ডুবেগেছে সূর্যটা বেশ কিছু আগে,
জ্বলে ওঠে রাস্তার বাতিগুলো আঁধারের ঠিক মাঝখান,
ঘরের আলোগুলো সব নিভিয়ে রাখা,
শহর এটা নয়, যেন এটা কোন এক গোরস্থান।
কেঁদে ওঠে কখনো কোন শিশু,
আতঙ্কিত মায়ের উৎকন্ঠিত ফিসফিস কন্ঠস্বর
তাকে চুপ করানোর চেষ্টায় বিব্রত,
এই বুঝি আসে দখলদার সেনা, নিয়ে তার দোসর।
রাস্তায় টহল দেয় রাক্ষসের গাড়ি,
হালকা আর ভারী অস্ত্রের সংরক্ষিত আসনে, আড়ালে,
ছুড়েদেয় মৃত্যুর অমেঘ বিষ,
নিরস্ত্র পথচারীর বুকে বা পিঠে, পৈশাচিক দানবের চালে।
সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের কাজ,
নিজের আর সন্তানের দুমুঠো অন্নের প্রয়োজন,
ছেলেটার বাপ নেই দশ বছর ধরে,
মারা গেছে গাড়ির চাকার নিচে পড়ে, সেই তখন।
আঁতকে ওঠে কুলসুম পায়ের শব্দে,
সতর্ক বেড়ালের চলা, বেড়ার একেবারে কাছে,
তারা এল নিয়ে যেতে, ছেলেটাকে
এতদিন আগলে রেখেছে, হারায় সে পাছে।
ছুড়ে ফেলে গায়ের কাঁথা, নিশব্দে
নেমে যায় চৌকি থেকে; মা, আমি এখন যাই।
পাথরেরমত নিশ্চল পড়ে থাকে মা,
আমাকে নয়, তার দেশকে ভালবাসা চায় !
অদৃশ্য হয়, পায়ের শব্দ মিলায়।
হায় খোদা! রক্ষা কর ওদের, রক্ষা কর মোর ধন,
নিশব্দ অশ্রুতে ভেজে বিছানা,
হে প্রভূ, আমাকে কাঁদনোর কি ছিল কোন প্রয়োজন ?
হটাৎ কেঁপে ওঠে দিগন্তের প্রান্ত,
গোলাগুলির প্রচন্ড শব্দের তান্ডবের খেলায়,
আর্ত-চিৎকার শোনা যায় কি যায়না,
কেঁপে ওঠে কুলসুম, প্রাণ দেয় কি অবহেলায় !
সূর্য উঠেছ, তবু কী অন্ধকার !
বাতাশ নেই একফোঁটা, বুক বুঝি ফেটে যাবে,
একফোঁটা জল নেই চোখে,
সবকিছু গিলেছে মাঠের কোনা, আর কে পাবে ?
সেখানে পড়ে আছে দেহ,
জড়াজড়ি করে, রক্তাক্ত, যেন খুবলে খেয়েছে কেউ,
দূরে, পথে পোড়া শত্রুর কটি ট্রাক,
কয়েকজন সশস্ত্র সেনা, সাথে কিছু রাজাকার ফেউ।
০৪ জুলাই - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৫৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ মে,২০২৫