শুন্য হৃদয়

শুন্যতা (অক্টোবর ২০১৩)

এস. এম. শিহাবুর রহমান
  • ৩৬
ছোটবেলা থেকেই বেশ বন্ধুসুলভ আমি। বন্ধুদের খুব ভালোবাসি, আড্ডা দিতে পছন্দ করি।
ভালোবাসি পড়তে, লিখতে, ঘুরতে। আঁকতেও পছন্দ করতাম একসময়, কিন্তু এখন আর আঁকা হয়ে উঠেনা। স্কুল লাইফের একটা গল্প মনে পড়লো- লাবনী সাহা নামে এক মেয়ে পড়তো আমার সাথে। সে একবার আমার খাতার পিছনে আঁকা ছবি ছিড়ে নিয়ে গেলো, ভালোলেগেছে তাই। তখন আমি এইট কি নাইনে পড়ি। তারপর একদিন গেলাম ওদের বাড়ি বেড়াতে, টিনের ঘর। কাকিমা নাড়ু, মুড়ি আর কি খেতে দিলেন। খেয়ে বেরোনোর সময় দেখি আমার আঁকা সেই ছবিটা দরজার উপরে আঠা দিয়ে লাগানো! যা ভালো লেগেছিলো! কিন্তু আঁকাআঁকি তেমন আর হয়নি। তবে ছবি তুলার শখটা এখনো যায়নি। সেই ছোটবেলা থেকেই দারুন আগ্রহ আমার ছবি তোলাতে। নিজের ক্যামেরাতো হয়েছে এই কিছুদিন হলো, তার আগে এর তার ক্যামেরা ধার নিয়ে কাজ সেরেছি। আর ঘুরতে পছন্দ করি খুব। এখন কোথাও বেরোলেই সাথে ক্যামেরা থাকে।
জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই, আসলেই জীবন উপভোগ্য। জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ই উপভোগ্য বলা চলে। সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না- সবই উপভোগ করতে চাই। কিন্তু ইদানিং কোথাও যেন কিসের কমতি বোধ করছি। যখন কোথাও ঘুরতে যাই, সবার ছবি তুলে দিয়ে এক আলাদা মজা পাই। একজন মানুষকে তার ছবি তুলে দিলে যে কি খুশি হয়, সেই মজাটা আমি খুব উপভোগ করি। কিন্তু আমার ছবি ঠিকমত তুলে দেওয়ার মানুষ পাইনা বললেই চলে। কিন্তু তাতেও তেমন দুঃখ নেই, দুঃখটা যে কোথায়, ঠিক ধরতে পারিনা।
খেতে পছন্দ করি খুব। রাস্তার পাশের চটপটি ফুচকা থেকে শুরু করে দামী রেস্টুরেন্টের ফাস্টফুড। বন্ধুদের সাথে আড্ডায় খেতে ভাল্লাগে সবথেকে বেশি, কিন্তু ইদানিং যেনো আড্ডায় ভাটা পরছে। আগের মত আর ভাল্লাগেনা। আর বন্ধুরাও যেনো দূরে সরে যাচ্ছে সব একে একে।
মনে পড়ে, একটা সময় ছিলো, যখন পিকনিক করতে খুব ভালোবাসতাম। কিছুদিন পরপরই বন্ধুরা মিলে রাতের বেলায় পিকনিক করতাম। এই, কেউ জোগাড় করত চাল, কেউ ডাল, কেউবা আলু পিয়াজ, আরেকজন বলতো- আমি তেল আনবো। আবার কখনও সাথে কিছু টাকা তুলে মুরগি কিনা হতো। যদিওবা চুরি করা মুরগির টেস্টটাই লাগতো বেশি! আর মাঝে মধ্যে রাইফেল নিয়ে যদি দুই একটা বক/ঘুঘু মেরে আনতাম, তাইলেতো কথাই নেই! কিযে মজা করে রাতটা পার করতাম খাওয়া দাওয়ার মধ্য দিয়ে। ছেলেবেলার গল্পগুলো সব অতীত হয়ে গেছে, সব স্মৃতি  এখন আর পিকনিকের কথা কেউ তুলেনা... এখন আর অভাব নেই, কিন্তু পিকনিকের সেই মজাটা আর নেই। বুকটা হাহাকার করে কিসের জন্যে যেনো...
যখন একটু কলেজে পড়তাম, তাস খেলার সে যে কি নেশা ছিলো। ঘন্টার পর ঘন্টা বসে তাস খেলতাম। বেটে খেলতাম- যারা হারবে ১০+৫=১৫ টাকার চানাচুর কিনবে! কিন্তু এখন সেই মজাটা পাওয়ার জন্য আমরা কত চানাচুরের প্যাকেট নিয়ে তাস খেলতে বসেছি, কিন্তু খেলায় আর মন বসেনা। আগের সেই আনন্দ আর নেই। মন অন্য কিছুর জন্য শুন্যতায় ভোগে।
একটা সময় ছিলো, কোনোভাবে কিছু টাকা ম্যানেজ করতে পারলেই কয়েকজন মিলে কোথাও ছুটতাম। সাগর দেখতে গিয়েছি কয়েকবার, কুয়াকাটা, কক্সবাজার। ধার টার করে, কেউবা এটা সেটা বেঁচে খুব কাহিনী করে যেতাম আমরা। হোটেলে যেয়ে খেতাম শুধু নিরামিষ, কিন্তু পেতাম খুব মজা। বাড়ি থেকে অনেক কষ্টে সম্মতি আদায় করতে হত। কিন্তু এখন আর সম্মতি আদায়ের জন্য কোনোই কষ্ট হয়না, টাকারও জোগাড়েও তেমন কষ্ট না, কিন্তু সময়ই ম্যানেজ হয়না সবার একসাথে। মনও টানেনা আগের মতো। মন চায় অন্যকিছু। অন্য কাউকে... যার সাথে মনের সব কথা শেয়ার করা যাবে, যাকে ভালোবাসা যাবে। তেমন কেউ কখনআসবে???
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ভালো লাগলো । ভালো থাকুন সবখানে সবসময় ।
সূর্য জীবনে এই একই গল্পের ভেতর দিয়ে প্রায় সবাই গিয়েছি, যাবেও। সে সময়গুলোর জন্য হাহাকারটা কোন ভাবেই থামে না। সুন্দর স্মৃতিচারণ, ভালো লাগলো।
জাকিয়া জেসমিন যূথী মানব মনের সবচেয়ে বড় শুন্যতাটাই তোকে ঘিরে রয়েছে। দুঃখ করিস না। জীবনে যে আসার, সময়মতই আসবে। তুই শুধু চারপাশকে হাসিমুখে বরণ করে যা। ঐ একটা বিষয় ছাড়া বাকিস সবকিছু নিয়ে ব্যস্ত থাক, দেখবি কষ্ট লাগবেনা। গল্পটা ভালো লিখেছিস।

১০ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪