রুটি, রুজি ও মিছিল

ক্ষুধা (সেপ্টেম্বর ২০১১)

বশির আহমেদ
  • ৪২
  • ১১
মিছিলেই ছিল রায়হান। আজ কয়দিন যাবত অনবরত বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল হচ্ছে। মহসিন হলের গেটে ছোট্ট একটি পান দোকান চালায় রায়হান। মিছিল দেখলেই আর স্থির থাকতে পারেনা রায়হান। ছুটে যায় মিছিলে। ঘরে মা ছাড়া আর কেউ নেই। সারা দিনের উপার্জনে কোন রকম চলে যায় মা ছেলের। কিছু দিন যাবত সর্বত্র শোনা যাচ্ছে স্বৈরাচারী সরকারের শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ছাত্ররা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শিক্ষানীতি কি তা রায়হান জানেনা। মা অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ করে সংসার চালিয়েছে। বাবা মারা যাবার পর রায়হান আর তার মা রুজির সন্ধানে ঢাকায় পাড়ি জমায়। এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এই হলে ছোট্ট দোকানটিতে বসার সুযোগ পায়। মা ছেলে বাবুপোড়া বস্তিতে খুপরি ঘরে থাকে।

রায়হান সুজন কে প্রশ্ন করে ছিল কি হবে? রায়হানের পাশেই তার দোকান। সুজন তার থেকে একটু বেশী লেখা পড়া করেছে। হলের প্রায় বেশীর ভাগ ছাত্র তাকে চেনে। সুজন জানিয়েছে মজিদ খানের শিক্ষানীতি হলে নাকি শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক ক্ষতি হবে। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে।|শুনে রায়হান আঁতকে উঠে । বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে তার চলবে কি করে ।
কথা শুনে রাগে ক্ষোভে অস্থির হয়ে উঠে ছিল রায়হান। চারদিকে ধরপাকড় শুরু হয়ে গেছে। ছাত্র নেতাদের ধরার জন্য পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এক দিন সকাল বেলা রায়হান সবেমাত্র দোকানের ঝাপ খুলে বসেছে এমন সময় পুলিশ এসে রায়হান কে ধরে নিয়ে গেল। গাড়ীতে উঠার সময় দেখলো হলের বহু ছাত্রকেও ধরে এনেছে। কোর্টের মাধ্যমে ঐ দিন ই তাদের কে জেলে ভরে দিল। জেলে থাকতে তাকে পুলিশ প্রশ্নের পর প্রশ্ন করেছে। রায়হান কোন উত্তর দেয়নি। সে শুধু মায়ের কথা ভেবেছে। রায়হান জানে ঘরে চাল নেই। মা না খেয়ে আছে। সারাদিন ছটফট করে কাটল। বাইরে শুনেছে মিছিলের শব্দ। সবাই বন্দীদের মুক্তি চাচ্ছে। রায়হানের মনে কেমন যেন আনন্দের ঢেউ খেলে গেল সাড়া বুক জুড়ে। মনের সমস্ত অস্থিরতা কেটে গেল। মার কথা আর বিশেষ মনে হলো না। জেলে অনেক ছেলে প্রায় সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। রায়হানের খুব ঘুম পেয়ে ছিল। সেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দোকানে এসে দু মুঠো মুড়ি মুখে দিয়ে বসে ছিল আর খাওয়া হয়নি। রায়হান জানতো আজ মিছিল হবে বটতলা থেকে সকাল দশটায়। রায়হান ঠিক করে ছিল আজ সে মিছিলে যাবে। হঠাৎ দেখলো সবাই দৌড়াচ্ছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই তার পিঠে লাঠির বাড়ি এসে পড়ল। চমকে উঠে ছিল। তাকিয়ে দেখে পুলিশ। কিছু বলার আগেই তার হাতে হাতকড়া পড়িয়ে দিল।

রায়হান হাঁটুর উপর মাথা রেখে বসল। রায়হানের মনে পড়ছে। রায়হান তখন ছোট। সব কিছু স্পষ্ট মনে নেই। তাদের বাড়ী ছিল যমুনার তীরে। বাড়ীতে বড় বড় দুটো টিনের চৌচালা ঘর। দুটো হালের বলদ। ছাগল ,হাস, মুরগীসহ আরোও কত কি। নদীর ঢালে বালু চরে বাদাম ক্ষেত। বাবা হাল দিচ্ছে। রায়হান বাবার জন্য পোটলায় বাধা নাস্তা নিয়ে যায়। যমুনার পানি তখন অনেক নিচে। পাড়ে দাড়িয়ে দাড়িয়ে রায়হান নদীর কল কল ধ্বনি শুনে। রায়হানের বাবা বার বার ফিরে ফিরে তাকায়। বাবা বলে রায়হান বেশী কিনরায় যাইসনে বাপ। পাড় ভাইঙ্গা পইড়া যাবি। রায়হান ভয় পায়। পাড় থেকে একটু দুরে দাড়িয়ে থাকে। নদীর মাঝ খানে বালু চর। রায়হানের ইচ্ছে করে চরে গিয়ে দাড়ায়।
নদী দিয়ে বড় বড় জাহাজ মাঝে মাঝে ভোঁ ভোঁ করে। এ দিক থেকে ও দিকে যায়। কত যে পাল তোলা নৌকা চলে তার ইয়ত্তা নাই। নদীর পানি দক্ষিণ মুখী ছুটে চলে। এত পানি কোথায় যায়? কোথা থেকে এত পানি আসে। রায়হান ভেবে কুল কিনারা পায় না। জামি বলেছে- স্কুলে নাকি স্যার বলেছে নদীর পানি হিমালয় থেকে নেমে আসে। হিমালয় কোথায় রায়হান জানে না।

প্রতি বর্ষায় রায়হানদের মাঠ ঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। কখনো কখনো তাদের উঠান তলায়। তখন নৌকা ছাড়া ঘর থেকে বেরুতে পারেনা। একবার বানের পানি দেখতে দেখতে তাদের ঘরে ঢুকে পড়ে। উঁচু মাচা বেধে রায়হানদের ঘুমাতে হয়। গরু ছাগল গুলো বাবা কোথায় রেল লাইনে রেখে আসে। প্রায় পনর দিন পর পানি নেমে যায়। পানি নেমে যাবার এক মাস হবে। খবর এলো নদীতে ভাঙ্গন লেগেছে। বাবা চিন্তায় পড়ে যায়। পরিত্যক্ত; রাতে রায়হান ঘুমিয়ে ছিল। চার দিক থেকে কান্নার রোল। রায়হানের মা রায়হান কে বগল দাবা করে ভো দৌড়। দৌড়াচ্ছে আর দৌড়াচ্ছে। সকালে জানা গেল রায়হানদের ঘর বাড়ীসহ সারা গ্রাম নদীর গর্বে তলিয়ে গেছে।
রায়হান রা আশ্রয় নেয় রেল লাইনে দাঁড়ানো ভাঙ্গা পরিত্যক্ত; একটি গাড়ীর ভেতর। রায়হানের বাবা ঘর বাড়ী জমি জিরাত হারিয়ে পাগল প্রায়। মা অন্যের বাড়ীতে ঝি এর কাজ নেয়। বাবা দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ে। হঠাৎ একদিন বাবা মরে যায়। মা রায়হান কে নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখে।

গ্রামে তেমন কোন কাজ নেই। প্রায় দিন তারা না খেয়ে থাকে। মা কোথায় যেন শুনে এসেছে ঢাকায় গেলে কাজের অভাব নাই।রায়হান আর মা বেড়িয়ে পড়ে। ট্রেনে এসে তেজগাঁও ষ্টেশনে নামে।

কতক্ষণ বসে ছিল মনে নেই। বাইরে হৈচৈ শুনে তন্দ্রা কেটে গেল। চারি দিকে একই শব্দ। জেলের তালা ভাঙ্গব রাজ বন্ধীদের আনব। স্বৈরাচার নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক। জেলের প্রতিটি ছেলের মাঝে একটা আনন্দের জোয়ার ঢেউ দিয়ে গেল। জেলের ভেতর সকালের রৌদ্দুর উঁকি দিয়ে গেল। এখানে আকাশ দেখা না গেলেও রৌদ্রের ঝলক ঢেউ খেলে গেল। বাইরে গগন বিদারী চিৎকার ক্রমেই বেড়ে উঠল। কত লোক হবে আন্দাজ করতে লাগল রায়হান। পাঁচ শ, এক হাজার ? দুজন পুলিশ অফিসার এলো। গার্ড কে কি যেন বলল। দরজা খুলে দিল। সবাই বের হয়ে এলো। রায়হানের অনুমান মিথ্যে হয়ে গেল। বাইরে দশ হাজারের ও অধিক জনতার ঢল। সবার গলায় মাল পড়িয়ে দিল। রায়হান সামনে তার মাকে দেখে অবাক হয়ে গেল। রায়হান মাকে জড়িয়ে ধরল। ঘরে চল মা বলে পা বাড়াল।

মায়ের অনেক প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেল রায়হান। রায়হান জানে মায়ের প্রশ্নের জবাব দিলে আর মিছিলে যাওয়া হবেনা। মাকে বুঝাতে চাইল । সে শুধু দোকানেই থাকে মিছিলে যায় না। মা বুঝল না। কয়েক দিন যাবত মা রাযহান কে ঘর থেকে বেড় হতে দেয়না। চোখে চোখে রাখে। বস্তি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তা সবই দেখা যায়। মিছিলে মিছিলে সারা দিন বিশ্ব বিদ্যালয় মুখরিত থাকে । এক এক বার মনে হয় এখনই ঘর থেকে বের হওয়া দরকার । শরীরে রক্তের নাচন শুরু হয়। ঘরের দরজাটা বাইরে থেকে তালা দেওয়া। মা কাজের জন্য কোথাও গিয়েছে নিশ্চয়। ঘুমিয়ে পড়ে ছিল রায়হান। ডাক শুনে চমকে উঠে বসল। কে যেন ডাকছে। বেড়ার ফাঁক দিয়ে দেখল বড় রাস্তায় দাড়িয়ে সুজন ডাকছে। সুজনের হাতে বিশাল এক পোষ্টার। রায়হান জানালার পাশে এসে বলল দরজা বন্ধ। আমি বের হতে পারব না। সুজন ঘরের পেছন দিক থেকে এসে দরজা খুলে দিল। দুজন গলা জড়াজড়ি করে বেড়িয়ে পড়ল। সুজন জানাল আজ একটা কিছু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক ছাত্র জড়ো হয়েছে। বিশাল মিছিল হবে। বটতলায় এসে রায়হান অবাক। এত লোক এ যেন ঢাকা শহর ভেঙ্গে পড়েছে।


ছাত্র নেতা কে নেই সেখানে। কিছুক্ষণ ছাত্র নেতারা বক্তৃতা দিল । শিক্ষানীতি নিয়ে কি যেন বলল। রায়হান এর মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝল না। সে বার বার সুজন কে বলতে লাগল মিছিল কখন শুরু হবে। বারটা এক মিনিটে অপরাজেয় বাংলার পাদ দেশ থেকে মিছিল শুরু হলো। শিক্ষা ভবন ঘেরাও করা হবে। শিক্ষা ভবন কোথায় রায়হান তা জানে না। মিছিল এগিয়ে চলছে। টিএসসি হয়ে বাংলা একাডেমী তিন নেতার মাজার দোয়েল চত্বর হয়ে
বাঁ দিকে কার্জন হলের সামনে ফটক পেড়িয়ে হাই কোর্ট চত্বরে পৌছার সাথে সাথে পুলিশ কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে বাধা দিল। মিছিল আর সামনে এগোতে পারছেনা।

ছাত্ররা কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষায় শ্লোগান দিতে থাকল। মজিদখানের শিক্ষানীতি মানিনা মানবনা, স্বৈরাচারী সরকারের শিক্ষানীতি মানিনা মানবনা। এক সময় হঠাৎ গুলির শব্দ শোনা গেল। হাজার হাজার গুলি। মিছিলের ছাত্ররা দিগ্বিদিক ছুটাছুটি শুরু করল। রায়হান হাইকোর্ট চত্বরের ভেতর ঢুকে পড়ল।
শিশু একাডেমীর গ্রিলের দেয়াল ডিঙ্গাতে যাবে হঠাৎ স্বৈরাচারের একটা বুলেট এসে মাথার খুলি উড়িয়ে নিলো। রায়হানের নিথর দেহ হাইকোর্ট চত্বরে পড়ে রইল। সুজন লক্ষ্য করে ছিল। পুলিশ ছাত্রদের দাওয়া করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে গেলে সুজন রায়হানের লাশটি টেনে হাইকোর্টের পিছনে লুকিয়ে রাখল।

সারা রাত রায়হানের মৃত দেহটি হাই কোটের পেছনে পড়ে রইল। পরদিন সকালে দেখা গেল শিয়াল রায়হানের দেহ থেকে মাথা আলগা করে খেয়ে ফেলেছে। রায়হান আর ফিরে আসবেনা কোন দিন। মিছিল হচ্ছে। মিছিল হবে। রায়হানকে আর কোন দিন মিছিলে পাওয়া যাবেনা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
বশির আহমেদ ভাই বিন আরাফান বিলম্বে হলেও আপনি গল্পটা পড়েছেন ও মুল্যবান মন্তব্য করেছেন এ জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
বিন আরফান. রায়হান ! ওহ বড় ভাই জটিল হয়েছে. ওই সবের বিরুদ্ধে একটি ঝাটা মিছিল যদি বের করতেন ! কলিজাটি জুড়াত, এখন দাতে দাত বাড়ি খায়. শুভ কামনা দেয়া ছাড়া সব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি.
বশির আহমেদ হালিম ভাই ও অদিতি আপনাদের অসংখ ধন্যবাদ i
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
নিলাঞ্জনা নীল যে সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা তখন আমি ৫ বছরের শিশু এরকম একটি সময়ের ধারণা দিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ.
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
M.A.HALIM খুব ভালো হয়েছে গল্প। আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১১
বশির আহমেদ রানা ভাই ঠিকই বলেছেন শৈরাচার এখন আমের আচার নয় শুধু আমের আমসত্ব । ক্ষমতার লালসার কাছে সকল নেতানেত্রী এক আমরা বলির পাঠা । রাজু, রায়হান, জাফর, জয়নাল, নুরহোসেনরা তাদের ক্ষমতার সিড়ি মাত্র । আমি আপনি নিরব দর্শক । আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
মিজানুর রহমান রানা নব্বই সালে চাঁদপুরে স্বৈরাচারী শাসক উৎখাতের আন্দোলন তথা মিছিলে গিয়ে রাজু শহীদ হয়। ওই মিছিলে আমিও ছিলাম, অক্কা পেতে বসেছিলাম। অল্পের জন্যে রক্ষা পাই। আমি মরে গেলে বড়জোর আমার নামে শহীদ স্তম্ভ হতো। কিন্তু যখন আজকে দেখি সেই স্বৈরাচারের সাথে আমাদের নেতা-নেত্রীরা সোনায় সোহাগা তখন শহীদ রাজুর জন্যে মায়া হয়, হায়রে রাজু এসে দেখে যা, তোর নেত্রী আর স্বৈরাচার এক ঘাটের পানি খায়। আপনার গল্পটি পড়ে নব্বই সালের সেই কঠিন সময়টি মনে পড়লো। গল্পকারকে সুন্দর একটি গল্প উপহার দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১
বশির আহমেদ খন্দকার নাহিদ হোসেন, খন্দকার আযহা সুলতানা ও পাঁচ হাজার আপনাদের মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
ভালো লাগেনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১
পাঁচ হাজার অনেক ভাল লিখেছেন।
ভালো লাগেনি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

০৭ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪