আমার গ্রাম আমার প্রাণ

গ্রাম-বাংলা (নভেম্বর ২০১১)

ম্যারিনা নাসরিন সীমা
  • ১০০
  • 0
  • ৭১
বহুক্ষণ যাবত বিলের ধারে দাঁড়িয়ে আছে সোহান। দৃষ্টিতে নিরাশার ছাপ স্পষ্ট। মনের গহীনে নানা ভাবনার তান্ডব চলছে। সামনে যতদূর দেখা যায় পানি আর পানি। শরতের নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা । পড়ন্ত বিকেলে মেঘের ছায়াগুলো বিলের পানির সাথে যেন খেলায় মেতে উঠেছে । কিন্তু সোহানের সেদিকে কোন দৃষ্টি নেই। তার বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। এই পানির নীচে তলিয়ে গেছে তার এ বছরের ভবিষ্যৎ ।

হঠাৎ করে কাঁধে হাতের স্পর্শে চমকে উঠে ফিরে তাকায় সোহান ।
আরে বিপ্লব, তুই ! কখন এলি ?

এইতো , তোদের বাড়িতে গিয়েছিলাম । চাচী বলল তুই এদিকে এসেছিস , তাই এলাম।
ঢাকা থেকে কবে এলি?
গতকাল রাতে । পুজার ছুটি পেলাম ; ভাবলাম ঘুরে যাই।
কিন্তু তুই এই সময়ে বিলের ধারে কি করছিস ?
আমার ভাগ্যকে দেখছি । সোহানের কথায় হতাশা ঝরে পড়ে।
কি হয়েছেরে সোহান ? এভাবে কথা বলছিস কেন?
তুই তো জানিস, আমি কি উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রামে এসেছিলাম। কিন্তু কি হল? কিছুই তো করতে পারলাম না। যত ইরির আবাদ করেছিলাম , মাছের ঘেরে যত মাছ ছেড়েছিলাম সবই তো পানিতে তলিয়ে গেল । বিপ্লব , তোর সাথে দেখা হয়ে ভাল হল । তুই এবার ঢাকায় গিয়ে আমার জন্য একটা চাকরী খুঁজবি । আমি আর গ্রামে থাকব না ।
কি যে বলিস সোহান ! তোর মুখে হতাশার কথা মানায় না। চিন্তা করিস না । সব ঠিক হয়ে যাবে। চল ,মাইকেল বাড়ী যাই। বাদামতলায় বহুকাল দুজনে মিলে বসিনি।
আচ্ছা ,চল যাই !

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের স্মৃতি বিজড়িত যশোর জেলার ছোট্ট একটা গ্রাম, নাম সাগরদাঁড়ি । গ্রামের পাশ দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ নদ। যে নদের উদ্দেশ্যে সুদূর ফ্রান্সে বসে মহাকবি লিখেছিলেন ,

সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে !
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;

শোনা যায় এক সময় এই নদের জল কবুতরের চোখের মত স্বচ্ছ আর টলটলে ছিল বলেই এর নাম হয়েছে কপোতাক্ষ (কপোতের ন্যায় অক্ষি যার) । যে নদের পানির উপর থেকে নদীর তল পর্যন্ত দেখা যেত । আজ কোথায় সে নদী আর কোথায় তার জল ! এখন সে জরাগ্রস্থ বৃদ্ধের মত । ক্ষণে বাঁচে, ক্ষণে মরে । বুকের উপর দিয়ে কখনো কখনো ভ্যান গাড়ী চলে।

এই নদীর কল্যাণেই সাগরদাঁড়ী গ্রামটা কোন এক সময় যথেষ্ট সমৃদ্ধশালী ছিল। বছরে তিনবার ফসল উঠত মানুষের ঘরে। নদীর মাছ দিয়ে ভাত খেয়ে তাদের দিন শুরু হতো। আর আজ সেই নদীই তাদের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে। বহুকাল আগেই কপোতাক্ষ তার নাব্যতা হারিয়েছে । বছরের প্রায় পুরো সময়টা এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকে । গ্রামবাসীর কাজ থাকেনা অর্ধেক বছর । ফলে মাঝে মাঝেই এলাকায় অভাবে হাহাকার দেখা দেয়।

সোহান এবং বিপ্লব এই গ্রামেরই ছেলে ।দুজন খুবই অন্তরঙ্গ বন্ধু । ক্লাস ওয়ান থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত একসাথে লেখাপড়া করেছে তারা । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুজনেই সমাজকল্যাণ বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। একই হলে একই রুমে থাকতো। ফলে দুজন দুজনকে পরমাত্মীয়ের মত জানে, ভালবাসে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর বিপ্লব যখন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরীর জন্য ধর্না দিচ্ছিল, সোহান তখন তার গ্রামে । সোহানের কথা সে কারো অধীনে চাকরী করবে না ।সে নিজে কিছু করতে চায় যেখানে গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থান হবে । সোহান অত্যন্ত আবেগপ্রবণ ছেলে । গ্রামকে ভালবাসে মায়ের মত করে। সোহানের আর একটা দূর্বলতা হলো তার মা। মাকে ছেড়ে সে কোথাও যাবে না। সোহানের বাবার যথেষ্ট অর্থ সম্পদ রয়েছে । সে ইচ্ছা করলে গ্রামের জন্য অনেক কিছু করতে পারবে। প্রথম প্রথম ওর বাবা ছেলের গ্রামে থাকার ইচ্ছাটাকে একদম মেনে নিতে পারছিলেন না । অন্য সব বাবার মত তিনিও চেয়েছিলেন ছেলে সরকারের বড় কোন কর্মকর্তা হোক । কিন্তু ছেলের গ্রামে থাকার প্রচণ্ড ইচ্ছাকে তিনি শেষ পর্যন্ত মেনে নিতে বাধ্য হন ।

গ্রামের প্রতি, মায়ের প্রতি এই যে ভালবাসা, এটা আজকাল আর কোথাও দেখা যায় না । তাই সোহানের প্রতি বিপ্লবের একটা অন্যরকম শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে । কিন্তু আজ সোহানের মুখে এই হতাশার কথা শুনে বিপ্লবের বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে। মনে মনে ঠিক করে কোনভাবেই সোহানকে ভেঙ্গে পড়তে দেওয়া যাবে না। বিপ্লব তার দুহাত সোহানের কাঁধে রেখে সুমনের একটা গানের সূর ধরে , হাল ছেড়োনা বন্ধু .....
বিপ্লবের বেসুরো কণ্ঠে গান শুনে সোহান হেসে ফেলে,
মাইকেল মধুসুদনের বাড়ীকে স্থানীয়ভাবে সবাই মাইকেল বাড়ী বলে। কপোতাক্ষ নদের গা ঘেঁষে এটা একটা জমিদার বাড়ী। এখানে নদীর ঘাটের পাশে বড় বড় দুটো বাদাম গাছ রয়েছে যার বেদী সিমেন্ট দিয়ে বাঁধাই করা। সোহান আর বিপ্লব ছোট বেলা থেকেই বিকেলের দিকে এখানে এসে বসত আর নদীতে পাল তোলা নৌকা গুণে সময় কাটাত।

কতবছর পরে আবারো দুবন্ধু এখানে এসে বসে ফিরে যায় সেই কিশোর বেলায়। বিপস্নব বলে সোহান, তোর মনে আছে, একবার আমরা এক পূর্ণিমার রাতে জেলেপাড়ার ঘাট থেকে নৌকায় উঠেছিলাম আর এই ঘাটে এসে নেমেছিলাম ?
হ্যাঁ, খুউব মনে আছে । আমরা আট-দশজন ছিলাম । ভরা জোৎস্না, হালকা বাতাস আর ফাহিমের সেই হেঁড়ে গলায় গান, ওরে নীল দরিয়া .....

হা! হা! হা!!! বিপ্লব অট্টহাসি দিয়ে ওঠে ।
হাসছিস কেন ?
মাছ খাওয়ার কথা মনে পড়ে ? হাসতে হাসতেই বলে বিপ্লব ।
হা! হা!! সে আর বলতে ?

তবে যাই বলিস মাছটা কিন্তু অনেক বড় ছিল । তাদের হাসির কারণ হল ওই রাতে নদী থেকে হঠাৎ করে বিশাল একটা বোয়াল মাছ লাফ দিয়ে নৌকায় উঠে পড়েছিল, পরে বন্ধুরা মিলে সেই মাছ ভেজে খেয়েছিল ।

ধীরে ধীরে দুই বন্ধু হারিয়ে যায় তাদের পিছনে ফেলে আসা কোন এক কল্পলোকে । এই বাদাম ঘাট, এই নদী, ডাকবাংলো, মাইকেল , তাঁর কবিতা, কত কি যে আলাপ। রাত কত হয়েছিল মনে নেই। হঠাৎ করে তারা খেয়াল করে আজো পূর্ণিমা রাত। নদীতে এখন ভরা জোয়ার । নদীর পানিতে চাঁদের আলো পড়ে ঝিকমিক করছে বাদাম গাছের পাতায় ঝিরঝিরে বাতাস মিষ্টি একটা আওয়াজ তুলেছে । নদীর ওপাশের কাশফুল গুলো যেন বাতাসের সাথে চাঁদের আলো নিয়ে লুকোচুরি খেলছে । গ্রাম বাংলার প্রকৃতির এই চিরাচরিত রূপে মুগ্ধ হয়ে কিছু সময়ের জন্য দুই বন্ধু নির্বাক হয়ে যায় ।
অদূরের শ্মশান ঘাট থেকে ভেসে আসা শেয়ালের ডাকে সম্বিৎ ফিরে পায় তারা । রাত অনেক হয়েছে । কিন্তু মনে হচ্ছে বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা কারো আর মনে নেই ।
হঠাৎ করে বিপ্লব সোহানের হাত চেপে ধরে গাঢ় গলায় বলে,
সোহান ,আমার একটা কথা রাখবি ?
কি রে নাটক করছিস কেন ? কি হয়েছে ? যা বলার সোজাসুজি বল ।
তুই এই গ্রাম ছেড়ে কোথাও যাস না ।
কেন যাব না? তুই তাহলে কেন শহরে পড়ে আছিস ? গ্রামে কত কষ্ট দেখ । আমি এবার যত ইরির চাষ করেছিলাম, মাছের ঘেরে লক্ষ টাকার মাছ ছেড়েছিলাম , পানিতে সব নষ্ট হয়ে গেল । কত বছর ধরে আমরা এই নদীর ড্রেজিং এর জন্য আন্দোলন করছি, সরকারকে বলছি কিছুই লাভ হলনা ।সরকার বদলায় সরকারের মানুষ বদলায় কিন্তু এ এলাকার মানুষের ভাগ্য আর বদলায় না। বছরের পর বছর ধরে তারা পানি বন্দী হয়ে আছে । নির্বাচনের আগে কত কথার ফুলঝুরি পরে আর কোন খবর নেই। সব নিজেদের ভাগ্য বদলাতে ব্যস্ত । আমি ঠিক করেছি আমিও তোর মত চাকরী করব। মাসের টাকায় মাস চালাব।
বিপ্লব সোহানের অভিমান বুঝতে পারে। সে নিজেও জানে এলাকার মানুষের ভাগ্য বদলাতে কপোতাক্ষ নদীর ড্রেজিং অনিবার্য । বিপ্লব নিজেও এ ব্যাপর নিয়ে অনেক জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করেছে কিন্তু লাভের খাতায় শুন্য ।

সে সোহানের হাত আরো জোরে চেপে ধরে বলে, আমি সব জানি । তারপরও বলছি । তুই এখান থেকে যাসনে । বলছিস আমি শহরে আরামে থাকি ? মোটেই না। আমার মনে এক ধরনের পরাধীনতার গ্লানি তো রয়েছেই সাথে নানা ধরনের অপ্রাপ্তি। পায়রার খোপের মত তিনরুমের বাসায় বন্দী জীবন । সব খাবারে ভেজাল, ফরমালিন, ঠিকমত বিদ্যুৎ থাকে না, গ্যাস থাকে না । গাঁয়ের মিষ্টি হাওয়া খাওয়ার জন্য মন পাগল হয়ে উঠে। শহরের বাতাসে শুধু সীসা, বুক ভরে শ্বাস নিতে পারিনা । চারদিকে তাকিয়ে যে সবুজ দেখব সে উপায় নেই । যেদিকে তাকাই শুধু ইট আর ইট । গ্রাম বাংলার প্রাণ সেখানে কোথায় পাবি বল ? আমার কথা শোন তুই এই স্বর্গ ছেড়ে নরকে যাস না।

তারা হাঁটতে হাঁটতে সেই ঘাটে আসে যে ঘাট থেকে জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত তার পুত্র মধুসূদনকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন । ঘরে উঠতে দেননি , কারণ তিনি হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে খৃষ্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন । বিপ্লব বলতে থাকে, দেখ আমাদের মহাকবি স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে গিয়েছিলেন শান্তির খোঁজে । কিন্তু তিনি কখনো শান্তি পাননি। কারণ তিনি দেশকে ভালবাসতেন। তুই তোর গ্রামকে ভালবাসিস। তুই শহরে গিয়ে কখনো ভাল থাকতে পারবি না। আর একটা কথা চিন্তা করে দেখ তোর মাছের ঘের, ইরি ধান, ফলের চাষ, সবজির চাষ, পোলট্রি ফার্ম এই সবকিছুতে কত লোকের অন্ন সংস্থান হচ্ছে । এটা কি কম গৌরবের কথা ?

সোহান বিপ্লবের কথা চুপচাপ শুনছিল ।
এতক্ষণ পরে সে মুখ খুলল, বিপ্লব, তুই যা বলছিস তার সবই ঠিক আছে। আমি বুঝি, কিন্তু মাঝে মাঝে খুব কষ্ট হয় । যখন দেখি এত পরিশ্রম করেও আমরা আমাদের ন্যায্য মূল্যটুকু পাচ্ছি না । অথচ যখন যে দল ক্ষমতায় আসছে তাদের চ্যালা চামুন্ডারা বীরদর্পে সরকারী যত সুযোগ সুবিধা সব লুটে পুটে খাচ্ছে । গ্রামের দরিদ্রদের কপালে শুভঙ্করের ফাঁকি । সবকিছু দেখে মনে হয় কারো কিছু দেখার নেই, বলার নেই । অথচ আমরা কিছুই করতে পারছি না ।
সোহান এই সমস্যা শুধু গ্রামে না , শহরে আরো বেশী। এটা বদলাতে হবে । এজন্যই তো তোর মত মানুষদের গ্রামে থাকা দরকার। দেখবি পরিবর্তন একদিন আসবেই । তোকে একটা কথা বলা হয়নি । আমি কিন্তু এবার একটা উদ্দেশ্য নিয়ে গ্রামে এসেছি ।
কি সেটা ? উৎসুক দৃষ্টিতে সোহান তাকায়।
আমি সব কিছু ঠিকঠাক করে এসেছি। এবার গিয়ে ফিরে গিয়ে চাকরিতে ইস্তফা দেব । তারপর গ্রামে ফিরে এসে তোর হাত দিয়ে যদি আমার হাত ধরিস তাহলে তোর হাতটাকে আরো শক্তিশালী করব।

কি বলছিস তুই ! সত্যি দোস্ত ? হাত কেন , তুই আমার বুকে আয় । বলে সোহান বিপ্লবকে বুকে চেপে ধরে । তুই আজ আমাকে যে সুসংবাদ দিলি জীবনে এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আমি আর পাইনি । আমি ভিতরে ভিতরে খুব একা হয়ে গিয়েছিলাম রে । তুই আমার সাথে থাকলে আমরা আমাদের গ্রামের চেহারা বদলে দিতে পারবো । এখানে অনেক যুবক রয়েছে যারা কাজ করতে চায় ওদেরকে পথটা শুধু দেখিয়ে দিতে হবে তারপর তারা নিজেরাই পথ চলতে পারবে প্রয়োজনে নতুন পথ ও খুঁজে বের করতে পারবে ।
দুই বন্ধু স্বপ্নের জাল বুনতে থাকে । তারা গ্রামবাসীকে উদ্বুদ্ধ করবে । গ্রামকে ভালবাসতে শেখাবে । গ্রাম নিয়ে গর্ব করা যায় সেটা জানাবে । কপোতাক্ষ আবার জেগে উঠবে । বছরে আবারো তিনবার ফসল ফলবে । নবান্নের উৎসবে আবারো মেতে উঠবে গাঁয়ের সব মানুষ । একসময় উন্নত সব শিক্ষা, তথ্য, প্রযুক্তির ব্যবহার হবে এ গাঁয়ে । যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলবে তারা সোনার গাঁ ।
তারা দুজনের চার হাত এক করে শপথ নেয় ,
আমার গ্রাম আমার প্রাণ
তোমার তরে লড়ব মোরা
দিয়ে মোদের জান ।
রাত অনেক হয়েছে । তারা বিদায় নিয়ে যার যার বাড়ির পথে পা বাড়ায় । বাড়ির ঠিকানা আলাদা হলেও দুবন্ধুর স্বপ্ন একটাই , গ্রামকে স্বনির্ভর করা । পৃথিবীর সামনে নিজের গ্রামকে একটা আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা । আর যারা স্বপ্ন দেখতে জানে তারা স্বপ্ন পূরণ করতেও জানে । কে জানে একদিন হয়ত শুধু মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি বলেই নয়, একটা আদর্শ গ্রাম হিসেবে পর্যটকদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠবে সাগরদাঁড়ি নামক কপোতাক্ষের ধারে এই সবুজ শ্যামল ঘেরা আর মায়ায় ভরা ছোট্ট সুন্দর গ্রামটি ।


আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাঈমা সুলতানা গল্পটি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু।
ম্যারিনা নাসরিন সীমা তৌহিদুল ইসলাম , মেহদী , ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য । মহি মুহাম্মদ ভাইয়া আপনি কি আমার সাথে একটু জোক করলেন ? আমি তো কেবল লেখা শিখছি । আপনি তো অনেক ভাল লেখেন । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য এবং গল্প পড়ার জন্য ।
মহি মুহাম্মদ আপনার লেখার অনেক পাঠক,আমরা কি ছাই ভস্ম লিখি! যা হোক লেখা ভাল লাগল।সাধুবাদ, ভাল থাকুন।
মেহদী অনেক সুন্দর গল্প
তৌহিদুল ইসলাম অসাধারণ কারণ আমার গ্রামের কথা মনে করিয়ে দিয়াছেন.....সত্যি সত্যি মন ছূএ গেছে !!!!!!!!
ম্যারিনা নাসরিন সীমা দিগন্ত রেখা ,রোদের ছায়া , রনীল যে কোন দেশের সবচেয়ে বড় সহায় সে দেশের তরুন সমাজ । ঠিক বলেছেন আমাদের দেশের তরুন সমাজ কে তাই দেশ গড়তে এগিয়ে আসতে হবে । ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য ।
রোদের ছায়া ভীষণ সুন্দর হয়েছে গল্পটি.
রনীল গল্পে গল্পে আশার আলোটুকু জ্বালিয়ে গেলেন। সাগরদাঁড়ি তথা পুরো বাংলাদেশ যেন আজ এভাবে ধুঁকছে। এরকম পরিস্থিতিতে তরুণদের ই এগিয়ে আসতে হবে।
দিগন্ত রেখা চমত্কার লিখেছেন| অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো|
ম্যারিনা নাসরিন সীমা সুমাইয়া শারমিন , সুলতানা জাফরিন পিংকি- আপনাদের গল্প ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগলো । ধন্যবাদ ।

০৩ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ২০ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী