জাভা তার ঘর থেকে বের হল।মাকে খুব মনে পড়ছে।ঘরোয়া রোবোট ট্রিটন কে তার খাবার দিতে বললো।তারপর এনার্জি সুপটা খেয়ে তার প্রতিটি দিনের মত আবার পড়তে বসলো।“কার্বন এর ৪ টি পরমাণু এবং হাইড্রজেনের ৮টি পরমাণু মিলে ১টি ………………………………………………………….”আর পারছেনা জাভা।এই প্রথম তার এমন হল।সে ট্রিটনকে ডাকলো।ট্রিটন জাভার মেগা কম্পুটার থেকে তথ্য খুজতে থাকে। অবশেষে পাওয়া গেল।এর কারণ মন খারাপ।জাভা অবাক হয়ে যায়।সে ইতিহাস বইতে মন খারাপ এর কথা পড়েছে ।তার মানে সে কিছু চাচ্ছে।কিন্তু কি চাচ্ছে?তার মনে পড়ল তার মায়ের কথা মনে হয়েছিল ।সে তার মা সম্পরকে বেশি জানে না।সে ট্রিটনকে অনেক বার জিজ্ঞাসা করেছে।“তোমার মা খুব বিখ্যাত ছিলেন।তিনি তোমাকে জন্ম দিয়েছেন।’’এতটুকু বলে ট্রিটন থেমে যায় আর বলে না।জাভা তার স্কুলে যায় ।সে ভাবেছিল স্কুলে কেউ তাকে বলবেন।কিন্তু স্কুলের সব শিক্ষকই রোবোট।কিন্তু একজন বাদে।তিনি হলেন মিসেস লানা।কিন্তু কেউ তার কাছে যায় না ।কেন সেটা কেউ জানেনা।কিন্তু জাভার মনে হয় একমাত্র তিনিই বলতে পারবেন তাকে যে তার মা কে।তাই অনেক কষ্ট করে ছুটীর পড়ে সে মিসেস লানার সাথে দেখা করলো।“তুমি আমার কাছে কেন এসেছ মেয়ে?তুমি জান না যে কেউ আমার কাছে আসে না?”বললেন মিসেস লানা।জাভা বলল “কিন্তু কেউ ত জানে না যে কেন আপনার কাছে আসতে হয় না।তাছারা আপনিই একমাত্র মানব শিক্ষক এই স্কুলে।’’ ঠিক আছে তুমি বল তুমি আমার কাছে কেন এসেছ? কারণ আমি আম্র মা সম্পরকে জানতে চাই। তোমার মায়ের নাম কি? ত্রিয়া। তুমি ত্রিয়ার মেয়ে!তুমি আমাকে আগে জানালে না কেন? আপনি আমার মাকে চেনেন? চিনি বললে ভুল হবে।তোমার মা আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু। আমার রোবোট টা বলতো যে আমার মা নাকি বিখ্যাত ছিলেন? হ্যা,তোমার মা বিখ্যাত ছিলেন তোমার কারণে।কারণ সবাই ভ্রূণ ব্যাংক থেকে বাচ্চা নিয়ে লালন করে।কিন্তু ত্রিয়া তোমাকে জন্ম দিল অনেক কষ্ট সহ্য করে মানে তার পেট থেকে!আর সে মারা……………………………………………
জাভা বাসায় ফিরে যাচ্ছে।তখন তার আরও মন খারাপ ।সে তার মা সম্পরকে সব কিছু জানে ।তার মা মারা গিয়েছে তাকে জন্ম দিতে গিয়ে।তার মায়ের সমাধিতে গিয়ে সে বসে কিছু সময় কাদলো।“আমাকে তুমি কেন জন্ম দিলে।জন্ম না দিলে তুমি এভাবে মারা যেতে না”।হঠাত সমাধির চারপাশ আলোকিত হল।দেখলো একজন নারী দারিয়ে আছে।ঠিক যেমন সে ট্রিটন এর কাছে প্রোজেক্টরে দেখেছিল।তারমানে এই নারীটি তার মা!কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব! ‘জাভা সোনা আমার কাদিস না।আমি তোর টানে আবার এসেছি।তুই এখানে আবার এলে আমি আবার আসব।এখন যা,বাসায় যা।’’চারপাশের আলো নিভে গেল।জাভা কিছুই বুঝলো না।কিন্তু সে জানে মা তার পাশেই আছে এবং থাকবে। জাভা বাসায় এসে খুব ভাল বোধ করলো।ট্রিটন রোবোট।তাই তার অবাক হবার ক্ষমতা নেই।থাকলে সে নিশ্চই অবাক হতো।নিশ্চই হতো।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ফজলুল হাসান
আমার দৃষ্টিতে মা সংখ্যার সেরা গল্প-কবিতা গুলি হলো (১) প্রথম : # সাত মা # লেখক : মামুন ম.আজিজ , (২) দ্বিতীয় : # ভিখারিনী মা # কবি : Oshamajik , (৩) তৃতীয় : # আমার ভালোবাসার ফুল মায়ের হাতে দেব # কবি : মোহাম্মদ অয়েজুল হক জীবন , (৪) চতুর্থ : # মা # কবি : Khondaker Nahid Hossain , (৫) পঞ্চম : # ২০০০০০০০৯৭ সালের মা # লেখক : মাহাতাব রশীদ (অতুল) , আমার দৃষ্টিতে বিজয়ীদের বলছি , " আপনারা গল্প-কবিতা থেকে বিজয়ী হবেন কিনা তা জানি না তবে , আমার অন্তর থেকে রইলো আপনাদের জন্য বিজয়ী শুভেচ্ছা , ধন্যবাদ সকলকে " ,,
নাজমুল হাসান নিরো
লেখক ছোট হিসেবে অনেক ভাল লিখেছে। আরেকটু যত্নবান হলে আরো ভাল করা সম্ভব। তবে সায়েন্স ফিকশন যদিও ফিকশন বা কল্পনা তবুও তার আনুমানিক যৌক্তিকতা থাকা চাই। এজন্য শেষের দিকে মায়ের হঠাৎ কাল্পনিক উপস্থিতি খাপ খায় নি। তবে অদূর ভবিষ্যত-পরিস্থিতি সম্পর্কে লেখকের কল্পনা শক্তি খুব ভাল লাগল। দোয়া রইল লেখকের জন্য।
সূর্য
কল্পনা শক্তি যথেষ্ট পরিমানে তোমার ভেতরে বিদ্যমান। আর লেখার মান তোমার বয়সে কোথাও লেখা পাঠাবো এতো চিন্তারও বাইরে। অনেক সুন্দর করে লিখেছ.....................
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।