বঙ্গমাতা

মা (মে ২০১১)

মোঃ মুস্তাগীর রহমান
  • ৩২
  • 0
  • ১৫
রওশন আরা সাত সকালে উচ্চ স্বরে চিৎকার করিয়া উঠিল।তাহার চিৎকারে তাহার চির শত্রু নিজ স্বামির ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল।বেচারা হাপানির রুগী, তাহার উপর রাজনীতি!রাজনীতির মঞ্চে বক্তব্য এবং হাপানি, এই দুই মিলিয়া তাহার গলার স্বর হাঁসের স্বরের মত হইয়া গিয়াছে।রওশন আরার স্বামি, আক্কাস আলি ধড়পড় করিয়া উঠিল।ফ্যাস ফ্যাস করিয়া বলিতে লাগিল,
বৌ ও বৌ , সাত সকালে এই রুপ চিৎকারের হেতু কী?এইরুপ চিৎকার করিলে, মান যা অবশিষ্ঠ ছিল, তাহাও পাড়ার সকলে গিলিয়া খাইয়া লইবে,তুমি কী তাহা জান না?
চিৎকারের বদলে এক বদনা পানি ঢালিলে তোমার ঘুম যদি ভাঙ্গিত, তাহা হইলে আমি চিৎকারের বদলে এক বদনা পানিই ঢালিতাম; চিৎকার আর করিতাম না।সে যাই হউক,এখন কাজের কথা শুন-বলিয়া রওশন আরা কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করিল।তাহারপর,সে আবার বলিয়া উঠিল, এখন যাহা বলিব,তাহা মনোযোগ সহকারে শুনিবা এবং সেই অনুসারে কাজ করিবা।একটু এইদিক-ওইদিক হইলে মহাযুদ্ধ শুরু হইয়া যাইবে।
আক্কাস আলি ফ্যাল ফ্যাল করিয়া রওশন আরার দিকে চাহিয়া রহিল।তাহার ফ্যাল ফ্যাল চাহনি দেখিয়া, রওশন আরার রাগে মাথা গরম হইয়া গেল।এই বুঝি,মহাযুদ্ধ শুরু হইয়া গেল।কিন্তু রওশন আরা মনে মনে ভাবিল,এখন মাথা গরম করিলে চলিবে না,মাথা গরম করিলে, উদ্দেশ্য সাধন হইবে না।রওশন আরা তাহার স্বামির মাথাই হাত বুলাইয়া দিতে দিতে বলিতে লাগিল,প্রিয়তম স্বামি,আমি সারা রাত্রি অঙ্ক কষিয়া দেখিলাম, তোমার আর আমার বিবাহ প্রাই চল্লিশ বছর হইয়া গিয়াছে।আগামীকাল আমাদের চল্লিশ হইবে।এই চল্লিশ বছরে আমি চৌদ্দটি সন্তানের জননী হইয়াছি-বাঙালাদেশের জণসংখ্যাও চৌদ্দ কোটি।এই বলিয়া রওশন আরা থামিয়া গেল।প্রেমানুরাগ চাহনিতে তাহার স্বামির দিকে তাকিয়া রহিল।তাহার স্বামি আক্কাস আলি রওশন আরার এই চাহনি বুঝিতে কষ্ট হইল না।তাহার পরেও রওশন আরাকে বলিল,রওশন আরা তেজস্বিনী,তোমার এই কথার অর্থ বুঝিতে পারিলাম না,একটু পরিষ্কার করিয়া বুঝিয়া বল।
রওশন আরা স্মিত হাসি হাসিয়া বলিল,প্রিয়তম,বাঙলার দিকে তাকিয়া দেখ,বাঙলার সব কয়টি পদ পূরণ হইয়া গিয়াছে,
যেমন,শেরে এ বাংলা, পল্লি বন্ধু,বঙ্গবন্ধু ইত্যাদি।কিন্তু বঙ্গমাতা পদটি এখনও ফাঁকা রহিয়া গিয়াছে।আবার ভাবিয়া দেখ, বাঙলাদেশের জণসংখ্যা চৌদ্দ কোটি আর আমার সন্তানও চৌদ্দটি।তাই আমি সারা রাত্রি ভাবিয়া দেখিয়াছি,এই পদটি আমাকেই পূরণ করিতে হইবে।তাই তোমার সঙ্গে শত্রুতা নয়;সন্ধি ।এখন হইতে তুমি-আমি একত্রে রাজনিতী করিব।
আক্কাস আলির মাথায় যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল।চল্লিশ বছরে যে কথা কখনও শুনে নাই; সেই কথা তাঁহার মাথায় কে ঢুকাইল, আক্কাস আলির বোধগম্য হইল না।তাঁহার হাপানি বাড়িয়া গেল।খক খক করিয়া কাসিতে লাগিল।বুক চাপিয়া বসিয়া পড়িল।তারপর ফ্যাস ফ্যাস করিয়া বলিয়া উঠিল, তোমাকে কে জাগাইলো রানী, রওশন আরা?
তুমি যখন কারো বিরুদ্ধে কিছু প্রচার করিবার জন্য প্রচারপত্র গাদা ধরিয়া বাড়ি লইয়া আসিতে, আমি সেইগুলো গোপনে পড়িতাম।পড়িতে পড়িতে এমনিতেই আমার মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি হইয়া গিয়াছে।রওশন আরা বলিল।
আক্কাস আলি বিড়বিড় করিয়া বলিল,কামের গোড়া মাইরাছে,জাগরণ শুরু হইয়া গিয়াছে,তাহা আবার নিজ গৃহ হইতে।রওশন আরা বলিল,বিড় বিড় করিয়া প্রলাপ করিয়া লাভ নাই;আমার মাঝে যখন জাগরণ শুরু হইয়া গিয়াছে,তখন কোন বাপের ব্যাটাই আর এই জাগরণ থামাইতে পারিবে না।আমি আজ,পাগলা বাবার মাজার জিয়ারত করিয়া আমার রাজনিতী জীবণের শুভ সূচনা করিব।
আক্কাস আলি বলিল,তোমাকে থামাইতে পারে,এমন সাহসী আছে কে?তুমি বীরঙ্গনা!বল বীর-চির উন্নতশীর!তুমি সেই বীর,সেই আক্কাস আলি বীরের পত্নি ....... বীরঙ্গনা রওশন আরা।আমি তোমার সহযাত্রি।দাসে আঙ্গা হলে, হুকুম করেন বীরঙ্গনা।
আমাকে বীরঙ্গনা বলিলে,তাহাতে আপত্তি নাই;কিন্তু তুমি বীর, এই কথাটি আর কাহরেও সামনে কহিও না।লোক হাসাহসি হইবে।রওশন আরা বলিয়া উঠিল।তোমাকে আমার প্রয়োজন।কারণ,তুমি বিনা আমি বঙ্গমাতা হইতে পারিব না।
নিশ্চয়!নিশ্চয়!আক্কাস আলি বলিল।
রওশন আরা বলিল,শুনো,এখন যাহা বলিব তাহা মনোযোগ সহকারে শ্রবন করিবা এবং অক্ষরে অক্ষরে পালন করিবা।একটুও ভুল করা যাইবে না।ভুল করিলেই আমার বঙ্গমাতা হওয়া যাইবে না।
জো হুকুম,জো হুকুম!যাহা বলিবে,তাহাই হইবে।আক্কাস আলি বলিল।
রওশন আরা বলিল,এখন হইতে যখনই তুমি রাজনিতী পাড়া যাইবে,আমাকে সঙ্গে লইয়া যাইবে।সেখানে আমাকে মাতা বলিয়া সম্বোধন করিবে।
তুমি আমার প্রেয়সী,চল্লিশ বছরেরর জীবণ সঙ্গী,আমার স্ত্রী......তোমাকে মাতা!
এখানেই শেষ নয়;আরও আছে।
আরও.........!
হ্যাঁ আরও আছে।এখন হইতে যে সব রাজনিতীর মঞ্চে তুমি বক্তব্য দিবা,সেইসব রাজনিতীর মঞ্চে আমিও বক্তব্য দিব এবং সবার শেষে।তখন তুমি আমাকে মাতা,এই বঙ্গের মাতা,বঙ্গমাতা বলিয়া পরিচয় করিয়া দিবা।
কিন্তু......
কোন কিন্তু নয়;রাজনিতীর মাঠে,সকলেই ভাই ভাই।স্বামি-স্ত্রী কোন বিষয় নয়।
রওশন আরার রাজনীতি শুরু হইয়া গেল। আক্কাস আলি যেখানেই যায়,রওশন আরাও সেখানে।আক্কাস আলিকে কেহু প্রশ্ন করিবার আগেই বলিয়া উঠেন,ইনি মাতা।কেহু কেহু রসিকতার ছলে বলিয়া উঠেন,আপনার.........আক্কাস আলি ততক্ষণাত বলিয়া উঠেন,না,না,আমার নয়;বঙ্গের....বঙ্গমাতা।
রওশন আরা বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য প্রদানের জন্য একটি নারী নীতিমালা তৈরী করিয়া ফেলিলেলন।
তাঁহার নারী নীতিমালা নিম্নরুপঃ
ইভটিজিং ঃ ইভটিজিং বলিয়া অভিধানে কোন শব্দ নাই;সুতরাং ইহা বলা যাইবে না।এইখানে,নারী
উত্ত্যক্ত বলিতে হইবে।
(ক)এখন হইতে যাহারা নারী উত্ত্যক্ত করিবে,নারী তাহার দ্বিগুণ শক্তি লইয়া পুরুষের উপর ঝাঁপিয়া পড়িবে।ইহাতে সরকার নারীর উপর কোনরুপ হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না।
(খ) কোন নারী যদি কোন পুরুষকে উত্ত্যক্ত করিয়া থাকে, তবে ইহা ক্ষমাযোগ্য বলিয়া গন্য হইবে।এইক্ষেত্রে কোনরুপ মামলা গ্রহণ করা যাইবে না।
(২)বিবাহঃ
(ক)কোন অবস্থাতেই কোন পুরুষ যৌতুক দাবী করিতে পারিবে না।যদি কোন পুরুষ যৌতুক দাবি করিয়া থাকে,তবে যে পরিমান যৌতুক দাবি করিবে,তাহার দ্বিগুণ কন্যাকে দিতে বাধ্য থাকিবে।
(খ) এই ক্ষেত্রে নারী যৌতুক দাবি করিতে পারিবে।যে পরিমাণ যৌতুক দাবী করিবে,তাহা সম্পূর্ণ পরিশোধ না করিয়া বাসর ঘরে ঢুকিতে পারিবে না।
(গ) বাসর ঘরে ঢুকিবার পূর্বেই মোহরানার সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করিতে হইবে।অন্যথায় বাসর ঘরে প্রবেশ কারা যাইবে না।
(ঙ)এখন হইতে কোন পুরুষ বিবাহ করিতে মেয়ের বাড়ি যাইতে পারিবে না।মেয়েরাই ছেলের বাড়ি বিবাহ করিতে আসিবে।ইহাতে দুইটি লাভ। এক, একই খরচে বিবাহ সম্পূর্ণ হইবে।তবে,আলোচনা সাপেক্ষে উভয়েই খরচ করিতে পারিবে।দুই, বিবাহের পর মেয়ে ছেলের বাড়িতে থাকিয়া যাইবে।ইহাতে দুই পক্ষেরই খরচ কম হইবে।
(৩) অধিকারঃ
(ক) নারী ও পুরুষ দুইজনেরই সমান অধিকার থাকিবে।সংরক্ষিত শব্দটি বাতিল করিতে হইবে।যেমন,সংসদ,চাকুরী ইত্যাদি।যে যাহার যোগ্যতাবলে যোগ্য আসনে বসিবে।
(খ) শুধু নারীকেই রান্না-বান্না করিতে হইবে,তাহা চলিবে না।এখন হইতে পুরুষকেও রান্না করিতে হইবে।
(গ) সন্তান লালন-পালনে উভয়ের ভূমিকা থাকিতে হইবে।
(৪)পর্দাঃ পর্দার আড়ালে থাকিয়া নারী সমাজ আজ ক্লান্ত।এখন হইতে পর্দা প্রথা চলিবে না।যে যাহার খুশী মত পোশাক পরিবে,কোন রুপ ফোতুয়া দেওয়া চলিবে না।

নারী নীতি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হইলেও,ইহা পতিষ্ঠিত করিতে পারিলনা রওশন আরা।তাছাড়া, রাজনীতি পাড়ায় রওশন আরা মাতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করিল বটে,কিন্তু তাহার মন ভরিল না।সর্বদায় তাঁহার মনে, প্রশ্ন ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল।কখন তাঁহাকে বঙ্গমাতা উপাধিতে ভূষিত করা হইবে,কেন তাঁহার নারী নীতি গ্রহণ করা হইতেছে না? ইত্যাদি।যত দিন যায়,রওশন আরার মন ততই অস্থির হইয়া উঠিল।অপেক্ষায় থাকিতে থাকিতে রওশন আরা মানষিক ভাবে ভাঙ্গিয়া পড়িল।সর্বদায় তাহার মস্তিস্ক গরম হইয়া থাকিতে লাগিল।অকারণে স্বামির উপর অত্যাচার করিতে লাগিল।সংসারে আগুন জ্বলিয়া উঠিল।
একদিন সকালবেলাই সকলে দেখিল, রওশন আরার দুই হাত বাঁধা,চুলগুলি এলোমেলো।হিংস্র প্রণীর মত গুংড়াইতেছে,চোখগুলি বড় বড় করিয়া এইদিক-ঐইদিক তাকাইতেছে।আক্কাস আলি দড়ি ধরিয়া তাহাকে টানিয়া লইয়া যাইতেছে। তাহার চৌদ্দটি সন্তান তাহার পিছন পিছন হাঁটিতেছে।সহস করিয়া কেহু কিছু বলিতে পারিল না।কেহু সাহস করিয়া কিছু না বলিতে পারিলেও, একটি সাত,আট বছরের শিশু বলিয়া উঠিল,বঙ্গমাতার এইরুপ দশা কে করিল?তোমরা বঙ্গমাতাকে বাঁধিয়া লইয়া কোথায় যাইতেছ।আক্কাস আলি নিরুত্তাপ।তাঁহার চোখ দিয়া পানি ঝরিতেছে।চারিদিক হইতে হাজারও চোখ তাঁহার দিকে তাকিয়া রহিয়াছে।আক্কাস আলির মনে হইল,তাঁহারা যেন তাঁহাকে বিদ্রুপ করিতেছে।আক্কাস আলি মাথা নিচু করিয়া লইল।শিশুটি আবার আক্কাস আলিকে প্রশ্ন করিল,আপনি বঙ্গমাতাকে লইয়া কোথায় যাইতেছেন?আক্কাস আলি মৃদুস্বরে বলিল,পাবনা,পাবনা যাইতেছি.....................!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মুস্তাগীর রহমান রাজিব ফেরদৌস,তুমি অনেকবারই বলেছ,একজন লেখকের দূর্বলতা কোথায় সে ভলো করেই জানে......আমিও তাই বলি।কথোপকথোনে আরো রম্যের খোরাক দেয়া যেত ঠিকই আছে;কিন্তু কথোপকথোনের ব্যবহার বাড়ালে গল্প বড় হয়ে যেত..বড় গল্প পড়ার ধৈর্য পাঠকের হবে কী?......সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ........
Rajib Ferdous রম্য গল্প হিসেবে ভাবটা মনে হয় আরো তীর্যক করা যেত। কথোপকথোনে আরো রম্যের খোরাক দেয়া যেত বলে আমার মনে হয়েছে। তবে এই ধরনের গল্পে সাধু ভাষার ব্যবহারটা মন্দ লাগেনা। কেমন একটা মুজতবা আলী ভাব। ভাল লাগলো।
আল-আমিন সাধু ভাষা ব্যবহারের চেষ্টা করা হয়েছে আবার আধুনিক বানান রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। বেশ কিছু বানান ভুল তাছাড়া বক্তব্যটি সুন্দর। যেমন-জণসংখ্যা ,সারা রাত্রি,রাজনিতী,জীবণ
এফ, আই , জুয়েল গল্পের গভীরতা, ইঙ্গিত, ইশারা সত্যিই মারাত্বক ।
মোঃ মুস্তাগীর রহমান ahmad মুকুল,আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!এই সংখ্যায় আপনার "প্রজন্মে স্বত্বার খোঁজ"পড়েছি-আমার ভলো লেগেছে।শুধু তাই নয়;আমার এও মনে হয়েছে,আপনি আমার চাইতে অনেক অনেক ভালো লিখেন............
আসাদুজ্জামান চুন্নু অনেক আনন্দ পেলাম । আপনাকে ধন্যবাদ এইরকম একটি গল্প উপহার দেবার জন্য l
আহমাদ মুকুল রাজনীতির ভয়াবহ তীর্যক চিত্র। মন্তব্য করতে সাহস হয় না। তবে আপনার সাহিত্য নিয়ে কথা বলতে দ্বিধা নেই। সমৃদ্ধ। আপনার ভান্ডার থেকে এরকম রসালো আরো কিছু বের করবেন নিশ্চয়ই। অপেক্ষায় থাকবো।
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) ম রহমান ,লিখেন ভালো ,লিখবেন ভালো ,লেখা চালিয়ে যান /
বিষণ্ন সুমন আমার সংগ্রহে প্রতিটা ২৫-৩৫ পয়সা দিয়ে আমার বাবার কিনা শরত চন্দ্রের দেবদাস, বিন্দুর ছেলে, দত্তা, বামুনের মেয়ে, স্বামী ও আরো কিছু বই আছে। এগুলু অন্তত মাসে একবার আমি উল্টে-পাল্টে দেখি । কারণ সাধু ভাষায় লিখা এই গল্পগুলু আমায় ভীষণ টানে। আপনার এই গল্পটি আমার সেই স্বাদ নতুন কারো লিখায় পাবার অভিজ্ঞতা এনে দিল, যাতে আমি খুবই আনন্দিত । আপনাকে ধন্যবাদ না দিয়ে পারছিনা, যে আমরা আমাদের শেকড় কে এখনো ভুলে যেতে দেইনি, যা আপনি মনে করিয়ে দিয়েছেন. ঠিক শরত বাবুর মতই সমাজ পরিবর্তনের মেসেজ দিয়েছেন আপনার লিখায় । ভালো লাগলো অনেক ।
মোঃ শামছুল আরেফিন বেগম রওশন আরা বঙ্গমাতা হওয়ার বৃথা চেষ্টা করিল, নামের আগে টাইটেল যোগ করিবার জন্য কত কিছুই না করিল। কিন্তু অভাগা যেইদিকে চায় সেইদিকে সাগর শুকায়, এই বিখ্যাত প্রবচনটি তাহার বোধহয় পড়া হয়নাই। তিনি যদি বঙ্গমাতা হইবার বাসনা পরিহার করিয়া আদর্শ মাতা হওয়ার চেষ্টা করিতেন, সেইখেত্রে দেশ ১৪ জন ভাল সন্তান উপহার পাইত। আর ওনার নারী নীতির ২(ক) আর ৩(ক) ছাড়া অন্য নিতীগুলোর চরম নিন্দা না করে পারছিনা। উনি মানব জাতির সবচেয়ে সম্মানিত জাতটির আঁচল খুলে দিয়ে তাদের সম্ভ্রম হানি করার প্রানপন চেষ্টায় অবরতিরন হয়েছেন। পরিশেষে এইটুকু বলিব গল্পটি বেশ ভাল লেগেছে, প্রশংসা পাবার যোগ্য।

২৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪