হে মোর হতভাগ্য দেশমাতার গর্বিত বর্ণসংকর সন্তানেরা,তোমরা নাকি আজ বেশ বড় হয়ে গেছ?মনে পড়ে ?যেদিন প্রথম তোমাদের কান্নায় আধো আধো ধ্বনি যখন শব্দে রূপান্তরিত হয়ে তোমাদের মায়ের স্তনে ভাষায় পরিণত হয়েছিল ।সেদিন তোমাদের মায়ের শাড়ীর আঁচল তলে তোমাদেরকে খুব নিরাপদ ও স্বাধীন লেগেছিল ।সে দিন তোমাদের যেমন দুধদাঁত ছিলনা তেমনি মাড়ীর মাংসও মজবুত ছিলনা ।তবুও তোমাদের দেহে মাতৃ-অমৃত-স্তনের ধারা ছিল সুশান্ত বহমান ।সেদিন ভেবেছিলাম,তোমাদের জন্ম পৃথিবীর এমন এক পরিবারে ,যারা শ্রদ্ধা,ভালোবাসা,আত্মমর্যদা,আত্মত্যাগ ইত্যাদি দিয়ে সভ্যতা গড়েছে ,আর গভীরতর বিবেক- বুদ্ধি দিয়ে সংস্কৃতি লালন করে ।কিন্তু আমি আজ সম্পূর্ণ বিমর্ষ,লোপপাওয়া স্মৃতিশক্তি আবারও আমার মস্তিষ্কের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফাঁকা জায়গার সৃষ্টি করতেছে ।তাই হাতে কলম উঠে এসেছে সেই ফাঁকা স্থান পূরণ করার জন্য ।কিন্তু ,আমি আর কত করব ?আমারও জীবন আছে ।সবার মতো আমারও জীবনে প্রেম-ভালবাসা ,চাওয়া-পাওয়া ইত্যাদি রয়েছে ।আছে প্রিয়ার সজলঘন কাজল আঁখির ব্যাকুল দৃষ্টির মাঝে আমার দুষ্ট হাতের মিষ্টি ছোঁয়ায় সুচন্দ রসে গভীর চুমোর পর উলঙ্গ স্নানে গভীর রাত্রীতে চুলের কোপায় সন্ধ্যা মালতি গেঁথে দেওয়ার অপেক্ষা ।আমিও তো প্রিয়ার যুগ্ম স্তনে খুঁজে বেড়াই সৃষ্টি-শিকড়-রহস্য ।কিন্তু তোমরা কি কর ? সেদিনের সেই তোমরাই কিনা বিষদাঁতের আঘাতে ধর্ষণ কর নিজ মায়েদেরকে ,আর সেই ধর্ষিত প্রতিবিম্ব যখন প্রতিধ্বনিত হয়ে সৃষ্টি হয় একটি নতুর যুগের ফুলের,সেই ফুলকে ও কি তোমরা তার রূপ-রস-গন্ধ বিলাতে দিবেনা ? তাকে ফলে পরিণত হতে দিবে না ? তাকে বীজে পরিণত হতে দেবে না ? নাকি আবারও আঁধারের ভ্রমর হয়ে রাত্রি অবসান হওয়ার আগেই সেই ফুলকে তোমাদের ভোগ্যপণ্য করতে চাও ? জানি না -তোমরা কিভাবে বিবেক কে ধূলোয় পৃষ্ট করে একটি সপুষ্কক বৃক্ষকে নিজেদের হাতিহার হিসেবে ব্যবহার করতে পার ?কিন্তু,আমি তা হতে দেব না !তোমরা যা জান না তা-হল ,একটি সপুষ্কক বৃক্ষের রহস্য তার মাটির অতলে লুকায়িত ।সেখানে কি যেতে পারবে ?আমি জানতে চাইনা তোমরা এসব নোংরা কর্ম কিভাবে কর,কিংবা শিখতে ও চাইনা ।শুধু একথাই বলতে পারি-তোমাদের লিঙ্গ অর্থকোষ দিয়ে গড়া ,আর মানবীয় গুণাবলি ,শিক্ষা-সংস্কৃতি ইত্যাদি তোমাদের সভ্যতায় ধর্ষণের ঘরে কাম-লালসায় বন্ধি ।কিন্তু তোমাদের এই লুকায়িত তালা ভাঙতে যে চাবির প্রযোজন নেই ,সে কথা হয়ত জান না ।.......আমি তাই সেই চাবি-ভাঙার শক্তিকে আহ্বান করব তোমাদেরকে এই নোংরা সভ্যতা ভেঙে দিতে ।আমার মাথা ঝিম ঝিম করছে ।আমি আর পারছি না কিছুই ভাবতে ।....... ইতি- বঙ্গমাতার অনাথ সন্তান রবীন্দ্র-নাতি ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাও এই কামনা থাকলো। আর সবচেয়ে ভাল হয় অভিমান ছেড়ে নিজের পরিচয় প্রতিষ্ঠা করা। তোমার লেখনী নিয়ে আগেও ভাল লাগা জানিয়েছি এখনো তাই জানালাম। তোমার সুন্দর কবিতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।