"অজস্র দিনকে রাত্রি সাজিয়ে অতন্দ্রিতা
এসে পড়ে পাথুরে পথের শেষপ্রান্তে,
তার পরাজিত ক্লান্ত হৃদয় নিয়ে অবসন্ন
দেহ থমকে দাড়ায় সমাপ্তিতে..."
এই যদি হয় কোন গল্পের সূচনা, তবে তাকে কবিতা বলতে দোষ কোথায়? না.. জীবনের কিছু কিছু গল্প থাকে, যাকে কখনোই কবিতায় লেখা যায়না। সেইসব গল্প তাই কবিতার সূচনায় অথবা সমাপ্তিতে জন্ম নেয়। এই গল্পের শুরু কবিতায় হলেও সমাপ্তি আসলে এখানেই....
অতন্দ্রিতার হাতে এখন অনেকগুলো কাঠগোলাপ। সাতসকালেই সে চন্দ্রকন্যা সেজে তৈরী। সাদা জামদানি শাড়ি আর মুক্তোর জড়োয়া গহনায় তার সাজের পূর্নতা এনেছে সাদা কাচপোকা টিপ। এই কাঠগোলাপ তার বেনীর আনাচে কানাচে গুজে নিলেই সে তৈরী। এত ফুল থাকতে কাঠগোলাপ কেন? কেন আবার.. কাঠগোলাপ যে সৌপ্তিকের ভীষণ প্রিয়! সাদা রঙটাও তার পছন্দ খুব, তাইতো অতন্দ্রিতার এই শ্বেতশুভ্র সাজ।
সৌপ্তিক.. নামটা মনে পড়তেই হেসে উঠল অতন্দ্রিতার রক্তগোলাপ ঠোট। ভালোবাসার মানুষটিকে কোনদিন দেখেনি সে, শুধু তার মেঘলা স্বরের কথার বৃষ্টিতে ভিজেছে অজস্রবার। বলা কঠিন, ঠিক কখন সে বুঝেছে ভালোবাসা কি.. এখন সে জানে, ভালোবাসা হল সৌপ্তিক নামের মানুষটি নিজেই। এই কথা সৌপ্তিকই শিখিয়েছে তাকে..
মুঠোফোনে, ক্ষুদেবার্তায়। ভালোবেসে তাই বারবার পথ হারাচ্ছে অতন্দ্রিতা.. আশ্রয় খুঁজছে জলকনায়, ভেজা বর্ষায়।
সে জলে ভিজতে খুব ভালোবাসে, তাই আজ কায়মনে প্রার্থনা করছে উথাল পাথাল বর্ষা নামুক..
সেজন্যই দ্রুতহাতে সাজার ফাকে ফাকে তার চঞ্চল চোখ আকাশে উঁকি দিয়ে খুঁজে নিচ্ছে এক আধটুকরো কালোমেঘ।
ওইতো, আকাশের ঈশান দেয়ালজুড়ে মেঘের আনাগোনা..
আজ আর বৃষ্টি না এসে পারেনা!
মন কেন জানি বারবার হারিয়ে যাচ্ছে জীবনানন্দ অথবা রবি ঠাকুরের কবিতায়।
হ্যা..কবিতা খুব ভালোবাসে অতন্দ্রিতা। বলতে গেলে কবিতারই মানুষ সে! সৌপ্তিকের সাথে তার পরিচয় কবিতার জন্যেই। অন্তর্জালে সে পেয়েছিল সৌপ্তিক কে.. কবিতার সূত্রেই তাদের পরিচয়।
পরিচয়ের সকাল গড়িয়ে বন্ধুতার দুপুর, তারপর মুগ্ধতার বিকেল গড়িয়ে ভালো লাগার সন্ধ্যা.. সবশেষে ভালোবাসার রাত্রি।
বাইরে থাকে সৌপ্তিক, অনেক দুরের দেশে। কদিন আগেই এসেছে সে, বলেছিল মুঠোফোনে। আজ সৌপ্তিকের সাথে দেখা হবে তার.. কতদিন ধরে সে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিল।
অনেকক্ষন ধরে বসে আছে অতন্দ্রিতা, প্রাচীন এক প্রাসাদের সিড়িতে.. এখানেই তাদের দেখা করার কথা। কতদিনের পরিকল্পনা, কত জল্পনা কল্পনা আর খুনসুটি। আচ্ছা, সৌপ্তিক এলে প্রথমে কি বলবে তাকে? সে বলবে,
'তোমার কবিতার উত্তরে এগারোটি নক্ষত্র দিয়ে আমি সত্যিই পৃথিবী গড়েছি,
তোমার কবিতার উত্তরে রাতের হাত ধরে সত্যিই জমা করেছি শিশিরের ফুল..
জানো তুমি?'
মুঠোফোনের শব্দে অন্যমনস্ক অতন্দ্রিতা চমকে উঠলো। মুঠোফোন বাজছে, চিরচেনা সেই বাইরের নম্বর থেকে ফোন এসেছে.. কি করে? তার তো এখন দেশে থাকার কথা। তবে কি সে আসেইনি? ভাবতে ভাবতেই কেটে গেল ফোন.. একটু পরে এলো ক্ষুদেবার্তা। পড়লো অতন্দ্রিতা.. লেখা আছে,
"আমি পারবোনা এই সম্পর্ক রাখতে। আমাকে আরো অনেকদুর এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ব্যস্ত তাই আমি। এখানেই হয়তো বিয়ে করবো.. তাই শুধু শুধু তোমার সময় এবং জীবন নষ্ট করার কোন মানে হয়না। ভালো থেকো..."
একবার পড়লো সে, তারপর আবার.. বারবার পড়লো, একসময় ঝাপসা হয়ে উঠলো লেখাগুলো।
জলভরা চোখে আকাশের দিকে তাকালো অতন্দ্রিতা.. ভাবলো, আজ আকাশ এত নীল কেন? তাহলে কি তার মনের মানুষটার মত বৃষ্টিও আসবেনা?
বৃষ্টি আসুক.. অনন্ত নবধারা জলে তার বিষাদের অশ্রু ধুয়ে যাক। বিনিময়ে সে আজীবন শুধু বর্ষাকেই ভালোবাসবে...॥
নের পরিকল্পনা, কত জল্পনা কল্পনা আর খুনসুটি। আচ্ছা, সৌপ্তিক এলে প্রথমে কি বলবে তাকে? সে বলবে,
'তোমার কবিতার উত্তরে এগারোটি নক্ষত্র দিয়ে আমি সত্যিই পৃথিবী গড়েছি,
তোমার কবিতার উত্তরে রাতের হাত ধরে সত্যিই জমা করেছি শিশিরের ফুল..
জানো তুমি?'
মুঠোফোনের শব্দে অন্যমনস্ক অতন্দ্রিতা চমকে উঠলো। মুঠোফোন বাজছে, চিরচেনা সেই বাইরের নম্বর থেকে ফোন এসেছে.. কি করে? তার তো এখন দেশে থাকার কথা। তবে কি সে আসেইনি? ভাবতে ভাবতেই কেটে গেল ফোন.. একটু পরে এলো ক্ষুদেবার্তা। পড়লো অতন্দ্রিতা.. লেখা আছে,
"আমি পারবোনা এই সম্পর্ক রাখতে। আমাকে আরো অনেকদুর এগিয়ে যেতে হবে। অনেক ব্যস্ত তাই আমি। এখানেই হয়তো বিয়ে করবো.. তাই শুধু শুধু তোমার সময় এবং জীবন নষ্ট করার কোন মানে হয়না। ভালো থেকো..."
একবার পড়লো সে, তারপর আবার.. বারবার পড়লো, একসময় ঝাপসা হয়ে উঠলো লেখাগুলো।
জলভরা চোখে আকাশের দিকে তাকালো অতন্দ্রিতা.. ভাবলো, আজ আকাশ এত নীল কেন? তাহলে কি তার মনের মানুষটার মত বৃষ্টিও আসবেনা?
বৃষ্টি আসুক.. অনন্ত নবধারা জলে তার বিষাদের অশ্রু ধুয়ে যাক। বিনিময়ে সে আজীবন শুধু বর্ষাকেই ভালোবাসবে...॥
১৪ জুলাই - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৪৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪