দেশের যে কি পরিস্তিতি কেউ সঠিক বোঝে উঠতে পারছেনা ।
খাদ্য , বস্ত্র , বাসস্থান , ওষুধ এর দাম যেমন বেড়েছে , শীত এর মাত্রা ও ঠিক তেমন বেড়েছে । ১০ ডিগ্রীর উপর তাপমাত্রা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে যেন প্রকৃতি । জ্বালানীর দাম ও আকাশ ছোঁয়া বাংলাদেশের সাধারন মানুষের জানার খুব ইচ্ছে সেই আকাশযজানের জ্বালানীর দাম বেড়েছে নাকি কমেছে ? অদূরে জ্বলে থাকা ইটের ভাটার চিমনীর আগ্নী শিখার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থেকে তাপ শোষণের চেষ্টা করে বাংলাদেশের মানুষ ।
সরকার জানে শীতের সময় শীত আসবে ,এ নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই । পেট থাকলে ক্ষুধা থাকবেই , দেহ ঢেকে রাখার নিয়ে মাতামাতির কিছু নেই কারন , দেহ হল ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রে এইচ টি এম এল , জাভা স্ক্রিপ্ট , সি এস এস ইত্যাদি কোড গুলোর মত যা একটি পোশাকের আড়ালে থাকবে । প্রতিটি মানুষ যদি এক এক টি ওয়েব পেজ হত , দেশী বিদেশী অনেক ভিজিটর দেখতে আসত তাদের তবে না হয় বস্ত্রের দাম কমানো যেত !
তবু আনন্দের সংবাদ এই শীত নিয়ন্ত্রনের জন্য সরকার ৫০০ বিলিয়ন টাকা বরাদ্ধ করেছেন । এই টাকা দিয়ে ১৮ কোটি বিলে্তি দি টাইগার সুগন্ধি নিয়ে আসা হবে , বাংলাদেশের একটি মানুষ ও যেন এই সুগন্ধি থেকে বঞ্চিত না হয় এদিকে করা দৃষ্টি রাখা হবে ।
গোপন সুত্রে কয়েকজন সাংবাদিক জানতে পারে দি টাইগার সেন্ট কোম্পানির মালিক সরকারী দলের একজন কর্মীর । বিদেশে দি টাইগার সেন্ট এর চাহিদা নেই বলে সেই কোম্পানির মালিককে একটু সহযোগিতার জন্য আমাদের সরকার এই মহৎ উদ্যোগ নিয়েছেন ।
বিরোধী দলের তো মাথা খারাপ হবার মত অবস্থা কারন সেই চেয়ার তো সরকারী দলের পক্ষে চলে যাচ্ছে । তাই বিরোধী দল প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে ফ্রিজ দান করার উদ্যোগ নিয়ে নিলেন ।
এই খবর প্রকাশ হওয়াতে সাড়া বিশ্বের মানুষ , বিধাতার কাছে দোয়া করলেন -যদি পূর্ণ জন্ম থাকে যেন তাদের জন্ম বাংলাদেশে হয় । কারন দেশ প্রেমিকে পূর্ণ বাংলাদেশ কানায় কানায় ।
কিন্তু বিশ্বের মানুষগুলোকে বোঝাবে কে ? আমাদের দেশে বিদ্যুতের অভাব , আয়ের চেয়ে ব্যায় বেশী । হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও মুদির দোকানের ঋনের বোঝা বাড়তেই থাকে সাধারন মানুষগুলোর । অসহায়দের ডাস্টবিনের পানে চেয়ে থাকতে হয় কাক , কুকুর ,বেড়ালের মত । নতুন সরকার এসেই জনগনের টাকা দিয়ে কিছু জনতার জন্য জুতার পেইন্ট এর বাজেট করে আগে । এদের কারো বোঝার বোধজ্ঞান টুকু প্রকৃতি দেয়নি “ সাধারন জনতার কোনটি আগে প্রয়োজন ”?
সাধারন জনতা সঠিক বেঠিক এর হিসেব করতে জানেনা বলেই অলৌকিক ক্ষমতার পাথরের দোকানে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে একটি পাথর ব্যাবহার করে তিনবেলা খাবার নিশ্চিত ও পাথরের ক্ষমতায় জ্যাকেট সেওটার , চাদর , মাফলার ছাড়াই শীতকে প্রতিহত করার প্রত্যাশায় । তা ছাড়া আমের চেয়ে আমের জুস আজ সবার প্রিয় । সাধারন জনতা একটি একটি করে প্রহর গুনছে কবে পাব সুগন্ধি কবেই বা পাবো ফ্রিজ !
হিমালয় যদি না থাকত বাংলাদেশে যদি সবুজ প্রকৃতি শ্বেতবর্ণ ধারন করত তবে বরফ অপসারণের বাজেট হয়ত হত কাগজের ফিরকি ও বেলুন ! মাঝে মাঝে চ্যলেঞ্জ করতে ইচ্ছে করে এদের কিন্তু লাভ তো হবেনা ! কারন দলপূজারী সাধারন জনতার কাছে ভাত এর চেয়ে সুগন্ধি ও ফ্রিজ এর প্রহর গননা অধিক আনন্দের !তাই
ভ্রম্রের গুঞ্জন ফুলের সুবাস কেন যেন আর ভাল লাগছে না ।সূর্য রংটা হয়েগেছে কালো তাই চাঁদের আলো দেখা যাচ্ছেনা ।তবু গলে যাওয়া লাশ ও বারুদের গন্ধ খুব ভাল লাগছে । অন্যায় অবিচার মেনে নিতে নিতে কেমন যেন মরা নদীর মত মরে গেছি ।দূর পরবাস থেকে উড়ে আসা কাল কাফনে ঢাকা পায়রাটা কি যে বলে আমি বুঝিনা ।বিশ্ব জুড়ে আসুরের পায়ের নিচে পিষ্ট হয়ে যাওয়া মানুষের কান্নার রোল শুনতে শুনতে আর নিষ্পাপ শিশুর পৃথিবী থেকে ঝড়ে যাওয়া দেখতে দেখতে কেমন যেন অভ্যস্ত হয়ে গেছি ।যুক্তি দিয়ে আর বোঝাতে ইচ্ছে করে না সরকারী দল বা বিরোধী দল কাউকে । কারন তারা দেশের কথা কেউ ভাবেনা সাধারন জনতা ,ছিন্নমুল মানুষের কষ্ট তারা বোঝে না । তারা বুকে হাত দিয়ে বলুক তো কটা দিন বাংলাদেশের ঝরা ফুলগুলোর সাথে কাটিয়েছে তারা ?
সবঠিক হয়ে যাবে যদি - মাত্র ১ মাস তাদের সাথে ঝুপড়িতে থাকে তারা ।ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খাবার খাই ।ছেড়া কাপড় পড়ে ঈদ উৎযাপন করে , একদিন রাজ মিস্ত্রীদের সাথে, একদিন টোকাই ,চামড়ার ফ্যাক্টরিতে, হোটেলে মসলা বাটা ও প্লেট ধুয়ার ইত্যাদি করে নিজের দিনের আয়দিয়ে জীবনযাপন করে । কোটি কোটি মানুষ যে কাজ প্রতিদিন করে দেশের প্রতিনিধি হয়ে সে কাজ গুলো তো একদিন করলে জাত চলে যাবে নাকি ভন্ডামু করলে যাবে ?
খবরের কাজগের হেড লাইন পড়ে বড্ড হাসি পেল । একদল স্কুল ছাত্র নিজেদের টিপিন খরচ বাঁচিয়ে । পরিচিত জনদের থেকে , ইন্টারনেটের বন্ধুদের থেকে সহায়তা চেয়ে কিছু টাকা এক সাথে করে অসহায়দের শীতবস্ত্র নিজ হাতে বিতরণ করেছে ।এই শিতবস্ত্র বিতরণের ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর ভাবমূর্তি নস্ট হয়েছে । তাই এদের নামে মামলা করা হয়েছে । মামলা হবার সাথে সাথেই পুলিশ তার বেতের লাঠিতে তেল মালিশ শুরু করেদিয়েছে । অতছ অনেক অপরাধ পুলিশের সামনে ঘটে যা পুলিশের দেখতে মানা । মজার কথা হলও পুলিশ নিজেই জানেনা যে তারা দেশের সরকার !
আমাদের জেলার কিছু টমেটো চাষিদের সাথে গল্প করে জেনেছিলাম । তারা কাঁচা টমেটো কি ভাবে ওষুধ দিয়ে পাকায় । তারপর বলেছিলাম সে ওষুধ ব্যাবহার তো সাধারন মানুষের জন্য ক্ষতি কর হতে পারে ?
কৃষক উত্তর দিয়েছিল তা যদি ক্ষতিকর হত তবে এই ওষুধ কোম্পানি সরকার বন্ধ করে দিত । আমি ব্যাবহার করবনা তো অন্য কেউ করবে ? আপনি কতজন কৃষককে এভাবে নিষেধ করবেন ?
আজ এই কৃষক গুলোকে শুকুর তাড়ার মত করে তেরে ভোট বাড়ানোর ও জনতাকে মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে জনপ্রতিনিধি গন । হাজার হাজার কৃষককে এই শীতে লাঠিপেটা করে গরম করে কি লাভ ? এর চেয়ে ভালো হয় এই শীতে কম্বল থেকে বের হয়ে জ্বলে নেমে বোয়াল মাছের সাথে .....................।
আপনাদের কি চায় বলুন ? আপনাদের দেবার চেষ্টা করা হবে শুধু জনগনের সাথে প্রতারনা করবেন না । আপনাদের ভাবনাহীন সিধান্তের জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কে ? কোন কাজটি আগে হবে কোন কাজটি পড়ে হবে ভেবেচিন্তে সিধান্ত নিতে হবে । জনগণের মতের মূল্যায়ন করতে হবে । আয় ব্যায়ের হিসেব দিতে হবে । আপনাদের সন্মানির টাকা দিয়ে জীবনযাপন এর মানসিকতা গড়তে হবে । কোন কর্মী দলে নেবার আগে রাজনীতির শিক্ষা দেননা কেন ? আপনারা জানেন কি গনতন্ত্র শব্দের অর্থ জানেনা আপনাদের দলের অনেক কর্মী ! ইত্যাদি ইত্যাদি ।
০৪ আগষ্ট - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪