অভাব নাকি ক্ষুধা

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

সাইফুদ্দিন মাহমুদ
  • ১৯
  • 0
আমার নাম আব্দুল্লাহ। পেশায় অনেক কিছূ। স্বপ্ন দেখেছিলাম বড় হয়ে অনেক কিছু হব। কিন্তু সব স্বপ্ন থামিয়ে দিল দুই, তিন বর্ণের শব্দ, এক নিশ্বাসে বলা যায় "অভাব নাকি ক্ষুধা"। দুটিই বলার কারণ হল যে কোনটি আমার স্বপ্নকে থামিয়ে দিল সেটা নিয়ে সন্দেহে আছি তাই। ছোট বেলায় কোনদিন অভাবের মুখ দেখেনি যাও দেখেছি তা অল্প যাকে অভাব বলা যায় না। ছোট বেলায় টিভিতে নাটক, সিনেমায় দেখতাম অভাবের তাড়নায় পড়ে ছোট ছেলে খুন, ডাকাতি, রাহাজানি ইত্যাদি করে তখন মনে মনে কতইনা ধিক্কার ধিয়ে বলতাম অভাব আছে বলে মানুষ এত খারাব কাজ করবে? ছি!!! এটা কোন কথা হল। যখন আমি অষ্টম শ্রেণিতে টেলেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছি, সবাই আমাকে নিয়ে কত ধরনের মন্তব্য করতে লাগল। কেউ বলে ডাক্তার, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার অনেক কিছু। এক সময় আমি এস, এস, সি পরীক্ষাথর্ী তখন দেখা দিল অভাব, রেজিট্রেশন ও ফরম ফি: বাবদ অনেক গুলো টাকা আসল। তখন মায়ের এক মাত্র সম্বল হাতের চুড়ি বিক্রি করলেন। সেটা দিয়ে পরীক্ষা দিলাম। পরীক্ষা শেষ। এক সময় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন অ+ পেলাম। পরীক্ষার রেজাল্টের আগে মা বলেছিলেন, তুই যদি ভাল করে পাশ করতে পারিস তা হলে, আমি যেভাবে পারি তোকে আমি ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি করিয়ে দিব (আমার মাও শিক্ষিত)। ইন্টারমিডিয়েটেও বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলাম। কিন্তু আর পড়া লেখা হল না। চাকুরী করতে চলে এলাম অনেক দূরে। চাকুরী করি প্রায় দেড় বছর। কিন্তু হঠাৎ করে আবার মাথায় লেখাপড়ার ভুত মাথায় চাপল। চলে এলাম চাকুরী থেকে। মাকে বল্লাম পড়ালেখার জন্য আপনাদের থেকে খরচ দিতে হবে না এবং আপনাদের খরচ বাবদ আমি কিছু টাকা দিব। মাও আমাকে কিছু বল্ল না। ভাল করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিলাম, পাশাপাশি চলতে লাগল টিউশনি, কেজি স্কুলে চাকুরি। এইচ, এস, সি তে পেলাম অ+ । এবার প্রস্তুতি নিতে লাগলাম ইউনিভার্সিটি অথবা ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির জন্য। যেটার প্রতি আমার বিশেষ আগ্রহ ছিল সেটাতে ভর্তি হতে পারলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেলাম। এক সময় ইঞ্জিনিয়ারিং-এর পড়ার খরচ চালানোর জন্য চাকুরী খুঁজতে লাগলাম আমার অর্জিত সার্টিফিকেট গুলো দিয়ে। কিন্তু না কোন সুরাহা হল না। যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যাতা এস,এস,সি বা এইচ, এস, সি খুঁজে সেখানে মাষ্টার্স অথবা উচ্চ শিক্ষার সার্টিফিকেটধারী যুবক যুবতীদের আনাগোনায় সেখানে কোন সুযোগ পাইনি। থেমে গেল লেখাপড়া। আবার ভর্তি হলাম বি.এ তে এক সময় বি.এ শেষ হলেও সে সার্টিফিকেট দিয়ে কোন চাকুরী মিলেনি। একদিন বাসার ছাঁদে দাড়িয়ে আছি, মনটা খুব খারাব। বাড়ি থেকে ফোন এল টাকার জন্য। কি করব বুঝতে পারলাম না। এক সময় মন বলে উঠল- ছিড়ে ফেল সব সার্টিফিকেট!!! যে সার্টিফিকেট মাবাবার মুখে খাদ্য তুলে দিতে পারে না, পারে না ভাইবোনের মুখে হাসি ফুটাতে। কি হবে সে সার্টিফিকেটের ঝুড়ি নিয়ে? ছিড়ে ফেল্লাম সব সার্টিফিকেট। মন ভরে এক শ্বাস নিলাম আকাশের দিকে। মনটা হালকা হয়ে এল। হাটলাম সামনের দিকে জানি না এ হাটার শেষ কোথায়?
আমার লেখাপড়া, জীবনের গতি কে থামিয়ে দিল, "অভাব নাকি ক্ষুধা"?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নিলাঞ্জনা নীল নির্মম বাস্তবতা
ভালো লাগেনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
তানভীর আহমেদ ব্যক্তিগত (হতে পারে কাল্পনিক) জীবনের অবর্ণনীয় বর্ণনা এবং চরম দুঃখময় কাতরতা হৃদয়কে ভেঙ্গেচুরে ছত্রখান করে দিলো। তবে লেখার মানগত দিক থেকে বলব গল্প হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে লেখাটি ব্যর্থ। গল্পের জন্য যেসব মাল-মসল্লা লাগে সেগুলোর উপস্থিতির প্রকট অভাব রয়েছে।
ভালো লাগেনি ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মিজানুর রহমান রানা এক সময় বি.এ শেষ হলেও সে সার্টিফিকেট দিয়ে কোন চাকুরী মিলেনি। একদিন বাসার ছাঁদে দাড়িয়ে আছি, মনটা খুব খারাব। বাড়ি থেকে ফোন এল টাকার জন্য। কি করব বুঝতে পারলাম না। এক সময় মন বলে উঠল- ছিড়ে ফেল সব সার্টিফিকেট!!! যে সার্টিফিকেট মাবাবার মুখে খাদ্য তুলে দিতে পারে না, পারে না ভাইবোনের মুখে হাসি ফুটাতে। কি হবে সে সার্টিফিকেটের ঝুড়ি নিয়ে? ছিড়ে ফেল্লাম সব সার্টিফিকেট।-------------খুব ভালোই করেছ। সার্টিফিকেট অর্জন যদি লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, সে সার্টিফিকেট কোনো কাজে লাগে না॥ লেখাপড়ার উদ্দেশ্য হতে হবে জ্ঞানার্জন। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১
M.A.HALIM খুব আবেগময় বিষয়বস্তু। শুভ কামনা রইলো।
এফ, আই , জুয়েল # সমাজের শিক্ষা ব্যবস্থায় দারুন হতাশার হুতাশন সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে এই গল্পে ।।
প্রজাপতি মন অনেক কষ্ট লাগলো তোমার লিখাটা পড়ে। আর একটু ধৈর্য ধরলে হয়তো তুমি এর প্রতিদান পেতে। সার্টিফিকেট ছেঁড়া তোমার উচিৎ হয়নি। আল্লাহ তোমার মঙ্গল করুন।
ভালো লাগেনি ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১
চৌধুরী ফাহাদ অনেক কষ্ট লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে। আপনার প্রশ্নের একটিই উত্তর অভাব। আর অভাব আছে বলেই ক্ষুধার উৎপত্তি। দোয়া করি আপনি আপনার নিজ যোগ্যতায় বাবা-মা, ভাই-বোনের মুখে খাবার যেন তুলে দিতে পারেন। এরচেয়ে বেশি কিছু বলার ক্ষমতা নেই।
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১১
sakil besh লিখতে থাক , এবং আরো লিখতে থাক . কেউ কারো জীবনের গতি থামাতে পারে না , এটাকে নিয়তি বলে .
ভালো লাগেনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
সেলিনা ইসলাম উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর অধৈর্য মানুষকে অবনতির পথ দেখায় । প্রথম চাকুরিটা না ছেড়ে কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা করে গেলে এবং ডিগ্রি নিলে ঐ চাকুরীতেই প্রমোশন হতে পারত । তারচেয়ে বড় কথা পায়ের নিচে মাটি থাকত । অধ্যাবসায় আর ধৈর্যই পারে আপন লক্ষ্যে পৌছে দিতে । ......থিমটা অসাধারন তবে গল্প বলা যাবে নাম গল্পের কিছুটা আচড় বলা চলে । চেষ্টা করলে ভাল লিখতে পারবেন । আগামীতে আরও লেখা পাব সেই প্রত্যাশায় অনেক শুভকামনা । ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
অপদেবতা আরেকটু বড় হলে আরও ভাল হত ।
ভালো লাগেনি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

১১ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪