গাঁয়ের বাঁকে বাঁকে

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

নিরব নিশাচর
  • ৯২
  • 0
বহু ক্রোশ হাটিয়া, নির্মল হাসিয়া, ঢুকিনু গাঁয়ের বুকে
কলসী কাঁখে গাঁয়ের রমনী তাকিয়ে অবাক চোখে !
আমি পরিমল, দেখি ছলছল, দীঘির জলে ঢেউ
পল্লবিত আম্রকানন, তাকিয়ে দেখনি কেউ !
যতদূর যাই, মুগ্ধ মশাই, নয়ন জুড়িয়া পরে
অভিনিবিষ্টে থাকি চাহিয়া গ্রাম বাংলার তরে !!

এক অঞ্জন মাখা কঞ্জমুখী, অহং ভরিয়া চায়
আসিল কে শেষে, পাগলের বেশে, আমার ছোট্ট গাঁয় !
আমি অতিকায় পাশ কাটিয়া, আরো এক দুই ক্রোশ হাটিয়া
ভিজিয়া স্নিগ্ধ কুহেলিকায়, ঢুকিনু মধ্য গাঁয়…
নয়নাভিরাম বসুন্ধরা, করেছিনু মোরে পাগলপারা
মায়া বিধৌত ছায়ায় ছায়ায় হৃদয় জুড়িয়া যায় !

এভাবেই চলি বহু ক্রোশ ফেলি হাটিয়া গাঁয়ের পথে
ভাবনার সাথে আশা জাগানিয়া দৃষ্টি মেলিয়া সাথে...
মৃন্ময় গেহ, উকি মারে কেহ, উদাস দুপুর বেলা
আকাশ পানে চাহিয়া দেখি, রবি করেছিনু খেলা ।

রৌদ্রশিরাস্ত্র ভেদিয়া রবিকর, করিতেছে হয়রান
ফসলির মাঠে, তবু কিষাণীর, শুনি নৈলার গান !
দেখি অম্বরতলে গজগামিনী মেঘের হাপিত্যেশ
ছাড়িয়া যাইতে চাইছে না মন, গ্রাম বাংলার দেশ !

ধীরে ধীরে বেলা, করিল যে হেলা, সন্ধ্যা নামিল পথে
শেষ ক্রোশ হাটি, দেহ পরিপাটি, মন রহিলনা তাতে !
রহিল মন, পরিয়া গাঁয়ের, পথের প্রতিটি বাকে
শহরে ঢুকিয়া মিষ্ট গাঁয়ের গল্প শুনাইবো কাকে ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মেহদী বেশ সুন্ধর
faisal অনেক সুন্দর
সোহেল সামি এক অঞ্জন মাখা কঞ্জমুখী, অহং ভরিয়া চায় আসিল কে শেষে, পাগলের বেশে, আমার ছোট্ট গাঁয় ! অসাধারণ...লিখা .
আহমাদ মুকুল কবিতার চিরায়ত ঢং। ভাল না লেগে উপায় কী? পড়েছি অনেক আগে, আজ আবার পড়ে দেখি বলে যাইনি কিছু। ‘‘শহরে ঢুকিয়া মিষ্ট গাঁয়ের গল্প শুনাইবো কাকে?’’...এইতো শুনলাম। আরো শুনতে চাই, এরকম মিষ্টি রচনায়।
নিরব নিশাচর মো: নাজমুস সাকিব, পন্ডিত মাহী , নাজমুল হাসান নিরো , জুঁইফুল , রওশন জাহান , রনীল, তানভীর সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ... তানভীর, তোমার সংশোধনী বার্তা করে দিয়েছি গল্পকবিতাকে ... ধন্যবাদ... তবে দুইভাবেই ঠিক আছে মনে হচ্ছে... ভালো থেক সবাই...
তানভীর আহমেদ শ্রদ্ধাষ্পেষু অগ্রজ NIROB ভ্রাতা, বিমোহিত হইয়া গোগ্রাসে গিলিলাম অনিন্দ্য সুন্দর পদ্মখানির স্বীয় নিসৃত রসসম্ভার। শতাব্দী পূর্ব প্রায় অপ্রচলিত ভাষামাধুর্যপূর্ণ বটিকার যেরূপ প্রয়োগ ঘটাইতে সক্ষম হইয়াছেন, তাহা অবলোকন করিয়া এই অর্বাচীন কতককাল স্তব্ধ বনিয়া রহিল। রবিবাবু আপনার ভিতর পুনর্জন্ম লভিল কিনা তাহাই গবেষনার বিষয় হইয়া দাঁড়াইয়াছে। পদ্মখানির যথাযথ সম্পাদনার জন্য কিয়ৎ দৃষ্টি আকর্ষণী গ্রহণযোগ্য হয় কিনা, তাহা বিবেচনার করিবার অনুরোধ রাখিলাম : তাকিয়ে=তাকায়ে, গ্রাম বাংলার=গ্রাম-বাংলার, আমার=আমারি, কাটিয়া=কাটায়ে, চাইছে=চাহিছে।
রনীল আধুনিক কবিতার প্রতি বিচারকদের অনীহা অনেক সৃষ্টিশীল কবিকে হতাশ করেছে... আমার কাছে কবিতা অপর নাম স্বাধীনতা। কবিরা যদি কবিতায় নতুন কিছুর সন্ধান না করেন- তবে সেটা কোথায় করবে! সে যাই হোক কনভেনশনাল ধারায় আপনার শক্তিমত্তার পরিচয় পেলাম... অনন্য সুন্দর একটি কবিতা ... এখন বিচারকরা কবিতাটি কিভাবে এসেস করেন সেটাই দেখার বিষয়। শুভ কামনা।
রওশন জাহান মনে হলো আগের যুগের কোন কবির কবিতা পড়ছি. কেন যেন আমি পারিনা এরকম ভাবে লিখতে. নিজের অক্ষমতা মেনেই নিতে হবে !
জাকিয়া জেসমিন যূথী বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, ভালো লাগার কারন হলো- একেতো ছন্দ মিলেছে। তার সাথে কথা প্রসংগ। আর তার সাথে বড় ব্যাপার হলো, কবিতাটি সাধু ভাষায় লেখা। সাধু ভাষায় এত সুন্দর করে লিখতে পারা সবাই পারে না।
জাকিয়া জেসমিন যূথী আমি যখন ভোট দেয়ার জন্য এই লেখাগুলো পড়েছিলাম, তখন এই লেখাটি চোখেই পড়েনি। আমি জানিনা, এখনো ভোট গৃহীত হবে কিনা, তবুও দিচ্ছি। এখানে ৫মার্ক্স পর্যন্ত দেয়া যায় সর্বোচ্চ; আমার দিতে ইচ্ছে করছে ১০০মার্কস!! অ-সা-ধা-র-ণ!!

২১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪