বৃষ্টি ভেজা দিনে গরুর গোস্তের কালো ভুনা দিয়ে খিচুড়ি ভোজনে কেউ কেউ উল্লাসে মেতে উঠে। আবার কেউ বৃষ্টি থেকে রেহাই পেতে উঠে পড়ে সংগ্রামে। ঘাঘট নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বহু মানুষ তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গেছে। নদীর গতিধারা ক্রমেই আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। ঘাঘট যেন পাগলা কুকুর হয়ে গেছে। যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই খাবলে ধরছে। ঘাঘট নদীর পাড়ে অবশিষ্ট যে ক'জন মানুষ বাকি ছিল তারাও চলে গেছে নতুন ঠিকানায়। যায়নি শুধু শুক্কুর আলী। '৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী হার মানতে রাজী নয় ছোট একটা নদী এই ঘাঘটের কাছে। আসলে তার যাওয়ার মতো কোন স্থান নেই। আত্মীয় স্বজনও নেই। তাই ঘাঘট নদীর বিরুদ্ধে সে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। শুক্কুর আলীর দৃঢ় বিশ্বাস, স্বাধীনতা যুদ্ধে সে এই বিশাল দেশ পাকিস্তানী জল্লাদদের কাছ থেকে ছিনিয়ে এনেছে, কাজেই সে এই যুদ্ধেও জয়ী হবে। হবেই। ঘাঘট জয়ের প্রত্যয়ে প্রতিবছর চলে তার নিরন্তর সংগ্রাম। তবে তিনবেলা চারটে ডালভাত খেয়ে সুন্দরভাবে বেঁেচ থাকার যুদ্ধে শুক্কুর আলী জয়ী হবে এমন স্বপ্ন তার নেই। খেয়ে না খেয়ে চরম দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছে তার পরিবার পরিজন নিয়ে। অভাব তার নিত্য সঙ্গী। অভাব আর কষ্টই যেন তার ভালবাসা। ঘাঘট নদীতে মাছ শিকার করে জীবন চালায় শুক্কুর আলী। টাকার অভাবে জাল কিনতে পারছে না সে। বড়শীতে আধার গেঁথে মাছ ধরতে ভীষণ কষ্ট হয় তার। কী এক প্রতারণা মাছের সাথে। খাদ্যের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মাছকে নির্মম ভাবে টেনে হিঁচড়ে আনতে হচ্ছে। বিষয়টি শুক্কুর আলীর বিবেক বর্জিত বলে মনে হয়। তবুও পেটের দায়ে তাকে এই কাজটি করতে হয়।
ঘাঘট নদীটি সরকার হঠাৎ লিজ দিয়ে দেয়। লিজ গ্রহণকারী মহাজনের কড়া নিষেধাজ্ঞায় বন্ধ হয়ে যায় শুক্কুর আলীর মাছ ধরা। যা হোক মাছের সাথে প্রতারণা করতে হচ্ছে না তাকে, এই ভেবে তার অনেক দিনের নীরব অপরাধের বোঝা মাথা থেকে নেমে যায়। মনটা এখন বেশ শান্তি লাগছে শুক্কুর আলীর। কিন্ত, রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অশান্তির আগুনে জ্বলছে পেট নামক যন্ত্রটি। দু'দিন পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকার পর তার কেবলি মনে হচ্ছে, রাক্ষুসি ঘাঘট নদীর চেয়েও আরো ভয়ংকর রাক্ষুসি 'মানুষের পেট'। ঘাঘটতো শুধু ঘরবাড়ি, জমিজমা ভক্ষণ করে। আর রাক্ষুসি পেট ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে মায়া-মমতা, মান- সম্মান, চরিত্র সব ভক্ষণ করে। এরপরেও তার ক্ষুধা মেটে না।
শুক্কুর আলী লক্ষ্য করলো, তার পরিবারে রাক্ষুসে পেটের হানা শুরু হয়ে গেছে ধারাবাহিকভাবে। ঘরের চালের টিন বিক্রি করে চাল-ডাল আনা হয়েছে। এরপর বেড়া, চকি স্ত্রীর হাতের বালা কানের দোল শেষে শুক্কুর আলীর প্রিয় বড়শি বিক্রি করে রাক্ষুসী পেটকে সান্তনা দিতে হচ্ছে। নয় বছরের মেয়েটাকে রাজধানীতে এক বাসায় কাজের মেয়ে হিসাবে দিয়ে দিয়েছে। সাত বছরের ছেলেটাকে গাইবান্ধা শহরে এক হোটেলে দিয়ে দিয়েছে। তিন বছরের ছোট মেয়েটা আছে ঘরে। এই অবুঝ শিশুতো আর কোনো কাজে আসবে না-তাই হয়তো সে ঘরে পড়ে রয়েছে। শুক্কুর আলীর স্ত্রী জরিনা খাতুন এবাড়ি ও বাড়ি ঝি এর কাজ করে যা পায়- এই একজনের খাবার খেতে হচ্ছে তিনজনকে। পঙু মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে শুক্কুর আলী সরকার থেকে মাসে কিছু টাকা পায় বলে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে এখনো তাকে ঘর ছাড়তে হয়নি।
এমনি এক পরিস্থিতির মধ্যে নাম জটিলতার কারণ দেখিয়ে সরকার Ζানীয় চেয়ারম্যান সম্মানী ভাতা বন্ধ করে দেয় শুক্কুর আলীর। এ ঘটনায় মারাত্মক আঘাত পায় সে। অত:পর একদিন স্ট্রোক করে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে পড়ে সে। বিনা চিকিৎসায় অনাহারে অর্ধাহারে মধ্যযুগীয় এক নির্মম দিন শুরু হয় তার। দেহ জীবন্ত কংকাল হয়ে পড়েছে, তবুও মৃত্যু হচ্ছে না। প্রতিদিন প্রতিটা মুহূর্ত আজরাইলকে ডাকে সে। আজরাইল আসে না।
গভীর রাত। মূষলধারে বৃষ্টিতে পায়ের ছলাৎ ছলাৎ আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। আজরাইল কী আজ এসেছে। না, মৃত্যু দূত আজরাইল না। তবে গ্রামের সবাই তাকে আজরাইল বলে ডাকে। শুক্কুর আলীর স্ত্রী জরিনা খাতুনের সাথে ক'দিন হল আজরাইলের বেশ ভাব জমে উঠেছে। প্রায়’ই গভীর রাতে আজরাইল এসে শীষ দেয়। জরিনা শব্দহীন পায় আস্তে আস্তে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।
আজ আর শীষ নয়, আজরাইল জরি-জরি করে ক'বার ডাকলো। জরিনা বেরিয়ে পড়লো। শুক্কুর আলী পাশ ফিরে শোয়। ভাঙ্গা বেড়ার ফাঁক দিয়ে বিজলী চমকানো আলোয় স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জরিনা ও আজরাইলকে। গোয়াল শূণ্য ঘরে আজরাইলের কোলে শুয়ে আসে জরিনা। আজরাইল জরিনার মাথায়, চুলে হাত বোলাচ্ছে একান্ত আপন করে। কখনো কখনো তার হাত চলে যাচ্ছে জরিনার নিষিদ্ধ স্থানে। পাথরের মূর্তির মতো বিস্ময় হয়ে যাওয়া শুক্কুর আলী ভেবে পায় না, দক্ষিণপাড়ার রিকসাওয়ালা আব্দুল আলীর যুবক ছেলে আজরাইল তার জরিনার মাঝে কী পেলো! এ যুবক কি উন্মাদ, পাগল ? কিছুক্ষণ পর শুক্কুর আলী দেখতে পেলো, যুবকটি জরিনার নিষিদ্ধ সব এলাকায় বিচরণ করছে। জরিনাও তার দেহের সবকিছু উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
শুক্কুর আলী এখন বুঝতে পারলো, না যুবকটি উন্মাদ নয়। বিজলী চমকানো আলোয় এবার আরো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে জরিনার উন্মুক্ত দেহ। কী অপূর্ব! জরিনাকে যেন মনে হচ্ছে আঠারো বছরের এক যুবতী।
হঠাৎ অন্ধকারে ডুবিয়ে দিলো পৃথিবী। অদৃশ্য হয়ে গেল জরিনা ও যুবকটি। অন্ধকারে শুধু ওদের হাসির শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রচন্ড হাসি, হাসির বন্যা। ওদের হাসির শব্দ যেনো পানির বন্যাকে হারিয়ে দিবে!
হাসির শব্দটি শুক্কুর আলীর কাছে বাংকার বিধ্বংসী ক্লাস্টার বোমার শব্দের মতো লাগছে। চোখের জলে ভিজে গেছে তার বালিশ। অপরদিকে ক্ষুধার জ্বালায় আগুন জ্বলছে পেটে। জরিনা এখনো আসছে না কেন ? তাদের হাসির শব্দ আর শোনা যাচ্ছে না। তবে কী জরিনা যুবকটির হাত ধরে চলে গেছে কোথাও ? না, যায়নি। ছোট মেয়েটির চিৎকারে জরিনা ছুটে এসেছে ঘরে। মশার কামড়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে সে। জরিনা তাকে ঘুম পাড়াতে লাগলো। এমন সময় ফজরের আযান শুরু হয়ে গেছে।
জরিনা গোসল সেরে নামাজ পড়লো। মোনাজাতে দুই হাত তোলে আল্লাহর কাছে তার স্বামীর রোগ মুক্তির জন্য আকুতি-মিনতি করলো। মোনাজাত শেষ করে পান্তা ভাতগুলো থালায় রাখলো। যেটুকু ভাত আছে তাতে তিন জনের হবে না। নিজে না খেয়ে সে তার স্বামী ও মেয়েকে ডেকে তোলে লবণ মেখে তা খাইয়ে দিলো। জরিনা এক মগ পানি খেয়ে সে তার কাজে বেরিয়ে পড়লো। শুক্কুর আলী আড় চোখে সব লক্ষ্য করলো। তার প্রতি জরিনার মায়া-মমতা ভালবাসা একটুও কমেনি। শুক্কুর আলী ভাবছে, জরিনা তার বিশেষ প্রয়োজনেই যুবকটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। না, জরিনাকে নষ্টা বলা ঠিক হবে না। জরিনা এমন কিছু হলে প্রতি রাতে তাকে একাধিক যুবকরা এসে শীষ দিতো। অনেক ভেবেচিন্তে অসহায় শুক্কুর আলী জরিনার রাতের ঘটনাটির নীরব স্বীকৃতি দিয়ে দেয়।
আষাঢ় মাস। অব্যাহত বৃষ্টি আর পাহাড়ী ঢলে নীচু এলাকার ফসলি জমি ঘর বাড়ি সব তলিয়ে ফেলছে। এ অবΖায় ঘাঘট নদীর পাশে বিস্তীর্ণ গ্রামগুলোতে প্রতিবারের মতো এবারও মঙ্গা শুরু হয়ে গেছে। অভাবের যন্ত্রণায় শ'শ মানুষ অখাদ্য-কুখাদ্য খেয়ে মারাত্মক পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। আর শুক্কুর আলীর ঘরেতো মঙ্গা শুরু সেই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই। দীর্ঘদিনের মঙ্গা এবং চলমান মঙ্গায় এক মহামঙ্গায় রূপ নিয়েছে তার ঘরটি। জরিনা এখন কারো বাড়িতে কাজ পায় না। চারদিকে পানি আর পানি।
এখন কোকিলতো দূরের কথা, আজরাইলও এখন আর গভীর রাতে এসে শীষ দেয় না। গ্রামে কোন কাজ না থাকায় আজরাইল অভাবের তাড়নায় রিকসা চালাতে রাজধানীতে চলে যায়।
তিনদিন ধরে উপোস শুক্কুর আলী, জরিনা ও মেয়েটি। শুক্কুর আলী ক্ষুধার যন্ত্রণায় অủ বর্ষণ করলেও কান্নার শব্দ করতে পারে না। শব্দ করার মতো শক্তি তার দেহে নেই। জরিনার দেহে কান্নার কিছুটা শক্তি থাকলেও সে শব্দ করে না। কিন্তু মেয়েটির কান্নার শব্দ বড় ভয়ংকর। আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে কেঁদে কেঁদে এক সময় চুপ হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। ঘুম থেকে উঠে আবার শুরু হয় তার গগণ বিদারী চিৎকার। জরিনা নিরুপায় হয়ে জঙ্গল থেকে কচুর মুখী তুলে এনে সিদ্ধ করে। সিদ্ধ করা কচুর মুখীতে লবণ মেখে তিনজনে মিলে খায়।
অবাক কান্ড! প্রশাসনের লোকজন এখনো লঙ্গরখানা খোলছে না এখানে। অভাব মানতে রাজি নয় সরকার। মঙ্গা মেনে নিয়ে লঙ্গরখানা খোললে ডিজিটাল এযুগে ভাবমুর্তির উপর আঘাত আসে। রাজার কাছে রাজ সিংহাসন আর মান সম্মান হলো বড় বিষয়।
সরকার যে পরিমান সাহায্য দিচ্ছে-সেখানে দীর্ঘলাইন। জরিনা দুইদিন লাইনে দাঁিড়য়ে থেকে শূণ্য হাতে বাড়ি ফিরে এসেছে। তার নাম ডাকার আগেই চাল ফুরিয়ে যায়। একদিন সারারাত লাইনে বসে কাটানোর পর আট কেজি চাল তার ভাগ্যে জুটে যায়। যদিও দশ কেজি চাল বরাদ্দ ছিল মাথা পিছু।
সাত রাজার ধন প্রাপ্তির আনন্দে জরিনা ছুটে আসে ঘরে। চুলায় আগুন জ্বালায় জরিনা। ভাত ফুটতে না ফুটতেই চুলার আগুন নিভে যায়। জরিনা ফু দিতে লাগলো চুলায়। আগুন আর জ্বলছে না। ধুঁয়ায় ভরে গেছে ঘর। অর্ধসিদ্ধ ভাত থালায় ভরে জরিনা এগিয়ে যায় তার স্বামীর দিকে। মেয়েটি ঘুমিয়ে আছে। জরিনা তার স্বামীকে বেশ ক'বার ডাকলো। শুক্কুর আলী নিরুত্তর।
পত্রিকায় খবর আসে, ‘মঙ্গার কবলে পড়ে মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী না খেয়ে মারা গেছে।’ এ খবর বিশ্বাস করে না সরকার। শুক্কুর আলীর ‘পোস্টমর্টেম’ হবে। কমর পানি মাড়িয়ে এমপি, ডিসি, এসপি, ইউএনও, চেয়ারম্যান মেম্বার সবাই ছুটে এসেছেন শুক্কুর আলীর বাড়িতে। কবর খোঁড়া হচ্ছে।
জরিনা তাতে বাঁধা দিলো। এমপি সাহেব বলেলন, মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলী আমাদের গর্ব-বাংলাদেশের গর্ব। তিনি না খেয়ে নাকি অন্য কোনো কারণে মারা গেছেন, এর পোস্টমর্টেম হবে।
জরিনা বুঝতে পারছে না পোষ্ট মর্টেম কী জিনিস! তবে এটুকু বুঝতে পারলো, ‘পোস্টমর্টেম’ ভালো কিছুই একটা হবে। এই কাজ করতে এসে এমপি, ডিসি সবাই তার বাড়িতে হাজির। জরিনার হাতে তারা পাঁচ হাজার টাকা এবং দুই বস্তা চাল দিয়েছে।
জরিনা ভাবছে, তার স্বামীর এই পোস্টমর্টেম যদি সরকার মৃত্যুর আগেই করতো, তাহলে তাকে না খেয়ে মরতে হতো না। জরিনা হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে বলতে লাগলো, “হামারা স্বামীর পোস্টমর্টেম মিত্যুর আগে হইলেক না ক্যান...? ”
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
বৃষ্টি যেমন আশীর্বাদের বার্তা নিয়ে আসে , ঠিক তেমনি কখনো কখনো অভিশাপও নিয়ে আসে। মানুষের জীবনে সুখের চেয়ে কষ্টের আবেদন অনেক বেশি। কাজেই গল্পটি বিষয়ের সাথে কিভাবে সমঞ্জস্যপূর্ণ।
০৬ এপ্রিল - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৩৭ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪