আজ সারাটা দিন নিরুপায় হয়ে নির্জীব জড় পদার্থের মত বসে আছি নিজ ঘরে। জানি না কেন অনেক কষ্ট আকাশের বুকে মুখটা মলিন করে আছে বসে, কখনও ফুঁপিয়ে ফুঁফিয়ে কখনও বা অঝোর ধারায় কেঁদে চলছে সে। অবাক হয়ে যাচ্ছি আমি কারও চোখের জল আজ আমাকে এতটুকু বিচলিত করছে না, ভাল লাগছে তার কান্নার শব্দ দু্ঃসহ ঘরটাও হয়েছে সহনীয়। কখনও দমকা হাওয়া ছিনতায়ের ভঙ্গিতে কিছু জলের ছটা আমার সারা শরীরে ভাললাগার স্পর্শ দিয়ে যাচ্ছে। বাঁচার জন্য বৃক্ষ আর মাটি নির্লজ্জভাবে নির্জাস টুকু চুষে নিচ্ছে। পত্রপটে আজ সীমাহীন উজ্জ্বলতা, কি মহত্ব এই কান্নার জলের, হাজার বছরের পুরাতন জরাজীর্ণ প্রকৃতি, একুশ বছরের যৌবনদীপ্ত ছোকড়া। কদম তলায় চলছে বাসরের তোড়জোড় সেখানে পানি মাটিতে মিশে একাকার। আঁতশ বাজীর মত বজ্র জানান দিচ্ছে মাটি আর পানির শুভ পরিণয়ের কথা। সন্ধ্যাটাও আজ অন্যরকম, নেই পাখিদের গান, সবাই দেখি আজ আয়েশী, নেইতো কলতান। আছে শুধু বৃক্ষ পত্রে আছড়ে পড়া জল জানালার পাশে মেহেদী গাছটাও সবুজে উজ্জ্বল, কঁচুর পাতায় খেলছে খেলা দুষ্ট কিছু জল, ভাবছি আমি এই নিশীতে চলছে কিসের ছল?
সময়টা আজ অন্যরকম বলতে পারিস ক্যান? পুকুর থেকে আসছে ছুটে ব্যাঙের ঘ্যাণর ঘ্যাণ, একটানা ক্যান আকাশ কাঁদে কিসের দুঃখ তার? হাসগুলো ক্যান পুকুর জলে ডুবছে বারেবার? ফুলে ভরা কদম তলা, রংঙ্গীন মনের সব আঙ্গিনা, কদম তলে চরণ ফেলে, আসছে সখী আমার ঘরে। দাদীর হাতের তালের বড়া, তালের পিঠা, খেতে ভারী লাগছে মজা, আরও আছে খেঁচুড়ী আর ইলিশ ভাজা। আসছে ক্যান আমার জিহ্বায় জল? মাঠে দেখি ফুটবল আর দুষ্ট ছেলের দল। ভাবছি বসে একলা ঘরে, আঁকছি ছবি মনে মনে, আমার খাতায় আঁকা যে আজ কত নকশা, বলছি আমি গলা ছেড়ে এসেছে যে আমার প্রিয়া, আমার বর্ষা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন)
ভালো লেগেছে কবি আপনার কবিতা বিশেষ করে ((ভাবছি বসে একলা ঘরে, আঁকছি ছবি মনে মনে,
আমার খাতায় আঁকা যে আজ কত নকশা,
বলছি আমি গলা ছেড়ে
এসেছে যে আমার প্রিয়া, আমার বর্ষা।)) এই লাইন গুলো । অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।