সে কেবলই ছবি

শুন্যতা (অক্টোবর ২০১৩)

ওয়াছিম
  • 0
কথাটি শোনার পর ইচ্ছা করলেই হেসে উড়িয়ে দিতে পারতাম। অভ্যাস গত ভাবে যে কোন কথা প্রথমে হেসে উড়িয়ে দেওয়াই আমার কাজ। কঠিন পৃথিবীর কোন কিছুই সহজে আমার মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে না। বুঝতে পারলাম পরিবর্তন হচ্ছে। তরল থেকে কঠিনে।
আজ অনন্যার বিয়ে। বিয়েতে আমি উপস্থিত হয়েছি বিষটি রজনীগন্ধা আর একটি গোলাপ নিয়ে। অনন্যাকে বলে ছিলাম একদিন তোমাকে আমি আমার সবচেয়ে প্রিয় উপহারটি দিব। হৃদয় থেকে। আজ উপহার নিয়ে বসে আছি। কতক্ষণ হবে বলতে পারবোনা। বসে আছি তবুও। সময় খুব দ্রুত চলে যাচ্ছে। সবকিছু এলোমেলো মনে হচ্ছে। কিন্তু কেন? এমন তো হবার কথা ছিলো না। আজ অনন্যা যে বিয়ের আসরে বসে আছে সে তো আমার ইচ্ছাতেই। সে তো আমার কাছে এসে ছিলো। আমি চেয়ে ছিলাম শূন্যতা। অনন্যা আমাকে শূন্যতা দিয়েছে। আর আমি এখন শূন্যতা নিয়ে বসে আছি। হঠাৎ হৈ-চৈ করে একদল ছেলে মেয়ে অনন্যাদের বাসার গেটের সামনে এসে দাড়ায়। হয়তো বর এসেছে তাই।
ঢাকা শহরের রাস্তায় সহজে কাউকে খালি পায়ে হাটতে দেখা যায় না। কোন এক বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যায় আমি খালি পায়ে হাটতে ছিলাম। তখন কবিতার দুটি লাইন মাথার মধ্যে--
তবুও এ সন্ধ্যায় সখি
বৃষ্টি ভেজালো তোমার দু'আঁখি।
আগে পিছে কোন লাইনই দাড় করাতে পারছি না। তাই লাইনগুলো খুঁজে চলছি রাস্তায় রাস্তায়। হাটতে হাটতে চলে এলাম রহিম মামার দোকানের সামনে। মামা এক কাপ চা দাও বলেই যখন বেঞ্চে বসলাম সহসা কানে এলো
- চেপে বসেন ভিজে যাচ্ছি
তাকিয়ে দেখলাম একটি মেয়ে। তার চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম - সখি তোমার আঁখিতে জ্বল। মেয়েটি উঠে দাঁড়ালো। হয়তো ভাবছে পাগল। হয়তো গায়ের পোশাক দেখে তা মানতে পারছে না।
- আপনি কি হিমু?
- কোন হিমু?
হিমুকে চেনেন না?
চিনবো না কেন, ভার্চুয়াল হিমু এবং নাটক করে যে হিমু দুই হিমুকেই আমি চিনি। তবে আমি এ দু-জনের কেউই নই।
- তাহলে আপনার পা খালি কেন?
- সেটা এ বৃষ্টির অবদান, ছিঁড়ে গেছে।
- আপনি এ সন্ধ্যায়, এখানে?
- তাও এই বৃষ্টির অবদান।
তারপর আমি দোকান থেকে একটি ছাতা তাকে ধার দিলাম। পরদিন সে ছাতা ফেরত দিতে এলো দোকানে। সেই থেকে অনন্যার সাথে আমার একই পথে হেটে চলা। আর তখন থেকেই আমার কবিতা মোর নেয় অপেক্ষা থেকে ভালোবাসার দিকে। যে কবিতার জন্য অনন্যা পাগল ছিলো কিছু দিন পর থেকে সেই কবিতা আমার কাছে আসা বন্ধ করে দিলো। দিনের পরদিন যায় আমার কবিতার খাতা শূন্য পরে থাকে। তাই আমার শূন্যতার দরকার হয়ে পরলো। আমার শূন্যতা চাই। আমার কবিতার জন্য।

অনন্যা বললো তাকে দেখতে আসবে। আমি বললাম পছন্দ হলে বিয়ে করে ফেলো। ও কষ্ট পেলো কিনা তা বুঝতে পারলাম না। হয়তো ভেবেছে এটা আমার হেয়ালিপনা। আমি বললাম আমার বিরহ দরকার। আমি কবিতা লিখতে চাই। অনন্য চলে গেল। বললো আমার বিয়েতে তুমি এসো। তার চলে যাওয়া আমার কাছে অন্যরকম লাগলো। শূন্যতা কি তা তখন থেকেই বুঝতে শুরু করলাম।
এখন যদি বৃষ্টি হতো তাহলে হয়তো ভিজিয়ে দিতাম আমার শূন্যতা কে। ইচ্ছা করছে অনন্যাকে গিয়ে বলি - ক্ষমা কর আমায়। তোমাকে হারিয়ে যে শূন্যতা আমি পেয়েছি তা তে কিচ্ছু নেই। না তুমি, না একটা কবিতার লাইন। তুমি ফিরে আস। অনন্যা ফিরে আসে না। সে হারিয়ে যায়। অদৃশ্যে মিশে যায়। আর আমি রাস্তায় রাস্তায় হেটে চলি।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইব্রাহীম রাসেল অনেক ভালো লাগলো। ভালো লিখুন এই কামনা।
ঐশিকা বসু অপূর্ব লেখার ক্ষমতা আপনার।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
রোদের ছায়া ছোট্ট একটা গল্প কিন্তু মন ছুঁয়ে গেলো । এরকম শুন্যতা আদৌ কিছু দিতে পারে কিনা জানি না । শুভকামনা রইলো। ' সখি তোমার আঁখিতে জ্বল'= জল । বিষটি রজনীগন্ধা =বিশটি
ধন্যবাদ আপু ভুল দুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ...যে শূন্যতা আমি পেয়েছি তা তে কিচ্ছু নেই...। শুন্যতাতে কিছু কি থাকে? ভাল লিখেছেন। ভাল লাগল। শুভেচ্ছা রইল।
দ ধন্যবাদ।
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক ভালো লাগলো । ভালো থাকুন সবখানে সবসময় ।
ধন্যবাদ।
জাকিয়া জেসমিন যূথী কবিতা লেখার জন্য শুন্যতা বাস্তবে পেতে হবে? অদ্ভূত ইচ্ছা কামনা করেছিলো লেখক।, যাই হোক, গল্পটা সুন্দর লিখেছেন।
ওয়াছিম এমন কেন?
কবিতার মত আমার গল্পের ও ফন্ট ভেঙ্গে গিয়েছিলো, এখন দেখি ঠিক হয়ে গেছে।

০৫ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী