প্রথম ঝড়ে যেদিন ঝরেছিল বকের পালক সেদিন আবুদের ঘরটা ভেঙে যায়, ঘরের ছাঁদ আর পাটকাঠির বেড়া মূহুর্তেই উড়ে গিয়েছিল আবুদের ঘরের ছাঁদ হয়েছিল বিস্তৃত আকাশ । বাতাশের ঝাপটায় লোমকূপের শিরাতে উঠেছিল কাঁপন বর্ষার জলে আবুদের ঘর তখন থৈ থৈ সর্বনাশা পদ্মা , আবুদের চোখের কোনে জমেছিল একবিন্দু দুখেঃর কিংবা েক্ষাভের শিশির, টলটল জল মৃদু না লুনা কেউ বুঝতে পারেনি কারন, বাকিরা যে দরজায় কপাট লাগিয়ে দুটো তিনটে লেপের নিচে গোজেছিল মোটা চামড়ার শরীর । সাড়া রাত আবুর মা তার ছেড়া পাতলা শাড়ীর প্যেচে বুকের কাছে জড়িয়ে রেখেছিল তার ছোট্ট শিশুটিকে …. রাত পোহালে,কতিপয় সমাজপতি আবুর বাবাকে ভৎর্সনার সুরে বলে উঠে কতবার বলেছিলাম ভিটেটা লিখে দিয়ে আমার গোয়ালঘরের পাশে টিনের ঘরটাতে চলে আয় না আসবে না,বেটা “ঠেঙ্গা মরদ” বাপের ভিটা ছাড়বে না এই ভদ্র সমাজে খোলা আকাশের নিচে বউ বাচ্চা নিয়ে রাত কাটানো চলবে না বলে দিলাম ... আবুর বাবা মৃদু স্বরে একটি কথাই বলেছিল চারটা বাঁশের খুটি সেদিন দিলে হয়ত ... ধমকের তোপে আবুর বাবার কথা মুখেই মিলিয়ে যায় ...... প্রথম ঝড়ের পর কতনা ঝড় বয়ে গেল কত বর্ষা এল গেল আবুদের কি হল তা জানতে পারিনি কারন লোলুপ চোখ আর ভয়ানক থাবার কাছে ভিটে ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল আবুর বাবা আবুদের ভিটায় এখন রক্ত দিয়ে মাখানো সুউচ্চ অট্টালিকা । বছর কয়েক পরে-বড় ঝড় হয়েছিল একদিন সুউচ্চ অট্টালিকাটি দাঁড়িয়ে আছে বহাল তবিয়তে এই ঝড়ে ভাঙ্গেনা ভবন বর্ষার জলে ভাসে না এর ভিটে শুধু আবুদের টলমল করা শিশিরের মত দৃষ্টিই ভাসিয়ে নিতে পারে শক্ত পাথর । আবুরা ফিরে তাকিয়েছিল কিনা আর জানতে পারিনি ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার নাহিদ হোসেন
কবিতায় কবির বোধ দেখে ভালো লাগলো। আর এ ধরনের কবিতায় বক্তব্যগুলি আর একটু কাব্য করে লিখতে হয়। আশা রাখি লিখতে লিখতে ব্যাপারটা ঠিক হয়ে যাবে। তো কবির জন্য রইলো শুভকামনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।