টানা বর্ষনে ঘরের মধ্যে বসে ছিলাম একা। দরজা খুলতেই দেখি দাড়িয়ে আছো, ভেজা শাড়িতে দারুন লাগছিলো তোমায়! অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আমি অনেকক্ষন। তখনও বৃষ্টি হচ্ছিল, ভিজতেছিলে তুমি। ‘আর কতো ভিজতে হবে আমায়?’ তোমার কথায় শুনে বাস্তবে এলাম আমি। মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে চলে গেলে আবার। কতক্ষন দাড়িয়ে ছিলে,- কেনইবা এসছিলে সুযোগ পেলাম না জানার।
তখন তোমার ১৭ যখন,- আমি তোমাকে প্রথম দেখি। ভালো লাগা প্রথম দেখাতেই। তোমার ওই মিষ্টি হাসিটাই যেন এর জন্য বেশী দায়ী। দেখা হতো প্রতিদিন, কথা হতো না- চোখে চোখ পড়ত, নামিয়ে নিতে চোখ। পরক্ষনে মিষ্টি হাসি যেন,- মনের সব কথা বলে দিলে আমায়। সত্যিই একদিন জানালে আমাকে মনের কথা, যা ভাবিনি চমকে গেলাম আমি।– যা ভাবিনি তাই! বুঝলাম, অদৃশ্য বাঁধনে বুঝি বাধা পড়তে যাচ্ছি। জীবন সাথি করার কথা ভাবিনি, চাইনি আপন করে কাছে পেতেও। চেয়েছি ভালোবাসতে চিরদিন, অল্পতে তুষ্ট থাকতে চেয়েছি, -হারাতে চাইনি ভালোবাসা। একসাথে থেকেছি, চলেছি একসথে জীবনের বহু পথ। জানতে চাইনি মনের গভীরের ইচ্ছা, বলিনি নিজেরটাও। তবুও যেন পূর্ণতা ছিলো সব কিছুতে।
এই ভুমি ছেড়ে যাওয়াতে উৎসাহ দিলে, সাহস জোগালে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে। ছিলোনা কোন দাবি, বলোনি নিজের কথা। দিয়েছিলে প্রিয় সেই হাসি। এ মাটির বুকি ফিরে এসেছি আবার। তোমার দেখা মেলেনি,- খুজিনি তেমন করে! পাল তুলতে তুলতে যেন আমি বৈঠা ছেড়ে দিয়েছি। জীবন তরী হঠাৎ ছাউনি শূণ্য হয়ে গেল। বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে গেল তরীর শূণ্য বুক। তবুও তরীকে চলতে হলো।
আজ আমার ৭১ অনেক উচু-নিচু পথ পেরিয়ে জীবন আজ মৃত্যুর ক্ষন গুনছে। পাওয়া হয়েছে অনেক কিছু হারানোটাও কম নয়। আজ এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে একটা অস্পষ্ট চাওয়া বার বার হানা দিচ্ছে। হয়তো সেই মিষ্টি হাসি, হয়তো বৃষ্টি ভেজা সেই ভোর, হয়তোবা.....................।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
sakil
বেশ ভালো লেগেছে . লিখতে থাক . শেষ দিকে আরো ভালো লাগলো . অনেক তা আত্ম সৃতির কবিতা . শুভকামনা রইলো =আজ আমার ৭১
অনেক উচু-নিচু পথ পেরিয়ে
জীবন আজ মৃত্যুর ক্ষন গুনছে।
পাওয়া হয়েছে অনেক কিছু
হারানোটাও কম নয়।
আজ এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে
একটা অস্পষ্ট চাওয়া বার বার হানা দিচ্ছে।
//বেশ
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ডিসেম্বর ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ ডিসেম্বর, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।