চলন্ত গাড়ীতে জানালা খুলে বসতে বেশ ভাল লাগে মেঘলা'র। খুব নীরবেই যেন গাড়ী আর বাতাসের সাথে প্রতিযোগিতা শুরু হয়! কে কতটা ছুটে কার আগে যেতে পারে। ঠিক যেমন ওর জীবনটাও জয়ী হবার তীব্র প্রতিযোগিতায় ছুটতে ছুটতে আজ এই এখানে এসে দাঁড়িয়েছে স্বগর্বে! "এটা কী কেবলই তার জেদ...? নাকি সময়ের সাথে সাথে প্রতিবাদ করতে শেখা?" মানুষ বলে জেদ নাকি একজন মানুষকে অমানুষ করে দেয়! জেদ নাকি মানুষের জীবনে ধ্বংস নিয়ে আসে! কিন্তু ও'র বেলায় জেদ ধ্বংস থেকে তুলে অমানুষ থেকে মানুষে পরিণত করেছে...। যদি জেদ হয় তাহলে আজ সে জেদ ও আত্মবিশ্বাসের জোরে মাথা উঁচু করে সম্মান অর্জন করেছে! কিন্তু ওর কাছে মনে হয় জেদ না থাকলে কোন কিছুর প্রতিবাদ করে সফল হওয়া যায় না। একজন মানুষকে কোন মতবাদের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে গেলে। বা নিজের মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গেলে আগে জেদ ধরে রাখতে হবে। একমাত্র জেদই রাখতে পারে নিজের অধিকার আদায়ে বা ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বড় এবং প্রধান ভূমিকা! বাতাস যেন ওর কানে কানে কিছু কথা বলে যাচ্ছে। যে কথায় হাজারো ব্যথা ঠিক মাগুর মাছের মত করে উলট পালট নড়াচড়া করে যাচ্ছে বুকের জমিনে! আজ মনে পড়ছে অনেক কথা...! মনে পড়ে সেদিন যদি শেষ মুহূর্তে এসেও নীরবে সবকিছু সহ্য করে যেত? তাহলে আজ হয়ত সে এই আলোকিত দিন কখনোই দেখতে পেত না।
জীবনের ভালবাসা আর শ্রদ্ধা যখন ধীরে ধীরে অহংকার আর দুর্বল দাপট দখল করে নিয়েছিল। তখন পাশে কাউকেই সে পায়নি। এমন কী মায়ের মমতাও সেদিন চোখের জলে ভাসিয়ে নিয়েছিল তার বিপক্ষে...! সেই সময়ে কিশোরী তিতলিকে বিয়ের পিড়িতে বসাতে সব রকম আয়োজন সেদিন শেষ হয়েছিল। চৌধুরী সাহেবের মেয়ে তিতলির সাথে পাশের গ্রামের ভুঁইয়া সাহেবের বিলেত ফেরত ছেলের বিয়ে! দুই গ্রামের দুই প্রভাবশালী তাদের সন্তানদের বিয়ে দিয়ে পরম্পরায় পাওয়া শত্রুতার আনুষ্ঠানিক অবসান ঘটাতে চান দুই পরিবারে আত্মীয়ের সম্পর্ক গড়ে তুলে। কিন্তু তাদের কেউ একবারও ভাবেনি যেকোনো সম্পর্ক অচেনা মানুষের সাথে হয় না। সম্পর্ক হয় চেনাজানা মানুষের সাথেই। তাই চৌধুরী সাহেব এবং ভুঁইয়া সাহেব দুজন দুজনকে খুব ভালো করে জেনেও যখন এই সম্পর্কের সিদ্ধান্ত নিলেন। তখন কারো বুঝতে বাকি রইল না চতুর ভুঁইয়া সাহেবের আসল উদ্দেশ্য আসলে কী! বুঝলেন না কেবল চৌধুরী সাহেব! কিছু কিছু মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে নির্বুদ্ধিতা বৃদ্ধি পায়। আর কিছু কিছু মানুষের শিশু কালেই বুদ্ধি বিকাশ হয়! চৌধুরী সাহেব এবং মেয়ে তিতলির বেলায় কথাটা একেবারেই সূর্যের মত জ্বলজ্বল করে সেই প্রমাণই দিচ্ছে।
চৌধুরী সাহেবের দাপট বা ধন সম্পদের জৌলুসের দম্ভ ঠিক আগের মত নেই! আছে বড়াই আর লোক দেখানো কথার বাহার। কেউ না জানলে চৌধুরী সাহেব সবাইকে জোর করে বাধ্য করে জানতে যে তিনি জমিদার বংশের ছেলে। তাদের বাপ দাদারা কোনদিন অন্যের অধীনে কাজ করে জীবন যাপন করেন নি। তার গায়ে জমিদারের রক্ত। সুতরং তাকে কেউ জমিদার মান্য করুক বা না করুক! জমিদারিত্ত থাকুক বা না থাকুক। কিছুই তার আসে জায় না...! উনি কেবল নিজের চালচলন কথা বার্তায়,ঠাটবাটে জমিদারি রক্ষা করে নিজের বংশ পরিচয়কে ধরে রেখেছেন! কিন্তু ভুঁইয়া সাহেবের দাপট বা সম্পত্তি আছে বিলেতের ছেলের কারণে। তিতলির দুই ভাই বিয়ে করে বাবার কাছ থেকে পাওনা সম্পত্তির বিক্রির টাকা নিয়ে শহরে পাড়ি জমিয়েছে বহু আগে! আর তাই কুঁজো হয়ে চলা দম্ভকে কিছুটা শান দিতে শেষ সম্বল ৫০ বিঘা জমি ভুঁইয়া সাহেবকে লিখে দিবেন। বিনিময়ে একমাত্র মেয়েকে শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে বাকী দিনগুলি নির্ঝঞ্ঝাট কাটাতে চান চৌধুরী সাহেব। এই বিয়ে ঠেকাতে তিতলি যখন শেষ আশা ভাইদেরকে স্মরণ করল? তখন তার ভাইয়েরা উত্তর দিল "বাবা এখন বুড়ো পাগলা ঘোড়া হয়ে গেছে। আর এই বুড়ো ঘোড়াকে সায়েস্তা করতে-হয় তাকে গুলি করে হত্যা করতে হবে। না হয় বন্দি করে রাখতে হবে! যার কোনটাই তারা করতে পারবে না!" এদিকে তিতলি যেভাবেই হোক এই বিয়ে প্রতিহত করে লেখা পড়াটা চালাতে চায়! তাদের বংশে এক সময় ধনসম্পদ থাকলেও শিক্ষার আলো কারোর ছিল না! ভাইয়েরা কেউ লেখাপড়া করেনি। তা ছাড়া বাবার অবস্থা এখন এমন হয়েছে কয়েকদিন পর এই বাড়িটাও বিক্রি করে অন্নের সংস্থান করতে হবে! তাদের পূর্ব পুরুষেরা সম্পদ আর দম্ভের গুরুত্ব বুঝতে পারলেও শিক্ষার গুরুত্ব কোন কালেই বুঝতে পারেনি। মানুষের জীবনে শিক্ষার আলো ধন-সম্পদের চেয়েও গুরুত্ববহ! তা কেউ কোনদিন বোঝেনি বলেই খেঁটে খাওয়ার চেয়ে বসে খাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েছে। প্রপিতামহ ও পিতামহের কাছ থেকে পাওয়া ধন সম্পদকে একে একে বিনা বাঁধায় শেষ করেছে। তারপর নিজেরাই নিজেদের কাছে হার মেনে যে যেদিকে পারে ছুটে গেছে! স্বার্থপরতায় জয়ী হলেও দায়িত্ব ও অস্তিত্ব রক্ষায় সবাই এক সময় হার মেনে নিয়েছে! কিন্তু তিতলি এভাবে হার মানবে না। এতো অল্প বয়সে,লেখা পড়া না শিখে সে বিয়ে করবে না। বাবা মা মেয়েকে জন্ম দিয়েছেন যেন কেবল মেয়েটার বিয়ের দায়িত্ব পালন করার জন্য!
চৌধুরী সাহেব আজ বেশ কিছুদিন রোগে ভুগছেন। তিনি ভেবে পান না "যে দুধ জন্মের পর খেয়ে শিশু বড় হয়! সেই দুধ কীভাবে বৃদ্ধ বয়সে বদহজম হয়ে জীবনের কাল হয়!?"শরীর মোটেই ভালো যাচ্ছে না ইদানীং তাই সারাদিন রাত ঘরে শুয়ে থাকেন। তিতলি বাবার কামরায় কোনদিন বাবার উপস্থিতে প্রবেশ করেনি। সেই মেয়ে আজ কোন অনুমতি ছাড়াই ঘরে প্রবেশ করল। বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে সাফসাফ বলে দিলো"যদি আমাকে বিয়ে দিতে জোর করা হয় তাহলে নিজেকে আমি শেষই করে দেবে!" এই কথায় চৌধুরী সাহেব কেবল কষ্টের মাঝেও হাসলেন। তীব্র রাগ দেখিয়ে মেয়েকে শুনিয়ে ওর মাকে শাসিয়ে দিলেন। বললেন- "তোমার মেয়েকে আগলে রাখো। আর যদি সে আমার সিদ্ধান্তের বাইরে যায় তাহলে তাকে জ্যান্ত মাটিতে পুতে ফেলব! আমার ধন সম্পত্তির পাওয়ার না থাকতে পারে। কিন্তু ভুলে যেও না এখনও আমার গায়ে জমিদার চৌধুরী বংশের রক্ত!" মা বাবার কথায় ভয় পেলেও তিতলি মোটেই ভয় পায় নি।
তিতলি যখন দেখল কোনভাবেই বিয়েটা ঠেকাতে পারছে না। তখন ঠিক বিয়ের আগের দিন ভোরের আলো ফোঁটার আগেই ট্রেনে উঠে রওনা দেয় শহরের উদ্দেশ্যে! সেই থেকে জয়ী হবার প্রতিযোগিতার শুরু...। যে মেয়ে কোনদিন ঘরের বাইরে পা রাখেনি,পা রাখতে সাহস করেনি! এমন কি গ্রামের স্কুলে না গিয়ে ঘরেই শিক্ষক রেখে কোন রকমে ক্লাস এইটের বই পর্যন্ত পড়েছে। সেই মেয়ে কিনা শিক্ষার আলোই নিজের জীবনকে আলোকিত করতে সব সুখ ছেড়ে অনিশ্চিত জীবনে পা দিয়েছে?
বাংলায় একটা প্রবাদ আছে "অভাগা যেদিকে চায় সাগর শুকাইয়া যায়" কিন্তু তিতলি যে অভাগী নয় এবং এই প্রবাদও যে তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় তা প্রমাণিত হল! ট্রেনেই পরিচয় হয় খলিল দম্পতির সাথে। তারা শহরে থাকে এবং গ্রামে এসেছিল কাজের লোকের সন্ধানে। কিন্তু কোন লোক না পেয়ে মন খুব খারাপ করে আবার শহরেই ফিরে যাচ্ছে। তিতলিকে তারা পেয়ে নিজেদের আক্ষেপের কথা বলতেই নিজের পরিচয় গোপন করে সে তাদের বাসায় কাজ করতে রাজি হল। কিন্তু শর্ত দিলো তাকে লেখা পড়া শেখাতে হবে! খলিল দম্পতি মেয়েটিকে আশ্বাস দেয় তারা তাকে সন্তানের মত লালন পালন করবেন। কেবল যেন সে তাদের বাসায় থাকে এবং তাদের সেবা যত্ন করে। তিতলি রাজি হয়ে যায় । তিতলি "মেঘলা" নামে এক নতুন জীবনের স্বাদ পেলেও জন্মগতভাবে পাওয়া কপালের কালো আঁচিলটাকে কোনভাবেই লুকাতে পারল না।
হাজারো কাজের ভিড়ে,হাজারো ব্যস্ততায় মেঘলা তার অতীতকে ভুলতে পারেনি,ভুলে যায়নি বাবা মাকে। সে সেই ছোট বেলা থেকে দেখেছে কেমন করে বাবা মা দু'ভাই আর তাকে আলাদা করে রেখেছে! দুধের সর থেকে শুরু করে মাছের মাথা সব কিছুই ভাইদের সবল ও বুদ্ধিমান করে তুলতে তুলে রাখা হত! ঘরে বাইরে ভাইয়েরা যতটা প্রাধান্য ও সুযোগ সুবিধা পেয়েছে,সে তার একফোঁটাও পায়নি! কোনদিন বাবার চোখে চোখ রাখা দূরে থাক, মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতেও সাহস করেনি। সে কিনা কঠিন সিদ্ধান্তটা নিতে সেদিন একটুও ভয় পায়নি! বাবা নিশ্চয় মেয়েকে দেখে রাখতে না পারার অপরাধে মাকে অনেক বড় কোনও শাস্তি দিয়েছে? মায়ের দুশ্চিন্তায় সারাক্ষণ মনটা উদগ্রীব হয়ে থাকে! রাতের প্রতিটা ক্ষণ অনেক বেশি চঞ্চল করে তোলে! খলিল দম্পতি তাকে যতই আপন করে নিক।যতই ভালবাসা দিক প্রতিক্ষণ মায়ের ভেজা চোখ দুটো তাকে অনেক কাঁদিয়েছে! চোখের জলের সাথে চোখের জলের আত্মিক একটা সম্পর্ক আছে! সে জল যে হৃদয়টাকেও গভীর থেকে গভীরতর জলে সিক্ত করে দেয় তা মেঘলা'র চেয়ে কে ভাল বোঝে?
ওদিকে দীর্ঘ এতটা বছরে জমিজমা সব শেষ করেছে চৌধুরী সাহেব! শেষ চিহ্ন আশ্রয়স্থলটাও নিলামে বিক্রি করেছেন...! আজ কেমন করে প্রিয় মানুষগুলোকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে? কেমন করে চুপ করে থাকবে বাবার জমি বিক্রি করে বসে বসে খাওয়ার এই মিথ্যে রাজকীয় পরম্পরাকে...!
চৌধুরী সাহেব বাড়িটা খালি করে চলে যাচ্ছেন কোন বৃদ্ধাশ্রমে...! ছেলেরা এসেছিলো বাড়ির ভাগের টাকাটা নিতে। তারপর আবার যার যার পথে সে সে চলে গেছে। বাড়ীর পুরনো চাকরটাই আশ্রমের ঠিকানা এনে দিয়েছে! অসুস্থ স্বামী স্ত্রী অপেক্ষা করছে বাড়ীটা যিনি কিনেছেন সেই ব্যারিস্টার মেঘলা চৌধুরীকে চাবিটা বুঝিয়ে দেবার জন্য! যদিও মেয়েটাকে এক নজর দেখার জেদটা চৌধুরী সাহেবের স্ত্রীর। -" শুনছেন...একবার মেয়েটাকে এক নজর দেখে যাই। মেয়েটা আসতে আসতে আরও খানিকটা সময় না হয় এই বাড়িতে থেকে গেলাম"! কথাগুলো বলে আঁচলে মুখ চেপে ধরে কেঁদে যায় সে। স্ত্রীর এমন কথায় চৌধুরী সাহেবের গলার কাছে দলা পাকিয়ে যায় একটা কষ্ট...। লাঠির মাথায় হাত বুলিয়ে অনেক কষ্টে নিজের ভুলের কথা ভেবে কষ্টটাকে রোধ করে। গম্ভীর গলায় বলে- - আরে ঐ মেয়েকে দেখে আমাদের কী হবে? যত তাড়াতাড়ি এই বাড়ি থেকে বের হব তত আমার শান্তি...! এই বাড়ির প্রতিটা ইট বুকের মাঝে দাউদাউ আগুন জ্বালাচ্ছে! চোখের পাতা ভারী করে তুলছে! চাবি উকিল বাবু মেয়েটাকে বুঝিয়ে দেবে...আ...ম...রা চলো বের হই...! চৌধুরী সাহেব যেন বাড়িটার দিকে তাকাতে পারছেন না। তিনি আজ পালিয়ে বাঁচতে চায়ছেন। বুকের ভীতরটা থরথর করে কেঁপে যাচ্ছে অজানা ভয়ে। ভয় তার বাড়ী বিক্রির যে কয়টা টাকা এখন তার কাছে আছে,না জানি তা কোন পাওনাদার এসে ছিনিয়ে নেয়। চৌধুরী সাহেব এক রকম জোর করেই ভারী পা ফেলে কেবল দু'কদম বাড়িয়েছে। দেখে ঝড় বেগে লাল বাতি জ্বালিয়ে সাদা একটা গাড়ী একেবারে সামনে এসে থেমেছে...! গাড়ী থেকে বের হয় বাইশ চব্বিশ বছরের একটা মেয়ে। চৌধুরী সাহেব এবং তার স্ত্রী থমকে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে হেঁটে আসা মেয়েটার দিকে...! "সেই ছোট্ট শিশু...! যে ডান বাম করে করে ঠিক যেভাবে মার্চ করে হেঁটেছে সেভাবেই এগিয়ে আসে"! যার প্রতিটা পদক্ষেপে অস্থির অনুভূতি এনে দিচ্ছে দুজনকেই...! প্রথমেই নজর আটকে যায় মেয়েটার কপালের কালো আঁচিলটায়! মাটি যেন ওদের দুজনের পা দুটো বড় মায়ায় জড়িয়ে ধরেছে...! চৌধুরী সাহেবের স্ত্রীর দুচোখ বেয়ে নামে জলের স্রোত। যে স্রোতের বেগ সে কোনভাবেই থামাতে পারছে না। আজ হৃদপিণ্ডটাও বড্ড বেশি চঞ্চল হয়েছে। যেন আনন্দে আত্মহারা ছোট্ট শিশুর মত আজ ছুটাছুটি করছে খাঁচা ঘেরা বুকের ভেতর! এখন ওরা কেউ আর সামনে এগিয়ে যেতে পারে না...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
এমন একটা অস্থিরতা নিয়ে গল্পটা সাজিয়েছেন, যে অস্থিরতা সবাইকে দুঃখের সাগর থেকে টেনে তুলে গভীরতর সুখের দরজায় এনে দাঁড় করিয়ে দিল ! আপনার ভাবনার প্রশংসা না করলে অতৃপ্ত থেকে যাব । ভোট রেখে গেলাম ।
আল মামুন
আপনার গল্প মানেই একটা অন্যরকম অনুভূতি। গল্পের চরিত্র, সহজ অথচ মাধূর্যতায় পরিপূর্ণ ভাষাশৈলী, সব মিলিয়ে আপনার গল্প সব সময়ই আমার কাছে অসাধারণ লাগে....। শ্রদ্ধা জানবেন, আর এখানে আমরা যারা কাঁচা হাতের ছোট ছোট লেখা গুলো জমা দিয়েছি, সেখানে আপনি ও আপনার সারির সবার সমালোচনামূলক মন্তব্য আশা করছি....। একটু উৎসাহ পেলে আমাদের মধ্য থেকেও হয়ত কেউ কেউ সুন্দর সুন্দর লেখা উপহার দেবে। শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা........
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।