বড় পাঁজি সূর্যের আলোটা। নচ্ছার, বেহায়া, বে-শরম। খুব গালি দিতে ইচ্ছে করে। লাজ শরমের বালাই নেই। ভোর হতে না হতেই বদ্ধ ঘরে উঁকি মারা শুরু করে। কেউ তো মঙ্গলদ্বীপ জ্বালিয়ে ডাকে না। তবুও আসে কেন। একদিন নয়, দু'দিন নয়। রোজ আসে। প্রতিদিন এরকম বেলেলস্নাপনা ভালো লাগে না শর্মির।
মাঝে মাঝে বড় রাগ হয়। পাশাপাশি অনুরাগও হয়। এই যেন আলোটার মোক্ষম সময়। কাউকে জাগিয়ে দিতে হয় না। ঐ আলোটায় সাত সকালে জাগিয়ে দেয় শর্মিকে। সকালে কি সব এলোমেলো ভাবনা এসে জড়ো হয়। কোথায় একটু ঈশ্বরের নাম নেবে তা না। যত্তসব চুলছেড়া ভাবনা। ঐ সূর্যের আলোটার মতোই চুপি চুপি মাথায় ঢুকে পরে।
ভোরের আলো দেখার জন্য শর্মি ব্যাকুল হয় না। আলোটা নিজে এসেই ধরা দেয়। তাও যেন কত বিচিত্র। একঘর লোকের মধ্যে কেবল শর্মিকেই তাড়া করে। এমন বে-লাজ সূর্যটা। প্রতিরোধ করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সে'তো সূর্য। অনন্ত অসীম ক্ষমতা। মুহূর্তেই সব ঝলসে দিতে পারে। শর্মি শুধু সূর্যের আলোটার একজন সামান্য অংশীদার। তবুও আলোটা শুধু তাকে তাড়া করে কেন।
ঠিক ঐ গলির মোড়ের লম্পট ছেলেটার মতোই। কি যেন নাম। ও মনে পরেছে। যতীন। নামের কি ছি-রি-রে বাবা। ঘেন্না হয়। দেখলে মনে হয় মুখে থুথু ছিটিয়ে দিই। সারাক্ষণ শুধু ঘুর ঘুর করে। কখনও যে একটু মাথা উঁচু করে স্কুলে যাবো, তা না। চোখ পরবেই। রাস্তাটা যেন ওর বাপ দাদার সম্পত্তি। সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকবে। যতক্ষণ না মোড়টা পার না হই।
বিড় বিড় করে কি যেন বলার সুযোগ খুঁজে। আমার নামও শর্মি। বলার সুযোগ দিলে তো। কি আর করবে। শর্মি সেই সুযোগ দেয় না। সুযোগ পেলেই মাথায় চড়ে বসবে। আরও বেশী জ্বালাবে। প্রথম প্রথম হয়তো দু'টো মিষ্টি কথা বলবে। তারপর এক আধটু প্রেমের কথা। ভালোবাসার কথা বলতে চাইবে। আমি সব বুঝি। তারপর..তারপর আরও কত কি। শর্মি সব বুঝে। বুঝবে না কেন। ক্লাস টেন-এ পড়ে। বড় রাগ হয়। ইচ্ছা হয় দু'টো কড়া কথা শুনিয়ে দেই। লজ্জা করে না, এভাবে মেয়েদের পেছনে ঘুরতে। ছি..ছি..ছি..। আর কখনও এভাবে পথে দাড়িয়ে থাকবেন তো আস্ত কষে একটা চড় বসিয়ে দেবো। অসভ্য।
কিংবা খুব ভোরে। সূর্যের আলোটা তীক্ষ্ম সেলের মত শর্মির বুকে এসে পরে। তখন মাঝে মাঝে মনটা অন্যরকম হয়ে যায়। ভাবনাটা নরম হয়। মনটা শীতল হয়। কারও প্রতি কোমল মনটা আরও নরম হয়। ঠিক ভালোবাসা কিনা বুঝতে পারে না। ছাই পাশ, কাকেই বা ভালোবাসবে। মাঝে মাঝে পাড়ার অমলদা আসে। আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। দুষ্টুমি করলে আলতো একটা চড় বসিয়ে দেয় গালে। সেটা কি চড় না গাল স্পর্শ করা, কিছুই বুঝতে পারে না। এখনো মনে পরে, অষ্টম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়েছি। অমলদা হাতে করে কিছুই আনেনি। আমিও বায়না ধরেছিলাম। পাশ করেছি। কিছু একটা চাই। এখুনি দিতে হবে। অমলদা সাত পাঁচ কি যেন ভাবল। তারপর দু'হাতে মাথাটা চেপে ধরে প্রথমে কপালে তারপর দু'গালে দু'টো চুমু দিল। বলল-এই আদর দিলাম। খুশিতো। লজ্জায় শর্মির মুখটা লাল হয়ে গিয়েছিল।
এই যতীন ছেলেটাকেও ডেকে জিজ্ঞাসা করতে ইচ্ছা করে - যতীনদা কেমন আছেন। কি আর বলবে। হয়তো মিষ্টি হেসে কপালে দুঃখ টেনে বলবে - খুব ভালো নেই। তুমি কেমন আছো। আহারে বেচারা। সহজ সরল বোকা সোকা লোকগুলো প্রেমে পরলে বুঝি এরকম হয়। আরও বেশী হাবাগোবা হয়ে যায়। খুব বিশ্রী লাগে এরকম হাবা গোবার মত কথাগুলো। বেচারা বুঝি ভালোবেসেছে। আহারে তার কত দুঃখ।
তাতে আমার কিছু যায় আসে না। আমি ও পথে না গেলেই হলো। আমার না হয় একটু শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে। তাই বলে লোকগুলো এভাবে তাকাবে কেন ? শর্মি তখন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের একজন সিনিয়র ছাত্র। নাইনে পড়ে। শর্মিকে ভালবাসতে চায়। কোন ফাঁকে বইয়ের ভিতর একটা চিঠিও দিয়েছিল। শর্মি সোজা শুনিয়ে দিল- তোমার তো আমাকে খাওয়ানো পরানোর সামর্থ্য নেই। তুমি কি পারবে আমার জন্য সব বিসর্জন দিতে। যদি পারো তবে আমি রাজী। নয়তো এমন দুঃসাহস আর কখনও করবে না। মনে মনে বলল - হুঁ ব্যাটা প্রেম করতে এসেছে। সখ ক'তো। ব্যাটাকে ঘুঘু দেখিয়ে ছাড়বো। শুধু ঘুঘু কেন ঘুঘুর ফাঁদ শুদ্ধ দেখিয়ে ছাড়বো। কি সাহসরে বাবা! এত কথা বুঝল কি করে শর্মি। যা বলল তাতো বয়সের তুলনায় নিতান্ত অনভিজ্ঞ হবার কথা। কিংবা হয়তো কিছুই বুঝেনি। যা মুখে এসেছে তাই বলে দিয়েছে।
তবে সুফল হয়েছে এই যে, দ্বিতীয়বার ঐ ছেলেটি আর শর্মির ধারে কাছেও আসেনি। তার প্রেম ঐটুকুতেই শেষ। হতভাগা বেচারা। পিচ্ছি ছেলেতো। প্রেমের কতটুকুই বা বোঝে। যা কিনা আজ শর্মি বুঝেছে। মেয়েরা বোধ হয় অল্প বয়সে অনেক কিছু বুঝে। ঐ যতীন না মতিন ছেলেটা। এও বুঝি একই রকম হবে। সুযোগ পেলেই প্রেম পত্র দিয়ে বসবে। এই তো স্বভাব।
কি নাম আবার। যতীনও নয়। যতীনদা। বয়সেও অনেক বড়। বেশ কিছুদিন গ্রামে ছিল। কোন সাড়া না পেয়ে বোধ হয় শহর ধরেছে। আবার ফিরেও আসে খুব ঘন ঘন। বাড়ীর ত্রিসীমানায় আসে। আলাপ হয় অন্যদের সাথে। আমার ইচ্ছে হয় এখুনি তাড়িয়ে দিই। কিন্তু কেন আসে। চেহারাটাও যেন কেমন। কালো কুচকুচে। বাংলার পাঁচ এর মতন। দেখলে ঘেন্না হয়। এখন শহুরে কাক হয়েছে। মিউনিসিপ্যলিটির পানি খেয়ে ইদানীং শরীরটাও একটু নাদুস নুদুস হয়েছে। হঠাৎ দেখলে মায়াও লাগে। ভাবটা এমন যেন সুযোগ পেলেই কিছু একটা নিবেদন করে বসবে।
শর্মি তার কি জবাব দেবে। অনেকদিন থেকে ভাবে শর্মি। খুব সকালে। যখন সূর্যের আলোটা জাগিয়ে দেয় শর্মি। অনিচ্ছা স্বত্বেও শর্মি জেগে উঠে। আর এসব ভাবে। সরাসরি কিছু বলতে লজ্জা হয়। নয়তো শুনিয়ে দিতো কয়েক কথা। কিশোর বয়সে মেয়েরা যা বুঝে তা সমবয়সী ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশী। অপেক্ষাকৃত বয়সে বড় কারো মিষ্টি আহবানে সাড়া দেয়। হঠাৎ করে প্রেমে পরে যায়। কিছুদূর গিয়েই থেমে যেতে হয়। ফলে ব্যর্থতা। এই ব্যর্থতা তেমন কষ্ট দেয় না। দুঃখজনকও নয়। কারণ নিত্য নতুন হাতছানি পরে। দিশেহারা হতে হয়। কোন পথটা নিষ্কণ্টক। বুজে উঠতে পারে না।
আর ছেলেরাও কেমন বুদ্ধু। প্রেমের মর্মতো বুঝেই না। বরং শরীরের বিভিন্ন অলিতে গলিতে সুড়সুড়ি দেওয়া শুরু করে। কি বিশ্রী কাণ্ড। পেলে একবার ঝেটিয়ে বিদায় করতাম। হতচ্ছাড়া কোথাকার। শর্মি এর সবই বুঝে। একেতো সুন্দরী। তার উপর সুন্দর একটা মিষ্টি হাসি সবসময় লেগে থাকে। যা একজন পুরুষকে যখন তখন মুগ্ধ করতে পারে। ফলে অনেকের হাতছানি পরে। সাবধানে পা ফেলতে হয়।
শর্মি মোটেও কেয়ার করে না। তবুও ভাবে, কেন এমন করে ওরা। আমি বুঝি খুব সুন্দরী। এই ভেবে গর্ব হয়। তাই হয়তো ওরা এভাবে কাছে আসতে চায়। অহংকারটা চাপা থাকে। অলংকারটা উপছে পরে। মেয়েদের এই সৌন্দর্যটায় আলাদা।
শর্মিদের একচালা টিনের ঘর। দক্ষিনের ঘরটায় রাত্রি যাপন করে শর্মি। জানালার পাশে সবুজ ধানী জমি। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। বরাবরই ভালো ছাত্রী। প্লেসে থেকেই ক্লাস টপকায়। অধিক রাত জেগে পড়াশুনা করে। তারপর শুতে যায়। এই বিছানাটায় যেন যত অনিষ্টের মূল। সব কিছু গুলিয়ে দেয় মাথার মধ্যে। আবোল তাবোল বে'ফাঁস কথা সব। রাতের অন্ধকারে শরীরের উপর তেলাপোকার স্পর্শ পায়। সুড়সুড়ি দেয়। টিকটিকিটা আড়ালে চুক চুক শব্দ করে। নিশাচরেরা বাড়ীর চারপাশে ঘুরে বেড়ায়। অথচ ভয় পায় না। বুঝতে পারে এসব মনের অভিব্যক্তি।
সকালে ঐ বেহায়া সূর্যের আলোটা জাগিয়ে তুলে। শর্মি বিরক্ত হয়। চোখ খুলেই ক'টা আ'কথা কু'কথা শুনিয়ে দেয়। এ আলোর যেন প্রয়োজন ছিল না। আলোটা এমন কেন।
টিনের চালে কয়েকটি ছিদ্র। সূর্য উঠে। পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পরে সে আলো। তেজ বাড়তে থাকে। ছিদ্র দিয়ে একখণ্ড আলো চুপি চুপি প্রবেশ করে শর্মির ঘরে। ঠিক শর্মির মুখের উপর গিয়ে পরে। দেখতে ছোট একখানি চাঁদ কিংবা পুতুল খেলার সেই স্বচ্ছ কাঁচের বাটির মতোই। ইচ্ছে করে কে যেন শর্মির মুখের উপর একখানি শক্তিশালী টর্চের আলো ফেলে রাখে। সমস্ত ঘরটা অন্ধকার। তির্যক সরল রেখায় ধোঁয়াগুলো কাকুতি মিনতি করে। সরল রেখা বরাবর আলোর নাচন শুরু হয়। বাইরে যেতে পারে না। আলোর ছায়াটি শর্মির মুখের উপর পরে। উষ্ণতা অনুভব করে সে জায়গায়। জেগে উঠতে হয়। সারা ঘরে আরও কয়টা আলোর প্রতিবিম্ব পরে। বে'শরম সূর্যের আলোটা এভাবেই লুকোচুরি খেলে। বাবাকে কতবার বলেছে টিনের চালে ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে। বাবা সংসারী মানুষ। আজ দেবে কাল দেবে করে আর দেওয়া হয়না। বাবাটাও যেন কেমন।
শর্মির রাগ হয় বাবার উপর। নিজে গিয়ে পুটিং দিয়ে বন্ধ করে দেয় ছিদ্রগুলো। কোন লাভ হলো না। আলো আসে জানালার ফাঁক দিয়ে। দেওয়ালের কার্নিশের ভিতর দিয়ে। তবে রক্ষা মুখের উপর ঐ চাঁদের আলোটা আর নেই।
ঘুম ভাঙ্গতেই শর্মির মনটা খারাপ হয়ে গেলো। তার সকালের স্বপ্নগুলো আর নেই। আগের মতো ভাবতে পারলো না ঐ নচ্ছার সূর্যটাকে নিয়ে। ভাবতে পারলো না প্রেম প্রত্যাশী বখাটে ছেলেটার কথা। ভাবতে পারল না অমলদার সেই আদরের কথা। ভাবতে পারলো না সুন্দরের কথা, অহংকার আর অলংকারের কথা। সব কিছুই কেমন যেন শূন্য মনে হয়। দুঃখ হয় শর্মির। আলো না থাকলে কি জীবন সুন্দর হয়? পৃথিবী সুন্দর হয় ? এতদিন আলোটা ছিল তাই শর্মির স্বপ্নও ছিল।
শর্মি তাড়াতাড়ি টিনের চালে উঠে পরে। বাবা জিজ্ঞাসা করল - চালে উঠছিস কেন। শর্মি কিছু না বলেই পুটিং গুলো সরিয়ে নেই। সকালের ঐ আলোটা শর্মির খুব প্রিয়। নিত্য জাগিয়ে দেয়। থাকে সারাটা দিন। বিছানায় এসে সরল মনের উপর আলোর ছোঁয়া লাগে। আলোর রশ্মিটা বুকের উপর রেখে বলে আমি আমি স্বপ্ন নিয়ে বাঁচবো। চুপি চুপি বলে উঠে - আলো আমার আলো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনির মুকুল
শর্মির ভাবনাটা বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। কিছু কিছু কথাও বেশ রসালো- “চেহারাটাও যেন কেমন। কালো কুচকুচে। বাংলার পাঁচ এর মতন”। ৫ সংখ্যাটা কি আসলেই খারাপ! চমৎকার!
হাবিব রহমান
বেশ কাব্যিক একটা গল্প...আগেই পড়েছিলাম, আধাটুকু এখন শেষ করলাম। আসলেই আমরা আলো গুলোকে পুডিং দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শর্মির মত আমাদের সকলকে আলোর জন্য পথে নামতে হবে...শুভকামনা রইল।
আহমাদ মুকুল
গল্পটি পড়ে একটি কথাই বেরুলো- বাহ! কি কথার কারুকাজ! এক কিশোরীর আত্মকথনে সমগ্র নারী জাতির রহস্যময়তা তুলে আনলেন কলমের আঁচড়ে। দারুন ভাই, দারুন।
সূর্য
একটুকরো সূর্য (আলো) ঘিরে শত কল্পনা আর বাস্তবের ছবি আঁকা। কথায় বলে না "মেয়েরা নিজেই বুঝে না সে কি চায়" তার প্রকৃত উদাহরণ (পুডিং লাগানো আবার উঠিয়ে ফেলা)। চমৎকার মনস্তাত্বিক টাইপ গল্প, মুগ্ধ হয়েই পড়লাম। [একটা অনুযোগ অবশ্য আছে গল্পটা শুরুতে তৃতীয় পুরুষের বর্ণনায় শুরু হলেও একই প্যারায় সেটা কখনো উত্তম পুরুষ আবার তৃতীয় পুরুষে বিবৃত হয়েছে, উত্তম পুরুষে বিবৃত অংশগুলো ডায়লগে দিলেই ভাল হতো ত্রিনয়ন দা। অনেক অনেক শুভকামনা।]
অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সূর্য ভাই...আপনার ধীরগ মন্তব্য এবং সময় দেওয়ার জন্য...আর আপনার মত একজন শক্তিমান লেখকের অনুযোগটা শিরোধার্য...তবে আমার ভাবনায় আলোতে হচ্ছে উত্তম পুরুষ...বাকি সব অন্তরের কল্পনা...পুরো বিষয়টায় মনস্তাঠিক...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।