দূর থেকে একটি ছোট্র আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে, একবার আসছে, আবার চলে যাচ্ছে। প্রায় একদিন একরাত ধরে ডেকে ডেকে শরীরে আর কোন জীবন নেই। চোখটা খালি জীবিত আছে। আলোর আসা যাওয়া টের পাচ্ছি। শুধুই আশার হাওয়া খাচ্ছি। কাঁচা মাংস পচার গন্ধে নাকের আর কোন অস্তিত্ব টের পাচ্ছিনা।
সকালে আমার মেয়েটাকে স্কুলে পাঠিয়ে এলাম, কি জানি করছে মেয়েটা? নিশ্চয় মা! মা! ডেকে অস্থির করে দিচ্ছে। জানিনা হয়ত মেয়েটাকে আর বুকে নেয়া হবেনা।
আমার পাশে শুয়ে আছে সালেহা, সপ্না, বিলকিস সহ আরো বিশ/পচিশ জন। দুই মিনিট আগেই শেষ জীবিত মানুষটা আমাকে বিদায় দিলো। শেষ বার বলেছিলো, "ভোরের আলোটা যদি দেখতে পারতাম!" আহা! মেয়েটা অন্ধকার ভয় পায়, তাই অন্ধকার-ই তাঁর সঙ্গি হলো।
আসলে দালানটা ভেঙ্গে পরেনি! ভেঙ্গেছে আমার মেয়েটার জীবন। আহা! ভোর এতো দেরী কেনো? তোমার জন্যই আসতে পারছেনা অনাকাংখিত আলো। জেগে উঠো নাহয় আজকে একটু সময়ের আগে। জেগে উঠো নাহয় শেষবার, আমার জন্যে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সৈয়দ আহমেদ হাবিব
সাধারণ শব্দগুলো সমন্বয় মিলে অসাধারণ একটা বাস্তবতা, এমন সুন্দর কবিতা যখন বাস্তব ঘটনার স্বাক্ষী হয়ে যায় তখন কি বলা যায়! এমন কবিতা যেন আমাদের আর লিখতে না হয় সেটাই কাম্য, আপনার জন্য শুভকামনা..........
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।