প্রথম দিনের বৃষ্টির পর নির্জলা আকাশে চোখ মেলল এ ধরনী । কী এক বর্ষণে স্নাত হয়ে গেল সবুজের গালিচা কিন্ত কেন জানি ভিজেনি আমার অতৃপ্ত মন, এমন দিনে সে এসেছিল পায়ে হেটে,আমার বিশ্বে কিন্ত কেউ জানলো না । পৃথিবীর সবচে সুরক্ষিত কক্ষে সে আসে যায় পায়ে হেটে সে জানে না,জানে সে সময় আমার মনটা যে রঙধনুর সাতরঙ্গে সেজেছিল,পাখীর মত উড়েছিল হৃদয় সে জানে নি । হিজলের পাশ দিয়ে বয়েছিল বর্ষার কম্পিত জল প্রজাপতি উড়েছিল পানি ফুলে আর আমি বসে বসে আমার হৃদয়ের দোলা শুনতেছিলুম, জানে নি সে । তার মনের শান্ত রুপ নিয়ে আমি সাজিয়েছিলাম হাজার রাতের মৌণসন্ধ্যা যেখানে বর্ষার কম্পিত জলে ছটফট করেছিল হৃদয় নেচেছিল আকাশের চাদ জানে নি সে । তার শান্ত মনের নির্জন বনে আমি আত্নভোলা,হারিয়েছি কতবার নিশীথ রাতের উদাসী পাখী হয়ে ডাকাডাকি করেছি উষ্ণ রাতে জানে নি সে । চোখের সমুদ্রে তার কতবার যে ভাসিয়েছি ডিঙ্গা কতবার পাল উড়িয়েছি ডিঙ্গিয়েছি কত ঢেউ, পথভোলা নাবিক হয়ে কতবার হারিয়েছি পথ জানে নি সে । পথের সেই দূরত্ব মাড়িয়েছে সে যে পথে বিমূঢ় চিত্তে শুনেছিলাম সে পদধ্বনি স্কুলের মনোযোগী ছেলে বিজন মাঠে ঠায় দাঁড়িয়ে একলা কেন আত্মভোলা পৃথিবীর কেউ জানে নি জানে নি সেও । পৃথিবীর সবচে আকাংক্ষিত, অব্যক্ত সে কথা অব্যক্তই থেকে যায় সবচে অমীমাংসিত রহস্য অমীমাংসিতই থাক পৃথিবীর প্রেম সুপ্ত থাক হৃদয়ের সুরক্ষিত জায়গায় পৃথিবীর কেউ জানবে না জানবে না সেও জানে নি সে । সে এখন স্বাস্থ্যকর্মী ভালবাসা আর সেবার আলো বিলায় মানুষের মাঝে , আমিও এই পৃথিবীর একজন মানুষ এই আমার শান্তনা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।