একটু আধটু বৃষ্টিতে ভিজতে ভালো লাগে প্রায় সবার,- যদিনা ঠান্ডা লাগার ভয় থাকে। প্রেমিক-প্রেমিকা স্মরনীয় করতে চায় বৃষ্টি ভেজা দিন গুলো। কেউবা আবার ঘুম জুড়ে দিয়ে চলে যায় স্বপ্ন পূরী!- গল্প, -গানের আসর বসে কোন কোন ঘরে। নতুন বৌয়ের কোলে মাথা রেখে চলে বরের আলাপচারিতা। ক্লাস শেষে বৃষ্টিকে স্বগত জানায় ‘ভালবাসি’ বলতে না পারা প্রেমিক।
বৃষ্টি আসে, আসে ইলিশের মৌসুম। জেলে মাছ ধরে খোলা নদীর বুকে,- হাল ধরে মাঝি, মাল্লারা দাড় টানে সমান তালে। রোদে পুড়ে দেহ অঙ্গার, -মাঝে মাঝে বৃষ্টির ছাঁট। নদী উত্তাল, তবুও থামে থাকার উপায় নেই। বৃষ্টির মোটা ফোঁটা গুলো তুলে নিতে চাইছে কৃষকের পিঠের চাম। ঘন বৃষ্টিতে গল্প, আড্ডা বা গানের আসর নয়,- কৃষক ছুটে যায় মাঠে, জমির আল বাঁধতে হবে শক্ত করে। আটকাতে হবে পানি,-কেউবা আবর লঙ্গল ধরে। বসে থাকে না দিনমজুর। পেটের তাগিদে- নেমে পড়ে কাজের সন্ধানে। টোকাই ছেলে গুলো নিরুপায় হয়ে বসে থাকে রাস্তার বন্ধ দোকানের পাশে। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে বৃদ্ধ মতিন মিয়া,- শত বর্ষণের মাঝেও নামতে হয় তাকে রিকশা্ নিয়ে! একাত্তরে যুদ্ধ করেও মেলেনি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি!- অথচ কত অমুক্তিযোদ্ধা তার চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায় মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে। ‘এজন্যই কি যুদ্ধ করেছিলাম?’-একথাই বলে -শত মতিনদের লাখো দীর্ঘশ্বাস। অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছে, -স্বাধীন করেছে দেশকে। দেশের যুদ্ধ শেষ, শেষ হয়নি মতিন মিয়ার জীবন যুদ্ধ। জীবন যুদ্ধে আজও সে সৈনিক, -যুদ্ধ করছে অবিরাম!
বর্ষা আসে মানুষের মনেও,- আপনজন হারানোর বেদনা, কিংবা অকল্পনীয় কোন আনন্দের মুহূর্ত। প্রাকৃতিক বর্ষাকে উপভোগ করার সময় নেই- মাঝি, কৃষক, দিনমজুর, টোকাই ও মতিনদের। তাদের জীবনেই লেগে থাকে কোন না কোন বর্ষা- যেখানে, প্রাকৃতিক বর্ষা মাথা নত করে! তবুও থেমে থাকে না কোন কিছু,- সব কিছু চলে তার আপন গতিতে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
কবিতায় ছন্দের অভাব কিন্তু যে থীম নিয়ে লিখেছেন সেটি এবং কবিতার মূলভাব আমাকে এতোটাই মুগ্ধ করল যে বলতেই হছে অসাধারণ লিখেছেন। আমাদের সমাজে অবহেলিত মানুষগুলোর বৃষ্টির দিনকার রোনামচা এর অন্যান্য দিনগুলোর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। আপনাকে ধন্যবাদ এই সত্যটি কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরার জন্য।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।