অসহায় মা দিতে পারছেনা শিশুকে খেতে দুধ ঋণে ভিটে-মাটি শেষ হয়েছে সেই কবেই; এখন রক্ত ও যেন হয়েছে সুদ!
পাত্র দেখে ভালো জেনেই বাবা-মা দিয়েছিলেন বিয়ে আজ যদি বাবা-মা দেখতেন এই সংসার; দেখতে পেতেন কী হালেই না রয়েছে তার মেয়ে!
সন্তান এলো পেটে আর স্বামী ধরল মদ করিমুন্নেসা চিন্তায় চিমসে গেল, পাল্টে গেল তার জগত।
পাশের বাড়ির ছবির মা এগিয়ে এলো, তার এই দুর্দিনে---- করতে বলল সমিতি, করল সে-ই সব কিছু। করিমুন্নেসা ও মেনে নিয়েছিল সব, শুধুই সংসার বাঁচিয়ে রাখার তাগিদে।
যথাসময়ে সন্তান এলো অচেনা ভবে ছবির মা,শিবুর মা সবাই আনন্দে হাসে ফুটফুটে বাচ্চাটাকে দেখে।
জন্মের৩য়দিন, করিমুন্নেসা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে এরই মাঝে খবর আসে,রহীম মারা গেছে।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হল করিমুন্নেসা, আলতো করে করছে আদর বাচ্চাটাকে। এমনি সময় শুনতে পেল শাশুড়ির বিলাপ- “এনেছিলাম কাল নাগিনীকে,খেল আমার ছেলেকে সেই সাথে সংসারটাকে।”
করিমুন্নেসা বিলাপ শুনে হল বাক-স্তব্ধ এমনি সময় ছবির মা হাজির হল নিয়ে কিছু তথ্য। সমিতি থেকে তুলেছিলে টাকা,হয়েছে অনেক সুদ দিয়ে দাও তা নইলে আসছে যে বাড়িভাঙ্গা গ্রুপ!
সব শুনে করিমুন্নেসা অস্ফুট স্বরে পরিতাপ জানিয়ে বলছে, হাইরে ভুবনেশ্বর! স্বামী দিলি,সংসার দিলি;দিলি বাচ্চাটারে কেনইবা এমন করলি, বাচ্চাটারে ক্ষুধায় কষ্ট দিলি আমারে বাঁচিয়ে রেখে তুই কী চোখে দেখিস না আমারে ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুল হাসান নিরো
বাস্তব পরিস্থিত (বিশেষ করে গ্রামের) ফুটিয়ে উঠেছে লেখায়। বিষয়বস্তু ভাল লেগেছে। কিন্তু তৃতীয় প্যারার পর থেকে ছন্দের অন্য দিকে মোড় নেওয়াটা খুব ভাল লাগল না। একই কবিতায় একাধিক ধরনের ছন্দের ব্যবহার মনে হয় না করাটাই ভাল।
সূর্য
কবিতাটা পুরো লিখতে গিয়ে ছন্দটাকে যেন দূরে সরিয়েছ। যতটুকু লিখেছ তাতে মনে হলো এটাকে গল্পরূপ দিলে এর চেয়ে অনেক হৃদয় ছোয়া হতে পারতো। কবিতায় একটা গল্পকে রূপায়ীত করা কিন্তু খুব সহজ কাজ না। তোমার স্বশব্দ পদচারণা এই সাইটটাকে মুখরিত রাখবে বলে বিশ্বাস।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।