তুমি সুন্দর- খররৌদ্রের মতো ঝর্ণার তীক্ষ্ণফোঁটার মতো বর্ষার ঘনঘটা মেঘের মতো
তুমি সুন্দর- সন্ধ্যালালিমার স্নিগ্ধ আলোর মতো ফুটফুটে জোছনার মতো জোনাকির মিটিমিটি আভার মতো
তুমি সুন্দর- শিল্পীর কল্পতুলির মতো চাঁদিনীরাতের গল্পের মতো দোলনায় ঘুমন্ত শিশুর মতো তুমি সুন্দর।
তোমার সদা হস্যোজ্জ্বল চেহারামাধুরী আমি ভুলতে পারি এমন কঠোর মমত্বহীন নই আমি অপদার্থ অধম বটে- অকৃতজ্ঞ নই।
তবে...অনুরোধ...
যে পবিত্র ভালবাসার সুধাজলে ভেসেছি আমরা দুজনে দোহাই সেই ভালবাসার দোহাই, দোহাই সেই ভালবাসার পবিত্রতার ওসব স্মৃতিহারা স্বপ্নকথা মনে রেখো না দিনের স্বপ্ন কখনো সফল হয় না প্রিয়তম, আমাদের সাক্ষাৎ হয়তো দুঃস্বপ্ন হয়তোবা নিয়তির পরিহাস মরীচিকা মনে করে ভুলে যাবে তবেই প্রকৃতি সজীব--প্রসন্ন আকাশ
এ আমার যুক্তি নয় মুক্তির মিনতি।
কপালে যখন লিখা আছে ভিন্নগ্রহে বাস তবে অভিন্ন জগতের গান গাওয়া বেমানান এমন কোন কাণ্ড নয়... কপালের দণ্ডকে মেনে নেওয়া ভাল।
তোমার কাছে পেলে জীবনের দিশা তবে প্রাণহীন প্রকৃতি ফিরে পাবে প্রাণ তবেই ব্যর্থদুনিয়া সার্থক তবেই বিরহপৃথিবী সুন্দর
তোমার প্রেরণায় পথ চলবে আগামী।
আমার নাইবা রইল সুখের ঠিকানা নাইবা গড়ে ওঠল আর বাসযোগ্য আবাস তাতে দুঃখ নেই আমার যে আছে সুখের ভাবনা ভাবের কারাগারে না জ্বলুক দিয়া...
স্মৃতির ওসব তপ্তবালুচরে হেঁটে দগ্ধ করো না প্রিয়ে মুগ্ধ পা তাতে তুমি ঘায়েল হলে আমি শান্তি পাব না
এ আমার আদেশ নয়, হুকুম নয় অনুগ্রহ করজোড় বিনীত প্রার্থনা...
আর কোন সান্ত্বনা আমার জানা নেই আর কোন অধিকারযুক্তিও খাটার নেই মানসিকশক্তি সর্বোত্তম সম্পত্তি- আমার অশ্রুধৌত কোমল হৃদয় তোমার সাথে আছে- থাকবে ওই রাজ-রাজঘরের ভাণ্ডারে সেই তোমারই প্রাপ্য।
আমারে আমি সংযম করতে পারি এমন সংবিত্তি আমার মাঝে নেই আজ আমি শূন্য হাতে ফিরি নে ফিরেছি একেবারে নিঃসহায় নিরাশ্রয় হয়ে
শুধু-
আনন্দের কবরে অর্ঘ্য দিয়ে শুধু ভাবনারে এনেছি সঙ্গে এটুকু আমার পাথেয়--পথের সম্বল
এটা সত্য, পুরুষের মন পরাধীন নয়।
ওখানে শুভ্রনীলের বাড়িতে মোহিনীর হাতছানি এখানে হলুদলালের প্রাসাদে অপূর্ব শান্তি আমার গন্তব্য এখানে সীমাবদ্ধ নয় কালাপানিতে হাজারবার হতে পারি নির্বাসিত লালপানিতে একবারও ডুবে যেতে পারি না রঙিনশহরে
আমি যা পারি তুমি তা পার না
এখানে তোমার আমার ব্যবধান।
ভেবে দেখ ত একবার আমার কামনার সাথে তোমার ছন্দ মিলে কিনা আমি বাধ্যতায় মুক্ত তুমি অধিকারে বন্দি ভাবনায় মিলে যদি যুক্তি...
এ আমার স্থায়ী ঠিকানা-
বিরহনগরে হৃদয়হারা যেখানে হতাশ যেখানে দিশেহারা পায় না পথের সন্ধান যেখানে নিরুপায় মনে করে আত্মহননে উপায় যেখানে ব্যর্থপ্রেমী বিষাশ্রয়ে খুঁজে সমাধান সেখানে আমার ভাস্কর্য পথের দিক...
ওই দুঃখের বারিধিভাসি বেদনা হ্রাসের মঞ্চে দোষী এখানে ওখানে যার সবখানে ফাঁসি সেখানে আমি তার হাসি...
কোন রোমাঞ্চের শহরে আমার দেখা পাবে না পাবে না আর কোন নিশাতের আড্ডায় ব্যথাসমুদ্র দরদের কৃষ্ণকুটিরে সান্ত্বনার প্রলেপে পাবে সকল ভাবনার পাশে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আব্দুল্লাহ্ আল মোন্তাজীর
উপমাগুলো খুব সুন্দর। কোন কোন স্থানে আবেগ জনিত কারণে বাস্তবতাকে পাশ কাটানো হয়েছে। ভাবটাও প্রশংসনীয়। মন ছুঁয়ে গেল কবিতা। ধন্যবাদ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।