা ইত্যাদি অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তির আইন প্রনয়ন করা হলও । বাংলাদেশের নাগরিকদের মুল মন্ত্র হলও খাও-ঘুমাও , স ধর্ম পালন করো , এই বাইরে কিছু চায়লে সৎ পথে আয় কর ! চারপাশ পরিষ্কার পরিছন্ন রাখো নিজের কাজ নিজে করো । তোমার ভিতরের ঘুমন্ত মানুষকে জাগ্রত করে বিশ্বকে অবাক করে দাও !
এর পড়ে আমি সচেতন নাগরিকদের কাছে খারাপ হয়ে গেলাম বড় বিতর্কিত হলাম । কারন আমাদের ছোট দেশে মূল্যহীন সমাজের দর্পণ টি ভি চ্যানেল গুলোতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলাম । তাদের শর্ত দিলাম ইংরেজি সাবটাইটেল সংযোগের । বিজ্ঞাপন এর মূল্য বিদ্ধি করলাম প্রতি বিজ্ঞাপনে ৫০ হাজার টাকা ভ্যাট বসালাম টি ভি চ্যানেল গুলোর থাকবে নিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা ।এক লক্ষ টাকার নিচে কোন বিজ্ঞাপন তারা গ্রহন করতে পারবেনা যদি করে তা প্রমান হয়ে যায় এক কোটি টাকা জরিমানা করা হবে । বি এস টি আই এর মত প্রতিষ্ঠানগুলো আগেই সোজা হয়েছে । প্রতারণা মূলক মিথ্যে বিজ্ঞাপন বাংলাদেশের তরঙ্গে প্রচারিত হবেনা । তবে কল্পনার আশ্রয় ও ইফেক্ট গ্রাফিক্স এর কারুকাজ করার অধিকার থাকবে । নতুন কোম্পানি গুলোর বিজ্ঞাপন আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার কিছুদিন বিনামুল্যে বা নামমাত্র মূল্যে প্রচার করে সহায়তা করবে বিজ্ঞাপন ফাণ্ড থেকেই । এক একটি চ্যানেল এক একটি বিষয় ভিত্তিক করা বাধ্যতা মূলককরা হবে । যেমন – একটি শুধু সংবাদ একটি লেখাপড়া বিষয়ক একটি ভ্রমন বিষয়ক একটি টকশো , একটি বিনোদন ভিত্তিক একটি বাংলায় ডাবিং বিদেশী অনুষ্ঠান , ইসলামী চ্যানেল , খেলাধুলা ইত্যাদি ।এই পথ পাড়ি দেবার জন্য সরকার সহায়তা করবে ।
ব্যাংক , হাসপাতাল ২৪ ঘণ্টা চলার নির্দেশ দিলাম ।নাম মাত্র মূল্যে সোলার প্রদান শুরু করলাম ।বড় বড় সপিংমল ও কল কারখানা গুলো কে জেনারেটর ও অন্যান্য উপায়ে বিদ্যুতের উৎপাদনে উৎসাহিত করলাম ।গ্যাস লাইন বিচ্ছিন্ন করে সিলিন্ডার সহজ লোভ্য করলাম ।বায়গ্যাস প্লান্ট বানাতে উৎসাহিত করলাম । এর পড়ে আমি সরকারী ছুটিতে পরিবর্তন আনলাম ।
১.স্বাধীনতা দিবস -১ দিন
৪. মে দিবস -১ দিন
৫. রমজান ঈদ -২ দিন
৬. ইদুজ্জহা -৪ দিন
৭. দুর্গা পুজা -১ দিন
৮. কালি পুজা -১ দিন
৯. বড় দিন -১ দিন
১০. বোদ্ধ পূর্ণিমা -১ দিন
এছাড়া সরকারি- বেসরকারি সকল প্রতিস্তানের পুরুষ নারী শ্রমিক/ কর্মচারী বছরে ৪৮ দিন ছুটি পাবেন ।ব্যাক্তি গত প্রয়জনে তারা এই ছুটি গ্রহন করতে পারবেন । যদি তারা ছুটি না কাটায় বছর শেষে তাদের অবশিষ্ট ছুটি বিক্রির টাকা ব্যাসিক বেতন ও বছরে একমাসের বেতন বোনাস হিসেবে দেয়া বাদ্ধ্যতামুলুক ।
বাজেটের ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে আমদানি প্রসাধনি ও বস্ত্রের ও বিনোদন মূলক পন্যর শুল্ক অনেক বাড়িয়ে দিলাম ।খ্যাদ্য দ্রব জ্বালানী, শুল্ক মুক্ত করে দিলাম ।কৃষি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় শিক্ষার কাজে ব্যবহিত পন্যের দাম কমালাম । যে পন্য গুলোর দাম বাড়িয়েছি এত বেশি পরিমানে বাড়িয়েছি যে আমি নিষ্ঠুর রাজায় পরিনত হলাম ।খ্যাদ্য দ্রব্য রপ্তানিতে এত শুল্ক বসালাম যে আমাদের দেশ থেকে খ্যাদ্য দ্রব্য রপ্তানি বন্ধ প্রায়। তবে বস্ত্র ,চামড়া , দেশি বাইক , মোবাইল ইত্যাদি যেগুলো খাবার প্রয়োজন নেই অল্প সুল্কে রপ্তানির সুযোগ দিলাম । আসলে আমার অন্তরে একরকম বয়কট আন্দোলন কাজ করছিলো ।
আমি বড্ড বিতর্কিত হয়ে গেলাম ।আমার মস্তিকে অনেক প্ল্যান থাকলেও কিছু করে উঠতে পারছিনা । একটি ডাটাবেস সফট বানিয়ে তাতে দেশের আয় ব্যায়ের হিসেব এক্সেস করলাম ।যে কেউ তার নাম ও ন্যাশনাল আইডি নম্বর দিয়ে লগইন করতে পারবে । জনসাধারণের সুপ্ত ইচ্ছা পুরনের জন্য একটি ওয়েব সাইট বানালাম । জনগণকে বানিয়ে দিলাম দেশ তরণির মাঝি তারা আমাকে বেশ সাহায্য করতে শুরু করল । দেশকে সামনে এগিয়ে নেবার জন্য আমি কোন পথে এগুতে পাড়ি সে পথে কি কি বাধা আসতে পাড়ে , আসলে সমাধান কি ? ইত্যাদি ডিটেইলস লিখছে তারা । বেশ জ্ঞানী মানুষ আমাদের দেশে আছে তা কখনো ভেবে দেখিনি । আমি তাদের পরামর্শ গুলো একত্রিত করে নিজে ক্যালকুলেশন করে যে পথ কম ঝুঁকি পূর্ণ তিল মাত্র আবেগের ঠায় নেই সে পথে এগুতে থাকলাম । আমি পথ চলছি কোটি কোটি মানুষের ইচ্ছে পুরনের চেষ্টা করছি । ধীরে ধীরে সবুজগুলো যেন আরও সবুজ মনে হচ্ছে । বস্তির শিশুদের পড়নে পরিষ্কার পোশাক দেখে বুকটা আনন্দে ভরে উঠে । কিন্তু পিছন ফিরে দেখি বিরোধী দলের পা চাটা কুকুরের দল হাতে লাঠি নিয়ে আমাকে আক্রমন করতে আসছে । আমি প্রান বাঁচাতে প্রানপন বাঁচার আশ্রয় খুঁজতে থাকি । কিন্তু কেউ আমাকে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেয়না । যে দেশের মানুষদের সেবার জন্য বাপ-দাদার সম্পতি বিলিয়ে দিয়েছি । সে দেশের মানুষ আজ আমাকে লাঠি পেটা করছে । আমি উহ শব্দ করছি আঘাত প্রাপ্তস্থানে হাত দিচ্ছি ইচ্ছার বিরুদ্ধে আড়মোড়া দিয়ে বসে পড়লাম ।কে যেন আমার কান ধরে টানাটানি ও বকাঝকা করছে ও একবার করে আমাকে কঞ্চি দিয়ে পিটুনি দিচ্ছে । আমাকে মাড়তে মাড়তে ক্লান্ত হয়ে প্যা প্যা করে কাঁদতে শুরু করেছে ।কারন আমি পরিক্ষায় ফেল করে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছিলাম । বুস্তে পারলাম আমি স্বপ্ন দেখছিলাম ঠিকই কিন্তু প্যাঁদানি দিচ্ছিলও আমার মাআআ । মুচকি হেসে মনে মনে বললাম যে ছেলে পরিক্ষায় পাশ করতে পারেনা সে ছেলে দেশ চালানোর ইচ্ছা পোষণ করে কিভাবে ?
বাড়ি থেকে পালানোর প্রস্তুতি নিয়ে ফেললাম আমার আব্বাও পরীক্ষায় পাশ করবভেবে বিদেশ থেকে অর্ডার করে আইকন সিন নিয়ে এসেছে আমার জন্য ।আইকন সিনে চেপে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে থাকলাম ।কক্সবাজারে বাংলাদেশের দারিদ্রতা বিমোচনের জন্য একটি চ্যারিটি তে অংশ নিয়ে দিয়ে দিলাম আমার অনেক দিনের কাঙ্ক্ষিত আইকন সিন কারন মনে হলও আমার আইকন সিনে চড়ে বেড়ানোর চেয়ে দারিদ্র বিমোচনের গুরুত্ব অনেক বেশি । এই কথা জেনে আব্বা আমাকে বলল তুই পরীক্ষায় ফেল করলেও মানবতার পরীক্ষায় পাশ করেছিস । যে পরীক্ষায় সবাই পাশ করতে পারেনা । আমি খুব খুশি হয়েছে । আল্লাহ একটি সু সন্তান দিয়ে আমার ইচ্ছা পুড়ন করেছে ।
আমি নিলজ্জের মত বলে ফেললাম তাহলে একটা Buggati Veyron কিনে দাও না । আমার খুব ইচ্ছা Buggati Veyron এ চড়ে বেড়ানোর !
আব্বা হেসে বলল মন দিয়ে লেখাপড়া কর নিজে ইনকাম করে কিনতে পারবি এর চেয়েও ভালো গাড়ি !
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক আরাফাত ভাই...একটি দেশকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনন্য সুন্দর পরিকল্পনা....গল্পের মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে....ভালো লাগলো...শুভকামনা.....
আসলে পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজ সফল হয়না । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য ।
ঘাস ফুল সমাজ সংস্কার মুলক লেখা । খুব ভালো।
এশরার লতিফ ভালো লাগলো গল্পের আড়ালে লেখা সমাজ বদলের ম্যানিফেস্টো.
ধন্যবাদ লতিফ ভাই ।
শাহ্‌নাজ আক্তার অভিনব পরিকল্পনা, চিন্তা শক্তি প্রখর, যদি সত্যি এমন হত , আমার বাংলাদেশ টা সোনার বাংলা হয়ে যেত, জানি না সেই দিনটা কবে আসবে যেদিন আমরা নিশ্চিন্তে এই দেশে শান্তিতে ঘুমাতে পারব, সালুট আপনাকে আরাফাত ভাই..............
এই লক্ষ পুড়ন কঠিন কিছু নয়, আরও অনেক সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব ।প্রয়োজন একটু মানসিক পরিবর্তনের ।
অদিতি ভট্টাচার্য্য বাঃ বেশ তো! দেশ পরিচালনার পরিকল্পনা স্বপ্নে! এরকম স্বপ্ন যদি অন্যরা দেখত! ভালো লাগল। -
এমন স্বপ্ন অনেকে দেখে দাদা , ধন্যবাদ আপনাকে ।
তাই তো !!! এমন ভুল হয়ে যায় মাঝে মাঝেই ।
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর ভাবনা । লেখার ষ্টাইলটাও বেশ । সব মিলিয়ে অনেক চমৎকার ।।
অনেক ধন্যবাদ দাদা ......
জান্নাতি বেগম দেশে কখন আসবেন ? আগামী বছর বিপুল ভোটে ফেল করবেন ছুটি কমানোর জন্য ও বর্তমানের মিডিয়াতে পরিবর্তন আনার জন্য । কিন্তু ৫৬ হাজার বর্গ্মাইলে ৯৯ হাজার রকম ব্যাংক ও মোবাইল না রেখে সকল সুবিধা সম্বলিত একটি ব্যাংক ও মোবাইল কোম্পানি আমাদের দেশের মানুষ মানতে পারবেনা । হরতাল হবে ই যতই ডাটাবেস সফট করে জনগণকে সচ্ছ হিসেব দিন । প্রতিটি নাগরিকে রাষ্ট্রীয় খাত থেকে বেতন দেন লাভ নেই । আমরা ঠগ খেতে ভালোবাসি ।Buggati Veyron এর ইচ্ছা টুকু হাসালও । নেতা হয়ে Buggati Veyron কেনার ইচ্ছা পুড়ন করার জন্য গতানুগতিক নেতাদের রুপ ধারন করার ইচ্ছা আছে নাকি ?
আপনার ইশতেহার তো মরিচের ভর্তা কোন পাগলেরা ভোটে পাশ করিয়েছে জানিনা - আপনাদের একটি টাকাও আমার প্রয়োজন নেই । আমার বংশানুক্রমে প্রাপ্ত সম্পদ প্রয়জনে দেশের সেবায় কাজে লাগাবো ।আমি একটি ইচ্ছা পোষণ করেছি আপনাদের সেবা করার দেশটা সামনে এগিয়ে নেবার । যদি আপনারা আমাকে বিশ্বাস করেন ভোট দেবেন না করলে দেবেন না ।পাঁচ বছরে আমি যদি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে না পারি জুতার মালা পড়ে নিজের চুল কেটে কালি মিশ্রিত ঘোল মাথায় ঢেলে বাদক দল ভাড়াকরে কুকুরের সাথে গলায় রসি বেঁধে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবো ও রাজনীতি করবোনা ।
আরও অনেক কিছু রয়েছে ১০০০% দেশের পরিবর্তন আনা সম্ভব । প্রয়োজন শুধু সততা ও উন্নয়নের ইচ্ছার, সঠিক পরিকল্পনা গ্রহনের । তবে একথা সত্য প্রতিটি পদক্ষেপে কিছু আলোচনা সমালোচনা হবে । কোন দুররযোগ গ্রস্থ এলাকায় প্রয়োজন খাদ্য ও বস্ত্রের্ কিন্তু কোন এম্পির ছেলের রিজেক্ট মেকআপ বক্স চড়া দামে কিনে সরকার যদি দুর্জগ কবলিত এলাকায় পাঠায় । সেই এম্পি ও তার ছেলে ছাড়া কেউ লাভবান হতে পারেনা । দেশকে রসাতলে ফেলার এগুলো ফন্দি । তাই সিধান্ত গ্রহনের পূর্বে কয়েকবার ভাবতে হবে ।
নাজনীন পলি সুন্দর স্বপ্ন , ইস যদি সত্যি সত্যি এমন হত ! ভাল লাগলো ।
এমন হওয়া অসম্ভব নয় । আপনার রুম সাজানোর মত দেশটা সাজানোর কথা ভাব্ লে পেয়ে জাবেন উত্তর । আমাদের দেশটা আয়তনের দিক থেকে খুব বড় নয় । খুব সুন্দর করে দেশটা সাজাতে বেশি সময় লাগবেনা । প্রয়োজন শুধু কো অপারেটিভ । আপনাকে ভালো লাগলো জেনে আমাকেও ভালো লাগল ।

০৪ আগষ্ট - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "যানজট”
কবিতার বিষয় "যানজট”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৮ অক্টোবর,২০২৪