মাতৃ ভালবাসার টানে

মা (মে ২০১১)

এস. এম. কাইয়ুম
  • ১৩
  • 0
  • ১৪৫
*মাগো মা ওগো মা, তোমার হয়না তুলনা, আমি তোমায় আঁচল ছেড়ে কোথায় যাবো না- মাগো মা ওগো মা \\
*মায়ের একভাগ দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম- পাপোশ বানাইলেও ঋণ শোধ হবে না, এমন দরদী ভবে কেউ হবে না - আমার মা গো \\
মা নিয়ে কত উপমা, কত আবেগ, ভালবাসা, কত কথা! সত্যিকার্থে মায়ের বেলায় কোন প্রকার বিতর্ক নেই। যেমন একজন সন্তানের কাছে মায়ের বিকল্প নেই তেমনি উপমা, আবেগ, দয়ামায়া, স্নেহ- ভালবাসার কোন কিছুর শেষ নেই মায়ের কাছে। অন্যকথায়, এ নশ্বর পৃথিবীতে যেমন সর্বশ্রেষ্ঠ মহান আল্লাহর কোন তুলনা বা বিকল্প কিছু নেই তেমনি গর্ভধারনী মায়ের দ্বিতীয় কিছু হয় না। আসলে যে কেই যেমনি ভাবে, ভাবি না কেন - মা শব্দের বা অর্থের পূর্ণতা যে কত সামঞ্জস্য পূর্ণ তা কেবল হ্রদয় দিয়ে অনুভব না করলে বুঝা যায় না । একটা সন্তান একজন মায়ের কাছে হাজার কষ্টের ফসল। দীর্ঘ দশ মাস দশ দিন অতীব ব্যথা-বেদন, কষ্টের সাগর পাড়ি দিয়ে দুনিয়া ও পরকালের মাঝামাঝি অবস্থান থেকে ফিরে দেখতে পায় চাঁদ মাখা মুখখানা _ তাঁর নাড়ি ছেড়া ধন সন্তানের। সোনার টুকরো সন্তানকে দেখার পরৰনেই মহান আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় মা তাঁর গর্ভকালীন সকল কাষ্ঠ, ব্যথা-বেদনা সহ যাবতীয় সব কিছু যেন এক নিমিষেই ভুলে যায়। সেই মহাময়ী মায়েরা আজ অসহায় অবস্থায় জীবন-যাবন করছে। শেষ বয়সে একটু তৃপ্তি পাবার নেশায় হাহাকার করছে। প্রতিটি মুহূর্ত পার করেছেন অনাহারে, অন্নবস্ত্র ছাড়াই। অথচ আমরা কেউ তাঁদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব পালন করছি না। কিন্তু আমরা যখন শিশু ছিলাম তখন এই মায়েরা না খেয়ে, না ঘুমিয়ে সন্তানের দায়িত্বে ব্যাকুল ছিলেন। সন্তানের কিছু হলে মায়ের খাওয়া-দাওয়া হারাম, দিন-রাত চিন্তায় ব্যস্ত, কি করে বাবু ভালো হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য নাকি হতভাগ্য আজ সেই মায়েদের দেখার-খবর নেয়ার মত লোক নেই। মা তুমি কেমন আছো সেই কথাটা বলার লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। শিশুবেলায় সন্তান যখন মা বলে কোন কিছু দাবি করতো, দয়াশীল মায়ের কাছে সেই কোন কিছু না থাকলে যে ভাবে হউক ম্যানেজ করে দিতো শুধু তাঁর সন্তানের হাসিখুশির জন্য। কিন্তু মায়ের চাওয়া-পাওয়ার কথাটা বাদ দিলাম।
আসুন, আজ আমরা আরও একবার জেগে উঠি সকল মায়ের ভালবাসার আঁচলের বেড়িবাঁধে আত্ম-বলিয়ানে সিক্ত হয়ে পৃথিবীর সকল প্রকার বাঁধা অতিক্রম করে প্রত্যেক মায়ের প্রতি নিজ নিজ দায়িত্বে সচেষ্ট হই। বয়স্ক মায়েদের প্রতি আদর,যত্ন আর ভালবাসার সহিত সচেতনতা বৃদ্ধি করি। এবং অসহায় নিপীড়িত অনাথ মায়েদের দিকে একটু সাহায্যের হাত প্রসারিত করি। যে কেউ, যে কোন ভাবে হউক অন্তত চোখের নজর দেই নিয়োজিত হ্রদয়ে আর মাতৃ-ভালবাসার টানে।
পাদ-টীকা: সন্তানের জন্ম প্রসঙ্গে- একজন মায়ের দৈনদিন শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বর্ণনা বা ব্যাখ্যা, মহামান্য প্রভু আর একজন মা ছাড়া ইহার বিবৃতি দেয়া পূর্ণতা পায় না। কারণ পুরুষ জাতি পর্যাপ্ত ভাবে বোধগম্য নয়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস. এম. কাইয়ুম অবশ্যই প্রবন্দ -ধন্যবাদ
বিন আরফান. গল্প নয় প্রবন্ধ হয়েছে. চালিয়ে যান শুভ কামনা রইল.
এস. এম. কাইয়ুম প্রবন্ধ তো বটে - ধন্যবাদ
সূর্য S.M Kaiyum > গল্প হলো কিছু নির্দিষ্ট মানুষ বা স্থান/কালকে ঘিরে আবর্তিত কোন ঘটনা, যার টুকরো টুকরো বর্ণনায় কাহিনি এগিয়ে যাবে। সামষ্টিক কোন কিছু নিয়ে লিখতে গেলে সেটা প্রবন্ধ অথবা ব্লগ লেখার মতো হয়ে যায় অথবা হয় রিপোর্টিং। তোমার এই লেখাটা অনেকটা সেরকমই হয়েছে। লেখার ধরণ মন্দনয়, আগামী সংখ্যায় তোমার একটা পরিপূর্ণ গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকব।
sakil হার জিত চরদিন থাকবেই তবু ও সামনে এগিয়ে যেতে হবে . ভালো হয়েছে .
এস. এম. কাইয়ুম হে , আপনি বুঝতে পারছেন - ধন্যবাদ

০৭ এপ্রিল - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪