আমার বড় দুলাভাই সরকারি হাসপাতালে চাকুরী করে বিধায় অন্তত দুই তিন বছর পরপর বদলী হয়ে বিভিন্ন মফঃস্বল শহরের নতুন নতুন স্বাদ গ্রহণ করতে হয় তাকে। আর এই সুযোগে আমিও নানা অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর মজা নেই। আমার বড় আপুর স্পর্শে আমি আমার মায়ের আদরমাখা ভালবাসা পেলেও,কিছু কিছু ক্ষেত্রে মা অসীম কঠোর! বড় আপুর কাছে তাই আমার ভীষণ ভাল লাগে! আপুর সদ্য পাওয়া সরকারী কোয়াটারে যাবার জন্য আমি ব্যকুল হয়ে রইলাম। এবার বদলী হয়েছে কালীগঞ্জে! বড় আপা যেদিন আমাদের বাসায় এসে কালীগঞ্জে যাবে সেদিন আমি ছিলাম ভীষণ অসুস্থ্য। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা...! এই বয়সে এমন অসুস্থ্য প্রায় প্রতিটা কিশোরী মেয়েই হয়। মাসের এই দিনগুলো যে কতটা যন্ত্রণাময় তা কেবল ভুক্তভোগীই জানে।
মাসের এই দিনগুলোতে সব কিছু থেকে নিজেকে আলাদা করে নিতে হয়। মায়ের চোখের ইশারা বারবার থামিয়ে দেয় ধারাবাহিক দিনগুলো...! আমি ভুলে গেলেও মা আর মায়ের কাছে খবরাখবর সরবরাহকারী আমার সমবয়সী ভাগ্নি কখনোই ভুলে না! ব্যথার যন্ত্রণায় বমি হয়ে যায়...! না পারছি কাঁদতে,না পারছি সহ্য করতে। সেদিন বাসায় অনেক মানুষ। সবাই দুপুরের পোলাও কর্মা খেয়ে হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে গল্প করছে! একমাত্র বড় আপু ছাড়া আমার পাশে কেউ নেই! চার পাঁচ বার বমি করে ক্লান্ত হয়ে গেছি। ক্ষীণ স্বরে জিজ্ঞাসা করলাম- -বুবু আমি কি মরে যাব? আমার কথায় বুবু প্রায় কেঁদে দেয়...! আমি আবার ব্যথায় ককিয়ে উঠি। মা কোথা থেকে ছুটে এসে মৃদু ধমক দিয়ে উঠে - -আরে চুপ কর...ওরা শুনে ফেলবে তো! বুবু এবার বলে -মা ওকে একটু ওষুধ দেও,না হলে ব্যথা কমবে কি করে? -না না...!এ সময়ে ওষুধ খেতে নেই...ব্যথা সহ্য করুক,এক সময় এমনিতেই থেমে যাবে। মা যেন আঁতকে উঠে কথাগুলো বলে গেলেন আর তা শুনে বড় আপুও ক্ষেপে গেলেন- -ওষুধ খেলে কি হয়? -এই সময়ে ওষুধ খেলে বাচ্চা যদি না হয় তখন...। মায়ের চেহারা দেখে আমি নিজেই তখন আঁতকে উঠি...বহু কষ্টে বলি- -মা এ অনেক ব্যথা তুমি বুঝবে না...আমার বাচ্চা লাগবে না...প্লিজ আমার ব্যথা কমাও...। এমন সময় দুলাভাই এসে বড়বুবুকে তাড়া লাগালেন-চল চল এখনই রওনা না দিলে রাত হয়ে যাবে! বুবু আমার পেটে গরম পানির বোতল ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ছ্যাঁক দিচ্ছিল। যার কারণে খানিকটা আরাম বোধ করায় প্রায় ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম। চোখ মেলে তাকালাম বুবুর কথায়- -তুমি একা যাও আমি গিনিকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না! -কেন গিনি'র আবার কি হলও। কথাটা বলে আমার দিকে তাকালেন বড় দুলাভাই। আমি বেশ লজ্জা পেলাম। আমি আবিষ্কার করলাম আমার মাথা বুবুর একটা হাতের পরে। আমার মাথাটা বুবুর বুকের সাথে লাগিয়ে রেখেছে আর এক হাতে পানির বোতল। বুবু দুলাভাইয়ের কথার উত্তর না দিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলো- -এখন একটু ভালো লাগছে? মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বললাম। এমন সময় মা এক হাত ঘোমটা টেনে টিফিন ক্যারিয়ার এগিয়ে ধরলেন দুলাভাইয়ের দিকে। বুবু রাগ করে বলে উঠলেন- মা তোমার ছোট্ট মেয়েটা না খেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে আছে আর তুমি ব্যস্ত সবাইকে আপ্যায়নে? জামাইকে খাওয়ায় দিয়ে আবার আরেকবার খাবার গুছাই দিতেছো...আর এদিকে...! মা দুলাভাইকে দেখে কিছু বললেন না। কেবল মাথার কাপড়টা আরও টেনে ঝুলিয়ে দিলেন। মনে মনে আমি বলি -বুবু তুই বেঁচে গেছিস আজ দুলাভাই এখানে আছে! না থাকলে কত কথা শুনতে হত "এটা কোনও অসুখ না...মেয়েদের এটা স্বাভাবিক ব্যাপার...এভাবে মাসে মাসে ব্যথা খেয়ে খেয়েই না বাচ্চা হবার ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা মেয়েরা পায়! মেয়েদের ধৈর্য ধরে,মুখ বুঝে এসব কষ্ট সইতে হয়। এই ঘরে ব্যথায় নীল হয়ে যাবে পাশের ঘরের কেউ জানতেও পারবে না-এই না হলে মেয়ে মানুষ!” আরও হাজারো কথার হাত থেকে বেঁচে গেলি বুবু। নিশ্চয় মায়ের মুখ চুলবুল করছে কথাগুলো বলতে না পেরে! যাইহোক দুলাভাই বুবুকে বললেন- -এক কাজ কর গিনিকে নিয়ে চল। আমি ওখানকার গাইনোকলজিকে দেখিয়ে দেব! দুলাভাইয়ের কথায় বুবু খুশি হলেন। সে আমাকে নিয়েই যাবে কিন্তু আমি এই অবস্থায় যেতে চাইলাম না। শেষমেশ বুবু দুলাভাই আর দুই বাচ্চাকে নিয়ে চলে গেলেন। এর কিছুদিন পর আমি ভাইয়ের সাথে গেলাম বুবুর ওখানে...। যদিও ক্লিনিক ডাক্তার আমি একদম অপছন্দ করি। আব্বা হাসপাতালে মারা যাবার পর থেকে ওসব আমার কাছে আতঙ্ক ছাড়া আর কিছুই না! তবুও অন্যরকম এক আনন্দ মনের মাঝে বয়ে যাচ্ছে। ভাবলাম ডাক্তার দেখালে আমাকে আর প্রতি মাসে পেটের অসহ্য ব্যথায় কষ্ট পেতে হবে না! ভাই আমাকে বুবুর ওখানে রেখে ফিরে এলো। বুবু বললেন আমাকে থেকে যেতে। যেহেতু স্কুল বন্ধ আমিও থেকে গেলাম ।
একদিন গভীর রাতে আমার ঘুম ছুটে গেলো। আমি অনুভব করলাম রাতে যা খেয়েছিলাম তা সব উঠে আসছে। পেটে দলা পাকিয়ে এত যন্ত্রণা হচ্ছে যে আমি পেট চেপে ধরে আছি কিন্তু মুখে কথা বের হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি গরম তরল কিছু বিছানা জুড়ে। এই প্রথম ভয়ে শিউরে উঠলাম। আমি ধীরে ধীরে একেবারে গভীর অতলে ডুবে যাচ্ছি... "মা...” শব্দটা আমার অজান্তেই মুখ থেকে বের হয়ে গেলো। অনেক আলো জ্বলে উঠলো চোখের সামনে। আলতো করে আমার মাথাটা দুহাতে তুলে কপালে আদর করে দিলো কেউ...! "কিচ্ছু হয়নি, আমি আছি না...। কালকেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব...ওরে সোনাটা ভয় পেয়ে গেছে!”পেটে গরম সেঁক অনুভব করলাম। বুবু'র স্পর্শে যেন যাদু আছে...আমি ঘুমিয়ে গেলাম নিমেষে!
পরের দিন সকালে বুবু আমাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলেন। সরকারী হাসপাতাল যেমনটা দেখেছি আমার শহরে তাঁর থেকে অনেক ভালো মনে হল। দুলাভাই আগেই ডাক্তারকে বলে রাখায় আমাদের আর এপয়েন্টমেন্টের অপেক্ষা করতে হল না। আমাকে আর বুবুকে ডাক্তারের কেবিনে ঢুকিয়ে দিয়ে দুলাভাই চলে গেলেন নিজের কাজে। আমি বুবুকে ধরে আছি শক্ত করে। মনে ভয় ডাক্তার না জানি কীসব পরীক্ষা নিরীক্ষা করে! একেতে ব্যথার যন্ত্রণা তাঁর উপর মহিলা ডাক্তারের কপালে বিরক্ত ভাব দেখে ভড়কে গেলাম। ডাক্তার যখন জিজ্ঞাসা করলেন" কি সমস্যা তোর?" আমি যেন আকাশ থেকে পড়লাম। "বলে কি তোর?” এ কেমনতর ব্যবহার! পরপর দুইবার জিজ্ঞাসা করল কিন্তু আমি কেবল ঢোক গিললাম। বুবু আমাকে ফিসফিস করে বলল- "যা যা জিজ্ঞাসা করে উত্তর কর!” বুবুর কথা শেষ না হতেই ডাক্তার প্রায় চিৎকার করে বলে উঠলেন- “কি ব্যাপার আমি কি বসে বসে তোর চেহারা দেখব?” আমি ঝরঝর করে কেঁদে দিলাম। আমি কোনদিন এমন ডাক্তার দেখিনি...! আমার মনে হল এ কেমন ডাক্তার? আমি অনেক বেশী অসুস্থ্য অনুভব করছি...। পেট মোচড় দিয়ে বমি আসছে! আমার বুবু এতক্ষণ কিছু বলেনি এটাও আমার জন্য বিস্ময় ছিল। বুবু এবার আমাকে ধরে চেয়ার থেকে তুলতে তুলতে ডাক্তারকে বলল- আপনি ওর চেহারা দেখে জেলাস হয়ে গেলেন? তাই এভাবে ব্যবহার করছেন? আপনি না ডাক্তার? একটা অসুস্থ্য মেয়ের সাথে কীভাবে ব্যবহার করতে হয় আপনি জানেন না? এই আপনার হাতে নাকি শিশু জন্ম নেয়...এই হাতে যে শিশু জন্ম নেয় সে তো আপনার মতই রুক্ষ স্বভাবের হবে! মোলায়েম স্বরে কথা বলতে আগে শিখেন তারপর চিকিৎসা দিবেন” ডাক্তার মহিলাও যে কীসব বলে গেছে তা আমার কানে আসেনি! আমি কেবল বুবুর কথাই শুনে গেছি...! চেঁচামেচি শুনে অফিসের স্টাফ জমা হয়ে গেলো। বুবু আমাকে নিয়ে বাসায় চলে এলেন। শুনেছিলাম ঐ ডাক্তারকে অন্য কোথাও বদলি করে দেয়া হয়েছিল।
ডাক্তারের প্রতি ভয়টা আরও বেশী গাঢ় হয়ে গেলো সেই দিনের পর থেকে। কিন্তু আমার সেই ভয়কে জয় করে নিয়েছে প্রবাসে আসার পরে পাওয়া কিছু ডাক্তার। যখন আমি প্রসব বেদনায় একাকী ছটফট করছি ডেলিভারি রুমে; তখন সঙ্গী আমার আফ্রিকান সুন্দরী নার্স। আমার হাতটা ধরে যখন কপালের ঘাম মুছে দিতে দিতে বলে যাচ্ছে "একটু ধৈর্য ধর...এই তো আর কিছুটা সময়!” তখন আমি বুঝতে পারলাম আমার কষ্ট অনেকটা কমে গেছে! "পানি...পানি" কেউ একজন চামচে করে বরফ কুঁচি কত ভালবাসায় মুখে তুলে দিচ্ছে! আমার বুবু,মা কেউ পাশে নেই...নেই কোন স্বজন! অথচ নির্বিঘ্নে অন্যরকম মসৃণ সুখের আতিশয্যে ডুবে যাচ্ছি আমি...!
যখন চরম মুহুর্তে মৃত্যুর সাথে সাক্ষাৎ করে বাঁচার শেষ নিঃশ্বাসটুকু নিয়ে হাঁসফাঁস করছি! অজানা অচেনা অ্যামেরিকান ডাক্তার আমার নাকে অক্সিজেন দিতে দিতে বলছে - "ওয়াও তুমি পেরেছো জয়ী হতে!তুমি একজন ভালো মা হবে দেখো" কথাটা বলে কাপড়ে পেঁচানো তুলতুলে নরম একটা শিশু আমার কোলে তুলে দেয় পরম আদরে! আমার সমস্ত বুকভরে যায় মাতৃত্বের গর্বে! তারপর আমাকে ছোট্ট শিশুদের মত করে ক্ষণে ক্ষণে এসে মুখে তুলে খাবার তুলে দেয় অচেনা একজন। আমি ওর কেউ না অথচ এই দুর্বিসহ ক্ষণে মনে হয় ওর নরম হাতের ছোঁয়ায় আমার বেঁচে থাকার সবটুকু নির্যাস! আমার পাশে আমার রক্তের বা আত্মার কেউ না থাকলেও এক মুহুর্তের জন্য এই মানুষগুলো বুঝতেই দিচ্ছে না আমি একা! আমি অনুভব করলাম একটা অদ্ভুত চেনা,সহানুভুতিশীল সম্পর্ক ঐ মুহুর্তে যেন আমাদের মাঝে আছে!
ঠিক সেই মুহুর্তে মনে হয় স্বয়ং সৃষ্টিকর্তার পরশ পেয়েই এইসব ডাক্তার নার্স এদের এতো মায়া মমতা হয়েছে! অসহ্য যন্ত্রণায় যখন একজন অসুস্থ্য মানুষ হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়ে;মৃত্যু ভয় যখন মনের দরজায় কড়া নেড়ে বলে যায় "আমি আছি এপাশে,সময় হলেই রক্ত হিম করে দেব!” বেঁচে থাকার আশায় তখন একটা জায়গায় নিরাপদ ও মনোরম মনে হয়! তা হল হাসপাতাল বা ক্লিনিক। আর যাদের স্পর্শে অর্ধেক অসুখ ভালো হয়ে যায় তারা হলেন সেবাদানকারী মিষ্টিভাষী, মোলায়েম যাদুর ছোঁয়াধারী কিছু মানুষ। যারা আপন না হয়েও বেঁচে থাকার লড়াইয়ে শক্তি যোগানোর সাহস দেবার মত খুব আপনজন। যা আমার দেশের মানুষেরা লক্ষ টাকা গুণেও পায় না! যেখানে উন্নত সেবা দেবার নামে আলিশান,চাকচিক্যময় হাসপাতাল বা ক্লিনিকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শুয়ে শুয়ে সুস্থ্য বাবা অসুস্থ্য হয়ে যায়! যেখানে সুস্থ্য মানুষকে লাইফ সাপর্ট দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে নিতে সেবার নামে ব্যবসা করার ফাঁদে আটকিয়ে রাখা হয়! আর তার বর্ননা দিয়ে শেষ যাত্রায় বৃদ্ধ বাবা চিঠি লিখে নিজের নিরুপায় ও অসহায়ত্ব জানিয়ে যায়! চিকিৎসা আছে,ডাক্তার আছে! আছে সেবা দেবার সবটুকু গুন! মানব জীবনও আছে কেবল নেই মানবিকতা...! হৃদয় আছে কিন্তু সে হৃদয়ে নেই নরম মাটির স্নিগ্ধতা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
স্বপ্নসারথি রাফি
লেখার প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু কথা বলব।আমাদের প্রবণতা হলো নিজের দেশের ডাক্তারদের underestimate করা।কিন্তু একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসেবে বলছি, এমন চিকিৎসকের সংখ্যা কম।আমাদের কলেজেই গাইনির একজন অধ্যাপক আছেন,যিনি রোগীদের সাথে মা ছাড়া কথা বলেন না।নিউরোসার্জারির একজন শিক্ষক আছেন,রাত ১ টা পর্যন্ত ডিউটি করে আবার ভোর সাড়ে ৪ টায় ওটি তে ঢুকতে তার মুখে কখনো বিরক্তির ছাপ পড়ে না।গুটিকয় মানুষের জন্য এই মানুষগুলোকে অপমান করবার অধিকার আপনার নেই।আর আমেরিকার কথা বলছেন; খরচের বিষয়টা একটু মাথায় রাখবেন।আশা করব দেশের দরিদ্র মানুষগুলোর যেটুকু আস্থা ডাক্তারদের উপর এখনো আছে সেটুকু নষ্ট করার খেলায় মাতবেন না।ধন্যবাদ।
হুমায়ূন কবির
আমি এই প্রথম আপনার লিখা পড়লাম, সত্যি অসাধারন। হাসপাতাল এবং ক্লিনিক গুলোর বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে আপনার গল্পে। শুভেচ্ছা সহ ভোট থাকল আর আমার গল্প ও কবিতায় আমন্ত্রন রইল ।
হাসনা হেনা
আপনার গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। অনেক সময় ডাক্তার নার্সরা ভদ্রতা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। ভুলে যায় নিজেদের দায়িত্ব । ও কর্তব্যের কথা। অনেক ধন্যবাদ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
বর্ননা দিয়ে শেষ যাত্রায় বৃদ্ধ বাবা চিঠি লিখে নিজের নিরুপায় ও অসহায়ত্ব জানিয়ে যায়! চিকিৎসা আছে,ডাক্তার আছে! আছে সেবা দেবার সবটুকু গুন! মানব জীবনও আছে কেবল নেই মানবিকতা...! হৃদয় আছে কিন্তু সে হৃদয়ে নেই নরম মাটির স্নিগ্ধতা। ......// খুব ভালো ......
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।