প্রতিদান

বন্ধু (জুলাই ২০১১)

নাজমুল আহসান মুক্ত
  • ৬৩
  • 0
  • ১৯
ঘড়িতে তিনটা। বাসের জন্যে অপেক্ষা করছি। বাকি এক ঘণ্টার মধ্যে ব্যাংকে যাওয়া, সব কাজ শেষ করা যাবে তো! অথচ আজকের মধ্যে না করলে পারলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ক্লার্ক পদে আবেদন করছি। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় আবার রবিবার দশটা। কাল-পরশু তো ব্যাংক বন্ধ। আজ ব্যাংক-ড্রাফট করা না গেলে আবেদন করা হবে না। ভাবতেই মেরুদণ্ড বেয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেলো।
আমি সাধারণত এরকম করি না। শেষ মুহূর্তে এসে তাড়াহুড়ো আমার স্বভাবে নেই। সময়ের কাজ সময়ে করার অভ্যাস আমার। এবারের ব্যাপারটা আলাদা। ব্যাংক-ড্রাফট করতে হবে তিনশ টাকার। টাকাটা ছিল না হাতে। বন্ধুদেরকে বলেছিলাম, কেউ দিল না। ‘হাতে টাকা নাই দোস্ত!’ সবাই মোটামুটি এই বাক্যটাই বলেছে। সবার হাতই যে খালি এটা সত্যি না। ইচ্ছে করেই দেয়নি। কেন দেয়নি আমি জানি। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই আমি একাধিকবার টাকা ধার নিয়েছি। এবং কখনই সময়মত সেটা দিতে পারিনি। তবু কী ভেবে যেন ফয়সাল টাকা দিল। ফয়সাল ছেলেটা অনেক ভালো, কিন্তু ও যে সত্যি টাকা দেবে এটা আমি ভাবিনি। বললাম কাল-পরশুর মধ্যেই দিয়ে দেবো। ওকে আশ্বস্ত করলাম বটে, যখন আসছিলাম, মাথায় ঘুরছিল টাকাটা দেবো কীভাবে!
চাকুরির জন্যে এটা আমার একুশ নম্বর আবেদন। আগের বিশ-বিশটা দরখাস্ত বৃথা গেছে। এবারও যে একই ফল দেবে সেটা আমি ধরেই নিয়েছি। তবু এই হরিণটার পিছনে ছুটছি। মাঝে মাঝে ভাবি- আর কত! কিন্তু হাল ছাড়তে ইচ্ছে করে না। মা’র মুখটা মনে পরে। নীলার মুখ, ছোট ভাইটার মুখ মনে পরে। আমি একটা বেকার; এটা আমাকে যতটা কষ্ট দেয়, আমি জানি ওদেরকেও কম দেয় না।
যাত্রীদের শোরগোলে বাস্তবে ফিরে আসি। বাস এসেছে। হুড়োহুড়ি-ঠেলাগুঁতার মধ্যেই উঠে পড়লাম। এই একটা বিষয় আমাকে যতটা বিরক্ত করে করে, আর কিছু বোধহয় সেটা পারেনা। কিছু করার নেই। ইচ্ছে না থাকলেও আমার মত বেকার একটা ছেলের বাদুড়ঝোলা কিংবা ঠেলাগুঁতা ছাড়া উপায় থাকে না। আজ কপাল প্রসন্ন, পিছনে একটা সিট ফাঁকা পেয়ে বসে পড়লাম। পাশে বসা মুরব্বীর মুখ থেকে আসা বিড়ির গন্ধ আর তেলচিটচিটে সিটকভার ছাপিয়ে মনে পড়ল আজ সন্ধ্যায় একটা টিউশনির ভাইভা আছে! ছাত্র পড়াতে গেলে আগে ছাত্রের মায়ের কাছে পরীক্ষা দিয়ে উৎরাতে হয়; এটাই নিয়ম।
সিটে বসার সাথে সাথেই মনে পড়ল- পকেটে ভাড়া দেওয়ার মত টাকা আছে তো? মানিব্যাগ বের করলাম। ছিঁড়ে যাওয়া মানিব্যাগটা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেছে অনেক আগেই। সবমিলিয়ে তিনশ বত্রিশ টাকা। ব্যাংক-ড্রাফট করতে অতিরিক্ত ত্রিশ টাকার মত দিতে হবে। বাসভাড়া পাঁচ টাকা; সেটা তো থাকছে না। ভাড়া ফাঁকি দেবো? এটা আমার জন্যে কোনও ব্যাপার না। আমি জানি কি করতে হবে। এর আগে অন্তত দশবার এই কাজ করেছি। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। কিন্তু কিছু করার নেই! অন্যমনস্ক হয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে। এটা প্রথম ধাপ।
কন্ডাক্টর ভাড়া নিতে আসবে এখন। আমি বাইরে বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আছি। সামনের দিকে হইচই শুরু হয়ে গেছে। যাত্রী-কন্ডাক্টরের চিরন্তন দ্বন্দ। ভাড়া চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা কবে হল এই প্রশ্ন যাত্রীর। প্রতিদিনকার ঘটনা। দেখে মজা পাই আমি। কিন্তু আজ তাকাচ্ছি না। এখন অন্যমনস্ক থাকতে হবে। তারপরও যদি ভাড়া চেয়ে বসে কি কি বলব তার একটা ছক কষতে লাগলাম মনে মনে। আজ যেভাবেই হোক, ভাড়া দেওয়া যাবে না।
পাশের মুরব্বীর কাছে ভাড়া চাইতে এসেছে কন্ডাক্টর, বুঝতে পারছি। ‘ওই ব্যাডা, পরে দিতাছি’ বলার সময় লোকটার মুখ থেকে বিড়ির গন্ধের সাথে আসা থুতুও আমার দৃষ্টি ফেরাতে পারল না। আর একটু, তাহলেই নিশ্চিত হতে পারি।
-‘মামা, ভাড়াডা দ্যান।’ আমাকে বলছে। না শোনার ভান করতে হবে।
এবার আমার কাঁধে টোকা দিলো অল্পবয়স্ক কন্ডাক্টর ছেলেটা। ‘ভাড়াডা দ্যান মামা’
-‘ভাড়া দিছি।’ বাইরে তাকিয়েই বললাম। এবারে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু গেলো না। বোধহয় খেয়াল করেছে।
-‘কখন দিলেন ভাড়া?’
এবার তাকাতেই হল। ‘ভাড়া কয়বার নিবি? দিলাম না একবার?’
-‘কখন দিলেন? আপনে তো উঠলেনই মাত্র।’
-‘তুই ভাড়া নিয়ে গেলি না একটু আগে?’ ধরা খেয়ে যাব নাকি!
-‘কী কন? কখন? দ্যান, ভারাডা দিয়া দ্যান।’ এ দেখছি নাছোড় বান্দা।
-‘ওই হালা, মজা লছ আমার লগে! ভাড়া দিলাম না তরে?’ এরকম পরিস্থিতিতে বাচনে একটু পরিবর্তন আনা জরুরি। ভদ্রলোকের মত ‘করেছি’, ‘দিয়েছি’ বললে হবে না। তাতে কাজ ভালো হয়। কিন্তু আজ অবস্থা সুবিধার মনে হচ্ছে না। এরা সাধারণত এরকম করে না। একবার বললেই চলে যায়। এই ছেলেটা প্রথম থেকেই খেয়াল করেছে, বলল তো তাই।
-‘আপনের মনে নাই মামা, ভাড়া দ্যান নাই।’
এবার রাগের ভান করতে হবে। প্রয়োজনে দু’একটা চড়থাপ্পড় দেওয়াও বিচিত্র হবে না। বললাম- ‘কিরে তুই কি আমার লগে ফাইজলামি করস? পাঁচ টাকার জন্যে আমি মিছা কথা কইতাছি?’
-‘আমি কি তাইলে মিছা কইতাছি? দ্যান, ঝামেলা না কইর্যা ভাড়া দিয়া দ্যান।’ ওর কণ্ঠ একটু নামলো মনে হচ্ছে।
পরিস্থিতি আমার অনুকূলে চলে আসছে। একজন দুইজন আমার পক্ষে পরোক্ষ ভাবে বলতে শুরু করল। এরা এরকমই, চেহারা মনে রাখতে পারে না আর ঝামেলা করে ইত্যাদি ইত্যাদি। ছেলেটাও হয়তো ভাবতে শুরু করেছিল তার নিজেরই ভুল। পাশের মুরব্বী হঠাৎ বলে উঠলেন-‘কি অযথা ক্যাচাল করেন ভাই! আপনে তো ভাড়া দ্যান নাই। আমার পরে উঠলেন না?’ ব্যস, কন্ডাক্টর ছেলেটা এবার ক্ষেপে গেলো। আমার অতীত উদ্ধার করতে শুরু করে দিলো।
-‘ভাবছেন আপনেরে আমি চিনি না? আপনে প্রায়ই ভাড়া না দিয়া ফাঁকি দিয়া যান। আপনেগো মত পাবলিকরে আমার চেনা আছে।’ এর কথাটা মিথ্যা না হলেও সে মিথ্যা বলছে। আমি ভাড়া না দিয়ে অনেকবার যাতায়াত করেছি, ঠিক আছে। সব তো আর এই এক বাসে না। সে কীভাবে আমার চেহারা মনে রাখবে। আমি প্রতিবাদ করতে পারলাম না। পুরো ঘটনা আমার নাগালের বাইরে চলে গেছে। কি করবো বুঝতে পারছি না। ভাড়াটা কি দিয়ে দেবো? তাতে দুইটা অসুবিধা। প্রথমত পরাজয় মেনে নেওয়া আর নিজেকে অপরাধী প্রমাণ করা। দ্বিতীয়ত আমার পকেটের অবস্থা ভালো না। যা হয় হবে ভেবে যখন পকেটে হাত দিয়েছি, তখন সামনের এক ভদ্রলোক কন্ডাক্টরকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন- ‘উনার ভাড়া কত?’
-‘পাঁচ টাকা। ক্যান আপনে কি দিবেন নাকি?’
-‘নে। অনেক হইচই করেছিস, আর না।’ আমি আড়চোখে একনজর দেখলাম, ভদ্রলোক পাঁচ টাকার একটা নোট ছেলেটার হাতে ধরিয়ে দিলেন।
আমি প্রতিবাদ করতে গিয়ে থেমে গেলাম। দুম করে অতীত আমার সামনে এসে দাড়িয়ে গেলো। যে ভদ্রলোক আমার ভাড়া দিলেন তাঁকে আমি চিনি। রফিক।
তখন সদানন্দ প্রাইমারি স্কুলে টু কি থ্রির ছাত্র আমি। ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলাম। রফিক আমাদের সাথে পড়তো। তখনও আমার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিলনা। চুপচাপ ধরণের ছেলে ছিল, আমার সাথে হয়তো সেকারণেই সম্পর্কটা জমে ওঠেনি। কোনও একটা পরীক্ষা চলছিল আমাদের। পরীক্ষার পর বাসায় যাওয়ার জন্যে বের হয়েছি। কড়া রোদ বাইরে। সামনে একটু এগিয়ে গিয়ে রিক্সাস্ট্যান্ড, রিক্সা নিয়ে বাসায় যাব। রফিককে দেখলাম দাড়িয়ে আছে। ঠাঠা রোদের মধ্যে। ঠিক কি কি কথা হয়েছিল মনে নেই এখন। মূল ঘটনা ছিল এরকম- রফিকের কাছে টাকা নেই, সকালে রাগ করে এসেছে বাসা থেকে। আসার সময় হেঁটে এসেছে, কিন্তু এখন এই রোদে হেঁটে যেতে সাহস পাচ্ছে না। আমি বললাম- ‘চল রিক্সায় যাই। ভাড়া আমি দেবো।’ লাজুক রফিক একটু ভেবে রাজি হয়েছিলো।
এরপর ধীরে ধীরে আমাদের সম্পর্ক ভালো হল। রফিক আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধুর আসন দখল করে ফেলল অল্পদিনেই। আমাদের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় দিনের বেশিরভাগ সময় কাটত একসাথে। ঘুম ভাঙ্গার পর থেকে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত পুরোটা সময়। ক্লাসে যেতাম একসাথে। আমি কোনোদিন না গেলে রফিকও যেত না। এমনও হয়েছে আমি পড়া করতে না পারায় রফিকও নির্দ্বিধায় স্যারের পিটুনি হজম করেছে। আমার বড়মামা যখন মারা গেলো তখন ওর কান্না আমাকে অবাক করেছিল। আমিও অতটা কাঁদি নি।
তারপর ফাইভ পাশ করে আমরা যে যার মত আলাদা আলাদা স্কুলে ভর্তি হলাম। রফিকের সাথে যোগাযোগ কমে গেলো। আমি গেলাম দুর্গাপুর হাইস্কুলে। স্কুলে কো-এডুকেশন সিস্টেম। এলাকার সেরা স্কুল। বেশ ভালোই যাচ্ছিল দিনগুলো। পরের বছর ক্লাসে নতুন একটা মেয়ে ভর্তি হল। মেয়েটাকে ভালো লেগে গেলো আমার। রুপালী। অনেকরই নজর কাড়ল সুন্দরী মেয়েটা । আমার ব্যাপারটা বন্ধুরা জেনে ফেলল কোনোভাবে। কেউ কেউ আমাকে পরামর্শ দিলো কীভাবে কি করতে হবে। সাহস যোগাল অনেকেই। মুখফুটে বলতে পারলেই নাকি কেল্লাফতে! আমিও সাহসি হয়ে একদিন প্রেমপত্র লিখে ফেললাম রুপালীকে। অভিজ্ঞরা সাহায্য করলো। আরেক বান্ধবীকে দিয়ে সেটা রুপালীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটাও বন্ধুরাই করলো। কয়েকজন মিলে অনেক পরিশ্রমের ফল সেই চিঠি গিয়ে পড়ল রফিকের হাতে।
রফিক যে পাশের স্কুলে পড়ে আমি জানতাম না। রুপালীকে চিঠি দেওয়ার দুই কি তিনদিন পর রফিক আমাদের স্কুলে এলো। প্রথম দেখাতেই চিনতে পারলাম। শরীরে আমার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে ও। আমি কুশলাদি জিজ্ঞেস করার আগেই ও বলল- ‘তুমিই রুপালীকে চিঠি দিছ, না?’
-‘মানে?’ আমি অবাক হয়ে গেলাম। এই কথা রফিক জানল কীভাবে? জানলে তাতে তার কি যায় আসে?
-‘মানে কি তুমি জানো না? তুমি রুপালীকে চিঠি দিছ, এটা সত্যি না?’ ধমকের সুরে জিজ্ঞেস করা। বুঝতে পারলাম।
আমি জানি প্রেমিককে সাহসি হতে হয়। বললাম- ‘হ্যা, দিয়েছি। তাতে কি হয়েছে? তোমার কোনও সমস্যা আছে?’
-‘আমার কি হয়েছে মানে? আমার অনেক কিছু হয়েছে। আর যদি কখনও রুপালীর দিকে তাকাও, তুমি কিংবা অন্য কেউ তাহলে খবর আছে!’ যেভাবে এসেছিল, সেভাবে চলে গেলো রফিক। হতভম্ব আমি দাড়িয়ে থাকলাম। ক্লাস সেভেনে পড়া সেই ছেলেটার ফিল্মি স্টাইল আমাকে আজও অবাক করে।
বন্ধুরা এলে জানালাম সব। দুইএকজন বলল, ওরা আগে থেকেই এরকম কিছু আঁচ করেছিল। আলোচনায় বসা হল, কি করা যায়। রুপালী গেছে যাক, কিন্তু মুখের উপরে এসে হুমকি দিয়ে যাবে এটা তো হতে পারে না। আমরা তো এত সহজে ছাড়তে পারি না। সিদ্ধান্ত হল এর উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। আমরা প্রস্ততি নিতে লাগলাম।
তারপর কোনও এক অশুভ সন্ধ্যায় আমরা রফিককে পাকড়াও করলাম। একা একা ফিরছিল। আমরা আট-নয়জন। সেই সন্ধ্যায় জীবনের প্রথমবারের মত কাউকে বেধড়ক পিটুনি দিলাম। নির্জন জায়গা। কেউ এগিয়ে এলো না। বেদম মারের পর রক্তাক্ত রফিককে ফেলে রেখে চলে এলাম আমরা। পরের কয়েকদিন স্কুলে গেলাম না। দূরে থেকে খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলাম। অনেক রাতে ওখান থেকে রফিককে অর্ধমৃত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এ পর্যন্ত শুনেছি, তারপর কি হয়েছে জানিনা। স্কুলে যেদিন গেলাম, শুনলাম রফিক আমাদের স্কুলে এসেছিল একদিন। কাউকে কিছু বলেনি। এক বন্ধু বলল গালের কাছে নাকি অনেকটা যায়গা কেটে গেছে। ভিতরের ঘটনা জানলাম আমরা কয়েকজন মাত্র। এরপর থেকে খুব চেষ্টা করতাম ওর সামনে না পরতে। পরলেও পালিয়ে বাঁচতাম। কয়েকমাস পর ফাইনাল পরীক্ষা হয়ে গেলে শুনলাম রফিক স্কুল বদলিয়েছে। কারণ কি এটাই ছিল নাকি অন্য কিছু জানা হল না। ও ইচ্ছে করলেই ব্যাপারটার মানসম্মত একটা প্রতিশোধ নিতে পারতো, সে চেষ্টাও করলো না। কেন করলো না কে জানে! ধীরে ধীরে আমার জীবন থেকে রফিক মুছে গেলো, মুছে গেলো রুপালীর প্রতি সেই ছেলেমানুষি প্রেম।
সেই রফিক! কি অদ্ভুত প্রতিদান দিয়ে গেলো আজ! খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে ও কেমন আছে, আমাকে চিনতে পেরেছে কিনা! আমাকে কি ক্ষমা করেছে? রুপালী কোথায় আছে? ওকে কি এখনও ভালবাসে? আচ্ছা, গালের কাঁটা দাগটা কি আছে এখনও?
কিছুই জানতে পারলাম না। স্থাণুর মত বসে থেকে দেখলাম বাসটা আমার গন্তব্য ছেড়ে এগিয়ে চলেছে। আমাকে নামতে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য এই গল্পটাতেই এবারের শেষ মন্তব্য। ভালই হয়েছে গল্পটা।
নিরব নিশাচর ...................... দিতীয়বার পরলাম, আবার ভালো লাগলো ... আমি যদি গল্প লিখতাম তাহলে হয়ত এমনি লিখতাম... আমি আসলে কবিতার বাহিরে যেতে পারিনা...
AMINA এক নি:শ্বাসে পড়া গেল । ভাল লেগেছে।
সাইফুল্লাহ্ ভালো লাগলো। শুভ কামনা আপনার জন্য।
নাজমুল আহসান মুক্ত শুভকামনা আপনাকেও, ভালো থাকুন উপকূল। (কী নাম! :D)
নাজমুল আহসান মুক্ত এমদাদ হোসেন নয়ন আপনাকে ধন্যবাদ।
নাজমুল আহসান মুক্ত এটা নিতান্তই গল্প আকাশ ভাই। :(
Akther Hossain (আকাশ) বেকার যুবকেরা যা করে আপনিও তাই করেছেন তবে কাজগুলো ঠিকনা ! গল্প হিসাবে সুন্ধর !

২৩ জুন - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী