অশ্রু জ্বলের কাব্য

মা (মে ২০১১)

ওবাইদুল হক
  • ৪০
  • 0
  • ৫৯
মা !
আজ অশ্রু জ্বলে এ কাব্য লিখছি !
যেথায় পৃথিবী অনায়াসে রয়েছে সুখের দোলায় ,
সেথায় রয়েছি আমি নতশিরে অপূর্ণ পুরে,
আর আড়ালে তাকিয়ে দেখছি ।
ঐ মায়ের আঁচল তলে যবে দেখি তাদের হাসি ,
মনে হয় তারা কত পূর্ণতা, কতই সচ্ছলতা
সে বেদনায় নীরবে নীরবে কাঁদছি ।
জানিনারে মা !
কেন আমি পৃথিবীর কাছে হয়েছি অভাগা ।
সেই বেদনার কাছে বহুবার ভিক্ষা মেগেছি,
অশ্রুর কাছে অজস্র পূজা দিয়েছি ,
তাহারা কেহও সুরহার হদিস দেয়নি এই অবেলারে
তাই বাতায়ন খুলে লোকালয় দূরে তোমার কবরটা বারবার দেখছি ।
না জানি মা!
এত অল্প বয়সে কজনে হারিয়েছে মায়ের স্নেহের আঁচল ,
তবে সে দিনের সে করুন মুহূর্ত , আমি প্রতিটি নিশিতে শিউরে উঠি ।
আর নিভৃত বনে আপন মনে ডাকছি ।
গগনের ঘন কালো মেঘ যেন,
পৃথিবীতে অনাবিত বর্ষণ জড়িয়েছে তোমার শেষ নিঃশ্বাসের চিৎকারে ,
মরণাপন্ন ,মূমুর্ষতায়, মৃত্যু শয্যার পূর্বে ,
তুমি বারবার আমার হস্ত ধরে বলেছিলে ,
খোকা --- ?
আমায় ঘরে নিয়ে চল ,
আমার ছোট্ট ছোট্ট বাছুরগুলোকে একটু দেখি ।
অবুঝ মন , ভেবেছিলাম তুমি ভাল হয়ে যাবে ,
কে জানে---- ?
সে দূরারোগ্য ক্যান্সার মৃত্যু তোমার ধাওয়া করেছে ।
শুধু তুমিই জেনেছ মা !
আজ তোমার পৃথিবীর শেষ দিন ।
তাই বারংবার আঁখির পাপড়ি খুলে আমার মুখ পানে তাকিয়ে ছিলে ,
আর দুচোখ বেয়ে অশ্রু জড়িয়ে না বলা কথা বলেছিলে ।
অবধিই যখন ধীরে ধীরে মুখের বাণী রুদ্ধ হয়ে গেল ,
আমার সমস্ত অঙ্গ, পতঙ্গ, শিরা, উপশিরা, পৃথিবী হতে বিচ্যুত হয়েছিল ।
জীবনের সে প্রথম সে তোমার মৃত্যু দেখেছি আমার নিজ চোখে
সে হতে হ্রদয়ের মাঝে পাথর বেঁধে বেঁচে আছি পৃথিবীর বুকে ।
তাই অশ্রু জ্বলে এ কাব্য লিখেছি ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওবাইদুল হক হে ভাইয়া আবেগ ছাড়া আমি কবিতা লিখতে পারিনা । আর যেই যাই বলুক মানবকে আপন চুখে দেখতে চাই । সব মানবের সাথে মিশতে চাই । এটাই আমার প্রাথ"না । ধন্যবাদ হোসেন ভাই ।
খন্দকার নাহিদ হোসেন যেই বিষয়টা বলতেই হয় তা হল আপনার কবিতাগুলো অনেক আবেগের। যা কিনা অনেকে চেষ্টা করেও তাদের কবিতায় আনতে পারেনা। আর cliche or hackneyed words ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন এই আশা রাখি।
ওবাইদুল হক সুমি আপু মা বেচে থাকলে কি আর এরকম কবিতা লিখতে পারতাম . মাতো আছে আমার অন্তরের মাঝে , মাতো আছে আমার কবিতার মাঝে , আর জান্নাতের শুশিতল জায়গায় যদি আল্লাহ তা আলা মা কে দান করেন । হয়ত তুমি আমায় কবিতায় মাকে খুঁজে পাওনী । তাই মনে হয় । তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমার কবিতা পড়ার জন্য ।
ওবাইদুল হক হে দাদা অব্শ্যই পড়ি প্রতিটি রাত্রে মায়ের জন্য দোয়া না করলে ঘুম আসেনা । আবার অনেক সময় আল্লার সাথে অনেক কথোপকোথনও হয় । যা জীবন চালিকার উপায় খুঁজে বের করা । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটা পরমশ" দেওয়ার জন্য ।
সুমননাহার (সুমি ) ভাই আপনার এ লিখা টি ও আমার হৃদয় ও মন ছুয়ে গেছে. আপনার মা কি আছেন? যদি থাকেন আমার পক্ষ থেকে তাকে সলাম দিবেন আর এটা বলবেন সে কি জানেন তার এমন একটি উজ্জল প্রতিভা রযেছে? তার জননী যে সে নিজেই?
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন) 'সা'কাল্লাহু সারাহু ওয়া জায়ালাল জান্নাতা মাসওয়াহু' ভাই আপনি একটি অসাধারন কবিতা উপহার দিয়েছেন এই জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আরেকটি কথা আপনার মায়ের জন্য যদি পারেন প্রতিদিন "সূরা ফাতিহা , আর সূরা ইখলাস" পড়ে দোয়া করবেন। আমিও আমাদের মাদরাসার সকলকে নিয়ে দোয়া করব (ইনশাল্লাহ) আল্লাহ আপনার মাকে জান্নাত দান করুন। আমীন।
ওবাইদুল হক শিউলি কমেটের জন্য অনেক ধন্যবাদ । তবে বাক্কা এই শব্ধটা তো বুঝলামনা । একটু বুঝিয়ে বলবেন কি
ওবাইদুল হক মা যেন দোলায় দোলে প্রতিটি ভোরের বাকে । বলব কি আর সকাল টাকে । বলছিতো তাই লেখার পাকে ।
ওবাইদুল হক হারিয়ে যাওয়া পথ খুঁজেছি নিশিতে সবারই কাছে ।
ওবাইদুল হক পল্লব ভাই অনেক ধন্যবাদ । তবে জানিনা কত যুগ্যতা আছে । তবে দোয়া করবেন ।

৩১ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪