জানি  একদিন
               পদ্মজলের বাঁকা ঢেউয়ে
                লাগবে তরি তোমার ঘাটে!
হয়ত তুমি
            থাকবে তখন ঘোমটা খোলে
            কেশের তলে  যত লজ্জ্বার হাটে!
আমার তরি
             চাইবে যত  প্রেমের লজ্জ্বায় ডুবতে,
            ঘোমটা যদি তবু থাকে আঁচল তলে মেতে,
আমার -তোমার 
                 প্রেমের তরি লজ্জ্বায় যাবে ভেসে
                 আঁকাবাঁকা ঠোঁটের  দিগন্তরেখায়
                 মায়া হাসি হেসে!
জানি একদিন
                আসবে তুমি মাটির কলস
               কাঁখে নিয়ে রঙিন আলো মেখে!
হঠাৎ তোমার
              ঘোমটা যদি খুলে যায় তুলতে
              পদ্মজল হেলে, মাটির কলস
             নরম হাতে অবুঝ তরঙ্গ দেখে!
তবে,পার করব
                স্বচ্ছ পদ্মজল  খুঁজে দিতে তোমায়          
                যদি আস বাইতে তরি বইঠা ধরে 
                 কনকলতা হাতে!
আরো দেব 
            ষোল আনা পদ্মকড়ির মালা
            গলায় তোমার নিজে গেঁথে।
জানি একদিন
               পদ্মজলের বাঁকা ঢেউয়ে 
               মাটির কলস  ডুবে যাবে।
আমার তরি
            কখনো যদি জানতে পারে তা নীরবে,
            কথা দিচ্ছি, আসব আমি সব তরিকে
           এক করতে লাজ-শরম ভুলে!
কী লজ্জ্বাবতী
             আমাকে দায়ী করবে? 
তবে, তোমার তরি
                   খোঁজতে আমি তোমায় 
                   চাইব নীরবে!
জানি একদিন
                তোমার পিতা শ্বশুর হতে ছলে
               খেয়াপারে টাকা দেবে বেশি!
আমার-তোমার 
                খেলার মাঝে শ্বাশুড়ী মা’র হাসি।
কী অন্যমনষ্ক 
                লজ্জ্বাবতী লাজুক লতায়
               অবুঝ যৌবতী কন্যা!
আমার-তোমার 
                 পিতা এক হবে জেনে
               বাজারে লেগেছে যত বন্যা!
যদি কখনো 
            তোমার হাতের সিগ্ধ পরশে 
            পদ্মলতায় যদি লাগে 
             পদ্মতরির নোক্সগর,
তবে আমি না 
              পালিয়ে খুঁজে দেব প্রেমের শেষ শিকড়।
কী লজ্জ্বাবতী
              আমাকে কি একা নামিয়ে দেবে 
              ঘোলা পদ্মজলে প্রেমের ¯œানে?
তবে তোমার
              দোষে পদ্ম লুকাবে লজ্জ্বায় যত অভিমানে।
তাহলে আমি 
              পদ্মজলে পদ্মমালা আর গাঁথব না,
             পদ¥জলে দু’জনাই ভাসব ,কেউ জানবে না।
যদি কখনো
             ভোলে একা হাত রেখে ভাসাও তরি  ,
            তবে সব পদ্ম তুলে দেব তোমার আঁচল তলে ঢেকে।
সেখান থেকে 
              পদ্মমালা গেঁথে যাব কেউ জানবে না
             পদ্মজলের প্রশ্ন শুনে লজ্জ্বা দিও না!
কী লজ্জ্বাবতী 
             প্রমাণ চাও লুকিয়ে?এ হাসিটা দেখতেই যে
             পদ্ম তুলেছি নীরবে হেসে,
তরি বেয়ে
            তোমার দীঘল কালো ছড়ানো কেশের
            আড়ালে ভেসে,
আরে বা-বা, 
           একটি পদ্মের মালা গেঁথে দেব তার প্রমাণ!
           কোথাও যদি প্রশ্ন থাকে একবার সুযোগ দাও
কথা দিচ্ছি 
          একত্রে সব করে দেব সমান।
সে-মালা কি 
             পারবে একা গলায় পরাতে?
             সব লজ্জ্বা নীরবে সহে আমায় হারাতে?
দূর বোকা     
          আমার হয়ত নেই বেনারসি তাঁত!
তাইতো আঁধারে
                 আজও খোঁজি, তোমার গুচ্ছ কেশে
                একটি রতœগড়া কালোহীরা রাত!
হয়ত তুমি
           জানতে চাইবে,সুঁই কিনতে যেতে হবে  
           তোমাকে একা রেকে পদ্মহাটে!
দূ-র বো-কা
             সব আয়োজন করেছি আমি
            পদ্মপাতায় খেলার আগে
            পদ্মদিঘির প্রেমের মাঠে!
কী  আর কষ্ট 
            আমার একটি দাঁতকে ভেঙে 
           করব এমন বর্শা!
তখন তুমি
           রক্তের ধারায় পদ্ম দেখবে
           দু’চোখে সরসা।
সেই সুবাসে 
            পদ্মপাঁপড়ি কাঁদবে হেসে
            পেতে চাইবে একটু ¯িœগ্ধ অশ্রু
           তোমাকেই তো ভালোবেসে।
জানি একদিন
               তোমায় দেখে মেঘের আঁচলে
               চাঁদের কলঙ্ক লুকাবে,
লজ্জ্বা দিয়ে 
            সব দখিনা বাতাসেতে 
            যত পাখির কলরবে 
            মনের জানালা খোলবে।
ওমা-গো-মা
             যেমন মা তার তেমনি মেয়ে!
আমার তরিকে
               দিল বেঁধে পদ্মলতায়
               দশ হাত দূর হেলিয়ে।
এমন মেয়ে 
            যদি হত পদ্মজলে সাথী আমার,
            তবে পদ্মলতা বেচেই হত
            শত তরির পাল!
আরে বা-বা
            পদ্মের সুবাসের চেয়েও তোমার মুখের সুবাস
           নাকের ডগায় কাছে পেলে সরে যায় সব আশ,
মা-গো-মা
           তোর ছেলের বধূ পদ্মলতায় খেলে
           হয়েছে কি ভাঙা লতা?
বধূ এবার 
          সত্যিই শোন,বিধাতা  স্বাক্ষী
          আর বিবাহ করব না,
তোর আঁচলে
              বাধব জীবন,তুই জানবে না।
আরে বা-বা 
            পদ্মলতায় সুন্দরী যৌবতী কন্যা
            গোপনে রেখে আঁখি
আমাকে নিয়ে  
               খেলে গেল সব করে দিয়ে ফাঁকি!
তবে শুনে যাও
                পদ্মকন্যা! আবার যদি ভাসাই তরি
                  তোমায় সঙ্গে নিয়ে,
আবারও তবে 
               পদ্মপাতায় পদ্ম তুলে পদ্মদিঘিতে 
               ঘর বাঁধব তোমাকেই  জড়িয়ে!            
                        
            
            
            
                        
            
            
                        
            
         
        
               
   
    
                    
        
        
            
            
                 ১৮ এপ্রিল  - ২০১১ 
                                        
                            গল্প/কবিতা:
                            ৪২ টি
                        
                    
            
            
         
     
    
        
বিজ্ঞপ্তি
        এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
    
    
        প্রতি মাসেই পুরস্কার
        
            বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
        
        
            লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
            
                - 
                    
                    
                        প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
                        প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
                     
- 
                    
                    
                        দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
                        প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
                     
- 
                    
                    
                        তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
                     
 
     
    
        
        বিজ্ঞপ্তি
        “নভেম্বর ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
        প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী