"বাবা , ভাত খাব কতকাল ভুক্ত রব এ ধরণীর এক কোণে অসহনীয় জ্বালায় নির্জনে। ভুলিলে কি করে এক রাত্রির অধরে কত যন্ত্রণা , কত ব্যথায় ক্ষুধার তাড়নায় আঁধারে মিলিল মোর ছোট ভাইটি। ফেলিয়া জলধর মুছিল সেই হাসিটি। বাবা , ভাত খাব।"
বাবাঃ
"মা মনি এ আঁধার রজনী ঘিড়িছে কালের শতজালে নিপীড়নের তালে তালে। এ তৃষ্ণার স্রোতবারি হৃদয় মাঝে আহাজারি মহাসাগরের শত কল্লোলে মিলিবে না অর্ধ জলে। আজি আমি যাব যাব , সেথায় হানাব যেকোনো দানে মরণের প্রতিদানে। আজি জুটাব অন্ন করিব তোর জীবন ধন্য।"
কন্যাঃ
"বাবা , চাই না প্রসাদ বিলায়ে পিতার স্বাধ। এ ধরার তরে কত ফুল ঝরে মোরা না হয় দুটি প্রাণী দিলেম কোরবানি। এ প্রাসাদে বিলাসিতার উচ্চ স্বাধে।"
বাবাঃ
"ওরে লক্ষ্মী মা তাই কি যায় থামা। জীবনের তরে ভাবনার কালে জীবন কি বাঁধা কোন মায়া জালে ভাবিনি তারে ত্রিশটি বছর ধরে। এ বসুধায় তুই জাগালি মোরে শতধারয়। তাই হৃদয় মাঝে মৃত ছেলের কান্না বাজে বেণু বীণার ঝংকারে এ দেহের একতারে। আজি আমি যাব যাব , সেথায় হানাব যেকোনো দানে মরণের প্রতিদানে আজি জুটাব অন্ন করিব তোর জীবন ধন্য।"
কন্যাঃ
"বাবা মোর প্রাণ বুঝি যায় তাই তোমাতে বিদায় তোমাতে নেই কোন অনুযোগ , নেই কোন অভিযোগ যা কিছু ছিল তা ধরণীতে বিয়োগান্তক। আজিকে যে ক্ষুধা গ্রাসিতে মোরে গ্রাসিছে মোর ছোট ভাইটিরে গ্রাসিবে তোমারে ভবিষ্যৎ পর্ণকুটিরে তারে দেই শতাধিক ধিক ! ধিক ! ধিক!"
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনির খলজি
কবি তার সুন্দর ভাষাশৈলীতে ও শব্দবিন্নাসে পিতা-কন্যার সংলাপের মাধ্যমে অভাবী জীবন ও ক্ষুধার মরণ ছোবলকে বেশ সাবলীলতার সাথে তুলে ধরেছেন ...প্রশংসনীয় ....শুভকামনা রইল
প্রজাপতি মন
কন্যাঃ
"বাবা , চাই না প্রসাদ
বিলায়ে পিতার স্বাধ।
এ ধরার তরে
কত ফুল ঝরে
মোরা না হয় দুটি প্রাণী
দিলেম কোরবানি।
এ প্রাসাদে
বিলাসিতার উচ্চ স্বাধে।"
অনেক অনেক সুন্দর আপনার কবিতা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।