দেয়ালে এখনো ছোপ ছোপ রক্তের দাগ নির্বাক দেয়াল থেকে এখনো করুণ আর্তনাদ ভেসে আসছে । বাতাস যখন হুমরে পড়ছে দেয়ালে শো শো শব্দ নেই তাতে কানে বাজছে মা, পানি পানি পানি কিছুক্ষণ পিন পতন নিস্তব্ধতা । তারপর আবার শালা শূয়র কা বাচ্চা বোল মুক্তি কাহা ধুপ ধুপ কয়েকটি লাথির শব্দ । মিশ্র একটা শব্দ আসছে বোধহয় কাঁচা মাংস লাল অগ্নি দণ্ডের ছোঁয়া পেয়েছে কাবাবের গন্ধে পুরো ঘর মৌ মৌ করছে লোভী কতগুলো জিহ্বা বেয়ে লালা পড়ছে ওগুলো মানুষের নয়, কুকুর, হায়েনা এবং শকুনের ।
আজরাইল ঘুরছে ঘরের এপাশ থেকে ওপাশে কিছুটা বিরক্ত জল্লাদগুলোর উপর কেন মারতে চাইছেনা এখনো । কক্ষটি ইতিমধ্যে নাপাক হয়ে গেছে কারণ যখন পানি পানি বলে জ্ঞান হারিয়েছিল সে তখন তার মুখে প্রস্রাব করা হয়েছিল ।
তার জ্ঞান ফিরে আসে গভীর রাতে জানালা দিয়ে তার মুখে পড়েছে এক ফালি পূর্ণিমার চাঁদ । অবাক হয়ে চেয়ে থাকে সে । মনে পড়ে যায় এমনি এক পূর্ণিমার রাতে সে ধরেছিল প্রিয়তমার মুখ চাঁদের চেয়েও অনেক বেশী উজ্জ্বল ছিল সে মুখ । চাঁদের দিকে চেয়ে একবার সে প্রিয়তমার মুখ আঁকতে চাইল, পারল না, আবার চাইল এবারও না, এবার অন্য কিছু চাইল কিছু সময় চোখ বন্ধ রেখে খুলল সাথে সাথে মুখে তীব্র লাথি নাক ফেটে রক্ত গড়িয়ে পড়ল মেঝেতে গুলি ফোটার মত শব্দ হলো আজরাইল সাহেব হাসিমুখে দাঁড়াল মাত্র কয়েক মুহূর্তে সময় পেল সে এরই মধ্যে জানালা দিয়ে বাইরে চেয়ে শেষ ইচ্ছেটা দেখতে চাইল এবং দেখল রাতের পুরোটা অন্ধকার গাঢ় সবুজ হয়ে গেছে আর চাঁদটা টকটকে লাল এক সূর্য ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
১৯৭১ সালের বিভীষিকাময় ভয়াল রাতের বর্ণনা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন,উপমাগুল ও অনেক সুন্দর লেগেছে,যা আপনার প্রাপ্য তা আমার কাছ থেকে পেয়ে গেছেন।অনেক অনেক শুভ কামনা থাকলো ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।