কোঁচ

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

মহি মুহাম্মদ
  • ১৬
  • ২৯
সুঁচালো কোঁচটা বিঁধেছে তার পিঠ বরাবর। কি সাংঘাতিক! চিৎকার দিয়ে ঘর প্রকম্পিত করে তোলে সে। একেবারে জলজ্যানত্দ। ভয়ে ভিতরটা সিটিয়ে যায়। মোট আঠারটা শলা। কী সরু আর খাঁজকাটা! কোত্থেকে হঠাৎ উড়ে এসে পিঠের মাঝখানে ঘ্যাচ্ করে বিঁধলো। অমনি তার মুখ দিয়ে বিকট আওয়াজ বেরুলো। মা_গো!!
কয়েকদিন যাবৎ খুব বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ ভেঙে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। মনে হচ্ছে আকাশ ফুটো হয়ে গেছে। অনেক আগে এমন দিনে সে কোঁচ নিয়ে বিলে যেত। বিলে বেশ মাছ এসেছে। কিন্তু স্বপ্নটা! তাকে স্বস্তি দিচ্ছে না। মাছ ধরতে যেতে ইচ্ছে করছে।
বিধবা ছুফিয়া খাতুনের তখন চুলায় কলমি শাক। কড়াইয়ে তেল ফুটছে। শুকনো মরিচ আর পিঁয়াজ রসুনের কুচি দিয়েছেন তেলে। ভাত হয়েছে। দুপুরের ডাল আছে। সন্ধ্যেয় শুধু ডাল দিয়ে খাওয়া যাবে না। তাই কালকের জন্য রাখা কলমি শাকগুলো লবণ দিয়ে সেদ্ধ করছে। এ পাড়ার আম্বিয়ার বাড়িতে বম্বাই মরিচ পাওয়া যায়। শাক কিংবা পানত্দা ভাতে বম্বাই মরিচের স্বাদ অতুলনীয়। কলমি শাকে এক টুকরো বম্বাই মরিচও দিয়েছেন। বাগাড় দেবেন, এমন সময় ঘর থেকে হানিফের চিৎকারটা আসে। চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে দৌড়ে তিনি ঘরে ঢোকেন।
এই হানিফ, হানিফ
হানিফ ততক্ষণে বিছানায় ধরফড়িয়ে বসেছে। বাঁশের মাচাঙের ওপর বিছানাটা হঠাৎ উঠে বসায় মৃদু প্রতিবাদ জানিয়েছে। ছুফিয়া খাতুন ততক্ষণে আলগাবাতি নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছেন। বিছানায় ঘমর্াক্ত অবস্থায় বসে আছে হানিফ। ছুফিয়া খাতুনের জোয়ানমর্দ পোলা।
কিরে বাপ চিক্কুর দিলি যে! খোয়াব দেখচস?
হানিফ কথা বলে না। ঝিম মেরে থাকে। পর পর দুদিন সে এই স্বপ্নটা দেখেছে। স্বপ্নতো স্বপ্নই, একে এতো গুরুত্ব দিয়ে লাভ কী! ভাবলো হানিফ। তাদের মত হা ঘরের ছেলেরা তো কত স্বপ্নই দেখতে পারে। মা তখনো বাতিটা ধরে তার মুখের উপরে।
কিরে কতা কছ না কা? ডরাইছস?
না, ডরাই নাই।
তয় চিক্কুর দিলি যে?
ঘুমের মইদ্যে চিক্কুর দিছিলাম।
সইন্ধ্যার রাইতে কেউ ঘুমায়। উঠ ভাত হইয়া গেছে। দুইডা মুখে দিয়া তারপর ঘুমা।
বাতি নিয়ে ছুফিয়া খাতুন উঠোন পেরোয়। এদিকে ঘরের দাওয়ায় হিজল গাছের গুড়ির ওপর দাঁড়িয়ে হানিফ নারকেল গাছের ফাঁক দিয়ে আকাশে মেঘের ফাঁকে কাছির মত বাঁকা চাঁদটা দেখতে পায়। সারাদিন বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য গত কয়েকদিন যাবৎ হচ্ছে। নদী ভওে উপচে উঠেছে। বিলগুলো একাকার। ঐ তো অনতিদূওে কারো ঝাকড়া শ্যাওড়া গাছটার গোড়ায় পানি এসে ঠেকেছে। আজকে রাতে যদি বাড়তে থাকে তবে কাল নাগাদ তাদেও বাড়িতেও পানি উঠে যাবে। উঠোনের এককোণে একটা ভাদিগাছ। আর একটা নারকেল গাছ হেসেলের চালার গা ছুঁয়ে লম্বা ঢ্যাঙা হয়ে আকাশের দিকে হাত বাড়িয়েছে। উঠোনের এক কোণে কালো মাটির মুটকিতে পানি রাখা। হাত দিয়ে চোখে মুখে পানি দিয়ে হানিফ আসত্দে আসত্দে রান্না ঘরের চালার দিকে এগুতে থাকে। উপওে শুধু একটা চালা, নিচে দুটো চুলা। দুটোর দখলেই দুটো হাঁড়ি। টিনের প্লেটে ভাপ ওঠা ভাতে কলমি শাক। জিভের পানি ঠেকিয়ে রাখা দায়। বড় বড় গ্রাসে তুলতে থাকে হানিফ বম্বাই মরিচের ঝালটা টাগরায় লেগে জ্বলতে থাকে। কিন্তু তাতে তৃপ্তির এতটুকু কমতি পড়ে না। খাওয়া শেষ কওে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে সে। সিলভারের বড় মগে প্রায় লিটার খানেক পানি খেয়ে বেশ সবল লাগে। আর তখন আবার কোঁচটা ফিরে আসে ভাবনায়। ভাবনার জটিল ধারায় এতো কিছু থাকতে কেন কোঁচটা বারবার ফিরে আসে সে বুঝতে পারে না। অবশ্যই তার জীবন যাপনে কোনরকম গরমিল আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। ভাবনার এই ফাঁকে আকাশে মেঘের গর্জন ওঠে। বিজলির শিখা মুহূর্তেই চিড়ে দেয় আকাশের বুক। আবার বোধহয় বৃষ্টি নামবে। ব্যাঙগুলো বিশ্রী ডাকে জাগিয়ে তুলেছে রাত। আর তার সঙ্গে বিভিন্ন পোকা-মাকড় তো আছেই। হানিফ সুপারি গাছের আড়ালে প্রয়োজন সেরে আবার বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। ছুফিয়া খাতুন ততক্ষণে হেঁসেলের কাজ সেরে চেরাগ হাতে ঘরে ঢোকে। পা ধুয়ে মুর্শিদেও নাম নিতে নিতে পাশের কক্ষে ঢুকে যান ছুফিয়া খাতুন। আকাশে ততক্ষণে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সুপারি গাছের উপর আক্রোশে বাড়ে বাতাসের্ উঠোনের ওপর আছড়ে পড়ে তার ডাল। হানিফের ঘুম আসে না। সুমিত্রার জন্য মনটা কেমন আকুলি বিকুলি করে। মা এখনো ঘুমায় নি। তাই সে নিজর্ীব পড়ে থাকে। মনে মনে ভাবে সে মা ঘুমালে তারপর সে মাছ ধরতে যাবে। বাতাসটা বোধহয় থেমে আসছে। মার ঘুমের শব্দ পাচ্ছে সে। আরেকটু অপেক্ষা করলো সে। তারপর বিছানা ছেড়ে উঠে আসলো। দরজাটা আস্তে ভিজিয়ে দিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল সে। টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। শ্যাওড়া গাছটার গোড়ায় কোষাটা টলমল করছে। মনে হচ্ছে একটা কালো বড় সরীসৃপ বাতাসে মৃদু দুলছে। কেঁাঁচটা সে কোষায় রেখে শ্যাওড়া গাছ থেকে দড়ির বাঁধন খুলে নেয়। তারপর বিলের পানিতে ভাসিয়ে মৃদু বৈঠা মারতে শুরু করে। আকাশে পর পর দুবার বিজলি চমকালো। সে আলোতে চরাচর খুব অদ্ভুত লাগল নিজের কাছে। মনেএ পৃথিবীতে সে একা। আর কেউ এই মুহূর্তে জেগে নেই। যা হোক উদ্দেশ্য তার মাছ মারা। এমন দেয়া ডাকা দিনে মাছগুলো খলবল করে বেরিয়ে আসে। আর তখন তাকে কোঁচ বিদ্ধ করতে আলাদা সুখ বোধ হয়। মৃদু ঢেউয়ের দোলায় কোষা এগিয়ে চলে দক্ষিণ পশ্চিম কোণ ধরে। অবশ্য ওদিকে গেলে সুমিত্রার কথা মনে যাবে। তখন মাছ ধরা টরা আর হবে না। না, হোক তারপরেও সে ওদিকে যাবে। আন্ধারমানিকের মোড়ে বাঁধের গোড়ায় বেশ মাছ পাওয়া যায়। যদিও ওদিকটায় সেন পাড়া। মনটা তার ওখানেই পড়ে থাকে। টিপ টিপ বৃষ্টিতে সে ভিজে একসা। তারপরেও আজকে থামতে ইচ্ছে করছে না। মনে হচ্ছে কোষাটা নিয়ে অনেক দূরে চলে যায়। পাশেই ডিস্ট্রিকটবোর্ডের রাস্তা ওখান থেকে একটা নসিমনের আওয়াজ ভেসে আসছে। হয়ত কেউ এই রাত বিরাতে গাছ টানছে। টানে টানুক। তবে এই নসিমনগুলোকে সে দেখতে পারে না। কিছুদিন নসিমন একটা সরাসরি ট্রাকের তলায় ঢুকে গেল। তার কিছুদিন পর একজন হোণ্ডাওয়ালাকে ঘায়েল করলো। বড় বিশ্রী আওয়াজ নসিমনের। একদম অসহ্য। বাঁধের কাছে এসে সে কোষাটাকে একটা হিজল গাছের সঙ্গে বাঁধে। তারপর চুপচাপ বসে থাকে মাছের আশায়। রাতের শব্দ চারিদিকে। কোথাও কুকুর কাদে। স্বপ্নের কথা আবার মনে যায়। খুব ভয় ভয় লাগে তখন। এটা ভাবার বা মনে পড়ার কি কারণ তা সে বুঝতে পারে না। কোষাতে বসে সে নানা কথা ভাবতে থাকে। এত ভাবনা মাথায় আসে কেন বুঝতে পারে না। আচ্ছা এখন এই সময়ে সুমিত্রা কি করছে? নিশ্চয়ই ঘুমুচ্ছে। ঘুমোক সবাই ঘুমোক। মানুষের এখন ঘুম দরকার। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল হানিফ মাছের অপেক্ষা না করে সেন পাড়ার দিকে তাকিয়ে রইল। সেন পাড়ার দিকে তাকিয়ে আদৌও কোন লাভ হবে না একবার সে এই কথা যদিও ভাবল তবুও মনের কোণে আশা জেগে রইল যে এমন রাতে নিশ্চয়ই সুমিত্রারও ঘুম আসছে না। আরেকবার সে ভাবল সুমিত্রার সঙ্গে তার তো দেখাই হয়নি। যদি হত তাহলে আজকে আসার কথাটি সে নিশ্চিত জানিয়ে দিত। মাঠের উচু আলের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে নামার সময় হঠাৎ একটা মাছ তার রূপালি বুক দেখিয়ে গেল। হানিফ নিজেকে কষে একটা গাল দিল_ শুয়োরের বাচ্চা দেহস না। ভুদ্দাই কুনহার? তা দেকপা ক্যা, দেকপা হুদা ভুদ্দাডা। মেজাজ খিচড়ে যাচ্ছে হানিফের। মাছটা বেহাত হয়ে গেল। ভিজে সে একবারে চুপসে গেছে, একটু একটু শীত শীত করছে। শীতটাকে সে পাত্তা দিল না। শিকারি বকের মত অনেকটা এক পায়ে অপেক্ষা করতে লাগল মাছের জন্য। এমন সময় দূরে কোথাও মানুষের চিৎকার ভেসে এল। নিজের অজান্তেই একটা চিৎকার মুখ দিয়ে আসছিল। অনেক কষ্টে সেটা সে রোধ করলো। অনতি দূরে একটা ঘোমটা দেয়া হিজল গাছকে দেখে সে হঠাৎ আ\\কে উঠল। ভাবল একটা মানুষ বুঝি অনড় দাঁড়িয়ে আছে। অনেকক্ষণ খেয়াল করল তাপর নিজের মনে হেসে উঠল। এবং নিজেকে সে ভিতুর ডিম বলে ধিক্কার দিল। গ্রামে গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছে। কেন জানি সেই ঘটনার কথা মনে পড়ল তার। জহুর মুনশি একটা আস্ত শয়তানের আডালি। হারাম জাদা কেমনে পৈরুনরে বেইজ্জত করল। আরো উল্টা পৈরুনের নামে বিচার বসাইছে। হইছে কি পৈরুন বৃষ্টির রাইতে মসজিদে গেছে পানি পড়া আনতে। তার আগে পৈরুনের পোলা রাইতেরবেলা পস্রাব ফিরতে গিয়া ডরাইছিল। অনেকে পরামর্শ দিছে হুজুরের পানি পড়া খাইলে পৈরুনের পোলা ভাল হইয়া যাবে। তাই সারাদিন চেয়ারম্যান বাড়িতে কাম কইরা পৈরুন গেছিল সন্ধ্যা রাইতে হুজুরের পানি পড়া আনতে। হুজুর তহন এশার নামাজ পইড়া বার হইতে আছিল। পৈরুন তহন হুজুরের সামনে। যা হোক বৃষ্টির মইধ্যে পৈরুনরে দেইখা হুজুরের মনে হইল পৈরুনরে তার দরকার। হুজুরের কথা পৈরুন ফেলাইতে পারে নাই। কারণ হুজুরের পানিপড়া বাবদ দশ টাকা পৈরুনের কাছে ছিল না। আর যেহেতু পানিপড়া দরকার তাই হুজুরের কথায় পৈরুন নিরব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু হুজুর নিরব হইয়া দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন নাই। অবশ্য এ কথা জানাজানি হতো নাম, যদি না আমেনার বাপ তখন হাট ফেরতা হতেন। এমনিতে লোকটা পেটে কথা হজম হয় না, তার উপরে এই ভয়ংকর কাহিনির সে চাক্ষুষ করেছে। যা হো চারদিকে শোরগোল লেগে গেল। ডাকনো হলো জহুর মুনশিকে। মুনশির কাছে সব ঘটনা শুনে। সবার আক্কেল গুরুম। বলে কি পৈরুনরে এত বড় সাহস সে কিনা হুজুররে দোষী বানাইতে চায়। না, না এ হতে পারে না। পৈরুন যতই চেয়ারম্যানবাড়ি কাজ করুক সে মুখডোবা গ্রামের মুখ এমন করে মারতে পারে না। হুজুররে খারাপ কাজে টেনে নেবার জন্য দোষী সাবাস্ত্য হলো পৈরুন। আগামি বাদ জুমা পৈরুনের একটা হেস্ত নেস্ত হবে।
হানিফের মনে হয় এর পেছনে চেয়ারম্যান আর হুজুরের কারসাজি আছে। কিন্তু কিছু করার নাই। আরেকটা মাছ এই মাত্র লাফ মেরে উঠলো। কোঁচটা দুই হাতে শক্ত করে ধরে থাকল হানিফ। সুযোগ মত সে কোঁচ বসিয়ে দেবে। কোঁচটা হাতে নিতেই গত শ্রাবণ মাসের আরেকটা কাহিনি হানিফের মনে পড়ে গেল। আহারে, কি সাংঘাতিক কথা! আমজাদের কি দুভার্গ্য! বানের পানিতে যখন চারদিক ভাইস্যা গেল, রাইতেরবেলা সে নৌকায় বউপোলা নিয়া বাইর হইলো। হালকা চাঁদের আলোয় নৌকার মধ্যে বউপোলা এবং একসময় নৌকার গলুইয়ের উপর সেও ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে আমজাদ শুনলো পানিতে খলবল করছে বড় একটি মাছ। সে নৌকাতে রাখা একুশ শলাকার কোঁচটা বের করল। এবং মাছের পিট লক্ষ করে মারল কোঁচ। কোঁচের আগায় তার দশমাসের ছেলে উঠে এল। তারপর গগন বিদারি চিৎকারে সে চারদিক মাতিয়ে তুলল। এই কাহিনি হঠাৎ মনে পড়ায় তার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
সেই মুহূর্তে নারীকণ্ঠের শব্দে সে চমকিত হলো। কোষার কাছে এগিয়ে যখন এলো তখন দেখা গেল সুমিত্রা। এত রাতে সুমিত্রাকে দেখে চমকে উঠলো হানিফ। কিন্তু মনে মনে খুশিও হলো। দুজনের অন্তরঙ্গতায় মুহূর্তে হানিফের মূল উদ্দেশ্য মাঠে মারা গেল। কোঁচটা অনাদরে পড়ে রইল একপাশে। আর দুজনের কথায় মুখর হয়ে উঠলো বৃষ্টিভেজা বাতাস। জীবনের নানা কথায় ভরে উঠলো রাতের নিঃশব্দতা। অনেক স্বপ্নের কথা আর ভালোবাসায় সময় গড়িয়ে গেল। কোষাটা আস্তে হিজল গাছ থেকে নিজেকে উন্মুক্ত করে বিলের পানিতে ভেসে যেতে লাগল_ সেদিকে দুজনের কারো হুশ নেই। আচমকা বৃষ্টির রাত কেঁপে উঠল। হাফিফ ভয় পেল যখন শুনল স্বপ্নে সুমিত্রাকেও কোঁচ তাড়া করেছে। ঠিক এমন মুহূর্তে কোত্থেকে একটা কোঁচ ভেসে এসে বিঁধল হানিফের বুকের পাড়ায়। আর্তনাদে রাতের বাতাস ভারি হলো। কোষাটা বাতাসের তোড়ে ভাসতে লাগল। সুমিত্রা কোঁচবিদ্ধ হানিফকে নিয়ে কি করবে ভেবে পেল না।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য বেশ সুন্দর গল্প, প্যারা করে লিখলে পড়তে আরাম লাগতো। শেষটা অনেক প্রশ্ন রেখে গেল না! কোচটা কোত্থেকে এস বিধল!
মিজানুর রহমান রানা মুখর হয়ে উঠলো বৃষ্টিভেজা বাতাস। জীবনের নানা কথায় ভরে উঠলো রাতের নিঃশব্দতা। অনেক স্বপ্নের কথা আর ভালোবাসায় সময় গড়িয়ে গেল।--------সুন্দর
খন্দকার নাহিদ হোসেন এটা একটা ভালো গল্প। গতানুগতিক নয়। তো গল্পকার কে ধন্যবাদ আলাদা কিছু লিখবার জন্য। প্রিয়তে নিলাম। আর কিছু বলতে হবে?
প্রজাপতি মন অনেক ভাল লাগলো। একেবারে গ্রামের দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কিছু প্রশ্ন জাগলো মনে, এত রাতে সুমিত্রা ঘরের বাইরে এলো কেন? আর কোঁচটাই বা মারলো কে?
মামুন ম. আজিজ ছোট ছোট বর্ননার নিঁখুততা মনকে কেড়ে নিল। লেখকের প্রতি নজর নিবিষ্ট হলো। ছোট গল্পতো এসনই হয....শেষে এসে বুঝলামনা নাকে মারল কোচ, বউটা ই কি হন্তারক হানিফের.....সন্তান হত্যার প্রতিশোধ?..হতে পারে আবার অন্য কোন মাছ শিকারীর ভুলও হতে পারে...ভাবনায় আটকাকালো পাঠক...............প্রিয়তে নিয়ে নিলাম। .......একটু প্যারা করে লিখলে পাঠকের চোখের আরাম হয়।
M.A.HALIM ভালো। লিখতে থাকুন হাল ছাড়বেন না আরো ভালো কিছু পেয়ে যাবেন।
মহি মুহাম্মদ জাবেদ, আপিন যে বিষয়িটিকে অপরের বলছেন, আমার জানামতে এই ঘটনা প্রথম আমি রহস্য পত্রিকায় ১৯৯১ সালে লিখি,লেখার শিরোনাম, নৃশংস মমান্তিক। তারপরে কেউ এটিকে গল্পে ব্যবহার করেছন কিনা আমার জানা নেই। অভিযোগের জন্য ধন্যবাদ
জাবেদ ভূঁইয়া "হঠাৎ ঘুম ভেঙে আমজাদ শুনলো পানিতে খলবল করছে বড় একটি মাছ। সে নৌকাতে রাখা একুশ শলাকার কোঁচটা বের করল। এবং মাছের পিট লক্ষ করে মারল কোঁচ। কোঁচের আগায় তার দশমাসের ছেলে উঠে এল। তারপর গগন বিদারি চিৎকারেসে চারদিক মাতিয়ে তুলল।" এভাবে অন্যের লেখা কাহিনী গল্পে আনা ঠিকনা ।আর জহুর মুনশীর কাহিনিটা ভাল লাগলনা ।কিন্তু আপনার লেখায় গ্রামের একটা প্রতিচ্ছবি ভেসে উঠেছে বলে ভাল লাগল।আমার গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইলঃ http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/2236/2344
পন্ডিত মাহী সুমিত্রা কোথা থেকে এলো বুঝলাম না... আরো প্যারা থাকলে পড়তে সুবিধা হত... ভালো হয়েছে...

১৩ জুলাই - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪