ভালবাসার ক্ষুধা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

জীবন আহম্মেদ
  • ৩৪
  • 0
পাথর নদীর তীরে অবস্থিত নয়নপুর গ্রাম। নয়নপুর গ্রামের চঞ্চল পকৃতির ছেলে সবুজ।সবুজ চঞ্চল প্রকৃতির হলেও লেখাপড়ায় বেশ ভাল। সে নয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ঝ.ঝ.ঈ.পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। S.S.C. পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর সবুজ তার দুই বন্ধু মনির ও জনিকে নিয়ে আলোচনা করে কম্পিটার প্্রশিক্ষন নেওয়ার। মনির রাজি হয়নি কিন্তু জনি রাজি হয়।
সবুজ ও জনি সিদ্ধান্তু নেয় কাপাসিয়া যাওয়ার।কারন কাপাসিয়া বেশ কিছু কম্পিউটার প্রশিক্ষন কেন্দ্র আছে।সেখানে দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর দ্বারা কম্পিউটার প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। কিছু দিন পর সবুজ ও জনি ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় জানার জন্য কাপাসিয়া য়ায। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘুরে ভর্তি সংক্রান্ত বিষয় জানার পর তারা মায়ের দোয়া কম্পিউটার সেন্টারে ভর্তি হয়। কারন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় এখানে শিক্ষার মান ও পরিবেশ ভাল এবং প্রতিটি ব্যাচে ছাত্র সংখ্যা কম।
মায়ের দোয়া কম্পিউটার সেন্টারের প্রধান শিক্ষক সবুজ ও জনিকে জানায় আগামী মাসের ১ তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হবে।
সবুজ ও জনি ১তারিখ প্রথম ক্লাস করার জন্য মায়ের দোয়া কম্পিউটার সেন্টারে যায়। ক্লাস শেষ হওয়ার পর তারা অন্যদের সাথে পরিচিত হয়। তাদেরে ব্যাচে মোট ছাত্র ১০ জন। আজ তিন জন উপস্থিত হয়নি।তারা হল কামরুল,রোকসানা ও সুমাইয়া।সবুজ ও জনি সবার কাজ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফিরার জন্য বাস স্টেশনে যায়। তারা বাস স্টেশনে গিয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করে।সবুজ ও জনি বাস আসার পর কাউন্টার থেকে টিকেট নিয়ে বাসে উঠে । সবুজ বাসে বসে কামরুল,রোকসানা ও সুমাইয়ার কথা ভাবতে থাকে।এদিকে বাস এসে নয়নপুর স্টেশনে পৌছে যায়। বাস থেকে নেমে সবুজ ও জনি য়ার য়ার বাড়িতে চলে যায়। সবুজ বাড়ি যাওয়ার পর সবুজের মা সবুজকে বলে কি বাবা প্রথম ক্লাস কেমন লেগেছে।সবুজ ভাল লেগেছে মা।সবুজের মা বলে হাত-মুখ ধুয়ে আস ভাত খাবে।সবুজ ভাত খেয়ে প্রতিদিনের মত ঘুমাতে যায়।
সবুজ স্বপ্নে দেখে বেশ কিছু দিন ক্লাস করার পর সুমাইয়ার সাথে তার ভালবাসার গভীর সম্পর্ক হয়।সবুজ যেমন মুসাইয়াকে মন প্রান দিয়ে ভালবাসে তেমনই সুমাইয়াও তাকে ভালবাসে। এমন সময় জনি সবুজদের বাড়িতে এসে সুজকে ডাক দেয়।জনির ডাক শুনে সবুজের ঘুম ভেঙ্গে যায়।জনি সবুজকে বলে চল মাঠে যাই।
তারপর সবুজ ও জনি নয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দিকে হাটতে থাকে। হঠাৎ সবুজের স্বপ্নের কথা মনে পড়ে যায়। সবুজ জনিকে বলে জনি স্বপ্ন কি সত্যি হয়। জনি বলে অবশ্য সব স্বপ্ন সত্যি হয়না। তবে কিছু কিছু স্বপ্ন সত্যি হয়। কেন সবুজ কিছু স্বপ্নে দেখেছিস । হ্যা সুমাইয়াকে নিয়ে দেখেছি।বাহ্ পরিচয় হওযায় আগেই স্বপ্ন দেখেছিস,প্রেমের কাহিনী নাতো আবার।সবুজ চিন্তা তো এখাইে শুধু প্রেম নয় গভীর প্রেম।জনি সবুজকে বলে এসব প্রেম ভালবাসা বাধদে।শুন সবুজ ভালবাসার ক্ষুধা মানুষের সুন্দর জীবন ধ্বংস করে দেয়।দেখ সবুজ তুই তোর বাবার একমাত্র ছেলে।তোকে নিয়ে তোর বাবার অনেক স্বপ্ন অনেক আশা । এত চিনা্ত করিস না। আমি শুধু তোকে স্বপ্নের কথা বলেছি।চল বাড়ি ফিরে যায় বলে তারা বাড়ি চলে যায়।
পর দিন ক্লাস শেষ হওয়ার পর সবুজ জনিকে বলে চল নতুন তিন জনের সাথে পরিচিত হই।প্রথমে কামরুল ও রোকসানার সাথে পরিচিত হয়।পরে সুমাইয়ার সাথে পরিচিত হয়। সবুজ সুমাইয়াকে বলে আমি সবুজ, নয়নপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ঝ.ঝ.ঈ. পরিক্ষা দিয়েছি।সুমাইয়া বলে আমি সুমাইয়া কাপাসিয়া পাইল্টয় উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ঝ.ঝ.ঈ.পরিক্ষা দিয়েছি। এদিকে জনি সবুজকে ডাক দিয়ে বলে সবুজ বাড়ি চল।সুমাইয়া বলে উকি আপনার পরিচিত।সবুজ বলে হঁ্যা আমার বন্ধু জনি।সবুজ জনিকে ডেকে সুমাইয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়।সবুজ ও জনি সুমাইয়ার কাজ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি চলে আসে।
বেশ কিছু দিন ক্লাস করার পর সবুজ ও সুমাইয়ার মধ্যে বন্ধুত্বে সম্পর্ক গেেড় উঠে। এদিকে সুমাইয়ার প্রতি সবুজের ভালবাসার ক্ষুধা জন্মে। সবুজ সুমাইয়াকে সুখ দু:খের সাথী হিসেবে সারা জীবন কাছে পেতে চায়। কিন্তু সবুজ সুমাইয়াকে তার ভালবাসার কথা প্রকাশ করতে পারেনা। সবুজ ভয় পায় যদি সুমাইয়া রাজি না হয়।
তারপর একদিন সবুজ সাহস করে সুমাইয়াকে ভালবাসার প্রস্তাব দেয়।অবশ্য সুমাইয়াও সবুজকে পছন্দ করে। তাই সুমাইয়া সবুজের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। এভাবে তাদের ভালবাসা গভীর থেকে গভীর হতে থাকে।
হঠাৎ একদিন সুমাইয়া সবুজকে ডেকে বলে যে,সবুজ শুন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই তোমার আমার ভালবাসার ক্ষুধা মেটাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। । সবুজ বলে শত কষ্ট হলেও আমি আমার ভালবাসার ক্ষুধা মেটানোর জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করব। তুমি শুধু কথা দাও আমার জন্য অপেক্ষা করবে। নিজেকে চির সুখী করার জন্য ধ্বংস করনা আমার জীবনকে।পূর্ন করনা নিজের আশীষ ও অভিপ্রায়।আমার ভরাট মনকে শুন্য করনা।তাহলে আমি বাঁচতে পারবনা স্বাভাবিক ভাবে। সুমাইয়া কথা দেয় আমি তোমার জন্য সারা জীবন অপেক্ষা করব।অপেক্ষা করব আমাদের ভালবাসার ক্ষুধা মেটানোর জন্য।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জীবন আহম্মেদ Shahnaj Akter আপু উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।আপনার প্রতি রইল শভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১
শাহ্‌নাজ আক্তার ভালই লিখেছ , তবে লিখতে থাকো ,,, হাত খুলে যাবে ,,
ভালো লাগেনি ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সূর্য ভালবাসার সমার্থক ক্ষুধা, মেনে নিতে কষ্ট হয়, তারচে' কামুকতাই ক্ষুধার সমার্থক। গল্পে ভালবাসাকে বলপ্রয়োগে ক্ষুধা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা ভাল লাগেনি। আরো একটু মনযোগী হলে গল্পটা এরচেয়ে ভাল হতো। দোয়া রইল, পরবর্তী গল্পে যেন কোন অভিযোগ করার সুযোগ না পাই।
জীবন আহম্মেদ ভাই obaidul hoque আপনার প্রতি রইল শুভ কামনা।
ওবাইদুল হক আপনার ভাবনাকে ধন্যবাদ জানাই তবে আরেকটু চিন্তা করলে আরো ভাল করতে পারবে । ধন্যবাদ ্
ভালো লাগেনি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১
জীবন আহম্মেদ ভাই খন্দকার আযহা সুলতান মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।আপনার প্রতি রইল শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১১
Azaha Sultan আমি কিন্তু কখনও কাউকে `চালিয়ে যান' শব্দটা ব্যবহার করি না, কারণ, জীবন যেভাবে চলুক না কেন- সে ত চলবেই......অবিবেচক যেখানে বিবেচকের কথা বলেছে, সেখানে বিষণ্ন সুমনও প্রসন্ন কথা বলেছে....এটাই আমার কথা....শুভকামনা
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
জীবন আহম্মেদ পাঁচ হাজার ও Monir Khalzeeভাই মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।আপনাদের প্রতি রইল শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মনির খলজি ক্ষুধার চেয়ে গল্পে প্রেমের আছরটাই বেশি ......তবে যেহেতু লিখতে শুরু করেছেন .....ধীরে ধীরে লিখার হাত ভালো হয়ে যাবে ...এ শুভকামনা রইল
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
পাঁচ হাজার ভাল মোড়কের অভাবে অনেক ভাল জিনিসও বিকোয়না। ভাই মন খারাপ করোনা। আর একটু যত্নশীল হলে ভাল করবে।
ভালো লাগেনি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১১

২৭ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪