তোমাকে নিয়ে লিখতে গিয়ে বারবার আটকে যাচ্ছি, ডুকরে উঠছে বুক চোখ কেবলই ঝাঁপসা হচ্ছে জলে আমার সামনে ২ ডিসেম্বর-এর পত্রিকা যার প্রথম পাতার প্রধান ফোকাস তুমি আর তোমার তেজদীপ্ত প্রতিবাদ বার্তা তোমার ব্যান্ডেজ-মোড়ানো শরীর আর ক্ষত-বিক্ষত ঝলসানো চেহারার ছবি নিশ্চই কাঁদিয়েছে অগনিত মানুষকে এখানে এবং সারাবিশ্বে
চলন্ত বাসে নরপিশাচদের ছোড়া পেট্রোল বোমায় সেদিন (২৮ নভেম্বর ১৩) কলংকিত হলো শাহবাগ, বাঙালির সমস্ত স্বাধিকার আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র মুহুর্তেই ঝলসে গেল জনাবিশেক সাধারণ মানুষের শরীর যাদের মধ্যে কয়েকজন ইতোমধ্যেই দহনের বিষ-জ্বালায় কাতরাতে কাতরাতে দেশের চলমান রাজনীতিকে কটাক্ষ হেনে না ফেরার দেশে দিয়েছে পাড়ি তুমি আর তোমার প্রানপ্রিয় কন্যা মুক্ত খবরের খুঁদে-সাংবাদিক সুস্মিতাকে রেহাই দেয়নি অনলের করাল ছোবল তোমাদের দহন যন্ত্রনায় সমব্যথী হয়ে কেঁদেছে বিশ্ব-বিবেক, আত্মার আত্মীয় কোটি বাঙালি
দহনের অসহ্য যন্ত্রণা তোমার মাঝে জমিয়েছে ক্ষোভের বারুদ ক্রমশ ১৬ কোটি টন ওজনের পারমানবিক বোমার জন্ম দিয়েছো হৃদয়ে আর তার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছ প্রধানমন্ত্রীর মুখের সামনেই যা কেউ কখনই পারিনি স্যালুট তোমাকে, সময়ের প্রীতিলতা
তোমার শানিত কথার বিস্ফোরণ অগ্নি-স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়েছে প্রতি অন্যায়ের প্রতিবাদী সমগ্র মুক্তিকামী দেশপ্রেমিক হৃদয়ে যা পৃথিবীর যাবতীয় প্রতিবাদী কবিতার থেকে কিংবা কয়েক'শ স্বাধিকার আন্দোলনের থেকে কোনো অংশেই কম নয়
তোমার অকপট সাহসী কথকতায় এবং যুক্তিযুক্ত প্রকট শব্দ চয়নের ক্ষুরধার তলোয়ারে কাঁটা পড়েছে সব লোভীরা মাথা হেট করিয়ে দিয়েছো সমস্ত ক্ষমতা-লিপ্সুদের দুর্ধর্ষ কমান্ডো গেরিলার মতো ক্ষত-বিক্ষত শরীর নিয়েও ফেঁটে পড়েছ প্রচন্ড আক্রোশে যা যুগ যুগ ধরে প্রতিটি সাধারণ বাঙালি হৃদয়ে জমে থাকা পুঞ্জ পুঞ্জ মেঘ ঘনীভূত হয়ে এক বিধ্বংসী আগ্রাসী টর্নেডো যেন
কতোটা নির্দ্বিধায়, কি সাবলীল ভাবে আবৃত্তি করে গেলে দ্রোহের শব্দমালা ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তোমার প্রতিবাদী কবিতা নির্মলেন্দু গুন না পারলে তোমার শব্দমালায় উজ্জ্বীবিত হয়ে প্রজন্মের বিপ্লবী কবিরা নিশ্চই লিখবে "কিভাবে 'স্বাধীনতা'-শব্দটি আমাদের হলো" - কবিতার সিকোয়াল সমগ্র
তোমার উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ ছড়িয়ে পড়ুক সমগ্র বাঙালি চেতনায় সবাই শিখে নিক প্রতিবাদের শব্দ-চয়ন এবং তার সার্থকতম প্রয়োগ নড়ে উঠুক ক্ষমতা ও অর্থলোভী স্বার্থপর নরখাদক নরপিশাচ তথাকথিত রাজনীতির নামে দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসীদের পাপাচারের ভিত ওরা বুঝুক অনিশ্চিত জীবনকে সামনে নিয়ে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতর হয়েও কিভাবে প্রকাশ্যে বলে দেয়া যায় সব সত্য
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।