নববর্ষের ভোর এক অপ্সরা!

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

এমএআর শায়েল
  • ১০
  • 0
  • ৭৯
বাংলা সনের প্রথম দিন। পহেলা বৈশাখ । যাকে নববর্ষ বলা হয় । নববর্ষ দিনটি এলেই বিষাদে ভরে থাকে আমার মন। তবে কেন? তা জানিনা! হয়তো যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন নববর্ষ কোনদিনও আনন্দের উপলক্ষ হয়ে আসবেনা আমার জীবনে। কারণ কোন এক নববর্ষের দিন ওলট-পালট করে দিয়েছে ভবিষ্যতের দিনগুলোকে । মিথ্যে বলছিনা। আবার নিছক কোন গল্পও নয়। কবেকার কথা, তারও কোন সঠিক হিসাব জানা নেই।
যতদূর মনে পড়ে প্রায় ৯ বছর আগেকার কথা । বাড়িতে না বলে রওয়ানা দিয়েছিলাম, অজানার উদ্দেশ্যে। গন্তব্য স্থল কোথায় জানা নেই। ভোর তখনও হয়নি। তথ্য প্রযুক্তির ছোঁয়া স্পর্শ করেনি সে সময় আমাকে । তখনও মোবাইল ফোন কি জিনিস আমি জানতাম না ।
একবার ভাবলাম, ক্লোজড ফ্রেন্ড কাউসারের বাড়িতে গেলে কেমন হয়! আরেকবার ভাবলাম, এত ভোরে ! বন্ধুর পরিবারই বা কি মনে করবে? মনে অনেক অজানা আশংকা নিয়ে বাসে চড়লাম। মসজিদে ফজরের আযান হয়নি। বাসের সিটে বসে ভাবলাম বন্ধুকে সারপ্রাইজ দেব!
আমার বাড়ি থেকে বন্ধুর বাড়ি মাইল পাঁচেক দূর। বাসে যেতে বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়না। ঘন্টাখানেক সময়ের মধ্যেই পৌছেঁ যাওয়া যায়। বন্ধুর সাথে একবার তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। একা একা আর কোনদিন যাইনি।
স্টেশন থেকে নেমে বন্ধুর বাড়ি আরও মাইল খানেকের মতো। বাস চলা শুরু করল। মনে অনেক অজানা ভাবনা। নানান কথা ভাবতে ভাবতে কোন সময় যে, বাস স্টেশনে গিয়ে থামল টের পাইনি। মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের আযানের সুর ভেসে আসল। স্টেশনে নামলাম। দাঁড়ালাম।
যদি কাউকে সঙ্গী হিসেবে পাই! না, কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। একবার বাসের দিকে তাকালাম। বাসটি ছেড়ে যায়নি। বাস থেকে একটি মেয়েকে নামতে দেখলাম। সাদা লাল তাতঁপাড়ের শাড়ি পড়া। মনে হলো হয়তো নববর্ষ পালন করতে বাড়ি এসেছে।
ভোর সকালে কোন যানবাহন না পাওয়ায়, বাধ্য হয়ে হাটতে হল আমাকে। কোথায় হাঁটছি। কোন দিকে হাঁটছি। কোথায় যাচ্ছি। ঠাহর করতে পারছিনা। বন্ধুর বাড়িই বা আর কতদূর!
ভয় পেলাম মনে মনে। হারিয়ে যাচ্ছিনাতো। একা হাটতে ভয় করছিল। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, পায়ের আওয়াজ শুনা যাচ্ছে। মনে সাহস এল। কেউ মনে হয় আসছে। কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। সে এল। কাছে এল। সেই মেয়েটি। যাক, সঙ্গী পাওয়া গেল।
কিন্তু সমস্যায় পড়লাম, কোন মেয়ের সাথে কথা বলিনা আমি। বলার অভ্যাসও নেই। অন্য মনস্ক হয়ে হাটতে থাকলাম। আরেকটু এগিয়ে গেলাম। যদি কোন পুরুষ সঙ্গী পাই। না এত সকালে কোন পুরুষ সঙ্গী তো দূরের কথা, কাক পক্ষীও দেখতে পেলাম না। ভরসা বলতে গেলে মেয়েটিই।
কিন্তু মেয়েটির সাথে কথা বলবো কিভাবে? অবস্থা এমন হয়েছে, অপরিচিত কাউকে কিভাবে সম্বোধন করতে হয় তাও ভুলে গেছি, এই মূহুর্তে। ইংরেজিও ভালভাবেও জানিনা। সালাম দিয়ে শুরু করবো নাকি এসকিউজমি বলবো! সাহস করে বলেই ফেললাম,- এসকিউজমি ।
আমি নীল। অমুক এলাকার কাউসারের বন্ধু। এসেছি চট্টগ্রাম থেকে।
মেয়েটি কিছু বললোনা। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকল কিছুক্ষণ আমার দিকে ।
বললাম,- কোন দিকে যাবেন ম্যাডাম? চলুন একসাথে যাই। মেয়েটি হাত ইশারা করে দক্ষিণের পথ শুধল। আমাকে দেখাল উত্তরে যেতে।
মেয়েটি আমার সাথে কথা বলছেনা কেন? সে কি কথা বলতে পারেনা? নাকি অহংকারে পা তার মাটিতে পড়ছেনা। কিসের এত দেমাগ তার ! হতাশ হলাম। কারণ মেয়েটির গন্তব্য স্থল দক্ষিণে।
আমি খুব ভীতু। "কোন জায়গায় একা যাওয়া আর পুলসিরাত পার হওয়া আমার জন্য সমান কথা"।
এত দূর যাব কি করে?
বাধ্য হয়ে একাই হাটতে লাগলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর মনে হল, আমার পেছনে আবারও কে যেন আসছে। ভাবলাম মেয়েটি নয়তো। যা ভেবেছি তাই সত্য। মেয়েটিই ! কি ব্যাপার সে যাবে দক্ষিণে। আসছে উত্তরে ! কোন কিছু ভেবে পাচ্ছিনা। জোরে হাঁটছি।
ভয় আঁকড়ে ধরেছে আমার আস্টেপিস্টে। একবার পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম। সেও জোরে হাঁটছে। হাটার গতি থামিয়ে দিলাম। ইতোমধ্যে সে আমার নিকট এসে দাঁড়িয়েছে ।
মিষ্টি একটা গন্ধ এসে লাগল আমার গায়ে। মিষ্টি জর্দা দিয়ে পান খেয়েছে নাকি মেয়েটি এত ভোর সকালে। মনে হলো মাথা ঘুরছে আমার । পড়ে যাব। হৃদপৃন্ডটা উঠানামা করছিল । মেয়েটিকে দেখে মনে হয়েছে আমি এ যাত্রায় শেষ। মিষ্টি গন্ধটা আরও প্রকট হলো। মনে হল, নাকের কাছে চলে এসেছে।
কলিজাটা মোচড় দিয়ে উঠল। এক মুহূর্তের জন্য মা-বাবার ছবিটা ভেসে উঠল মনের আয়নায়। কলেজের লুবনার কথা মনে হলো। মনে মনে বললাম, বিদায় লুবনা। আর তোমার পিছে পিছে ঘুরে বিরক্ত করব না। বিদায়! বিদায়!
ঘাড়ে শীতল কিছু একটার ছোঁয়া অনুভব করলাম । হাত দিয়ে দেখি পানি। তার খিল খিল হাসির আওয়াজ শুনা গেল।
আগে পাছে কিছু না ভেবে ভয়ে রাস্তার পাশে একটা বাড়ি দেখতে পেয়ে দৌড় দিলাম। মেয়েটি কোথায় গেল দেখতে পেলাম না। হতাশ হয়ে ওই বাড়ির দরজায় বসে পড়লাম।
কিছুক্ষনপর দরজাটা যেন কেউ এসে খুলল। উঠে দাঁড়ালাম। দেখি, এক বৃদ্ধ মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন সামনে। পরনে সাদা শাড়ি । সালাম দিয়ে আমার বন্ধর নাম বললাম। বৃদ্ধা বললেন, 'ও চিনেছি। তুমি হাবিব সাহেবের ছেলের বন্ধু।' আমাকে নিয়ে ঘরে বসালেন বৃদ্ধা।
কিছুক্ষণ পর হালকা খাবার নিয়ে এল এক অপরূপা সুন্দরী। অসাধারণ লাগছে ওকে। জীবনে এত সুন্দরী মেয়ে দেখিনি। বডি পিটিং জামা পরেছে মেয়েটি। প্রস্ফুটিত যৌবন তাই তার জামা ঠেলে বের হয়ে আসতে চাইছে।
ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে আছি আমি তার দিকে। লাজ-লজ্জা ফেলে সেদিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম আমি। ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢেকে রাখাতে ভাল করে দেখতে পেলাম না তাকে।
আমার জায়গায় আমার বন্ধু তানিম থাকলে সে এতক্ষণে মেয়েটির বুকের মাপ বলে দিতে পারত। মেয়েটি হেসে বলল, 'আমি অপ্সরা। উনি আমার দাদি। আপনি অনেক দুর থেকে আসছেন। নিশ্চয়ই না খেয়ে আছেন।
আপনি লজ্জা করবেন না খেয়ে নিন। আপনার বন্ধুকে আমি চিনি। অনেক দূরে আপনার বন্ধুর বাড়ি। আমি এখানে স্থানীয় কলেজে পড়ি। আমার মা নেইতো। বাবা ঢাকায় চাকুরী করেন।
এই যা ! আমি শুধু বকবক করে যাচ্ছি, আপনি খান।' আমি ইতস্তত করে বললাম, না-না ঠিক আছে। আপনার কথা শুনতে অনেক ভালো লাগছে। আপনি বলুন।' ভেতরে ভেতরে আমি অবাক হয়ে গেলাম মেয়েটা হড়বড় করে এত কথা বলছে কেন?
তা ছাড়া আমি ভয় পেয়েছি, তা বুঝল কীভাবে? ভাবলাম, গ্রামের চালাক মেয়ে। মুখ দেখে সব বুঝে নেয়।
ওই মেয়েটা কোন রঙ্গের জামা পরেছে, বলা হয়নি। আকাশি নীল। অদ্ভুত লাগছে। মনে হচ্ছে, স্বর্গ থেকে নেমে আসা অপ্সরা। মেয়েটাকে আমার খুব ভালো লেগে গেল।
খাওয়া শেষে হতে মেয়েটা আমার পাশে এসে দাঁড়াল। বৃদ্ধা বললেন, ' বাছা এখন যাবে কীভাবে? মেয়েটাকে আমার খুব পছন্দ হয়ে গেছে।
বৃদ্ধা বললেন- অপ্সরা, ছেলেটাকে, তুই একটু এগিয়ে দিয়ে আয়। ভয়ে গা শিউরে উঠল। পাশে দাঁড়ানো অপ্সরার হাসি শুনা গেল। নিজের বোকামিতে লজ্জা পেলাম। পাশাপাশি দুজন হাটতে থাকলাম। এখানে আসার পর ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নিয়ে ভাবতে লাগলাম।
সত্যি কথা বলতে কি একবারও মেয়েটির মুখ দেখতে পেলাম না? অপরিচিত একটা ছেলেকে না দেখতে দেয়াটাই স্বাভাবিক । কিছু বললাম না। হাটতে থাকলাম। অপ্সরা বললো কি, কথা বলছেন না যে। বোকার মতো বললাম কি কথা? সে বললো কি কথা মানে? মেয়েটি বললো- বুঝতে পারছি। আপনি ভয় পাচ্ছেন! আমার হাত ধরুণ । প্লিজ সংকোচ করবেন না। আপনাকে আমার অনেক ভাল লেগেছে।
আমার মনের কথা সে-ই বলে বসল। আমরা হাত ধরে চলতে থাকলাম। আমার সারা শরীরে যেন আচমকা বিদু্যৎ চমকে গেল। অস্পরা তোমাকেও আমার ভাল লেগেছে। এ কথা বলে একটু দাড়ালাম। সেও দাড়াল। তারপর আচমকাই সে আমাকে জড়িয়ে ধরল। সাথে সাথে আমি ছাড়িয়ে নিলাম। ও লজ্জা পেয়ে বললো সরি! আমি বললাম- গ্রামের মানুষ দেখলে খারাপ কথা রটাবে।
বললাম- ঠিক আছে আসি। ও বললো- এসো। যতদিন থাকো, মাঝে মধ্যে এস। তবে রাতে। ওর প্রস্তাবটা আমার ভাল লাগলো। বন্ধুর বাড়ি পৌছালাম। এত ভোরে আমাকে দেখে সবাই অবাক হলো। আমি অপ্সরার বাড়ির ব্যাপারটা পুরো চেপে গেলাম।
কাউসারের মামাতো বোন নিপা আমাকে দেখে খুব খুশি হলো। সামান্য সন্দেহের চোখে তাকাল মনে হচ্ছে। নাকি আমার মনের ভুল, কে জানে? চোরের মনে পুলিশ পুলিশ। ও মনে হয় আমাকে একটু-আধটু পছন্দ করে কিন্তু মুখ ফুটে বলেনি কখনো। বন্ধু বলল- আজ নববর্ষের দিন। চল কলেজ থেকে ঘুরে আসি। কলেজে গেলাম। নববর্ষ উপলক্ষ্যে কলেজে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, পিঠা উৎসব, বিভিন্ন অনুষ্টান হচ্ছে। পান্তা ভাতের কথা না বললে ভুলই হবে। কলেজ মাঠের এক কোনায় দেখলাম একদল তরুন-তরণী পান্তাভাতের আয়োজন করেছে। নববর্ষে যে সকল অনুষ্টান গুলো হয় তার মধ্যে পান্তাভাত আর পুড়া মরিচ খাওয়া এর মধ্যে অন্যতম। হালখাতার কথা বাদই দিলাম। বয়সতো তখনও তেমন একটা হয়নি । তাই হালখাতার মানে কি বুঝতাম না!
কাউসার বললো- কি রে এতভোরে আসলি, কিছু খেয়েছিস। আমি অপ্সরাদের বাড়িতে খাওয়ার কথা চেপে গেলাম। বন্ধুটি বললো-চল। পান্তা খাই। আমি কিন্তু পান্তা খাওয়ার তালে নেই। আমি যেন কি খুজছি। আসলে বয়সের দোষ বলতে হবে। আসার সময় যে মেয়েটিকে দেখেছি, তাকে দেখা যায় কিনা, তাই চারিদিকে তাকাচ্ছি। বন্ধুটি বললো- কি রে চল! আনমনে আমি তার পেছন পেছন গেলাম। দোকানের এক তরুণী আমাকে ও বন্ধুকে পান্তা আর ইলিশ মাছের ঝোল সাথে পোড়া মরিচ দিল।
খাওয়া শুরু হল। খাওয়া শেষে বিল দিয়ে দুজন চলে আসার সময় ঘটল একটা মজার ঘটনা। আমার শার্টের একটি বোতামের সাথে একটা মেয়ের উড়না লেগে গেছে। আমি টের পাইনি। তাই চলে যাচ্ছিলাম। মেয়েটি তার উড়না টানছিল। কিন্তু কিছুতেই ছুটছিলনা। তখন নিরুপায় হয়ে মেয়েটি আমাকে বললো- এই যে শুনুন। আমি দাড়িয়ে ঘাড় ফেরাতে যাব, তার পূর্বেই মেয়েটির হাত আমার মুখ বরাবর উঠতে চাইল। মানে মেয়েটি আমাকে কষে একটা চড় মারতে চাইছিল মনে হয়।
ঠিক এই সময় উল্টো দিক থেকে বন্ধুটি বললো- এই ছুইয়োনা ইনফেকশন হবে। মেয়েটি এক ঝাটকায় উড়নাটা ছাড়িয়ে নিল। এমন সময় মেয়েটিকে দেখলাম। সেই মেয়ে। যে সকালে আমার পেছন পেছন এসে কোথায় হারিয়ে গিয়েছিল। আমি বললাম- ও আপনি। মেয়েটি কিছু বললোনা। মাথা নীচু করে রইল। বন্ধুটি আমায় বললো- কি রে চিনিস নাকি? আমি বললাম- না। বন্ধুটি মেয়েটিকে বললো- এই, এদিকে এসো। ও নীল। আমার বন্ধু নীল আর ও অপ্সরা। আমি চমকে উঠলাম- যে অপ্সরা একটু আগে আমাকে জড়িয়ে ধরেছিল। সে নাকি। মনের কথা মনে চেপে রইলাম কিছুক্ষণ।তাকে এখনও চিনতে পারছিনা আমি। তখন কথা বললো- অপ্সরা। বন্ধুটিকে বললো- ওনার সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। আজ বাড়ি আসার পথে ওনার সাথে আমার দেখা হয়েছিল। এমনকি আমাদের বাড়িতেও। আমি বললাম- এটা আপনাদের বাড়ি। অপ্সরা বললো- আপনি আপনি করছো কেন? বিশ্বাস হচ্ছেনা। আমি অপ্সরা! ঠিক আছে কাউসার ভাইয়া,- ওনাকে বিকালে আমাদের বাড়িতে নিয়ে যাবেন তো। তা না হলে ওনি বিশ্বাস করবেন না। আর তাছাড়া আপনার বন্ধুটি একেবারে ভীতুর ডিম। এর পর থেকে বন্ধু কাউসারের বাড়িতে যতদিন থেকেছি, ততদিন রাতে অপ্সরার সাথে তার বাড়িতে গল্প করি দুজনে। মনে শুধু অপ্সরার ছবি। গভীর সখ্য হয়ে গেলো আমরা দুজনের। সে একবার আমাকে শারিরীক ভালবাসার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম না। ও আর কথা বাড়ায়নি। শুধু ও আমাকে জড়িয়ে একবার চুমু খেয়েছিল। প্রথম প্রথম আমারও ইচ্ছা হয়েছিল। কিন্তু ভেবে ছিলাম যদি ওকে বিয়ে করি। তাহলেতো সে আমারই হবে! আমরা দুজনে এত কিছু করছি। অথচ কেউ টের পায়না। অনেক দিন হলো বন্ধুর বাড়িতে রয়েছি। বাড়িতে না বলে আসায় সবাই চিন্তা করছে। এবার ফিরতে হবে। অপ্সরাকে বললাম- আমি তোমাকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে যেতে চাই। ও চুপ করে রইল। আমার মন খারাপ হয়ে গেলো। পরের দিন ফেরার পূর্বের রাতে সবাই যখন ঘুমে, আমি বেরুচ্ছিলাম। হঠাৎ কে যেন পেছন থেকে শার্টের হাতা টেনে ধরেছে। তাকিয়ে দেখি নিপা। ও আমাকে বললো- আচ্ছা তুমি প্রতিদিনই রাতে কোথায় যাও, বলবে কি? এতদিন বলবো বলবো করেও বলতে পারিনি। আজ আর নিরব থাকতে পারলাম না। কাল চলে যাবে তো তাই। আমাকে সব খুলে বল। কারণ তুমি হয়তো জানোনা,- আমি তোমাকে অনেকদিন থেকে ভালবাসি। আমি নিপাকে শুরু থেকে শেষ অবধি বললাম। এরপর ও আমাকে যা বলল, তা শুনে আমার মাথা ঘুরে গেল। ওর ভাষ্যমতে, নববর্ষের ভোর সকালে নাকি কারো সাথে আমার দেখা হয়নি। আমি বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে আমি অপ্সরাদের বাড়িতে গেলাম। গিয়ে দেখলাম, ওই বাড়িতে যে ঘরটায় নববর্ষের সকালে গিয়েছিলাম। সেখানে কোন ঘর নেই। একটা কবর ও গাছ পালা দেখা যাচ্ছে। আামি মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। পরে হয়তো লোকজন আমাকে বন্ধুর বাড়ি পৌঁছে দেয়। আমার জ্ঞান ফিরে প্রায় ২দিন পর। দীর্ঘদিন আমি মানসিক হাসপাতালে কাটিয়ে এখন সামান্য সুস্থ। নিপার কাছে অপ্সরার যে গল্প শুনেছি তা হলো, 'ওই বাড়িতে অপ্সরা নামের একটা মেয়ে থাকত, যে আরও ৩ বছর আগে মারা গিয়েছিল । কোন এক নববর্ষের ভোর সকালে মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে হাত ধরে সারা সকাল হেটেছিল গ্রামের রাস্তায় হেটেছিল। প্রেমিকটি এসেছিল এখানে তার বন্ধুর বাড়ি বেড়াতে। এক সময় ছেলেটি চলে গিয়েছিল। অপ্সরা এর তিন দিনের মাথায় আত্মহত্যা করে। পরে ছেলেটি পাগল হয়ে যায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
sohel মনে হচ্ছিল হিন্দি কোন ভৌতিক ছবি দেখছিলাম। ভালই
রাহেল দারুন ভোট না দিলেই নয়
বিষণ্ন সুমন তোমার লিখার হাত ভালো. কিন্তু একটু অগুছালো. তাই কাহিনীর গতি মাঝে মাঝে ক্ষয়ে গেছে. আর বিষয়বস্তু নির্বাচনে একটু ভেবে নিও. যেহেতু এটা একটা প্রতিযোগিতা ,তাই এখানে অবশ্যই এমন কিছু দিতে হবে যা তোমায় পাঠকপ্রিয় করে তুলবে. এদিকটায় নজর দিলে তুমি সহজেই সেরাদের কাতারে চলে আসবে.
ওয়াছিম প্রেম এত সহজ? ভাই এটা ছিনেমা না। আমার অনেক মেয়ের সাথে পরিচয় আছে, কেই কোনদিন আমাকে জড়িয়ে ধরলো না এত দিনে, আর প্রথম পরিচয়ে? আপনি বললেন এটা গল্প না.....৯ বছর আগে আপনার বয়স কত ছিল? মাঝে মাঝেই খেল হারিয়ে ভেলেছি পড়তে গিয়ে।
ফাতেমা প্রমি আপনার আগের লেখাটি পড়লাম.লেখা আগেরটা বেশি ভালো হয়েছে.এটা মোটেও ভালো লাগেনি. অসাধারণ একটি ভৌতিক গল্পের প্লট-এই কাহিনীর শক্তিকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন নি.অশ্লীলতা এমনিতেই জঘন্য বিষয়-তার সাথে অশুদ্ধ ভাষা আর ভুল বানানে আরো বেশি পরিমাণে মাধুর্যহীন-অশ্লীল বানিয়ে ফেলেছেন.
মোঃ শামছুল আরেফিন নববর্ষের সাথে ভৌতিক কাহিনি কাহিনীকে অসাধারন করে তুলেছে।আপ্নি ভাল করার খুব ভাল সম্ভাবনা আছে।আপ্নার লেখার ভঙ্গি অনেক ভাল।অনেক অনেক শুভ কামনা থাকল।আমার আলকিত অন্ধকার গল্পটি পড়ার আমন্ত্রন রইল।
মা'র চোখে অশ্রু যখন সুন্দর সময় পেলে আবার পড়ব
স্য়েদা তাবাসসুম আহমেদ আপনার লেখার চেয়ে যে জিনিসটা আমার ভালো লেগেচে তা হলো একটা ছেলে একটা মেয়ের উপর নির্ভর করেচে ওই কথাটা....বরাবর মেয়েরাই ছেলেদের উপর নির্ভর করে কিন্তু আপনার গল্পে একটি ছেলে অপরিচিত একটি মেয়ের উপর নির্ভর করেচে...ভাবতে ভালই লাগে
বিন আরফান. এক কথা পুরুস্কার পাওয়ার মত গল্প. অসাধারণ. তুমি নেটে থাকবে নিয়মিত. বিজয়ের সম্ভাবনা আছে. আর তোমার প্রোফাইল দেখা যায় না. রঙের গল্প "রঙের বাজার" http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/736/685
অপদেবতা বর্ণনা ভাল । শুভ কামনা থাকল ।

০২ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪