'শুদ্ধ'

সরলতা (অক্টোবর ২০১২)

Azaha Sultan
  • ৩৪
  • 0
অকর্মণ্যলোক অপদার্থ বটে। বাঘের খাঁচা ভাঙতে যাদের বিন্দুমাত্র বলপ্রয়োগ করতে হয় না, তাদের যে সামান্য কর্ম দেখে ঘর্ম বয়ে যায়--তা শুদ্ধকে না দেখা পর্যন্ত বুঝা দায়। তীর্থ ঘুরে, পবিত্রস্থান প্রদক্ষিণ করে, মসজিদ-মাজারে মানত রেখে; মা-বাবার বহু সাধনার ফল : জন্ম নেয় একটি সন্তান--পবিত্রাত্মার ফসলসরূপ নাম রাখা হয় ‘শুদ্ধ’।
কোথায়--কী কিতাব পড়ে সে এ মন্ত্র আবিষ্কার করল জানি না, সারা দিন টো টো করে ঘুরবে আর যথাসময়ে আহারসামগ্রী গিলবে। প্রতিদিন শঙ্খনদীর তীরে বসে বড়শির ছিপ ফেলে মাছের অপেক্ষা করবে আর জলের বুদবুদ দেখবে এবং মনে মনে বলবে, সৃষ্টিকর্তা বোধহয় এখানেই তাঁর সমস্ত গুপ্তধন লুকিয়ে রেখেছে! কিন্তু ডুব দিয়ে দেখার দুঃসাহস কখনো করতে পারবে না।

: শুদ্ধ!
: কী?
: ওখানে বসে কী করিস?
: তোর মাকে হাঙ্গা দিতাছি। দেখিস-না শালার পুত বড়শি ফেলছি। পানিতে বড়শি ফেললে যে মাততে নেই সেকথা জানিস না জানোয়ার?
: তাই নাকি! বড়শি ফেললে বুঝি মাততে নেই?
: হাঁ রে গাধার বাচ্চে।
: মাতলে কী হয়?
: মাছে শুনে ফেলে।
: মাছে বুঝি শুনতে পায়?
: শুনতে পায় না মূখ্য? মাছের কি কান নেই?
: কই, আমি ত মাছের কান দেখি না।
: তোর চৌদ্দ গোষ্ঠি মাছ খেলেই ত কান দেখে...দাঁড়া কুত্তার বাচ্চে বলেই ছিপ নিয়ে তার পিছু ছুটে। শুদ্ধসম্বন্ধে যারা ভাল জানে তারা শুদ্ধকে উত্ত্যক্ত করার উদ্দেশ্যে এমন কাণ্ডকারখানা প্রতিনিয়ত করে। শুদ্ধের কথাবার্তায় যতই-না মজা পাওয়া যায় তারচেয়ে তার গালিগালাজ শুনতে তাদের অনেকবেশি স্বাদ লাগে!

: শুদ্ধ, এভাবে কি কারও জীবন কাটে?
: তবে?
: কিছু একটা করতে হবে না? আজ পিতার আছে বিধায় চলছে, কাল এ অবস্থাপন্ন নাও থাকতে পারে; তখনকার অবস্থার কথা কিছু ভাবছ কি?
: অবস্থা! অবস্থা আবার কী?
: কেন, বিয়েটিয়ে একটা করতে হবে না? তোমার বাপকে বলি? বিপিন পোদ্দারের পরীর মতো মেয়ে ’নিপি’ শুদ্ধকে খুব পছন্দ করে।
তখন শুদ্ধের নাচন কে দেখে! কারণ, শত পরিহাস সহ্য করতে পারে সে কিন্তু বিয়ের কথাতে ভূতের যত আছর। কুকুরের ভয়ে শিয়াল যেমন হাওয়ার বেগে ছুটে, একথা বলার পর শুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে সেরূপ ছুটতে হয় উত্ত্যক্তকারীকে। নইলে শুদ্ধের পাটকেলের আঘাতে মাথার খুলি উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।

মণি আছে এমন সাপের মতো শুদ্ধ কারও সঙ্গে মিশে না। চলতে চলতে আপনা-আপনি কথা বলে। পৃথিবীতে এধরণের মানুষ খুব বিরল। কেউ জিজ্ঞেস করল, শুদ্ধ, কার সঙ্গে কথা বলছ? ‘তোর বাপের সঙ্গে’ বলে এমনভাবে চেয়ে থাকে যেন ক্ষুধার্ত বাঘ।

পুকুর থেকে গোছল সেরে উঠছে এমন সময় কেউ একজন বলল, শুদ্ধ, ওখানে যে কাদা লেগে আছে। আবার ডুবের পর ডুব ডুবের পর ডুব। আবার বললে আবার শুরু... ...
এজন্যে শুদ্ধের মায়ের সঙ্গে অনেকের ঝগড়াবিবাদ হতে তুমুল লড়াই চলেছে অনেকবার। ঝগড়াপর শান্ত হয়ে বলে, আমার অমন সহজসরল ছেলেটি কি কারও ক্ষতি করে? তাকে খেপিয়ে তোমরা কী মজা পাও শুনি? তোমাদের মতো অত বুদ্ধিসুদ্ধি থাকলে কি আমাদের শুদ্ধের এ কপাল।

এ ধরণের অনেক কথা শুদ্ধসম্বন্ধে অনেকে বলাবলি করতেও শুনা যায় : ছয় ফুট দেহের অধিকারী হয়েছে ঠিকই, তবে স্বভাব এখনো নির্বোধ বালকের মতো... ...ইত্যাদি।

: শুদ্ধ, তোর বুদ্ধিটা যে কবে হয় বাবা...
: কেন মা, আমার বুদ্ধি কি এতই কম?
: লোকে ত তাই বলে।
: আমি কি লোকের কোনো দোষ করি মা?
: এই পৃথিবীটা তোর মতো ভাল লোকের বসবাসের জায়গা নয় গো বাপ।
: কেন রে মা?
: তোরে যে আমি কি করে বুঝাই! আচ্ছা, তুই যাকে তাকে গালি দিবি কেন?
: আমি কি শুধু শুধু গালি দি মা? আমাকে তারা এভাবে খেপায় কেন?
: তোকে খেপালেও তুই খেপবি কেন? বার কয়েক কোনো জবাব না দিয়ে হেসে চলে আসতে পারিস না? তখন থেকে দেখবি তোকে আর কেউ খেপাচ্ছে না।
: এমন কতক আচরণ করে মা, সহ্য করতে যে পারি নে। ছেলে-যুবক হতে এমনকি বৃদ্ধরাও...বলে কি, আমি নাকি...
: বদলোকের স্বভাব অমন করা, ভাল লোকের কাজ সহ্য করা। এ কানাঘুষা আর লালায়িত নানান কথা শুনতে শুনতে আমাদের জীবন গেল--মরলে বাঁচি। বর্তমানে তোর বাবার সেই অবস্থা আর নেই : খুবই অসুস্থ দেখতেছিস--কখন যে মরে তার হিসেব নেই; সেকথা তোর বুঝতে হবে বাবা।

শুদ্ধের বাপের বিষয়াশয় যা ছিল তা শুদ্ধের জীবন চলার জন্যে যথেষ্ট ছিল, কিন্তু বাপের সৎ ভাইদের চক্রান্তে তা আর ধরে রাখা গেল না। ইদানীং দেখলে দেখা যায়--বড়দিঘি আর ছোটবিলে বিঘা দুয়েক জমি এবং ভিটেবাড়ি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। ঋণের পাহাড় মিটাতে গেলে তারও বোধহয় ঘাটতি হবে। তবু এতটুকু আশা--পুত্রকে সাংসারিক দেখা।

: তোর বাপের বড়ই ইচ্ছে : মরার আগে বউয়ের মুখ দেখে যাওয়া--
: আমার বউ? কি যে বল-না মা!
: লোকের কানাকানি ত আর ভাল লাগে না রে বাবা। তুই এখন অনেক বড় হয়েছিস, সেটা তোকে বুঝতে হবে শুদ্ধ।
: বুঝব না কেন, সামনে আমার পরীক্ষা : সেটা দিয়ে নি--তারপর না হয়...
: বিয়ে করেও ত পড়ালেখা করা যায়--পরীক্ষাটা নাহয় বিয়ের পরে দিবি। তোর বাপের কখন যে কি হয় সেটা ত আর বলা যায় না।
: তা হলে আমি একটা মেয়ের কথা বলি?
মা খুব খুশি হয়ে বলল, বল বল।
: বিপিন পোদ্দারের মেয়ে নাকি পরীর মতো সুন্দর, আমাকে খুব পছন্দ করে।
: কে বলেছে বাবা?
: নন্য ডাকাত্য।
: আহা রে পুত তোর যে কখন বুঝ হয়--বলে জননী দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে।
: বিপিন পোদ্দার রাজার মতো লোক, তার একমাত্র আদরের দুলালীকে আমাদের এ অভাবের সংসারে কি দেবে বাবা। তারচেয়ে অনেকবেশি সুন্দরী একখান মেয়ে আমাদের শুদ্ধের জন্যে আমরা বউ করে আনব।

বিপিন পোদ্দার মামার বাড়ির দিক থেকে প্রায় শত বিঘা জমি পেয়ে আজ মস্ত পোদ্দার। চলনে-বলনে নবাবের হাবভাব। রোজ কত কত লোকের আনাগোনা তাঁর বাড়িতে। পিছে পিছে গ্রামসুদ্ধ লোক ঘুরেবেড়ায়। ‘কর্তা নমস্কার’ ‘হুজুর সালাম’ প্রতিদিন চৌরঙ্গিহাটের বৈঠকখানায় বসে তাঁর বিচারাসর। ‘সালামতুল্লার ধানখেত কেন খেয়েছে আমানতুল্লার গাইয়ে?’ ‘রঞ্জুনাথের সেগুনবাগানে কেন ডুকেছে পিনাক দাসের ছাগল?’ ‘অরণির মার শিমের চারা অনিষ্ট করছে কেন বর্ণার মার মোরগে?’ ... ...

শুদ্ধের বিয়ে হয়ে গেল। বধূর স্বর্ণময়ী রূপ দেখলে অনেকের বাকশক্তি হারিয়ে যায়। অনেকের ফিসফিসানি দেখলে গায়ে কাঁটা দেয়। ‘গরুর গলায় সোনার ঘণ্টা’ এসব কটূক্তির যুক্তি কি বুঝি না। সুনাম করা কঠিন কিন্তু হিংসে করা সহজ।

আমরা প্রতিবেশিরা জানলেও--একথা এখনো অনেকে জানে না যে, শুদ্ধ কী ধরণের মানুষ! ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলেও বুঝার সাধ্য নেই শুদ্ধের মধ্যে কোনো অপূর্ণতা বিদ্যমান। কর্ম বিমুখ। তবে যে কাজ স্বেচ্ছায় করবে তার শতভাগ আশা করা যায়। কিন্তু কোনো কিছু জোর করে আদায় করতে গেলে তার নাস্তানাবুদ বলা যায়। স্কুল বন্ধ থাকলেও স্কুলের দরোজা একবার দেখে আসতে ভুল করবে না, কিন্তু পড়তে বললে বলবে, বই পড়ে কি আর রাজা হওয়া যায়। এমন ভাব দেখাবে--যেন পৃথিবীর সমস্ত গ্রন্থ তার পড়া।

শুদ্ধ প্রায়ই অলৌকিক কিছু দেখতে পায়। সেদিন চৌরঙ্গিহাট থেকে ফেরার সময়--সন্ধ্যার পর পর দুই বাঘ তার সঙ্গে এসে বাড়ির সদরে পৌঁছে দিয়ে পলকে চম্পট হয়ে যায়। এ কাণ্ডগুলো কিন্তু শুদ্ধ ছাড়া অন্য কারও দৃষ্টিগোচর হয় না। প্রতিনিয়ত দেখা মিলে--বিশাল একটা সাপ তার পাহারায় থাকে। প্রথমদিকে মনে হত--ভয়ে কণ্ঠনালি শুকে কাঠ হত তার। পরে পরে সাপটির আচরণোনুক্রমে ভয় ভেঙে যায়। বিষয়গুলো মায়ের কাছে দুয়েকবার প্রকাশ করেছে। মা নিষেধ করছে, এগুলো কারও কাছে জাহির না করতে। মায়ের আদেশ সে পদেপদে পালন করে।

'‘মা, আমি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছি। খুব করে দোয়া করো কিন্তু।’ আজ শুদ্ধের বিএ ফাইনাল শুরু। এক দৌড়ে বাড়ির আঙিনা পার হয়ে গেল। দেখতে-না-দেখতে হাওয়ার বেগে অদৃশ্য হয়ে যায়। মা ছুটে এসে দেখতে না পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেজদায় পড়ে ছেলের জন্যে দোয়া করতে
লাগে--প্রভু, আমার অবোধ ছেলেটিকে তুমি দুজাহানে সফল করো। মায়ের দোয়া শুদ্ধের জন্যে বিরাট সফলতা বয়ে আনে।''

পরীক্ষার খাতা নিয়ে বসল, এমন সময় দেখতে পাচ্ছে শুকপাখির মতো অসম্ভব সুন্দর একটা পাখি তার মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। পাখিটার পাখনার বাতাসে শুদ্ধের সমস্ত শরীর বরফের মতো হিম' হয়ে আসছে। ঝাপসা হয়ে আসছে চোখের আলো।
একটুপর শুদ্ধকে হল ছেড়ে চলে যেতে অনেকে দেখেছে, কিন্তু খাতায় একটি আঁচড়ও
দিতে কেউ দেখে নি তবে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিখুঁতভাবে লিখিত জমা পড়েছে!

মুহূর্তের মধ্যে সারা গ্রামে ঢিঢি পড়ে গেল--শুদ্ধ পাগল হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় শিবনাথের মন্দিরে এসে নেচেকুদে কাঁসা বাজাচ্ছে। শান্তার বিয়েতে ডুকে হাঙ্গামা করছে। কালাচাঁদের গাভীবাছুরকে খুটাহারা করে দুলু সিকদারের ধানখেত খাওয়াচ্ছে। খিদির আলির খোঁয়াড় থেকে ছাগলঝাঁক ছাড়িয়ে এনে অরিণ শেখের
আলুখেতে চরাচ্ছে। চরাচ্ছে। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে শালাসম্বন্ধীকে ডোরাবেত দিয়ে ইচ্ছেমতো পিটাচ্ছে এবং বলছে : ভাল মানুষভাল মানুষ হবি--ভাল মানুষ হবি

নিশীথে ভাল কাপড়চোপড় পরিধান করে সেজেগুজে কোথায় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে কেউ চেষ্টা করেও হদিশ পাচ্ছে না। আরেকদিন মা ডেকে বলছে, আমার জানা হয়েছে... ...তোর বাবা চলে যাওয়া তোর জন্যে শুভাশীষ। আমারও যাওয়ার দিন ঘনিয়ে আসছে রে শুদ্ধ, তখন তোর আজাদ। তবে তোর একটা বিশ্রী কাণ্ড আমার বুঝে আসে না রে বাপ, তুই মানুষের সামনে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে থাকিস; আবার রাতের অন্ধকারে...
: এখানে মানুষ কে রে মা, আমি উলঙ্গদের সামনে উলঙ্গ থাকি--মানুষের সামনে ঠিকই পরিধান করি; তুমি ভাল করে দেখো, তোমার সামনে কখনো কি আমি...

এটা সত্য, মায়ের সামনে শুদ্ধ কখনো দিগম্বর হয় না। যদিওবা কোনক্রমে মায়ের গোচরে এসে যায়, তাড়াতাড়ি ছেঁড়া কাঁথা খুঁজে বা বস্তাছেঁড়া দিয়ে ঢেকে মাথা নিচু করে বসে পড়বে মাটিতে।

শুদ্ধ আজ পাগলের চেয়ে অনেকবেশি পাগলামি করছে! মা আল্লাহর ডাকে চলে যাচ্ছে। হাতীর রশি দিয়ে শুদ্ধকে বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। আচরণবিধি ভয়ঙ্কর--যমদূতকে পেলে বোধহয় গলটিপে হত্যা করে এক্ষুনি। গালাগালি যা করছে কারও বুঝে আসার সাধ্য নেই। চোখেমুখে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হচ্ছে। দশ গ্রামের লোক এসেছে মায়ের জানাজায়। তবে জানাজার চেয়ে বেশি এসেছে শুদ্ধের তামাশা দেখতে--তাকে ঘিরে আছে সবাই।

সেই প্রথম থেকেই শুদ্ধ বউয়ের প্রতি উদাসীন--কোনো খোঁজখবর রাখবে না, কোনো কথাবার্তা বলবে না। সামনে এলে শুধু বড় বড় চোখ করে দেখবে। যেন চিরশত্রু। বউ মনে করে শুদ্ধ হাবা। এত দিন শাশুড়ির ভালবাসায় কেটেছে। তাঁর অবর্তমানে এখন সে নিঃসঙ্গ। নিঃসন্তান মেয়েটি কার আশ্রয়ে থাকে।

আজকাল শুদ্ধ খুবই শান্ত, কারও সঙ্গে কোনো কথাবার্তা বলে না; নিঃসঙ্গও বটে। বউ চলে গেছে কবে। কোথায় যায় কী করে কেউ খোঁজখবর রাখে না। কে খাওয়ায়--কী খায় তাও কারও জানার দরকার নেই। কারও দেওয়া এঁটোভাত খাবে কিন্তু কারও দেওয়া কোর্মাপোলাওতে বালি মিশে দিবে! অনেকের দেওয়া খাদ্য পাখিদের ডেকে খাওয়াবে, কুকুর-বিড়ালকে খেতে দিবে। অনেকের দেওয়া খাদ্য পানিতে ছুড়ে দেবে। নিজে ভুখা তবু এক দানা খেয়ে দেখবে না।

একবার ভরদুপুরে নির্জন একটি ডোবায় নিজপেটের আঁতড়ি মুখ দিয়ে বের করে ধুচ্ছে! এ অলৌকিকতা এক রাখাল দেখে ফেললে--ভয়ে রাখালের হাত-পা অবশ হয়ে আসে। শুদ্ধ অভয়াশ্বাস দিয়ে তাকে কাছে ডেকে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্যে অনুরোধ করে এবং তার হাতে একটা থলি দিয়ে বলে, ঘরে গিয়ে কেউ না দেখে মতো খুলিস। রাখাল ঘরে এসে দেখে থলিপূর্ণ স্বর্ণমুদ্রা! এভাবে শুদ্ধের একের পর এক আধ্যাত্মিক ব্যাপার নিজগ্রামে জাহির হতে দেখে উধাও হতে বাধ্য হয়।

আচারাচরণে শুদ্ধকে এবং তার মা-বাবাকে যারা কষ্ট দিয়েছে তারা আজ অর্থের ভিখারি--এক পয়সার মুহতাজ। যারা তাদের প্রতি সু-আচরণ করেছে তারা জ্ঞানেগুণে হয়েছে বিরাট মানুষ। আজ সারা গ্রাম মশাল জ্বেলেও শুদ্ধের ছায়া খুঁজে পাচ্ছে না। ‘হায় হায়’ করে তাদের দিন কাটছে। আপসোস, এমন মহারত্নকে তারা চিনতে পারল না।




এ গল্পটির বাকি অংশ আজ শেষ তারিখ তাড়াহুড়ো করে লেখে জমা দিয়েছি। ভুলত্রুটি বেশ দেখা যাবে। বন্ধুদের কাছে বিনীত অনুরোধ--ত্রুটিগুলো যেন চিহ্নিত করে দেওযা হয়--উপকার হয়। আশা করি, তাই করবেন বন্ধুগণ। সবার প্রতি সীমাহীন আন্তরিকতা ও ধন্যবাদ রইল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রাজু আহমেদ খুব ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা...
এশরার লতিফ ভালো লাগলো আপনার লেখা, শুভকামনা ।
ধন্যবাদ এবং ঈদের শুভেচ্ছা.....
মিজানুর রহমান রানা Wow
ধন্যবাদ রানা ভাই, সীমাহীন......কোথায় যে হারিয়ে গেলেন!
শিউলী আক্তার অসাধারণ ---------- ---- !
ধন্যবাদ বোন, .........
এফ, আই , জুয়েল # গল্পটা চমৎকার হলেও---- আরো সহজ করা যেত ।।
ধন্যবাদ জুয়েল ভাই,..........
Mahi pondit আপনার গল্পের পবিত্র চাহনিতে আমিও প্রভাবিত আযাহা ভাই ।মন ডুবিয়ে পড়লাম।এ গল্পতেও পুরো ভোট না দিয়ে থাকা যায়না।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ......
আলম ইরানি অকর্মণ্যলোক অপদার্থ বটে।/// আপনার গল্পের এই কথাটির সাথে আমি পয়েন্ট ওয়ান পার্সেন্টও একমত নই। এই কথাটি বিশ্বাস করলে আপনার গল্পটিই অপাঙতেয় হয়ে যায় । একটু ভেবে দেখুন ।কারন ‘শুদ্ধ’অকর্মন্য হলেও আধ্যাতিকতায় ও সরলতায় ছিলো অসাধারণ ।যারা খারাপ কাজে লিপ্ত থাকে ও কোন কাজে আসেনা তাদেরকেই সাধারনত অপদার্থ বলা হয় ।এই একটি লাইন ব্যাতীত পুরো গল্পটি আমার প্রচন্ড ভালো লেগেছে ।তাই পাঁচ না দিয়ে পারলাম না ।শুভেচ্ছা ও সালাম ।
আপনার মন্তব্য প্রাঞ্জল.......''অকর্মণ্যলোক অপদার্থ বটে।'' এটা অনেকের বক্তব্য। কোটেশন মার্ক পড়ে নি বিধায় আপনার বা অনেকের বুঝার ব্যাঘাত হয়েছে। আমি শুদ্ধকে দিয়ে এ প্রমাণ দেখাতে চেয়েছি যে--অকর্মণ্যলোক অপদার্থ নয়। শুদ্ধের মতো জীবন গঠন করতে পারলে বুজুর্গি হাসিল করতে পারে.......আর শুদ্ধের মতো লোক প্রায়ই পরিহাসের পাত্র বনে এটাও ঠিক.......আপনাকে হাজার সালাম ও ধন্যবাদ......
আযাহা ভাই আপনার কোটেশন মার্ক না দেয়ার ভুলের কারনেই আমার বুঝার ভুল হয়েছে ।যাক গল্প আপাদমস্তক আমার জবাব ছাড়া ভালো লেগেছে এ ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকুন ।সালাম ।
ফাইরুজ লাবীবা অসাধারণ গল্প। আজ হইতে আমি আপনার একজন ভক্ত পাঠক বনে গেলাম ।বেশ হয়েছে ভা্ইয়া ।অনেক অনেক ভালো লাগলো ।শুভকামনা ।
আপনার প্রতি সীমাহীন আন্তরিকতা ও ধন্যবাদ
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন .........................এ কেমন গল্প দাদা? এক টানে পড়ে শেষ করার সময় কোন ভুলত্রুটি নজরে আসলই না? আছে নাকি? আবার পড়ে দেখতে হবে। খুব ভাল্ লাগল । শুভেচ্ছা রইল।
দাদা, অশেষ ধন্যবাদ....
আলেকজানডার শুদ্ধ তার সরলতা দ্বাড়া আমাদের মনটিকেও শুদ্ধ করতে ভুমিকা রেখে গেল এই গল্পের মাধ্যমে। আযাহা ভাইজান আপনার শুদ্ধ মনে ও শুদ্ধ কালিতে যে শুদ্ধতা দেখালেন তা সত্যিই কল্পনাতীত ।মনের সমস্ত শুদ্ধতা ঢেলে দিলাম আপনাকে ।শুভাশীর্বাদ ।
ভাইজান, আপনার মন্তব্য পড়লে বিমোহিত হই.........কী দেওয়ার আছে আর, একটি রক্তগোলাপ.....

০২ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৭৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী