ছৈয়লদের দিনকাল এখন আর ভাল নেই । মজিদ মিয়া পৈত্রিক পেশা হিসেবে ছৈয়ল গিরি করে আসছে । তার পিতার কালে ছৈয়লদের জীবন রমরমা ছিল । আশপাশের দশ গ্রামে নতুন ছনের ঘর, ঘরের বেড়া তৈরী করতে সুন্দর আলী ছৈয়লের ডাক পড়তো । সুন্দর আলী ছৈয়লের হাতের কাজ এত নিখূঁত ছিল যে বর্তমানের ম্যাগনিফায়িং গ্লাসেও কোন খূঁত ধরার উপায় ছিল না । সুন্দর আলীর চার সন্তানের মাঝে মজিদ মিয়া সবার বড় । পিতার সাথে সাথে বিভিন্ন গ্রামে ছৈয়লের কাজ করতে করতে মজিদ মিয়াও পাঁকা ছৈয়ল হয়ে উঠেছে । মজিদ মিয়া ছৈয়লগিরির বাইরে আর কোন কাজ শেখে নাই । তখনকার দিনে স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ছাত্রদের হাতের কাজ জমা দিতে হতো । দু,চার দশ গায়ের ছেলে মেয়েরা এক সময় মজিদ মিয়া ও তার বাবার সরনাপন্ন হতো । বাঁশের তৈরী তৈজস পত্রের তখন খুব চাহিদা ছিল । মজিদ মিয়া নিপুন হাতে বাঁশবেত দিয়ে ঝুড়ি ,টুকরী, শের, কাটা, ডালা, কুলা,ডোলা, খাচা,খেলনা ইত্যাদি বানিয়ে দিত । তা ছাড়া বর্ষা কালে মাছ ধরার জন্য- চাই ,বুচুন, আয়ডা, উছা,ডুঙ্গা ইত্যাদি বানিয়ে বাজারে বিক্রি করে প্রচুর নগদ পয়সা আয় করতো ।
কিন্তু আজ আর সে দিন নেই । ছনের ঘরের জায়গা এখন দখল করেছে আধুনিক পাকা কিংবা টিনের ঘর । গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবার গুলো মাঝে মাঝে বার বাড়ীর দহলিজে একটি ছনের ঘর তৈরী করে বংশমর্যাদার নমুনা হিসেবে । কদাচিত যদি গরমের দিনে তারা শহর থেকে গ্রামে বেড়াতে আসে তখন দহলিজের খোলা ছনের ঘরে গিয়ে বসে । দখিনা বাতাসে বসে আরাম করে লোক দেখানো ঐতিহ্য রক্ষার জন্যে । মজিদ মিয়া মাঝে মধ্যে এমনই দু একটি কাজ পায় । অন্যথায় সারা বছর কাজ ছাড়া অলস সময় কাটায় । নদী খাল বিল শুকিয়ে গেছে । আগের মত আর মাছ পাওয়া যায় না । ফলে মাছ ধরার যন্ত্রের চাহিদাও আর নেই । মজিদ মিয়ার দু ছেলে এক মেয়ে । অভাবের সংসার । কোন দিন একবেলা খায় অনেক দিন না খেয়ে থাকে । মেয়েটাকে তাই শহরে এক বাসায় কাজের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে । মজিদ মিয়া ভাবে আর যাই হোক মেয়েটা তো তার ভাতের কষ্ট থেকে বাচল । যার বাসায় মেয়েটা শহরে থাকে সে তারই সমবয়সী ছোট কালের বন্ধু । মেয়েটা ভালই আছে । গত ঈদে তারা বাড়ী এসে ছিল । মেয়েটা মাসাল্লা গায়ে গতরে সুন্দর হয়ে উঠেছে । মেয়েটাকে দেখে মনে হয় এ যেন তার নিজের মেয়ে না কোন বড় ঘরের সন্তান ।
মজিদ মিয়ার বড় ছেলেটার বয়স বড়জোড় বার কি তের । জন্মসালের কোন হিসাব তার জানা নাই । এ বয়সে সপ্তাহে এক দুই দিন হাটে মুটে মুজুরের কাজ করে যা আয়করে তা দিয়ে কিছু চাল কিনে আনে । মজিদের বউ এবাড়ী ও বাড়ী টুকটাক কাজ করে দিয়ে মুলাট কলাটা যা পায় তা দিয়ে কোন রকমে চালিয়ে নেয় । এদিকে দেখতে দেখতে মেয়েটা বড় হয়ে উঠছে । এখনতো আর শহরে রাখা চলে না । কয়েক জায়গা থেকে বিয়ের পয়গাম আসছে । মজিদ মিয়া দু:চিন্তায় পড়ে যায় । মেয়েকে বিয়ে দিতে গেলে তো কিছু টাকা পয়সা দরকার । কোথায় পাবে সে টাকা ? জমি জিরাত ও যে নেই । থাকার ভিটাটাই সম্বল তা বিক্রি করলে থাকবে কোথায় ? ছেলে দুটোরই বা কি উপায় হবে । মজিদ মিয়া আর ভাবতে পারে না ।
মজিদ মিয়ার বউ স্বামীকে ভাবতে দেখে বলল-আপনি অত কি ভাবছেন ? ভাবুনের কিছু নাই । ঢাহার ভাবীর লগে আমার কথা অইছে । বিয়ের খরচ যা লাগে ভাবী দিবো । আপনি সম্বন্দ ঠিক করেন ।
মজিদ বলে- জরিনা, ভাবী না অয় বিয়ার দিনের সব খরচ দিবো কিন্তু বিয়ার পরে জামাই আইলে কেমনে খাওয়াবি ? জামাইরে একটা আংটি কিংবা একটা ঘড়ি দেওন লাগব । কেমনে দিবি ?
এত ভাইবেন না তো একটা বন্দোবস্ত হইয়া যাইবো । ছাফিয়া কইছে ভাবী নাকি আংটি আর ঘড়ি আগেই কিন্না রাখছে । বিয়ার এক হপ্তা আগে আপনি ঢাহা গিয়া ভাবী গোরে দাওয়াত দিয়া আইবেন আর ছাফিরে লইয়া আইবেন । ভাবীরে সব কতা খুইল্লা কইয়েন । ভাবী বড় ভালা মানুষ । দেখবেন আপনার সব চিন্তা ভাবী দুর কইরা দিবো । শুনে মজিদ মিয়া আস্বস্থ হয় ।
ছেলে মজিবর বার গাওয়ে মাটি কাটার কাম পাইছে ।
মজিবর বলে- আব্বা তুমি এত চিন্তা কইরো না তো । আশা করা যায় মাস খানেক কাম করলে খাওয়া পরার পরও চার পাঁচশ টাহা জমা থাকবো । তুমি বুজির বিয়া ঠিক কইরা ফালাও । আমার মনে অয় তুলাতুলির মা্মুনের লগেই বিয়াডা অওনই ভাল অইবো । মামুন জুট মিলে কাম করে ঘরে বাপ,মা কেউ নাই । কোন জায় জামেলা অইবো না । হাত পা ঝাড়া সংসার । বুজি বালাই থাকবো ।
মজিদ মিয়াও মনে মনে তাই ভাবছে । ছেলের বুদ্ধি বিবেচনা দেখে মজিদ খুশি হয় । আজ থেকে ত্রিশ বছর আগের কথা মজিদ মিয়ার মনে পড়ে গেল । তখন তার বাবার ছৈয়ল হিসাবে চার দিকে বেশ নাম ডাক । মজিদ ও বাবার সাথে সাথে থেকে ভালই কাজ শিখে ফেলেছে । তখন মজিদ মিয়ার বয়স কত আর হবে সতের আঠার । সুন্দর আলীর সাথে মজিদ মিয়াকে যে দেখে সে ই জিগায় কি সুন্দর আলী পোলারে বিয়া করাইবা না ?
সুন্দর আলী বলে- হ, বিয়াতো দেওন লাগবই । ভাল মাইয়ার খোঁজ পাইলে জানাইও । একদিন মজিদ মিয়া তার বাপের সাথে সাপমারা গেল ঘর তৈরীর কাজে । উঠানে চৈাদ্দ পনর বছরের একটা মেয়েকে ধান শুকাতে দেখতে পেল । মেয়েটা ছোট খাট গড়নের । গায়ের রং যেন দুধে আলতা মেশানো । মজিদ মিয়ার চোখ যেন মেয়েটার রূপে আটকে গেল । মজিদ মিয়া কাজ ফেলে বার বার মেয়েটার দিকে তাকাচ্ছে । সুন্দর আলীর জহুরীর চোখ কে মজিদ ফাঁকি দিতে পারল না । বাবার চোখে চোখ পড়তেই মজিদ মিয়া লজ্জা পেয়ে গেল । জরিনা এর বিন্দু বিসর্গ কিছুই জানল না । সুন্দর আলীর ও মেয়েটাকে মনে ধরেছে ।
সপ্তাহান্তে কাজ শেষে সুন্দর আলী পুনরায় সাপমারা জরিনাদের বাড়ী গেল । জানা গেল মেয়েটা বাপ মা হারা এতিম । চাচার ঘরে বড় হচ্ছে । মেয়েটা বড় সহজ সরল । কাজে কর্মে বেশ পটু । চাচার পুরো সংসার একাই সামলায় । চাচী আজ বেশ ”ক বছর যাবত বিছনায় পড়া । রান্না বান্না , ঘর গৃহস্থালির সব কাজ মেয়েটা একাই করে ।
সুন্দর আলী বলল- আমি মাইয়াডারে আমার পোলার বউ কইরা নিতাম চাই । আপনারা রাজি থাকলে অয় । আপনাদের চিন্তার কোন কারন নাই বিয়ার সব খরচ আমিই করমু । আপনারা শুধু মাইয়াডারে আমার হাতে তুইল্লা দিবেন ।
জরিনার চাচা বলল–আলহমদুল্লিা আমরা রাজি । আমরা জানি মাইয়াডা আপনার বাড়ীতে ভালা ই থাকবো । আমার সংসারে একটু অসুবিধা হবে জানি তবু মাইয়াডার একদিন না একদিন বিয়াতো দে,অনই লাগব ।
এক শুভ বার দেখে জরিনার সাথে মজিদ মিয়ার বিয়ে হয়ে গেল । বিয়ের রাতেই মজিদ মিয়া টের পেল জরিনা খুবই সহজ সরল একটা মাইয়া । সাত পাচ কিছুই বুঝে না । জটিলতা কুটিলতার লেশ মাত্রও তার মাঝে নাই । মজিদ মিয়া যখন যা বলে তাই অকপটে বিশ্বাস করে । জরিনা টাকা পয়সা চিনেওনা তা গুনে হিসাব রাখতেও পারে না । জরিনার রূপ আর সরলতা গ্রামের সবার নজর কাড়ে । অল্প কিছুদিনের মাঝে জরিনা সবার বাউজ হয়ে উঠে । বাড়ীর পাশ দিয়ে যে যায় জরিনাকে এক নজর দেখার জন্য বলে উঠে মজিদ বাউজ ঘরে আছ ? একটু পানি খাওয়াইবা ? জরিনা সরল ভাবে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসে । হাসি মুখে সবাইকে পানি খাওয়ায় । মাঝে মাঝে মজিদের হিংসে হতো । জরিনাকে গাল মন্দ করতো । কিন্তু যখনই মজিদ জরিনার নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকাতো সব রাগ পানি হয়ে যেত ।
সেই সুন্দরী জরিনা আজ পেট ভরে না খেতে পেয়ে অযত্ম আর অবহেলায় গতরটা তামাটে বরন ধারন করেছে । তবে নিষ্পাপ মুখে আজও তেমনি হাসি লেগে আছে । আজও পাড়া পড়শীরা বাউজ বলে ডাক দিলে দৌড়ে এগিয়ে যায় । এত দিনে জরিনা একটা জিনিষ বুঝতে শিখেছে যে গরীবের বউ হগলেরই বাউজ ।
এক মাস পর মামুনের সাথে ছাফির বিয়ে হয়ে গেল । ঢাকা শহরে থাকা ছাফি গ্রামের মাটিতে আবার ফিরে এল । আজ প্রায় দশ বছর যে ছাফি খাওয়া পড়ার অভাব দেখেনি সে যৌবনে এসে আবার তার সাথে নতুন করে পরিচিত হলো । স্বামীর বাড়ীতে যখন একলা থাকতে থাকতে হাফিয়ে উঠে চলে আসে বাপের কাছে । কিন্তু বিধিবাম বাপের বাড়ীতে ভাতের যে বড় কষ্ট । ছোট ভাইটার একক রোজগারে চার জনেরই যেখানে এক বেলা চলে না সেখানে ছাফি ও তার স্বামীর জায়গা কোথায় ? তার পরও জামাই মানুষ ঘরে এলে তাকে তো ভাল মন্দ খেতে দিতে হয় । নিজেরা না খেয়ে জামাইকে তিন বেলা খাওয়াতে হয় । এবাড়ী ওবাড়ী থেকে ডিম , মাছ ,তরি তরকারী চেয়ে এনে খাওয়াতে হয় । এক দিন কোথাও কিছু না পেয়ে –পেছনের বিল থেকে কিছু কলমী শাক তুলে এনে নিরামিশ বাজি করেছে । ছাফি শুধু শাক দিয়ে স্বামীকে খেতে দিতে লজ্জা পাচ্ছে । বাধ্য হয়ে জরিনা নিজেই জামাই বাবাজিকে খাওয়াতে গেল ।
জামাই মামুন শাকটা খেতে গিয়ে খেতে পারছে না । একেতো কলমী শাক তাও আবার নিরামিশ এবং আলনি । মামুনের মুখে রোচেনা । জরিনা তবু বার বার পাতে তুলে দিচ্ছে আর বলছে- বাবাজি অর একটু লইন অ , নামার বাড়ীর খেতের কলমি শাক আপনার হউরে বড় ভালা বায় ।
মামুন কোন রকমে চোখমুখ বন্ধ করে পাত ছেরে উঠে পড়ল । জরিনা এতটাই সরল যে সে একবারও ভাবল না জামাই খেতে চাচ্ছে না কেন ? একবার শাকটা চেখে দেখি । জামাই খেলনা দেখে জরিনা ধরধর করে চোখের জল ফেলতে লাগল । জরিনা ভাবল আমরা গরীব জামাইকে ভাল মন্দ খাওন দিতে পারি না । কিন্তু সাধ্য মত চেষ্টা তো কম করলাম না । কি করুম নিজেরা না খেয়ে জামাইরে খাওয়াইতে চাইলাম । জামাই খাইল না ।
বিকালে ছফি বলল- মা জামাইকে নিয়া চইলা যাইতাছি । তোমরার বাড়ী আর আসুম না । খাওয়াইতে পড়াইতে পারনা তাইলে পোলাপাইন জন্মাইসলা কেন ?
জরিনা বলল- মারে তুইতো জানস তোর বাপে ছৈয়লের কাম ছাড়া আর কোন কাম জানেনা । এখন তো ছৈয়ল গোরে আর কেউ ডাহে না । মজিবর ছোট মানুষ , আর জজয়ে তো এখনো ডাঙর অয়নাই । মজিবর যা রোজগার করে তা দিয়া কোন রহমে চলি । ঘরের চালডা দেখস না ভিতর থাইক্কা আসমান দেহা যায় । মেঘ অইলে বাইরে পড়নের আগে ঘরে পড়ে । বেড়া গুলি জোরাতালি দিয়া দাড় করাইয়া রাখছি । বৈশাজ্ঞা ঝড় আইলে ঘরের যে কি অইবো আল্লাই জানে । হুনস নাই কতায় বলে “ ছৈয়লের বাড়ীর তুলি উদাম ”। ঠিক আছে মা তুই আর জামাই বাবাজিরে লইয়া আইস না ।
মজিদ মিয়া আজ বেশ কয়দিন যাবত অসুস্থ । ঘুটঘুটে জ্বর আর খুশ-খুশে কাশি । হুকাটা টান দিলে কাশির তুর আরও বেশী জোরে শুরু হয় । কোন কিছু খেতে পারে না । মুখের কাছে নিলে সব উল্টে আসে । ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ আনবে পয়সা কোথায় ? মজিবর আজ বেশ কদিন যাবত উত্তর ময়ালে গেছে কাজের খোঁজে । ঘরে যে কয়ডা চাল আছে তাতে আর হয়ত দুদিন চলবে । মজিবর যাবার আগের দিন পাঁচসের চাল কিইন্না রাইক্কা গেছে । জরিনা কি করবে ভেবে পাচ্ছে না । মজিদ মিয়ার কাশি ও জ্বরটা দিনদিন বাড়ছে । একদিন রাতে মজিদ মিয়ার কাশির সাথে রক্ত বের হতে শুরু করল । জরিনা দিশা বিশা না পেয়ে পাশের বাড়ীর হাসিম মিয়াকে ডেকে আনল । হাসিম মিয়া এসে দেখে বলল- বাউজ শিগ্গিরই ডাক্তার ডাকুন দরকার । এত রাতে পরেশ ডাক্তার আইতে চাইবো না । কোন রহমে আল্লা আল্লা কইরা রাইতটা কাটাও সকালে আমি নিজে গিয়া পরেশ ডাক্তার রে নিয়া আসুমনে ।
সকাল বেলা পরেশ ডাক্তার এল । দেখে শুনে বল্ল -মজিদ মিয়ার যক্ষ্মা রোগ হইছে । আমি কিছু ওষুধ দিয়া গেলাম । তয় এ রোগ ভালা অওনের না । ঢাহা মহাখালি হাসপাতালে নিতা পার কি না দেহ । জরিনা কোথা পাবে টাহা । জরিনা তো ঢাহার কিছু চিনে না । কেমনে যাবে ? মজিবরটাও বাইত নাই । একমাস বিছানায় বিনা চিকিৎসায় গড়াগড়ি করে মজিদ ছৈয়ল সংসারের মায়া ছেড়ে অজানার দেশে পাড়ি জমাল । ছৈয়ল নামক একটি সম্প্রদায়ের শেষ প্রদীপটাও নিবে গেল ।
যান্তিক সভ্যতা আমাদের আধুনিকতার নামে চক্ষূসমান বেশ কিছু দিলেও কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু । গ্রামের মানুষের সহজ সরল জীবনে নেমে এসেছে শহুরে কুটিলতার নগ্ন থাবা । কুঁড়ে ঘরের স্থলে বড়বড় ইমারত নির্মান হলেও মানুষের মনের সুখ শান্তি বিনষ্ট হয়েছে পরিবেশ দুষনের মাত্রায় । গ্রাম বাংলার বিলঝিল এর শাপলা, শালুক, কলমী শাক হয়ে উঠেছে শহুরে লোকের বিলাসী খাবার । মজিদ মিয়া , জরিনাদের মত সহজ সরল মানুষের জীবন তলিয়ে গেছে পলির পলেস্তারায় । ছৈয়লের স্থান দখল করেছে আধুনিক মেশন আর কারপেইন্টার । গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাডুডু , দাড়িয়া বান্দা , ডাংগুলি খেলার স্থান দখল করেছে ক্রিকেট , হকি , বাস্কেটবল আর ব্যাডমিন্টন ।
০৭ এপ্রিল - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৩৫ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪