পৃথিবীর কোনো নারীর পায়ে প্রথম চুমু আঁকা মানুষটি ’জন পপ পোল’ ’মাদার তেরেসা’র পায়ে এঁকে ছিলেন সেই চুমু । আর দ্বিতীয় মানুষটি বোধহয় আমি এঁকে ছিলাম, সুলক্ষীর পায়ে । কখনো চঞ্চল কখনো শান্ত সে পা স্পর্ষ করে মেঠো পথ শিশির ভেজা কোমল ঘাস কুয়াশায় একাকী লুকোচুরি খেলা উদাস দুপুরে কাশ বনে ছুটে চলা নীল আকাশে লাল ঘুড়ি উড়ানো চাঁদনী রাতের আলোকীত রুপোর মাটি অসহায় নিরন্ন মানুষের আঙ্গিনা । তার পা স্পর্ষ করার স্বপ্নে বিভোর আকাশ হিমালয় এমনকি শপ্তর্ষী পর্যন্ত কথা ছিলো, সেই পায়ের নুপূরের ঝংকার শোনাবে একমাত্র আমাকে’ই । যার পা - গহীন তথ্যের মানচিত্র । জানি না,কোন ভুলে সেই পা আজ অদৃশ্য পথে যাত্রা করার মহড়া দিচ্ছে.... আমি সূর্য-সপ্তর্ষীকে স্বাক্ষী রেখে বলছি- এই মহড়া একদিন ব্যর্থ হবে । হবে’ই । কেন না,সেই চুমুটা ছিলো- ’অঞ্জলী’ যা সুলক্ষীর পা’ই এই অধিকার অর্জন করেছিলো । হতে পারি আমি অভিযুক্ত অভিশপ্ত ঘৃণীত আচ্ছা, ভুলতো মানুষ’ই করে শয়তান কখনো ভুল করে না । আজ আবারো প্রমান হলো- আমি মানুষ মানুষের কাছে’ই তো ছুটে আসে মানুষ ভুল থেকে’ই যে হয় নির্ভুল ভুল থেকে’ই যে ফুটে ফুল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
ইতোপূর্বেও আমি একবার মন্তব্য করেছি এই কবিতায় । তখন অবশ্য বুঝতে পারিনি, এটা নিয়ে এরকম একটা বিতর্ক সৃষ্টি হবে । তাই আরেকবার মন্তব্য করার লোভটা সামলাতে পারলাম না । “শয়তান কখনো ভুল করে না ।” এই কথাটাই চরম ভুল । কেননা, শয়তানের পূর্ব পরিচিতি হলো, সে ছিল জিন জাতির মধ্যেকার একজন পরহেজগার, ধর্মপ্রান ও খোদাভক্ত । কিন্তু তার অহম আর ভুলের কারণেই সে ঘৃনীত ইবলিশ শয়তানে পরিণত হয় । আর কবির কবিতাটি বোধ করি সম্পূর্ণ কল্পনা প্রসুত কাহিনীর কাব্যরূপ । নইলে ’জন পপ পোল’ যে সর্বপ্রথম মাদার তেরেসোর পায়ে চুম্বন এঁকেছিলেন, তার কি কোন দালিলিক প্রমাণ আছে ? তাছাড়া ভুল থেকে ফুল ফোটে, এটাও সঠিক নয় । এই বিশ্ব বলি আর মহাবিশ্ব যাই বলি না কেন, এটা সৃষ্টির পিছনে আল্লাহতা’লার গভীর জ্ঞানের নিখঁত পরিকল্পনা কাজ করেছে । সে জন্যই আল্লাহতা’লা বিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে নিরুৎসাহিত করেছেন । কেননা আল্লাহ্তা’লা আমাদের মগজে সেই ধারণ ক্ষমতা দেন নাই ।
কাইউম হাসান
ভাল সবই ভাল যদি সু নজরে দেখা হয়, সৃষ্টিকরতা ব্যতিত সব কিছুতেই দ্বিমত থাকে ,থাকবে,এবং আছে। ভূলকে যখন বুঝতে পারে আর বুঝার যে উপলব্ধি তা থেকে পরবর্তী শিক্ষাটাই নির্ভূলের সৃষ্টি।, যারা ভূল থেকে শিখতে পারে না তারাই পথভ্রষ্ট। আর যারা শিক্ষা গ্রহন করে এবং তা প্রয়োগ করে তারাই সফল হয়। আদম হাওয়ার ভূলে মানব আগমন যেমন সত্য তার চেয়ে আরো সত্য হল তাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত হওয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার নিদের্শনা। এই কবিতায় আরো অনেক কিছু আছে যা আমরা এখনো আবিস্কার করতে পারিনি। অনুরোধ সবাই আর একটু মনোযোগী হয়। পা কবিতাটি নিয়ে মিস ইফা ও মিস তনু সহ সকল অংশ গ্রহনকারী বন্ধুদের ধন্যবাদ জানাই। কবিতাটি আমারও ভাল লেগেছে। কবিকে তার সৃষ্টির জন্য ধন্যবাদ। আমা রাখি আরো সুন্ধর কবিতা আমরা পাবো।
সুস্মিতা তানো
মিস ইফা 'পা ' কবিতা নিয়ে এভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়বেন ,ভাবতে পারিনি . দেখুন - আমি কবিতা লিখতে না পারলেও পড়তে পারি .আমি কবিতাটি ভালোভাবেই পড়তে চেষ্টা করেছি . আমার যা উপলব্দি হযেছে তাই বলেছি . আমার চেয়ে আপনার উপলব্দি আরো বেশি হতে পারে ...সে কথা আমি মানছি . আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারছি যে , আপনার উপলব্দি, মেধা ও প্রগ্ঘা অনেক বেশি .তবে আমি এতুটুকু বলব , কবিতা হচ্ছে আবেগের প্লাটফর্ম .সেই দৃষ্টিকোন থেকে আমার ভাস্য -ভুল থেকে অনেক বড় কিছুর সৃষ্টি হয়েছে ..এর একটি প্রমান -' আদম - হাওয়া ' হাওয়া যদি ভুল করে গন্ধম না খেত তাহলে কি সুন্দর এই পৃথিবীর সৃষ্টি হতো....? আরো প্রমান চান ...মিস ইফা আপু......? ধন্যবাদ ভালো থাকবেন .
জিন্নাত আরা ইফা
আমার মনে হয় মিস সুস্মিতা তনু কবিতাটি ভালোভাবে মন দিয়া পড়েননি .এই কবিতাটি কখনো'ই ভুল থেকে সৃষ্টি হতে পারে না .ভুল না হলে সুলোক্খির পা নিরবে থেকে যেত - এই কথাটির কোনো যুক্তি নেই .কারণ , আজব্দি মহান / নতুন কোনো কিছুর সৃষ্টি ভুল থেকে হযেছে আমরা তার প্রমান পাইনি , আমরা যদি কবিতাটি ভালো ভাবে লক্ষ্য করি - সম্পূর্ণ কবিতাটি ভালবাসা ও মর্যাদায় পরিপূর্ণ .'ভুলতো মানুষ'ই করে ....এখান থেকে যে লাইনটি শুরু , আমার মনে হয় ভুলের শুরুটা সেখান থেকেই .এই ভুলের ভেতরেও কবির নিজের ভালবাসা ও মর্যাদাকে আরো গভীরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন . যার জন্যে'ই তিনি নিজেকে মানুষ বলে প্রমান করতে চেয়ছেন .আমাদের এমন ভুল কখনো করা ওচিত না - যার জন্য প্রমান করতে হয় , আমি শয়তান না মানুষ .
ifa apu vol theke je prithibir srishti .....er por ar kicu bolar nery . vul sikar korata o arekti mohan kicur sristi . kajey ami tono apur shathe akmot.
সুস্মিতা তানো
এক কথায় অসাধারণ কবিতা .পড়ে ভাবনার জগতে ডুব দেওয়ার মতো লেখা . মিস জিন্নাত আরা ইফার একটি কথার জবাব না দিয়ে পারছি না . কবির যদি ভুল না হতো তা হলে সুলোক্খির ওই পা নিরবে'ই থেকে যেতো. ভুল হওয়ার কারণেই কবির কলমে জন্ম নিলো এমন অদ্ভুত সুন্দর কবিতা . যা এখন হাজারো পাঠকের খোরাক .কাজেই আমিও বিশ্বাস করি - ভুল থেকেই যে হয় নির্ভুল ,ভুল থেকেই যে ফুটে ফুল ....
জিন্নাত আরা ইফা
প্রথমেই মহান আল্লাহ্তালাকে ধন্যবাদ এই জন্য যে , সুলোক্ষিকে এমন অদ্ভুত পা দেওয়ার জন্যে . দিতীয়ত - ধন্যবাদ জানাই কবিকে .. সুলোক্ষির পা কে চিনে এমন মর্যাদাপূর্ণ কবিতা লেখার জন্য .'এই মহড়া একদিন বের্থ হবে ....' আমারতো মনে হয় সুলোক্ষির সেই মহড়া ভেঙ্গে গেছে ...তবে 'ভুলতো মানুষ'ই করে... ' এই কথা বলে দায় এড়ানো কি ঠিক ....?
নার্গিস আক্তার
অনবদ্য ভাষায় দারুন শব্দ চয়নে এক চরম রোমান্টিক কবিতা ......বহুবার পড়েছি লেখাটি . এমন কবিতা আরো চাই. সত্যি'ই 'সুলোক্ষী ' অনেক ভাগ্যবতী .....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।