মা যে আমায় ঘুম পাড়াত দোলনা ঠেলে ঠেলে এখন মা আসে না আর নেয় না কোলে হেলে। রাত যখন নিশুতি হয় একলা শুয়ে রই ঘুম আসে না প্রশ্নবাণে ‘মা তুমি কই?’ ‘ক’ ‘খ’র ফাঁকে তোমায় দেখে দিতাম যখন হেসে ধমকগুলো আদর হয়ে ভাসত তোমার চোখে।
এখন পড়া পড়ি আমি দুরু দুরু বুকে নতুন মা কখন যেন উঠেন এবার হেঁকে! ‘আ’-র আমের গন্ধ পাই না আজ পাতার ভাঁজে ভাঁজে ‘অ’-র আজগর শুধু ভাসে কেন চোখের খাঁজে খাঁজে।
মা যে আমার ঘুম শেষে নিতো বুকে হেসে এখন কেন আঁধার খুঁজি আঁধারেরও শেষে? ভোর আসত ভোরের আগে আমার ঘরের কোণে এখন কেন আর ঘুম ভাঙে না ভোরের প্রাণে প্রাণে?
ঘুমিয়ে যেতাম তোমার কোলে স্বপ্নগুলোর ডানা ছুঁয়ে ছুঁয়ে ফুল হয়ে উঠতাম ভোরে, তোমার গায়ের; গন্ধ মেখে গায়ে। ফুলগুলোর এখন শুধু গন্ধ ছড়ায় স্বপ্ন ছাড়া ছাড়া ফুল হয়ে উঠি না আর, তুমিহীনা, এই ‘তুমি হারা’।
তুমি মা আসবে কবে, ধরবে আমায় গলে তোমার সাথে অনেক কথা যেও না যেন এক পলে। তোমার বুকের কাঁঠালি গন্ধ একটু আমায় দিও কথা শেষে যাবার বেলায় আমায় নিয়ে যেও।
তোমার হাতের একটি বালা আছে আমার সাথে বালার সাথেই কথা বলি; অভিমান যত আনমনে! ‘বালাটা তুমি কোথায় রেখেছ, লক্ষ্মী আমার সোনা।’ বলি-‘সে কথা শুনলে তুমি নিশ্চিত হবে কানা।‘
বালাটা আমি লুকিয়ে রেখেছি পুতুলগুলোর সাথে সেটার জন্য নতুন মা; এক টুকরো মাছ; জোটান আমার পাতে।
তুমি যদি না আস আর, বালা দিব, নদীর জলে ফেলে নতুন মা দেখবে একদিন আমার শরীর ভাসছে নদীর জলে। নদীর জল তো তোমার কোল! জানবে কি আর কেউ? সে দিন –করবে আদর আমায় তুমি হয়ে নদীর ঢেউ...।
মা যে আমায় ঘুম পাড়াত দোলনা ঠেলে ঠেলে এখন মা আসে না আর নেয় না কোলে হেলে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সূর্য
তালে অনেক হোচট খেতে হয়েছে। কিছু শব্দ তাল/ছন্দের বেলায় সমার্থক শব্দ ব্যবহার করতে হতো। পুরোটা কবিতায় একটা আহলাদী আবেগে ভেসে ছিলাম। নিয়মিত কবির লেখা পড়ার আশায় থাকব.....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।