লাল জামা

মা (মে ২০১১)

বিষণ্ন সুমন
  • ৩০
  • ৫৮
ভোরের মৃদু আলো বেড়ার ফাঁক গলে ঘরে ঢুকবার ফুরসত পাচ্ছে কেবল, এমনি সময় ঘুম ভেঙ্গে গেল রাহেলার। হালকা আলো আধারীর মায়ায় আবিষ্কার করলো, বিছানায় সে একেলাই শুয়ে আছে। বশীর ঘরে নেই, ব্যাপারটা পুরোপুরি বোধগম্য হবার সাথে সাথেই লাফিয়ে বিছানা ছাড়লো। চৌকির নীচ থেকে চপ্পল জোড়া টেনে নিয়েই শশব্যাস্তভাবে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে এলো। এতটুকুন ছেলে, এতো সকালে কোথায় গেল। ওর বয়সী কোন ছেলেই এখনো ঘুম থেকে উঠেনি, এটা সে নিশ্চিত। পাশের ঘরের রহিমা বুয়ারে দেখলো দরজার চৌখাটে বসে, হাতের চেটোয় ছাই নিয়ে আঙ্গুল ঘষে দাঁত মাজছে।
"আফা আমার ফোলাডারে দেখছেন ?"
"না গো বইন । কেন কি অইছে ?"
"হেরে সহাল থন দেকতাছি না । ঘুম থাইক্যা উইট্টাই কই জানি গেছেগা। হেয় তো কহনই এমন করে না।"
"দেহ গিয়া, হয়তো হাগবার গেছে।"
"না আফা, হেয় একলা যাইবার চায় না। ডরায় । কয়, মা তুমি আমার লগে খাড়াও । আমি নিছে ফইর্যা যামুগা। কন দেহি, যে ফোলা আমারে ছাড়া কিছুই করবার ফারে না । হেয় এই সহাল বেলা কই গেল?
"দেহ গিয়া বড় রাস্তার ধারে গেছেনি।"
চিন্তাটা রাহেলার মাথাতেও খেলে গেল। তড়িৎ ওমুখো হাঁটা দিল । বড় রাস্তার পাশেই গার্মেন্টস । জানালার ফাঁক গলে লাইটের আলো এসে ভোরের মিষ্টি আলোটাকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। ক্রমশ: ফর্সা হয়ে উঠছে চারিপাশ। বস্তির অনেক মেয়েকেই দেখতে পেল পিলপিল ঘরে গার্মেন্টস থেকে বেরিয়ে আসছে। চোখে-মুখে রাত জাগার ছাপ স্পষ্ট। এরা সবাই নাইট শিফট করেছে।
"কি অইছে আফা? দৌরাও কেন?" রাহেলাকে হনহন করে যেতে দেখে পরিচিত একজন জানতে চাইলো।
"আমার বশীররে সহাল থন দেকতাছি না।"
"হেরে তো দেখলাম আমগো গার্মেন্টস এর সামনে খাড়ায়া আছে।"
উত্তরটা শুনে প্রথমটায় থতমত খেয়ে গেল রাহেলা। "কও কি, হেয় গার্মেন্টস এর সামনে গেল ক্যান ? "
"দেহ গিয়া হয়তো খাড়ায়া খাড়ায়া মাইয়া মানুষ দেখতাছে।" মুখ টেপা হাসি শোনা গেল।
কথাটা শুনে মনের মাঝে একটা স্বস্তির পরশ খেলে গেল রাহেলার। "ধুয্যা, কি যে কস্ না।" সেও হেসে ফেলল। "আইচ্ছা, আমি দেকতাছি।" তড়িৎ দিক পরিবর্তন করে গার্মেন্টস এর দিকে এগিয়ে গেল।
জানালার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে বশীর। তার পাশ দিয়ে এক দঙ্গল মেয়ে কলকল করে হেঁটে যাচ্ছে। কিন্তু সেদিকে তাকিয়ে নেই সে। ছয় বছরের একটা বাচ্চা ছেলের সেদিকে তাকিয়ে থাকবার কথাও না। আসলে সে তাকিয়ে আছে ভেতরে। জানালাটা মোটামুটি এক মাথা সমান উঁচুতে বলে তাকে ঘাড় বাঁকিয়ে রাখতে হচ্ছে। এতে তার কষ্ট হবার কথা। কিন্তু এসব কষ্টকে সে থোরাই কেয়ার করছে। তার নির্নিমেষ দৃষ্টি জানালার ফাঁক গলে ভেতরে আছড়ে পড়ছে এক অপার আনন্দ নিয়ে। তাই রাহেলা যখন তার মাথায় হাত রাখলো, তখন সে কিছুটা বিরক্ত হয়েই মুখ ফেরালো।
"কি দেহ বাপ? "
" মা দেহ, কি সুন্দর লাল জামা।" তার চোখ আবারো ভেতরে ঘুরে গেল।
ছেলের চোখ অনুসরণ করে রাহেলাও তাকালো ভেতর দিকে। সারি সারি লার রঙের টি-শার্ট হ্যাংগার থেকে ঝুলছে।
"আমারে একটা লাল জামা কিইন্যা দিবা মা ?" একরাশ আকুতি ভরা দৃষ্টি নিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো বশীর।
বুকের ভেতর কেমন একটা নাড়া খেয়ে গেল রাহেলার। ছেলের তেল চিটচিটে জামাটার দিকে তাকালো। রঙ জ্বলে ওটার সাদা জমিন বাদামী হয়ে গেছে। এখানে ওখানে ছেড়া-ফোড়া কালো ছিদ্রগুলো যেন ওর চাহিদাটাকে সর্ব দলীয়ভাবে সম্মতি জানাচ্ছে।
"আইচ্ছা বাবা দিমু, তোমারে আইজ'ই একটা লাল জামা কিইন্যা দিমু।" ছেলেকে পরম মমতায় বুকে টেনে নিল সে।
"আফা আমারে দুইশ ট্যাহা দেবেন ?"
ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাবার জন্য বেরিয়ে যেতে উদ্যত সেলিনা বুয়ার কথায় থমকে দাঁড়ালো। "বল কি বুয়া, সেদিনও তো পাঁচশ টাকা নিলে।" ব্যাগ থেকে মোবাইল বের করে সময় দেখলো। কিছুটা বিরক্ত। "তোমার তো এ মাসের বেতনের টাকা পুরোটাই এডভান্স নিয়ে ফেলেছো। এভাবে নিলে তো আগামী মাসে চলার জন্য কিছুই থাকবে না তোমার।"
"কি করুম আফা, আফনে তো সবি জানেন। ফোলার বাফের তো কোন কামাই নাই। আমি যেডা নেই, এইডাও জুয়া খেইল্যা, আর এইডা-ওইডা খায়া নষ্ট কইরা ফালায়।"
"দাও কেন? তুমি না দিলেই পারো।"
"দেই কি আর সাধে। না দিলে মারে যে। এদ্দুর একটা ফোলা। হেইডারেও মাইরা রাহে না। নিজের মাইর সইয্য করবার পারি। কিন্তু, ফোলাডার কষ্ট সহ্য হয় না।"
"এমন জামাইয়ের ঘর না করলেই পারো।"
"ঘর তো করিই না। হেয় তো আমার লগে তাহেই না। মাজে-মদ্যে আহে, যহন টেহার দরহার অয়। তারফরেও ছাড়বার ফারি না। মাইনসে মন্দ কইবো দেইখ্যা। জোয়ান বয়স, জামাই নাই জানবার পারলে হেয়াল-কুত্তায় ছিইড়্যা খাইবো আমারে।"
নির্মম বাস্তবটা ঠাহর করতে পারলেন সেলিনা। "হুমম, তাও ঠিক বলেছো। কিন্তু আমার কাছে তো এখন তেমন টাকা নেই। দেখি তোমার ভাইকে বলে।"
"এই শুনছো, তোমার কাছে দুইশ টাকা হবে ?" বাথরুমের বন্ধ দরজার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে জানতে চাইলো ।
"কেন ?" ভেতরে তার স্বামী গোসল করছিল। একটু পরেই অফিস চলে যাবে সে। সেও সমানাতালে চিৎকার করে জিজ্ঞেস করলো।
"বুয়ার খুব দরকার ।"
"ঠিক আছে দেখছি। আগে তো বের হয়েনি।"
"ওকে, দেখ দিতে পারো কিনা। আমি বাবুকে নিয়ে স্কুলে গেলাম।" রাহেলার দিকে ফিরে বললো। "তোমার ভাইকে বলে দিয়েছি। টাকার ব্যবস্থা হয়ে যাবে। তুমি দরোজাটা লাগিয়ে দাও।" ছেলের হাত ধরে বেরিয়ে গেল সেলিনা।
বদ্ধ দরোজায় পিঠ ঠেকিয়ে খুশীতে কাঁপতে লাগলো রাহেলা। বশীরের জন্য একটা লাল জামা কিনতে পারার স্বপ্নে তার বুকের ভেতরটা কলকলিয়ে উঠলো। চোখ বন্ধ করে সেই স্বপ্নের আবেশ ছড়িয়ে দিতে লাগলো তার অনুভূতিতে। সহসা কড়া পারফিউমের গন্ধ তার নাকে এসে আঘাত করায় চোখ মেললো। একটা পুরুষালী নগ্ন শরীর তার দিকে চেপে আসছে দেখে আর্ত চিৎকার করে উঠলো, "নাহ ভাইজান না"।
একটা শক্ত হাত চেপে ধরলো তার মুখ। সর্বশক্তিতে ঠেলে মানুষটাকে সরিয়ে দেবার একটা ব্যর্থ চেষ্টা চালালো রাহেলা। কিন্তু কিছুতেই পেরে উঠলো না। আগ্রাসী আগুনের মত তার নরোম দুর্বল শরীরটাকে ঢেকে নিল মানূষটার নগ্ন শরীর।
"ক্ষতি কি । এর জন্য তুমি টাকা পাবে। তোমার দরকার টাকা। আর আমার দরকার তোমাকে।" ফিস ফিস করে বললো সে।
কথাটা কানের ভেতর একটা ভিন্নতর গুঞ্জন তুললো। ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে গেল রাহেলা। এক লহমার জন্য বশীরের নিষ্পাপ মুখটা ভেসে উঠলো চোখের তারায়। পরক্ষণেই একটা জলজ্যান্ত মুখের আড়ালে হারিয়ে গেল ওটার উপস্থিতি।
প্রতি বারের মত আজো গলির মাথায় দাড়িয়ে আছে রমজান। এক নাগাড়ে বিড়ি ফুঁকছে আর থেমে থেমে কাশছে। সে জানে এই কাশির অন্যরকম একটা মানে আছে। এর জন্য দায়ী সে নিজেই। আজে-বাজে এটা-সেটা খেয়ে শরীরের বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে। ফলশ্রুতিতে মরণব্যাধি যক্ষা বাসা বেধেছে শরীরে। বাঁচতে হলে চিকিৎসা নিতে হবে। এজন্য টাকা দরকার। আর টাকার জন্য দরকার রাহেলাকে। সে জানে এই পথ দিয়েই কাজ সেরে বস্তিতে ফিরবে রাহেলা। তাই অপেক্ষা করছে সে। পঞ্চম বিড়িটা ধরাতে যাবে, এমনি সময় দেখতে পেল রাহেলাকে। পা টেনে টেনে কেমন উদভ্রান্তের মত হেঁটে আসছে। এমনকি অন্য দিন তাকে দেখে যেমন হচকচিয়ে যায়, আজ তাও হলো না। চোখের সামনে ওকে দেখতে পেয়েও মনে হলো দেখতে পায়নি। বাধ্য হয়েই সে রাহেলার একদম সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তার হাত টেনে ধরলো। মুহুর্তেই আবিস্কার করলো, ওর মুষ্টিবদ্ধ হাতের ভেতর কি যেন মচমচ করে উঠলো।
তড়িৎ হাতটা টেনে নিল রাহেলা। "না আমি দিমুনা। এই ট্যাহা আমি তোমারে কিছুতেই নিতে দিমুনা।" সর্পিনীর মত ফুঁসে উঠলো সে।
"হারামজাদী কস্ কি? দিবি না ? তোর বাপে দিব।" বামহাতে রাহেলার চুলের মুঠি টেনে ধরলো রমজান। নিজেকে ছাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠলো রাহেলা। সেও শক্ত হাতে রমজানের কব্জী চেপে ধরলো। এই সুযোগে তার মুষ্টির ভেতর আঙুল ঢুকিয়ে মোচড়ানো টাকাগুলো বের করে নিল রমজান। টাকাগুলো হাতে পেয়েই খুশীতে চকচক করে উঠলো ওর চোখ। চুল ছেড়ে দিল সে।
"যা ছাইড়া দিলাম আইজ।" লোক জন এগিয়ে আসছে দেখে রাহেলার কাছ থেকে দ্রুত সরে গেল। ওর পলায়নপর শরীরের দিকে তাকিয়ে হু হু করে কেঁদে ফেললো রাহেলা।
সকাল থেকে বড় রাস্তার ধারে এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে আছে বশীর। দুপুরে খায়ওনি কিছু। যদিও মা কাজে যাবার আগে তার জন্য খাবার রেখে গিয়েছিল, কিন্তু, তার খেতে ইচ্ছে করেনি। এক অজানা উত্তেজনায়, এক নতুন স্বপ্নে বিভোর তার কচি মন অন্য এক ক্ষুধায় ব্যতিব্যাস্ত। মা, তার জন্য লাল জামা নিয়ে আসবে। এই এক খুশীতে তার অন্য সব ক্ষুধাও গৌণ হয়ে গেছে। তাই সে না খেয়ে মায়ের অপেক্ষায় এখানে দাঁড়িয়ে আছে। সে জানে আর কিছুক্ষণ বাদেই তার মা চলে আসবে।
অবশেষে বশীর যখন তার মাকে দেখতে পেল, তখন রাহেলা সবে এসে রাস্তার অপর পাড়ে দাঁড়িয়েছে। মাকে দেখেই আনন্দে তার বুকের ভেতরটা লাফিয়ে উঠলো। ততক্ষণে রাহেলাও বশীরকে দেখতে পেয়েছে। কিন্তু কোন মুখ নিয়ে ছেলের সামনে যাবে, এসব ভেবেই মুর্তিবৎ দাঁড়িয়ে রইলো সে। কিন্তু, এই দাঁড়িয়ে থাকাটা আর সহ্য হলো না বশীরের। সহসা কিছু না ভেবেই রাস্তার অপর পাড়ের উদ্দেশ্যে দৌড় লাগালো।
দৃশ্যটা দেখতে পেল রাহেলাও। বশীর সবে মাত্র রাস্তার অর্ধেকটা এসেছে, তখনি একটা দ্রতগামী কার এসে উল্কার বেগে আঘাত করলো তাকে। ছিটকে এসে ওর ছোট্ট দেহটা আছড়ে পড়লো রাস্তার এ পাড়ে। প্রায় লাফিয়ে রাস্তায় নামলো রাহেলা। অদূরেই পরে থাকা বশীরের শরীরটা তখনো ডাঙায় তোলা মাছের মত খাবি খাচ্ছে। পথচারীরা কয়েকজন দ্রুত এগিয়ে এলো। তাদের ঠেলে সবার আগে পেঁৗছুলো রাহেলা। অবাক হয়ে খেয়াল করলো, কি এক যাদু মন্ত্র বলে বশীরের তেল চিটচিটে সাদা জামাটা ধীরে ধীরে লাল হয়ে যাচ্ছে । বশীরের রক্তাক্ত দেহটা বুকে চেপে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো রাহেলা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রওশন জাহান যে যা বলুক , আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে. গল্পটির আবেশ রয়ে গেছে অনেকক্ষণ ধরে. লেখার দুর্বলতা খুজতে যাওয়া আমার জন্য এখন অসম্ভব.
এফ, আই , জুয়েল অভিমানের আবডালে রহস্যের কিনারে ।
ওবায়েদ সামস ভালো.তবে গল্পটা চেনা চেনা লাগছে.
সূর্য সুন্দর গল্প। তবে এরচে অনেক ভাল লেখ তুমি...........
খন্দকার নাহিদ হোসেন ভাল লাগলো কারণ সত্য বয়ান। আর গল্পটা পড়তে পড়তে বিরক্ত হইনি। অনেকের-ই গল্প সুন্দর হয় কিন্তু গল্পটা এত বড় করে যে গল্পের আকর্ষণটুকু আর থাকেনা। আপনার গল্পটা সে জায়গাটুকু উতরে গেছে। ৫-ই পেলেন।
মা'র চোখে অশ্রু যখন বুঝলাম না আমার মন্তব গুলো কাটা কেন ?
রাজিয়া সুলতানা ভাইয়া ,অনেক বাস্তবধর্মী একটা লেখা ,তবে পরিসমাপ্তি টা এমন না হলেই ভালো হত..
খোরশেদুল আলম আমাদের সামাজের গরীব লোকদের মাঝে ঘটেযাওয়া অনেক ঘটনার মধ্যে বাস্তব চরিত্রের একটি চিত্র যা আপনি লেখনির মধ্য তুলে ধরেছেন, ছোট হলেও আপনার লেখা খুব ভালো হয়েছে।
সোশাসি বিশেষ করে নামটা আমার পছন্দ হইছে ভাইয়া

২৪ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৭০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪