ফিনফিনে অন্ধকার। এক ঝাপটা বৃষ্টি হয়ে গেছে সন্ধার পরপরই । মেঘেদের সমাবেশ কিছুক্ষণের জন্য কমেছিল। আকাশের পূর্ব দিকটা বেশ কিছুক্ষণের জন্য খালি ছিল। তখনই চাঁদের কিছু আলো ছেঁকে ছেঁকে এসে পড়ছিল সরু রাস্তাটার উপর। চারদিকে সারি সারি বিল্ডিং। এই বিল্ডিংগুলো রাস্তাটাকে আরও অন্ধকার বানিয়ে রাখে। দিনের আলোকেও আধমরা করে রাখে। বর্ষায় সদ্য স্নাত ভবনগুলির অনেকগুলোর জানালার ফোকর দিয়ে আলো আসছে। জেগে আছে সবাই। আর কিছুক্ষণ পরেই একটা একটা করে বাতি নিভতে শুরু করবে। আবার কিছু বাসায় সারা রাত ধরে আলো জ্বেলে যাবে। কি করে কে জানে ? মাঝে মাঝে ছোট বাচ্চার ওয়াও ওয়াও কান্নার শব্দ কানে আসছে। মনে হয় বাচ্চাটা হিসু করেছে। তাই আলো জ্বেলে ভিজা কাঁথা পাল্টে দিচ্ছে। অন্য কোন বাসায় হয়তো ছাত্ররা পড়ছে। নিশ্চই সামনে পরীক্ষা। এখন কি মাস ? অক্টোবর হলে নভেম্বরের শেষেই পরীক্ষা হয়ে যাবে। পড়ুক। মনোযোগ দিয়ে পড়ুক। ছাত্ররা যদি মানুষের মত মানুষ না হয় তবে দেশ বাঁচাবে কে ? ঐ ছোট বাচ্চটিও একদিন আলো জ্বেলে গভীর রাত পর্যন্ত পড়বে। এমন তো হতেই পারে। আমি এই রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসব। তার পড়ার শব্দ শুনে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকব। আজ যেমন দাঁড়িয়ে আছি তার ওয়াও ওয়াও কান্নার শব্দ শুনে।
নৈঃশব্দের পৃথিবীতে নিঃশব্দ পদযাত্রা। এমন নিঃশব্দেই হেটে যেতে হবে সারাটা জীবন। তারপরেও চলবে সংগ্রাম। চেনা পৃথিবীর অনেকটাই অচেনা মনে হয়। কি জানি কেন এমন হয় ? দেশের ক্রান্তিলগ্নে এসে যখন সামনে পিছনে চতুর্দিকে তাকাই তখন কেমন যেন সব নিঃসাড় মনে হয়। এই যে ভবনগুলি- এগুলো কেমন নিঃসাড়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এই যে শামীমটা কেমন নিঃসাড়ভাবে কাজ করে চলছে। এই যে মানুষগুলো কেমন নিঃসাড়ভাবে বেঁচে আছে। সকল নিঃসাড়ের মাঝেই সার আছে। কে বলেছিলেন ? স্যার জন স্টেইন। সতেরো শতকের মিডল পয়েন্টে দাড়িয়ে কথাটি বলেছিলেন। তিনি হতাশার যখন চরম শিখরে পৌছেছিলেন , আশার বাণী , আশার দেখা যেখানে পুরোপুরি অদেখা ছিল তখন নিজের মন থেকেই এমন একটি সান্তনার বাণী বেরিয়ে এসেছিল। যদিও এ বাণী তার জীবদ্দশায় কোন কাজেই আসেনি। তিনি তার গোত্রকে কিছুতেই বোঝাতে পারেন নি যে , সফলতা আর ধৈর্য পাশাপাশি অবস্থান করে। তাঁর গোত্রের সবাই উন্মাদ হয়েছিল।তারা একতরফাভাবে স্টেইনকে দায়ী করেছিল। কিন্তু ফলস্রুতিতে তারা কিছুই পেল না। বরং স্টেইনের মৃত্যুর বিশ বছরের মধ্যে সেই গোত্রটি চরম দুভর্ীক্ষের মধ্যে পড়ে। তারা পুরোপুরিই ধব্বংস হয়ে যায়। বেঁচে আছে শুধু এই কথাটি ু'সকল নিঃসাড়ের মাঝেই সার বিদ্যমান।' জানি না কথাটি কতটুকো সত্য। আমাদের দেশটিও এমন নিঃসাড় হয়ে যাচ্ছে কি না ? অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্বাধীনতার পর যে স্বপ্ন ও সংগ্রাম পাশাপাশি চলছিল সেই ট্রেনে এখন ঝিমুনি ্এসেছে। স্টেশনে স্টেশনে ট্রেনটি থামছে , যাত্রীরা উঠানামা করছে। গন্তব্যে পেঁৗছাতে অনেক দেরী হচেছ। বা আদৌ গন্তব্যে পেঁৗছাতে পারবে কি না তা ভাবনার আকাশে ছাঁই মেঘ জমা দেয়। জীবন ও জীবিকা একসাথে দৌড়ে পালাচ্ছে। কেউ কাউকে ধরতে পারছে না।হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। রাতকানা পাখির মত পড়ে থাকে পথের মাঝে। অথবা দুটি বধির ও বোবা প্রাণির সংসারের মত। সারাটা জীবন পার করলেও কেউ কাউকে ঠিকমত বোঝাতে বা বুঝতে পারল না। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটটি কি এমন নয় ? ধনী দরিদ্র কি আজও মিশতে পেরেছে ? বা সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কি আদৌ কোন আশার বাণী এসে পেঁৗছেছে ? এ এক অন্তিম জিজ্ঞাসা ? এ এক অন্তিম ক্ষুধা !
"ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়
পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।"
কবি সুকান্তের অনবদ্য কবিতা। জীবন বাংলার সন্ধিক্ষনে যে ক্ষুধা ধাবিত হয় তা সুকান্তের কবিতার প্রতি চরণে প্রকাশিত হয়েছে। আজ বাঙ্গালির অন্তরে , শরীরে , শিরায়-উপশিরায় যে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে তা অনন্ত তৃষার ন্যায় ক্ষুধায় ক্ষুধায় মর্মাহত। শরীরের প্রতিটা রক্ত বিন্দুকে পানি করে শামীমটা খেটেই চলছে। কিসের জন্যে ? কি পাবে সে ? কিছু কি পেয়েছে ? স্লোগান , ব্যানার , ফ্যাস্টুন , কবিতা , গল্প এগুলো নিয়েই ব্যাস্ত সে। গল্প , কবিতা তার স্বকীয় ধর্ম। ব্যানার , ফ্যাস্টুন এগুলো ন্যাহাত আমরা বলি তাই করে। কিন্তু কোনদিন না করেনি। আজ তো প্রায় পনেরোটা বছর। কোনদিনই বিরক্তি প্রকাশ করেনি। নিরলসভাবে চলছে। পৃথিবীর এক মেরু থেকে অপর মেরু , এটাই যেন শামীমের গন্তব্য। এই যে রাতের দ্বি-প্রহর। তার রুমটিতে দিব্যি আলো জ্বেলেই আছে। ঠিক ভোর রাতে নিভে আসবে বাতি। এখনও ভোর হতে দু ঘন্টা বাকী। আগামীকালের বক্তব্যটা আজই তার কাছে পেঁৗছাতে হবে। নইলে যে দেরী হয়ে যাবে। ছুটে চলাই পকৃতির ধর্ম। নন র্যজনের অমর বই 'নন স্টপ' থেকে উদ্ধৃত। সব তো ছুটেই চলছে। আরও কতদূর ছুটতে হবে কে জানে ?
শামীমের দরজার এক কপাটে একটা তালা ঝুলে আছে। পাকিস্তান আমলের তালা। দেহটা খুব ভারী। প্রচন্ড মজবুত। এখনকার জিনিসতো হাওয়াই মিঠাই। সোনার বাংলাটাকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে।
দরজায় কড়া নাড়ার সাথে সাথে শামীমের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল।
'বস আসছি। একটু অপেক্ষা প্লিজ।'
অপেক্ষার দিন কি আছে ? ছুটে চলাই যেখনে ধর্ম। ব্যচারা শামীম। সে যদি র্যাজনের 'নন স্টপ' বইটি পড়ত তবে এ কথা বলত না।
'পুরোপুরি কমপ্লিট। যা ডায়ালগ ছেড়েছি তাতে শালারা সব চেয়ার ছেড়ে পালাবে।'
'কি লিখেছিস যে চেয়ার ছেড়ে পালাবে ?' আনন্দ বলল।
'আজি কন্টকিত চেয়ারে যে কন্টক ফুটেছে
আজি জনতার জোয়ারে যে জোয়ার ফুসেছে
আজি বাতায়নে যে ঝড় উঠেছে................
....................................................
তা রুখিবে কে ? কোন সে দালাল ?
তারে বুখব মোরা করে ধব্বংসের ছয়লাল।'
শামীম বলল , 'কি বস ! কেমন হল ? তুই ই বল- এ কথা যখন জনতার মাঝে জাগ্রত হবে তখন কি অবস্থার সৃষ্টি হবে ? ভাব্ একবার। শুধু ভাব্।'
আনন্দ তেমন খুশি হতে পারল না। সে ভাবল দেশের সিংহভাগ মানুষ যেখানে নিরুত্তাপ সেখানে জোয়ার ফুঁসবে কি করে ? কিন্তু শামীমকে সে কথা বলা গেল না। সে কষ্ট পাবে।
শামীম হাস্যদীপ্ত চোখে বলল , 'আজ রাতের শুরু থেকে কেবল এটাই চেষ্টা করে চলছি। কোনমতে কোনমতে শেষ করলাম। বাকীটা তোর দায়িত্ব।'
দায়িত্ব আর নিতে চায় না আনন্দ। দায়িত্বের সংগ্রাম অনেক কঠিন। দায়িত্ব থেকেই দায়বন্ধন। আর দায়বন্ধনে একবার জড়ালে দিগন্তের আকাশপানেও হাত বাড়াতে হয়। বিবেকের দংশনে পুড়ে মরতে হয়। কোথায় যেন পড়েছিল- যার বিবেক নেই সেই সবচেয়ে সুখী মানুষ। কথাটা ঠিক বলেই মনে হয়। বিবেক আছে বলেই আজ এতো সংগ্রাম। বিবেক আছে বলেই মনের এতো দহন। বিবেক আছে বলেই নিশীতু রাতে চুপিসারে বাচ্চার ওয়াও ওয়াও কান্না শুনতে হয়।
'কি ব্যাপার আনন্দ ! কি ভাবছিস ? আচ্ছা ঠিক আছে তোকে দায়িত্ব নিতে হবে না। কি জন্যে এসেছিলি তাই বল ?'
'তোকে এই কয়েক দিনের মধ্যে একটি প্রতিবাদ লিপি তৈরী করে দিতে হবে। সামনে যে প্রতিবাদ সভা হবে সেখানে আমিই এটা পাঠ করব। তুই তাড়তাড়ি করে লিখিস।' আনন্দ বলল।
শামীম আনন্দের দিকে তাকিয়ে বলল ,'তোর কি মনে হয় সভা করতে দিবে ?'
'না দিলেও করব। আর সে ব্যবস্থা আমি করব। দেখা যাক কি হয় !' আনন্দ একটু রুঢ় কন্ঠে বলল।
আবার পেছন ফিরে শামীমের দিকে ফিরে বলল , 'আমি যচ্ছি।'
দরজা লাগিয়ে দেওয়ার আওয়াজ পাওয়া গেল। রাত দ্বি-প্রহর শেষে ত্রি-প্রহরে এসে দাড়িয়েছে। কিছু সময় বাদে অন্ধকার ভেদ করে ভোরের আলো ফুটবে। প্রকিৃতিতে জাগ্রত কোলাহল। ভোরের বাতাসে কেমন ঠান্ডা সিরসিরে ভাব অনুভূত হচ্ছে। প্রকিৃতির কোমলতা যেন ঠিক এই সময় ফিরে আসে। মোহাচ্ছন্ন করে রাখে ভূবন , মন , মানসিকতা। রাস্তার একদম শেষ প্রান্ত। এখান থেকেই গলির বিল্ডিংগুলি ঠিকমত দেখা যায়। সব বাসায় বাতি নিভে গেছে। শামীমের ঘরেও নিভে গেছে। সেই বাসাটাতেও আলো নেই। বাচ্চাটা নিশ্চই ঘুমিয়ে পড়েছে। বাচ্চার মাও কি ঘুমিয়েছে ?
২
১৪ দিন পর।
আজ সেই কাঙ্ক্ষিত দিন। প্রতিবাদী দিন। কে করবে প্রতিবাদ ? সবাই। সকাল থেকে লোক জড়ো হতে শুরু করেছে। একটু একটু করে জনসমুদ্র। তাদের সবার মুখে উচ্ছ্বাস। আজ কিছু একটা হবে। অন্তত একটা পরিবর্তন চায় সবাই। না , সরকার পরিবর্তন চায় না কেউ। সরকারের মনোভাব পরিবর্তন হোক। এমনটাই চায় সবাই। এমনটা যেন হয় ঠিক তেমনভাবেই এগুচ্ছে আনন্দ। সকাল থেকে সেও লেগে আছে এ মুখো ওমুখো। মিশরের অবস্থা এখনও এ দেশে সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু দেশ যে সে মুখে যেতেও পারে সে সম্ভাবনা অনেকেই করে থাকে। থাইল্যান্ডের জনগনের মত অনশনও ডাকেনি তাদের দল। তবে যাই হোক আন্দোলনের স্রোতটা কম ভারী নয়। মঞ্চ তৈরী। জসসমাবেশে জোয়ারের উচ্ছ্বাস। দুপুরের ভারী গরম এখন থিতিয়ে এসেছে। বিকেলের পরশ ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকেই মঞ্চে কেউ না কেউ কিছু বলে যাচ্ছে। এখন মূল বক্তব্য। আনন্দই সেটা পেশ করবে। মাইক্রোফোনের সামনে সে দাঁড়িয়ে আছে। ঠিক সেই মূহর্তে প্রচন্ড একটি শব্দ হল। মঞ্চের ঠিক সামনেই হুলস্থূল কান্ড বেঁধে গেল। দিকবিদিক হারিয়ে ছুটছে সবাই মঞ্চের দিকে। বিশাল জনসমুদ্রে ঝড় উঠেছে। এলোপাথারি হারিয়ে যাচ্ছে সবাই। সবাই ছুটছে বোমা ফাটার স্থানটিতে। এদিক ওদিক ছিটকে পড়ে আছে মানুষের দেহ। বেশ কয়েকজন মানুষ প্রাণ হারালো। আনন্দও বসে আছে এক কোণে। তার হাতে ছোট একটি শিশুর লাস। পাশে অচেতনভাবে পড়ে আছে তার মা। নিপা । আনন্দ কখনোই ভাবেনি এমনটাও হতে পারে। আমরাও কেউ ভাবিনি। চোখের জলে সিক্ত আজ অশ্রু দুখানি। যে ভালবাসা ছুয়ে যায় অন্তরে , তা কাঁদিয়ে যায় বহুকাল ধরে। এমনভাবে কাঁদতে আনন্দকে আর কেউ কোনদিন দেখেনি। শামীম এসে হাত রাখল আনন্দের কাঁধে। যেন ফুসে ওঠা নদীর বাঁধে কেউ আঁচড় মেড়েছে। সাথে সাথে ভেঙ্গে গেল বাঁধ। সমস্ত অঞ্চল প্লাবিত হতে লাগল। মূহর্তের মধ্যে আনন্দের চোখে ভেসে উঠল শামীমের পথের গলির কথা। গলিতে থাকা সেই বিল্ডিং এর কথা। বিল্ডিং থেকে ভেসে আসা বাচ্চার ওয়াও ওয়াও কান্নার শব্দ। যে বাচ্চাটিকে নিয়ে সে ভেবেছিল , একদিন সেও বড় হবে। রাত জেগে পড়বে। আর আনন্দ হেঁটে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়াবে রাত জাগা বাতির আলো ও পড়ার শব্দে। এমনই যেন হয়। মূহর্তের মধ্যে ভেঙ্গে যায় সব। হারিয়ে যায় নিশার অতল অন্ধকারে।
একটা তড়িঘড়ি ভাব এনে আনন্দ চাইল নিপার দিকে। চেয়েই যেন স্থির হয়ে গেল তার চোখ। এক অফুরন্ত শুভ্রতা নিয়ে চোখ বুজে আছে নিপা। তুমিও কি ঘুমিয়ে পড়েছ ? অবচেতন মনেই বলল। না তুমি ঘুমাও নি জানি। তুমি অচিরেই জেগে উঠবে। কিন্তু আমি যে হারিয়ে যাব। যেমনভাবে হারিয়ে গেছিলাম বছর তিনেক আগে। তুমি হারিয়ে গেছিলে বলেই তো হারিয়ে ছিলেম নিজেকে। তবে আজ এমন করে কেন ফিরে এলে ? একে কি ফিরে আসা বলে ? না একে হারিয়ে যাওয়াই বলে।
আনন্দ নিপাকে একটি নার্সিংরুমে ভর্তি করে জ্ঞান ফিরার আগেই চলে এল। শুধু চলে এলই না নিজ বাসভূমি ছেড়ে চলে যেতে হবে। কারন ছুটে চলাই প্রকৃতির ধর্ম। নন র্যাজনের 'নন স্টপ' বইয়ের কথা। নিপা জানে না এই কথা।
ছুটে যেতে যেতে আনন্দ বারংবার এ কথাই ভাবছে - অনন্ত এক ক্ষুধা আছে। কিন্তু সে ক্ষুধা পূরণ হবার নয়। দেশের কোটি কোটি মানুষ সে ক্ষুধা নিয়ে ফ্যাল ফ্যল করে তাকিয়ে আছে। কিন্তু সে ক্ষুধা কারোরই পূরণ হবে না। শুধু ভাতের ক্ষুধায় আর ক'জন মরে ? জীবনের যে ক্ষুধা , স্বপ্ন পূরন না হবার যে ক্ষুধা তাই যেন বারে বারে পিছু ফিরে আসে। একেবারে নিঃস্ব হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে আনন্দকে। প্রেমের পথে যে পা পিছলে ছিল তা যেন আজও পিচ্ছিল। না পাওয়ার তাড়না যেন বুভুক্ষার হৃদয়ের তলপেটে পাথর মারার মত অবস্থা। রাজনীতির পথেও আজ পলাতক আস্বামী। কি পেল সে এ জীবনে ? বা দেশের কোটি কোটি প্রাণ ? এ যেন সত্যিই এক অনন্ত ক্ষুধা !!!
২৪ জুন - ২০১১
গল্প/কবিতা:
১০ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪