মাতৃত্ব

মা (মে ২০১১)

লুৎফর রায়হান
  • 0
  • ৯৬
বাড়িটার সবচেয়ে বড় সুবিধা গ্রিলের কাছে বারান্দায় দাঁড়ালে ঢিল ছোড়া দূরত্বে পুকুরটি স্পষ্ট দেখা যায়---শেওলা ভর্তি পুকুর। পানি থাকলেও তা ব্যবহারের চেয়ে পড়ে থাকেই বেশি। শেওলার পাশ কেটে দু'একটি লালপদ্ম মাথা নেড়ে পুকুরের শোভা বর্ধন করেছে। আর মাঝে-মাঝে পুকুর পাড়ে দু'একজন গভীর মনোযোগের সাথে ছিপ ফেলে বসে থাকতে দেখা যায় দীর্ঘক্ষণ। যাবার সময় ঐ ছিপ আর টোপ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশেই পুকুরটি। পুকুর থেকে অল্প দূরত্বে রেহনুমার বাসা। রাস্তার লোকারণ্যের শব্দ বাসা পর্যন্ত তেমন আসে না,তবে গাড়ির হর্ন বাজানোর শব্দ নৈমিত্তিক শোনা যায় ঘর থেকে।
এমনিতে গরমের দিন । ভ্যাপসা গরমে ঘরে থাকা নিতান্তই কষ্টের,তার উপর ফ্যান না ঘুরলে বিরক্তি কত লাগে তা সহজে অনুমেয়। গ্রিলের কাছে বারান্দায় দাঁড়ালে একটু শিরশির বাতাস লাগে,হালকা-হালকা বাতাস তাপদাহের শরীরে কিঞ্চিৎ হলেও পরশ বুলিয়ে দেয় আরামের-শ্রান্তির। রেহনুমা তাই গরমের মধ্যে একটু তৃপ্তির খোঁজে এই গ্রিলের কাছে বারান্দায় হেলানো চেয়ারে এসে বসে। চেয়ারে দুলতে-দুলতে অনুভব করেন চোখের অদূরেই প্যাঁ-প্যাঁ করতে-করতে ছুটে যাওয়া গাড়িগুলোকে। দেখতে থাকেন দু'চোখ ভরে গতির জীবন। মানুষের যান্ত্রিক জীবনের গতি কতই না গতিময়.. মূল বেদি থেকে বিচ্যুত হয়ে গতিতে চলা জীবন।
শিরশিরে বাতাসে রেহনুমা আরাম বোধ করছিল। তাই বারবার চেয়ারে দুলনি দিচ্ছে। শিরশির বাতাস লেগে পুকুরের লালপদ্মের ডাটাগুলোও টা-টা জানাচ্ছে থেমে-থেমে । শ্যাওলাগুলো একেকদিকে ঠেস দিচ্ছে আবার সরে আসছে যেমন ছিল। পুকুর পাড়ে দীর্ঘক্ষণ থেকে হাফপ্যান্ট আর মাথায় ঝুপড়ি টুপি পড়া এক ভদ্রলোক গোছের লোক বসে আছে। তার উন্মুখ প্রতীক্ষার দৃষ্টি ছিপের টোপের দিকে-কখন ঢুববে আর সে টান মেরে তুলবে বড় একটা----
চেয়ারে দুলতে রেহনুমা চোখ পড়ে তার বিবাহ ক্ষণে তোলা ছবিগুলোর দিকে। কত নম্র,মার্জিত,প্রাণপূর্ণ ধ্রুব কয়েকটা ছবি। ছবিগুলো যেন কত কথা বলে-বলে রেহনুমার সাথে হামিদ শেখের প্রথম দেখার । তাদের কত খুনসুটি,মান-অভিমানের কথা যেন এ ছবিগুলো। তার বাবা-মায়ের অশ্রু ভরা বিদায় যেন এ ছবিগুলো। নতুন জীবনের যাত্রা বহরের সন্ধিক্ষণ মুহূর্ত যেন ছবিগুলো। ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে রেহনুমা তার বিয়ের দিনের কিছু কথা ভাবে- মুচকি হাসি লুকোচুরি খেলে ওষ্ঠ যুগলে। বিয়ের তিনটে বছর হয়ে গেল অথচ বিয়ের সময়ের স্মৃতিগুলো তার কাছে যেন কল্পনায় দেয়ালে আঁকা ছবির মতো। আলপনার মতো,চোখ খুললেই চোখে পড়ে। তৃপ্তি আর অনবদ্য এক রোমাঞ্চকর মুহূর্তের প্রবেশ করায় তাকে। কি যন্ত্রণায় না ফেলে দিয়েছিল হামিদ শেখকে।
হামিদ সাহিত্য এম,এ। শরৎ বাবু,আজিজুল,আখতারুজ্জামান এবং ওয়ালীউল্লার রচনা তার প্রায় মগজে খেলা করে। সাহিত্যিক মানুষ রসবোধ তাই বোধ হয় একটু বেশি। সহজে রাগ করে না। বেশ শান্ত-শিষ্ট ভাল মন্দের বিচার বিশ্লেষণেও তার জুড়ি নেই। রেহনুমার স্বামী হামিদ শেখ । বিয়ের সময় গেট পার হওয়া নিয়ে কি না দলাদলি হল। মাঝরাত থেকে ফজরের আযান পর্যন্ত বেচারা বরকে রাখা হল ঠাণ্ডায় বসিয়ে। বেশি কিছু নিয়ে বাঁধেনি -কনেপক্ষের শালিদের সাথে মজা করার জন্যই মনে হয় বরপক্ষের যাত্রীরা খোঁটাখুঁটিতে লেগেছিল। এত করেও যখন বিয়ে পড়াতে বসা হল,তখনও দশনিয়ে বেঁধে গেল আরেক শোরগোল-মসজিদ,মাদ্রাসা আর কাজীর টাকা নিয়ে। কনেপক্ষের একজন যদি বলে এ আমাদের এলাকায় নেই। বরপক্ষের আরেকজন বলে উঠে, কোন যে মরুভূমিতে বিয়ে করতে আসলাম।এসব আরও নানান কীর্তি-কারখানা।
অবশেষে কবুল হল। কলমার টান পড়ল। দোয়া-মিষ্টি বিতরণ হল। শেষে বর উঠতে যাবে দেখা গেল বরের জুতা নেই। তখন তো বরযাত্রীরা রেগেই খুন। আস্ফালন কম করল না বরযাত্রীরা। অবশেষে জুতাচোর সালার দাবি বেশ কিছু টাকা দিয়েই পূর্ণ করল হামিদ । আইওরাও কম ঘায়েল করেনি বরকে। বউকে লুকিয়ে রেখে রীতিমত নাকের পানি ফেলে ছেড়েছে বরের। পরে বরের অনেক-অনুরোধ-প্রবোধ -দাদি শাশুড়ির সাথে সমঝোতায় হামিদ শেখ ফিরে পায় স্বপ্নের রাজকন্যা।
ছবিটা যেন বাস্তব হয়েই কথা বলছিল রেহনুমার সাথে। ছবিটার দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে হাত রাখে তার বেড়ে যাওয়া নামা পেটের উপর। অনুভব করে একজনের দেহে আরেকজনের বাসকে। এক খাঁচায় দুটি জীবন কিভাবে থাকে তার নিগূঢ় রহস্যকে । তার চোখ দু'টো স্বপ্নে বিভোর হয়ে উঠে রৌদ্রোজ্বল দিনের মতো। মনের গভীরে ভরাট আশা কুল ছাপিয়ে যায়। প্রথম বারের মতো মা হতে যাচ্ছে রেহনুমা। তার চোখ আর অদূরে থাকা পদ্মফুল যেন নড়ে উঠে মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষায়।
মাতৃত্বের মোহ রেহনুমা বিয়ের পর থেকেই আচ্ছন্ন করে রেখেছিল। মাতৃত্বের ছায়া নারীর যে বড়ই অহংকারের-আভিজাত্যের। স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনের অটুক সম্পর্ক যে সন্তানের পবিত্র মুখের মায়াতেই বাধা। সন্তানের আবোল-আবোল হাসি আর খাপছাড়া উলু-ইলু কথা পিতা-মাতার জীবনকে করে আতি উদ্বেলিত, করে মোহিত। দাম্পত্য জীবনকে করে অত্যন্ত মধুর,জোরালো,বিশ্বাসময়। রেহনুমার জন্মের সময় তার পিতা-মাতা কী কম করেছিল। কী খুশিতেই না আত্মহারা হয়েছিল তারা। পুরো গ্রাম মিষ্টি খাইয়েছিল। তাতেও হলনা, গ্রাম্যসকল জাঁকিয়ে ধরল হাফিজ মিয়াকে । কয়েকদিন পর একটা খাসি জবাই করে বিলিয়ে দিয়েছিল হাফিজ মিয়া । নানা-নানী, মামা-মামী,চাচা-চাচী,পাড়া-পড়শি কতই না খুশি হয়েছিল রেহনুমার জন্মের সময়। সেই রেহনুমাই আজ সন্তানের মা হতে যাচ্ছে।
রেহনুমা চেয়ার ছেড়ে ঘরে আসে। দু'টো রুম । রেহনুমার স্বামী কলেজে বাংলায় পড়ায় আর রেহনুমা পড়ায় হাইস্কুলে ইতিহাস। দুটো রুম নিয়েই ভাড়া থাকে । একটি কক্ষে তারা থাকে আর অন্য ঘরটি সাজিয়ে তোলা হয়েছে অনাগত সন্তানের জন্য। সাদা চুনকাম করা পাকা মেঝের ঘরটাতে কত না খেলনার সম্ভার,জাহাজ-নৌকা-পুতুল-মাইক্রো-বড়বাস,মিনিবাস-রেলগাড়িসহ হরেক রকমের খেলনা । ঘরটার পরতে-পরতে যেন শিশুর স্পর্শ ছড়িয়ে রেখেছে রেহনুমা। ঘরের দেয়ালে টাঙানো শিশুর নানান রকমের ছবি। কোন ছবিতে শিশু বসে আছে,কোন ছবিতে একটা খেলনা নিয়ে, কোন ছবিতে দাঁড়িয়ে নুনু ধরে হিসু করছে,কোন ছবিতে ঘুমিয়ে পড়েছে আর কোন ছবিতে মা আদর করে গাঁ বুলিয়ে দিচ্ছে। ছবিগুলোর সাথে যেন নিতান্ত সম্পর্ক রেহনুমার। মাতৃ ছুটির পর থেকেই তার এই দুই ঘরে যাতায়াত আর গ্রিলের কাছে বারান্দায়। বারান্দায় গিয়ে সন্তানের জন্য প্রাণ খুলে নেয় প্রাণচ্ছোলপূর্ণ বাতাস আর ঘরের এই ক্ষুদ্র সংগ্রহ শালার ছবিতে আঁকেন গর্ভের সোনামণির জন্য নানান ধরনের কল্পনার মুহূর্ত। এই ঘরেই তার সোনামণি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে। একবার দৌড়াবে,একবার ডিগবাজি খাবে,দৌড়ে এসে লাফ দিয়ে গায়ে পড়বে,কান্না করবে,বায়না ধরবে,চিৎকার-চেঁচামেচি করবে,পুরো সময় রাখবে হইহুল্লোড়ে। রেহনুমা মনের সাদা প্যাডে কল্পনার তুলি দিয়ে আঁকে এরকম নানা স্বপ্নের কাব্যিক ছবি। রেহনুমা আ শব্দ করে পেটে হাত দেয়। ব্যথা লাগলে শোবার ঘরে গিয়ে বসে পড়ে। তার গর্ভে যেখানে তার মানিক আছে তা একটু নড়ে উঠে। কচি হাত-পা নিতান্ত ধীরে আলগা দেয়। রেহনুমা অনুভব করে তীব্র ব্যথা,যা গর্বের,তৃপ্তির,মাতৃত্বের পরশের। মনে হয় খামছা দিয়ে ধরেছে খুকুমণি। প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসে নড়ে-চড়ে উঠছে তার বুকের ধন। সে তার নরম হাতের মায়ার স্পর্শ বুলিয়ে দেয়। থেমে যায় নড়াচড়া,দোলা দুলি,খামছা-খামছি। আদর করে হাত দিয়ে ফুঁপিয়ে-ফুঁপিয়ে উঠা মানিককে। গর্ভের সোনামণি মনে হয় খুব দুষ্টু ও বেয়াড়া। আদরের সঙ্গে-সঙ্গে মানিয়ে যায় বেশ। সময়ে-অসময়ে নড়েচড়ে উঠে। মাতৃত্বের জৌলুসকে প্রসারিত করে সোনামণি। রেহনুমা যখন একটু ভুলে যায় তখনই সাড়াশব্দ করে বুঝিয়ে দেয় মা-মণি আছি তোমার সাথে-একটু আদর করনা,একটু পরশ বুলিয়ে দাওনা তোমার স্নেহের হাতের,একটু বসে সময় দাওনা আমাকে,আমি তো তোমার বুকের ধন সোনামণি,হাজার মানিকের মানিক,তোমার মাতৃত্বের বিশাল আকাশে একমাত্র নক্ষত্র-প্লিজ আম্মু একটু আদর করে দাও তাহলে নিদ যাব। রেহনুমা তাই বসে পড়ে। নিজের কষ্টটুকু ম্রিয়মাণ করে সন্তানের জায়গা প্রশস্ত করে দেয়। হাতের সবুজ পরশ গর্ভের সোনামণিকে আদর করে দেয়। স্নেহ-ভালবাসার স্পর্শে সন্তানকে লালন করে রক্তের সুখাদ্য দিয়ে।
রেহনুমার মাঝে-মাঝে ভয় হয়। নানান কথা ভেবে গা শিউরে উঠে। প্রথম মা হচ্ছে তাই বুঝি চিন্তার জায়গাটা একটু বেশি ভারী। কত কু-চিন্তা,দুশ্চিন্তা আসে তার মাথায়। হাজার খানেক চিন্তা তাড়িয়ে বেড়ায় তাকে। একদিকে মা হওয়ার গৌরববোধ যেমন ভাসিয়ে নিয়ে বেড়ায়। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হয়। মা হতে পাওয়ার আনন্দ প্রচুর তেষ্টায় পিপাসার্ত করে। অন্যদিকে দুশ্চিন্তাগুলো তাড়ায় ক্ষণে-ক্ষণে। রেহনুমার পাশের বাড়ির এক দম্পতি। তাদের কথা ভেবে সে খুব কষ্ট পায়। বেচারা অনেক চেষ্টা করেও সন্তান নিতে পারছে না। তার সবচেয়ে ভয় লাগে তার খালা মুন্নীর কথা ভেবে। তারই সমবয়সী মুন্নীর বাচ্চা প্রসবের সময় মারা যায়। কি না কষ্ট পেয়েছিল সে হলুদ মুখশ্রী খালা বিয়োগে। তার এক দুর সম্পর্কের জা-র কথা ভেবেও সে কম চিন্তা করে না। দুখিনীর এমনিতে সন্তান নেই-নেই। যখন সন্তান আসল-তাও আবার জন্মের পর মৃত। এরকম নানান চিন্তা-ভাবনা কখনো প্রত্যুষে,কখনো মধ্যাহ্নে,কখনো অপরাহ্ণে বা কখনো শান্ত রাতের রুপালী চাঁদের বদনে তিলক পড়ায় বিমর্ষের।

মাতৃ ছুটির পর থেকে রেহনুমার মা বাসায় থাকে। মেয়ের যাবতীয় সুবিধা-অসুবিধার দেখাশুনা করে। চাকরির জন্য গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেনি। তাছাড়া চলে গেলে স্বামীর দেখভাল করবে কে। আবিদের মা মাঝে-মাঝে আসে। ভাল-ভাল খাবার রান্না করে খাইয়ে যায় ছেলে-পুত্রবধূ আর বংশের প্রদীপ নাতিকে । রেহনুমার মা দু'দিন হয় বাড়িতে গেছে আজকে রাতে ফিরবে বলে ফোন করেছে। রেহনুমা আবার গ্রিলের কাছে যায়। ইজি চেয়ারে বসে তাকিয়ে থাকে প্যাঁ-পোঁ করতে-করতে ছুটে চলা গাড়ি আর পুকুরটায় ভেসে থাকা শাপলা ফুলের দিকে।
সন্তান নিয়ে কম তর্ক হয় না হামিদের সাথে রেহনুমার । কলেজ থেকে ফিরে বাড়িতে এসেই ব্যস্ত হয়ে পড়ে স্ত্রীর দেখাশুনায়। ডাক্তারি চেকআপে ঠিকঠাক করেছে তারা। একটা বিশেষ পদ্ধতিতে সন্তান ছেলে হবে না মেয়ে হবে জানা গেলেও তারা তা করায় নি। হামিদের কথা একটাই , আগেই যদি সব জানলাম উৎসাহ থাকে কোথায়। আগ্রহ আর উদগ্র দৃষ্টি থাকেনা আঁতুড়ঘরের দিকে। দাঁই কি খবর দেয় তার দিকে।
তাই তর্কটা বেশ জমে দু'জনার ।
হবু পিতার বুক ভরা আশা মেয়ে হবে। মেয়েকে রবীন্দ্র সংগীত শেখাবেন,নাচের স্কুলে ভর্তি করে দিবেন,গানের ওস্তাদ জীর কাছে গান শেখাবেন,ভায়োলিন আর হারমোনিয়াম বাজা শেখাবেন মেয়েকে। নানা স্বপ্নে বিভোর পিতা নানান চিত্র আঁকে মেয়েকে নিয়ে । নানান বই মেয়ের জন্য তাঁকে শোভা পায়-লুৎফর রহমান রিটন,দাদাভাই,জাফর ইকবাল আরও কত শিশুতোষ বই।
রেহনুমার স্বপ্ন ছেলে হবে-নাম রাখবে রেহমান হামিদ। সন্তানকে নিয়ে রেহনুমার স্বপ্ন আকাশছোঁয়া নয়। নিতান্ত মায়ের স্বপ্ন । আর আট-দশ জন মায়েদের মতো । সন্তান বড় হবে। বড় মানুষ হবে। তবে খাড়াখাড়ি বড় না হয়ে আড়াআড়ি হবে। সাহিত্য,ইতিহাস,বিজ্ঞান আর নৈতিকতার শিক্ষা থাকবে । সন্তান পরোপকারী অন্যের হিতাকাঙ্ক্ষী হবে। আদর্শিক ও ন্যায়নীতিবান হবে,দেশকে ভালবাসবে। রেহনুমা চায় সে আদর্শ সন্তানের মা হবে। সমাজের নানান রোগ থেকে তার ছেলে হেফাজত থাকবে। মানুষের মতো মানুষ হবে তার ছেলে।
এরকম নানান স্বপ্নে স্বপ্ন বুনেন এই দম্পতি। যাদের চোখ জুড়ে সন্তানের আকুল তৃঞ্চা । নির্লিপ্ত -পবিত্র স্বপ্নের দূরত্ব দিগন্তরেখায় মিশে যায়। যে দৃষ্টির শেষ নেই, অসীম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আহমাদ মুকুল ভাল গল্প। শুধু ফর্মেট ঠিক করাতেই নয়, আলোচনায়ও লেখকের উদাসীনতা লক্ষ্যনীয়। পাঠক সমাগমের জন্য লেখকের স্বতস্ফূর্ততা খুব জরুরী।
শিশির সিক্ত পল্লব খুব সুন্দর একটা গল্প....ধন্যবাদ বন্ধু...এভাবে লিখে যেতে পারলে তুমি অনেক বড় মাপের সাহিত্যিক হতে পারবে...
সূর্য গল্পটা খুব সুন্দর। ছোট গল্প হিসাবে স্বার্থক। মাঝে মাঝে অবাক লাগে ২০/২২বছর বয়সীরা এত সুন্দর লিখে কিভাবে। সবারই লেখা জমা দেয়ার সময় গল্প না কবিতা সেটা সিলেক্ট করতে সময় ভুল হলো কিনা দেখা। এমনই ভুলে হয়তো এটা কবিতায় চলে এসেছে লেখকের জন্য শুভ কামনা থাকলো আগামীতে ভাল ভাল লেখার জন্য।
sakil এত সুন্দর একটা গল্প কিন্তু পাঠক নাই . কেন এমন হচ্ছে বলা যাচ্ছে না . আপনি থামবেন না ভাই লিখতে থাকেন নিয়মিত .
বিন আরফান. বানান ভুল চোখে পড়ল. শব্দ চয়ন কিছুটা বেমানান. না গল্প না প্রবন্ধ মনে হলো. তবে যেহেতু উচ্ছ মাত্রার শব্দ ব্যবহার পরিলক্ষিত সেহেতু আপনাকে দিয়ে হবে. চালিয়ে যান. শুভ কামনা রইল. আর বাস্তব বড় নির্মম. আমরা যা চাই তা কয় জনে পাই ? ভরসা এই যে একদিন সমাজে আদর্শ সন্তানদের বিচরণ ঘটবে. সমাজ হবে সুন্দর আর উন্নত চরিত্রের সন্তান দ্বারা গঠিত. " সাহিত্য,ইতিহাস,বিজ্ঞান আর নৈতিকতার শিক্ষা থাকবে । সন্তান পরোপকারী অন্যের হিতাকাঙ্ক্ষী হবে। আদর্শিক ও ন্যায়নীতিবান হবে,দেশকে ভালবাসবে।" এই চরণটি অসাধারণ.
ঝরা পাঠকেরা কই?
ঝরা লিখাটি খুবই সুন্দর গুছানো অনেক সাহিত্যিক কিন্তু গল্পটি যেন অসম্পূর্ণ মাত্র সুর হলো শেষ টুকু নাই
এস, এম, ফজলুল হাসান অনেক ভালো গল্প , ধন্যবাদ আপনাকে

০৮ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪