মগবাজার অফিস থেকে নিচে নেমে এসেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেল । রাস্তার উভয় পাশে গাড়ীর এমন জ্যাম বেধেছে যে এপার থেকে ওপারে যাবার উপাই নেই । সারাদিন অফিসে অমানুষিক খাটুনি ও বসের অযথা ধমক খেয়ে মেজাজটা এমনি বিগরে আছে । তার উপর রাস্তার এমন জ্যাম যেন গুদের উপর বিষ ফুরা । শিশির বাধ্য হয়ে মৌচাকের দিকে হাটা না দিয়ে আম বাগান গলি ধরে রেল লাইনে উঠে এল । রেল লাইনের উপর দিয়ে মালিবাগ রেল গেটের দিকে হাটতে শুরু করল । মগবাজর ওয়ারলেস রেল গেট পেরোতেই বাম পাশে বিশাল বস্তি । বস্তির সামনে পুরো রেল লাইন জুড়ে অনেক মানুষের জটলা । জটলা এরিয়ে যতটা পারা যায় এগিয়ে চলছে । হঠাৎ কানে এল-এই ব্যাটা আমার পুরো পঞ্চাশ টাকা না দিয়া এক পা ও এগোতে দেব না । নইলে কিন্তু কাইট্টা টুকরা টুকরা কইরা ফালামু । মহিলা কন্ঠে এমন চিৎকার শুনে শিশির থমকে দাড়াল । উৎসুক হয়ে মহিলাকে এক নজর দেখার জন্য ভীর ঠেলে এগিয়ে গেল । সামনে দেখতে পেল রোগা পাতলা অস্থি চর্মসার এক মাঝ বয়সী নারী একটি বটি হাতে দাড়িয়ে সমবয়সী এক পুরুষকে সাসাচ্ছে । বস্তির বেশ কয়েক জন, মহিলাকে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে । আর বাকীরা মহিলার খিস্তি খেউর শুনে বেশ মজা পাচ্ছে । শিশির বস্তি বাসী একজন কে শুধাল ভাই ব্যাপার কি ? আর বইলেন না ভাই-বদ মহিলা ব্যাটার লগে টাকার বিনিময়ে আকাম করছে এখন টাকা নিয়ে ঝগড়া । কথাটা মহিলার কানে যেতেই তেরে এল । এই মিয়া কি কইলা আমি বদ মাইয়া মানুষ আর তোমরা খুব ভালা । তোমরা সব পুরুষ মাইনষেরে আমার চিনা আছে । মাইয়া মানুষ দেখলেই তোমাগো জিব্হা টস-টসায় । আইজ চারদিন যাবত জ্বরের কারনে,না খেয়ে ঘরে পইরা আছি । তোমরা কি কেউ আমার খোঁজ নিছ ? দুপুরের পর বিছানা থেকে উঠে একটু খাবার চাইতে গেলাম এ ব্যাটা আমারে কু প্রস্তাব দিল । ক্ষিদার জ্বালায় বাচার তাগিদে ভাল মন্দ না ভাইবা পঞ্চাশ টাকায় তার প্রস্তাবে রাজি হলাম । এখন কাম শেষে ব্যাটা আমারে দশ টাকা সাধে । আমি কি তার কাছে ভিক্ষা চাই ? বলেই মহিলা হাউ মাউ করে কাঁদতে শুরু করে দিল । মহিলা আপন মনেই বলে চলছে –কুড়ি গ্রামের ধরলা নদীর পাড়ে ছিল বাড়ী । গোয়াল ভরা গরু চারি দিকে শষ্য-শ্যামল সবুজ ফসলী জমি । মা বাবার এক মাত্র আদরের মেয়ে রুনী । দেথতে দেথতে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির সাথে সাথে লাউ ডগার মত লকলকিয়ে বড় হতে লাগল । অনেকের নজর পড়ল রুনীর উপর । বাড়ীর আশেপাশে ছেলে ছোকরাদের ভীর বাড়তে লাগল । বাড়ীর পাশ দিয়ে বয়ে চলা নদী । নৌকা বেয়ে চলা মাঝি বার বার ফিরে ফিরে তাকায় রুনীর দিকে । মা বাবা চিন্তায় পড়ে গেল । পাশের গ্রামের অবস্থাপন্ন চাষী শুকুর আলীর ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এল । বাবা ভাল ঘর দেখে এক কথায় বিয়েতে রাজি হয়ে গেল । মবিন এর সাথে বিয়ে হলো । স্বামী সংসারে সুখের কমতি নেই । স্বামী ব্যাটাও দারুন কর্মঠ । পাঁচ জনের কাম একলাই করতে পারে । দেথতে দেথতে সংসারে চেহারা পাল্টাতে লাগল । গ্রামের সবাই বলাবলি করতে শুরু করল মবিনের বউ বড়ই লক্ষী । বউটা সংসারে আসতেই শুকুর আলীর সংসার ফুলে ফেপে উঠছে । ফলে শশুর শাশুড়ীর কাছে রুনীর আদর আরো বেড়ে গেল । সুদিনে নদীর পানি নিচে নেমে যায় । চারিদিকে ভেসে উঠে বালু চরা । বালু চরায় বাদাম, তরমুজ, পটল, খিরাই, মিষ্টি আলু, মিষ্টি কুমরা আবাদের ধুম পড়ে যায় । দেখতে দেখতে বালু চরা সবুজ সমারোহে ভরে উঠে । সবুজ মাঠে দখিনা বাতাস দোল খায় । নানান রঙের প্রজাপতি ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায় । রুনী স্বামী মবিন ও শশুরের সাথে জমির কাজেও হাত লাগায় । কখনো বা স্বামী শশুরের জন্য রান্না করা খাবার মাঠে নিয়ে যায় ।কয়েক দিনের মধ্যে জমি সবুজ ফসলে ভরে উঠে । যা দেখে প্রান জুড়িয়ে যায । ভরা বর্ষায় নদী দুকুল ছাপিয়ে জমি জমা ভাসিয়ে দেয় । দুর থেকে তখন এক একটা গ্রামকে সবুঝ দ্বীপ বলে ভ্রম হয় । রুনী স্বপ্ন দেখে সে মা হয়েছে । ফুট ফুটে একটা ছেলে সবুজ ফসলের মাঠে খেলে বেড়াচ্ছে । ছেলে নদীর কিনারে চলে গেছে মবিন দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে কোলে তুলে নিচ্ছে । নৌকায় চড়ে মবিন রুনী তাদের ছেলেকে নিয়ে বেড়াতে বেড়িয়ে পড়েছে । জোসনা রাতে নদীর পানি মৃদু ঢেউয়ের তরঙ্গে চাপিলা মাছের মত খল খলিয়ে উঠছে । ছেলে ঘুমিয়ে পড়েছে । মবিন বৈঠা হাতে নৌকা চালাচ্ছে । রুনী মবিনের উরুতে মাথা রেখে গুনগুন করে সুর ভাজছে । হঠাৎ একটা দমকা বাতাস রুনীর স্বপ্নটা ভেঙ্গে দিল । বিধি বাম রুনীর এই সুখ বেশী দিন সইল না । নদীতে বানের পানী ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করল । নদীর দুকুল ছাপিয়ে ঘরের ভেতর পানি ঢুকে পড়ল । স্রোতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেল । গরু ছাগল হাস মুরগী বানের পানিতে ভেসে গেল । হালের বলদটিকে রক্ষা করতে গিয়ে স্রোতের টানে রুনীর স্বামী মবিন কোথায় যে হারিয়ে গেল তার খোঁজ পাওয়া গেল না । মবিনের খোঁজে চারি দিকে শশুর লোক নিয়োজিত করল । কেউ কোন হদিস দিতে পারল না । এদিকে পানি নেমে যাবার সাথে সাথে নদীতে ভাঙ্গন শুরু হলো । এক দিন খবর এল রুনীর বাবা মায়ের ভিটে মাটি সব নদী গর্বে বিলীন হয়ে গিয়েছে । তারা কোথায় নিরুদ্দেশ হয়েছে কেউ বলতে পারল না । অল্প কিছুদিন যেতেই রুনী, শশুর শাশুড়ীর কাছে চোখের বিষে পরিনত হলো । লক্ষী রুনী এখন অপয়া বাপ,মা,স্বামী খেকু রাক্ষসীতে পরিনত হল । স্বামীকে অকালে হারিয়ে রুনী পাগল প্রায় । নদীর পাড়ে স্বামীর ফেরার পথ চেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকে । রাতের আধারে একাকী ঘর থেকে বেড়িয়ে নদীর পাড়ে এসে বসে । রাতের আধারে দুর থেকে মবিনের ডাক শুনতে পায় । বালিযারীতে কখনো কখনো মবিনের ছায়া হেটে যেতে দেখে ছায়ার পিছু পিছু দৌড়াতে থাকে । নদীর পাড়ের বড় শিমুল গাছের তলায় বসে বসে বিলাপ করতে থাকে । সামনে দিগন্ত বিস্তৃর্ত সবুজ ফসলের মাঠ । মাঠ মাড়িয়ে মবিন ঐ আসছে । সবুজ ধানের ক্ষেতের মাঝ দিয়ে মবিন বাবরী চুল নাচিয়ে নাচিয়ে এগিয়ে যায় । রুনি পিছু পিছু ডাকে কিন্তু মবিন ফিরেও তাকায় না । যে মানুষটা রুনীকে জড়িয়ে না ধরে রাতে ঘুমাতে পারত না সে কিনা রুনীর ডাকে একবারও পিছন ফিরে দেখল না । মানুষটার এমন পরিবর্তন হলো কি করে রুনী ভেবে পায় না । দেখতে দেখতে মানুষটা আবার হারিয়ে যায় সবুজ ফসলের মাঝে । নদীর পাড়ের ঐ বট তলায় ছায়ার নিচে মবিন শুয়ে আছে । রুনী আলতু করে মবিনের মাথাটা কোলে তুলে নেয় । কতদিন লোকটা শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি । ঘুমাক রুনী পরম যত্নে মাথায় বিলিকাটে । জোরে শ্বাস ফেলে না পাছে মবিনের ঘুমের ভেঙ্গে যায় । এক সময় রুনীর তন্দ্রা আসে । জেগে দেখে রুনী বট গাছের বড় শিকড়টাকে জড়িয়ে আছে । তার চার পাশে ঘিরে আছে একদল শিশু কিশোর । গ্রামের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা রুনীকে পাগলী বলে খেপায় । দুষ্ট প্রকৃতির লোকেরা অশুভ ইংগিত করে । তাদের ইংগিতে রুনী সাড়া না দেয়ায় তারা গ্রাম জুড়ে তার নামে বদনাম রটায় । দেখতে দেখতে একটা বছর প্রায় কেটে যায় । মবিন আর ফিরে আসে না । অনেক খোঁজা খুঁজির পরও মবিনের কোন সন্ধান মেলে নাই । এক বছরের মাথায় রুনীকে শশুর শাশুড়ী বাড়ী থেকে বেড় করে দেয় । রুনী কচুরী পানার মত এ ঘাটে ও ঘাটে ভাসতে ভাসতে সবুজ বন বনানীর গ্রাম ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছে ঢাকায় । ঢাকায় আসার পথে ট্রেনে টিকিট না থাকায় টিটির কাছে জীবনের চরম মূল্যও দিতে হয়েছে তাকে। তেজগাও এ টিটি তাকে গাড়ী থেকে নামিয়ে দেয় । ষ্টেশনে এক বৃদ্ধা মহিলা ভিক্ষুক এর বদৌলতে একটু আশ্রয় মেলে । তারই পরামর্শে সে বাসা বাড়ীতে ঠিকা ঝি এর কাজ নেয় । ঝি এর কাজ করতে গিয়েও অনেক লম্পট পুরুষের লালসার বলি হতে হয়েছে । শেষ মেস মগবাজারের এই রেল বস্তিতে এসে ঠাই নিয়েছে । নয়াটোলার একটি বাসায় ঠিকা জি এর কাজ করে । সারাদিন অমানুষিক খাটুনির পর ক্লান্ত শ্রান্ত দেহ খানা টেনে নিয়ে এসে পাঁচশত টাকা মাসিক ভাড়ায় ঘরটিতে রাত কাটায় । জ্বরের কারনে আজ পাঁচ দিন কাজে যেতে পারেনি । হাতে খাবার কেনার মত কোন টাকা পয়সা নেই । কাজে যাবে শরীরে তেমন শক্তিও নেই । দুইদিন টানা জ্বরের ঘোরে প্রলাপ বকেছে। কেউ খোঁজ নেয়নি । এখন এসেছে সবাই তামাশা দেখতে । রুনীর জীবনের করুন কাহিনী শুনে শিশির মহিলার দিকে এক পা এগিয়ে গেল । পকেট থেকে পাঁচশত টাকার এক খানা নোট বের করে মহিলার দিকে বাড়িয়ে দিল । মহিলা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো । আপনি কে আমাকে টাকা দিচ্ছেন কেন ? আপনারা আমাকে কি ভাবেন ? আমি কি বাজাইরা বেশ্যা ? য়ে টাকা দেখলেই আপনার পেছন পেছন দৌড়াব । আপনার টাকা আপনার কাছে রাখেন । আপনারা বড় লোকরা আমদের মত হত ভাগীদের দুর্দশার কি বুঝবেন ? আমাদের মত অসহায় দরিদ্র মেয়ে মানুষ দেখলেই আপনাদের দরদ উৎলাইয়া উঠে । কেন একি আমি বুঝিনা মনে করছেন ? ভিতরে ভিতরে আপনারা কু মতলব হাসিল করার সুযোগ খোজেন । হারামির বাচ্চা টিটি শালায আমায় ডেকে তাদের ছোট রুমটায় নিযে বসাল । আদর করে রুটি কলা খেতে দিল । এর কিছুক্ষন পর আমার শরীরের সব কাপড় খুলে তিন জনে মিলে পালা করে সারা পথে আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খেল । কত কাকুতি মিনতি করলাম হাতে পায়ে ধরলাম । বাপ সোন ডাকলাম, খোদার দোহাই দিলাম, চিৎকার করে কাঁদলাম, কেউ আমাকে এতটুকু দয়া বা বাঁচাতে এগিয়ে এল না । শিশির বলল- আপনি আমাকে ভুল বুঝবেন না । আমি আপনাকে ছোট করার বা অন্য কোন কু মতলবে টাকাটা দিচ্ছি না । মনে করুন আমি আপনার ভাই । এক ভা্ই কি তার বোন কে কিছু দিতে পারে না ? আমার নিজের কোন বোন নেই আজ থেকে জানবো আপনি আমার বোন । শিশির আরোও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে রুনির মাথায় হাত রাখল । ইট পাথরের প্রানহীন এই শহরে এমন দরদী মানুষের হাতের ছোয়া পেয়ে রুনী ঢুকরে কেঁদে উঠলো । সে দেখতে পেল অনেক দিন পড় যেন তার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে ফিরে পেয়েছে । রুনীর মনে হলো গ্রামের সেই সবুজ শ্যামল বড় বট গাছটি যেন তাকে শীতল আশ্রয় দিচ্ছে । শিশির রুনীকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে মালিবাগ বাজার থেকে কিছু চাল ডাল ও ঔষধ কিনে বস্তিতে ফেরত পাঠাল । রুনীকে কথা দিল প্রতি মাসে অন্তত: একবার সে তার খোঁজ নেবে । শিশির বাড়ীর দিকে হাটতে হাটতে ভাবছে- নিয়তির কি পরিহাস মরু-মরিচিকাময় খাঁ খাঁ বালু চরায় নিপুন হাতে সবুজ গুল্ম লতায় ফসল ফলিয়েছে যে রুনী সে আজ ঠুকর খায় ইট পাথরে দেয়ালে দেয়ালে । সুধা মাটির ঘ্রাণ আর খড়স্রোতা নদীর পাড়ে বড় হওয়া রুনী । আজ মায়া মমতাহীন নির্জিব ইট পাথরের ঢাকা শহরে এসে ঘুনে পোকার শিকারে পরিনত হয়েছে । এমনই কত হাজারো রুনী এই সমাজের পঙ্কিল স্রোতে ভেসে বেড়াচ্ছে খড় কুটার মত কে তার খবর রাখে । হায়রে ভারতীয় অবলা নারী ক্ষনেই রাজ রানী ক্ষনেই ভিথারিনী । বিচিত্র মানুষ,বিচিত্র তার মন, বিচিত্র তার ভাবনা । বিচিত্র তার লোভ লালসা । তবু জীবন চলছে চলবে পৃথিবী যতদিন থাকবে । শিশিরের বিক্ষিপ্ত মনটা কিছুটা হালকা হয়ে গেল । হাজারো রুনীর সমস্যা হয়তো তার পক্ষে একা সমাধান করা সম্ভব নয । সমাজের আর দুচার দশজন এগিয়ে এলে সম্পূর্ন সমাজটাকে সবুজ করা না গেলেও কিছুটা হয়ত সম্ভব ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাফুজুর RAHMAN
আপনার গল্প সব সময়ই ভাল লাগে। এবারের গল্পও যথারীতি ভাল লাগল। সমাজের অবহেলিত এবং শোষিত মানুষের জন্য আপনার সমবেদনাকে শ্রদ্ধা এবং সহমর্মিতা জানাই
রনীল
ভারতীয় অবলা নারী- ব্যাপারটা ঠিক বুঝলামনা... এরকম অনেক রুনিদের পথে ঘাটে প্রায় দেখা হয়ে যায়... কাপুরুষের মত মুখ ফিরিয়ে নিই... লেখাটা খুব স্পর্শ করল।
সূর্য
জটলা শব্দটা অন্য ভাষায় কী আছে এ মুহূর্তে মনে পরছেনা। যাই হোক আমার কেন যেন মনে হয় এই শব্দটা যে দেশে যাই থাকুক না কেন এর আবিস্কার বাঙালিদের থেকেই হয়েছে। এর একটা প্রকৃষ্ট পরিবেশ হলো যাই করুন না কেন আপনি হাসা-কাদার লোক পেয়ে যাবেন। বঙ্গবাজারে যেদিন আগুন লাগলো আমি সেখানে ছিলাম। এই জটলা হা-হুতাশ এমন পরিমানে শুরু করল যে রাস্তার ওপারের ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আর লোকজন কোন ভাবেই আর রাস্তা পার হতে পারেনি। গল্পে রুনীর দু:খে যত লোক সমব্যাথী হলো তার ১০ভাগও যদি শিশির হতে পারতো রুনীদের এমন হতেই হতো না। সুন্দর গল্প । আমরা যে কবে দল হতে না শিখে শিশির হতে শিখব!!!!!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।