ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আমাদের দেশ ধর্ম বর্ণের দেশ না এদেশ সবার। সবাই আমাদের আপনজন। শত প্রাণ শত কোটি ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের এ সবুজ-শ্যামল দেশ। পেয়েছি একটি ¯^াধীন লাল-সবুজের পতাকা যা উর্দ্ধ আকাশে উড্ডিন থাকবে চিরকাল। এবার আমাদের দেশের উৎসবের কথায় আসা যাক। আমাদের দেশ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, ক্রিস্টান সকলের দেশ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধর্মের অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। পবিত্র ঈদে যেমন আমরা মুসলিম হিন্দু, বৌর্দ্ধ ক্রিস্টান সকল বন্ধু মিলে আনন্দ, বিভিন্ন স্থানে যাওয়া, বিভিন্ন আয়োজন করা যেমন গত ঈদে আমরা বগুড়া থেকে মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ক্রিস্টান সবাই মিলে চলে গেলাম সাত দিনের জন্য কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, হিমছড়ি ও ইনানী সহ ইত্যাদি স্থানে। অন্য দিকে আমরা প্রতি পূজায় আমাদের সকল বন্ধু আমাদের প্রিয় দাদা পলাশ, অন্তর, পাপন সকলে আমরা ভ্যান, রিক্স্রা অথবা সাইকেলে সবাই মিলে ঘুরতে থাকি প্রতি মন্দিরে প্রতিটি স্থানে। আসলে আমরা কখনো কারো ধর্মকে ছোট করে দেখতাম না । সব ধর্মকে আমরা সমান ভাবে শ্রদ্ধা করি। আমাদের নবীর শেষ ভাষন ছিল যে তোমরা ধর্ম নিয়ে বারাবারি করো না। তাই আমরা তার উম্মত হিসাবে তার কথা মান্য করা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। ধর্ম বর্ণ ভেদাভেদ ত্যাগ করে আমরা সকলে হাতে হাত রেখে আমাদের এ দেশকে অনেক সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবো এ ধরনীর সকল ধর্ম শান্তির ধর্ম। ধর্মগ্রন্থে কখনো অন্যায় কাজ করার কথা বলা নেই। আমি এবার একটি মজার ঘটনাবলি । আমার সকল হিন্দু বন্ধুদের আগে থেকে বলে রাখতাম এবারে কিন্তু আমাকে নারিকেলের নাড়– খেতে দিতে হবে। তারা হেসে কুটি কুটি। আমি আবার বলতাম তিন চার প্রকার নাড়–র কথা নারিকেলের, তিলের, ও কাউনের ইত্যাদি রকম। হাসিতে আমরা কলেজের বন্ধুরা একাকার হয়ে যেতাম। আসলে নারুর প্রতি আমি ছোট থেকেই একটু দূর্বল।আবার যখন দেখতাম আমাদের বাড়িতে অনেকে মুড়ি মুরকি এবং নারু দিয়ে যেত। আমি নারু গুলো আলাদা করে বেছে রেখে দিলাম এবং পরে বসে বসে মজা করে খেতাম। অনেক মজা পেতাম। ক্রিস্টান দের বড় দিন যদিও আমি কোথাও যেতাম না বাড়িতে বসে বসে টেলিভিশনে আমি বসে প্রোগাম দেখতাম। ক্রিসমাস ট্রি দেখতে আমার খুব ভালো লাগতো। বড়দিন উপল¶ে বৃদ্ধ দাদুকে দেখতে আমার বেশ ভালো লাগতো। বৃদ্ধ দাদু বাচ্চাদের অনেক ছোট ছোট উপহার প্রদান করতো এবং ছোটদেরকে অনেক আনন্দ দিতো। আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রকার মেলা যার বেশীভাগ হতো হিন্দুদের ভিন্ন ধরনের পূজা উপল¶ে সেই সব মেলায় সনাতন ধর্মের চেয়ে বেশী দেখা যেতো আমাদের মুসলমান ভাই বোনদেরকে তারা বিভিন্ন ধরেনের দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতো মেলা থেকে। আজ প্রতিটি উৎসব যেন পহেলা বৈশাখ এর মতো সকলের সমান অধিকার। নেই কোন ধর্ম ও বর্ণের ভেদাভেদ। প্রতিটি অনুষ্ঠান হয়ে উঠে কোটি মানুষের অনুষ্ঠান কোটি প্রাণের অনুষ্ঠান। এই পৃথিবীটা যেমন সকল মানুষের রয়েছে সমান অধিকার ঠিক তেমনি প্রতিটি অনুষ্ঠান আজ সকলের।
উৎসব আজ এসেছে আমাদের ঘরে সবাই করবো আনন্দ থাকবোরা আর কেউ মনটি ভার কিংবা দুঃখে নিরানন্দে-
তাই আসুন প্রতিটি উৎসবে আমরা আমাদের হাতে হাত রেখে বলি প্রতিটি উৎসব-অনুষ্ঠান যেমন আমাদের সবার ঠিক তেমনি এ দেশটি আমাদের সকলের এক রক্ষা করার দায়িত্বও আমাদের প্রতিটি নাগরিকেরঅ ধন্যবাদ সককে সারদীয় পূজা ও ঈদের শুভেচ্ছাসহ অভিনন্দন। প্রতিটি অনুষ্ঠান সকলের জীবনে সুখ - সমৃদ্ধি ও শান্তি বয়ে আনুক এ কামনায় বিদায়।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
২১ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
২১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।