তুমি সুন্দর খররৌদ্রের মতো ঝর্ণার তীক্ষ্ণ ফোঁটার মতো বর্ষার ঘনঘটা মেঘের মতো
তুমি সুন্দর সন্ধ্যালালিমার স্নিগ্ধ আলোর মতো ফুটফুটে জ্যোৎস্নার মতো জোনাকির মিটিমিটি আভার মতো
তুমি সুন্দর শিল্পীর কল্পতুলির মতো চাঁদিনীরাতের গল্পের মতো দোলনায় ঘুমন্ত শিশুর মতো
তুমি সুন্দর তোমার সদাহস্যোজ্জ্বল চেহারামাধুরী আমি ভুলতে পারি এমন কঠোর মমত্বহীন নই আমি অপদার্থ অধম বটে-- অকৃতজ্ঞ নই।
যেই পবিত্র ভালবাসার অনলশিখা জ্বলছে আমাদের দুজনার মনে দোহাই, দোহাই সেই ভালবাসার দোহাই, দোহাই সেই ভালবাসার পূততার
আমারে ভুলে যাবে ভুলতে হবে-- পারবে না! এমন কেমন কথা, এমন কথা তোমারে শোভা পায়?
যার রাজ্যভার নিয়েছ মাথায় তার আরাধনা নিত্য করো জপো নিরালায় তারই নাম শান্তি পাবে তাতে--সফলতা অনেক এ আমার আদেশ নয়, হুকুম নয় অনুগ্রহ-করপুটবিনীত অনুরোধ।
আর কিছু আমার বলার নেই আর কিছু আমার দিবারও নেই অলৌকিকশক্তি সর্বোত্তম সম্পত্তি আমার অশ্রুসিক্ত একমুঠো প্রেম তারে রেখে এলেম তোমার রাজ-রাজগৃহ ভাণ্ডারে সেই তোমারই প্রাপ্য।
আমারে আমি সংযম করতে পারি এমন সংবিত্তি আমার মাঝে নেই আজ আমি শূন্য করে ফিরি নে ফিরেছি একেবারে নিঃসহায় নিরাশ্রয় হয়ে
শুধু-- শুধু ভাবনারে এনেছি সঙ্গে এটুকু আমার পাথেয়, পথের সম্বল।
ঊর্ধ্বে নীরব নিস্তব্ধাকাশ নিম্নে পরিপাটি মাটি আমি তার বুকে পদযুগল রাখি বন্ধু তারা খাঁটি।
আর কোনো ঠিকানা নেই? যেখানে ব্যথার বন্ধন সেখানে আমার ক্রন্দন যেখানে বেদনার সংবাদ সেখানে আমি মেঘনাদ যেখানে সূচনা দুঃখকষ্ট সেখানে আমার পাণ্ডুলিপি স্পষ্ট যেখানে বিষণ্নতাভরা সেখানে আমি আত্মহারা যেখানে অবৈধানন্দোল্লাস সেখানে আমি নির্বাক--জীবন্তলাশ!
আজ কার কাছে যাই আমি কার দিকে তাকাই আমি-- তোমার দিকে, না মানবের দিকে দেশের দিকে, না দশের দিকে জনতার দিকে, না জননীর দিকে সমাজের দিকে, না পরিবেশের দিকে
তোমার দিকে তাকালে মন আবেগ মানুষের দিকে তাকালে কান্না আসে দেশের দিকে তাকালে ভাবনায় পড়ি দশের দিকে তাকালে আফসোস হয় জনতার দিকে তাকালে দুঃখ লাগে জননীর দিকে তাকালে বুক ফেটে যায় সমাজের দিকে তাকালে ফেলতে হয় দীর্ঘশ্বাস পরিবেশের দিকে তাকালে শুনি ধিক্কার বাণী!
স্তিমিত সমগ্র সৃষ্টির মন-- কোনো মালঞ্চে আজ পাই না সুবাস কোনো পাখি আজ দেখি না করতে কোলাহল কোনো ছেলেবেলে আজ করে না খেলা কোনো তামাশাগীর আজ দেখায় না প্রমোদতামাশা কোনো গায়ক আজ প্রাণখুলি গায় না গান কোনো যাত্রিক আজ চায় না পিছন ফিরে কোনো মানুষ আজ ভাবে না পরের তরে
সবে আপন আপন চিন্তায় বিভোর-- এ কেমন ধারা চলছে অবিরাম! এমন কেন রে বিধি? কোথাও দেখি না আজ অতুল সুন্দর কোথাও খুঁজি পাই না আজ শান্তিস্থল কোথাও জমে না আজ নিশাতের আড্ডা-- বসে না চন্দ্রিমারাতের গল্পের আসর যে অসম্ভব ভাল আজ তারই দিন ফুরাল! শুধু রইল, হিংসাবিদ্বেষ-ঈর্ষাপ্রখর?
না না-- তুমি সুন্দর তোমার চাহনি সুন্দর শুধু আমার পৃথিবী অসুন্দর।
আমি ব্যথিত ক্রন্দসী ব্যথা হ্রাসের মঞ্চে দোষী আমার এখানে ওখানে--সবখানে ফাঁসি! আমি যা কিছু ভাবি--ব্যর্থ, সব ব্যর্থ এখানে তুমি সার্থক! আমার চাহনি তোমার চাহনির মতো আহা, হতে পারে না কেন উন্নত!
১০ চৈত্র, ১৪০৭- কাঞ্চন নগর, চট্টগ্রাম।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ শামছুল আরেফিন
আপনার কবিতায় ভাইয়া এত বৈচিত্র থাকে যে মুগ্ধ হতে হয়। আরও বেশি মুগ্ধ করে আপনার কবিতায় গল্প খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু একরোখা অনুভূতি নিয়ে লিখেন। মনকে যা সবসময় টানে। আরও একদিন এসে কবিতাটি পড়েছিলাম। আজ আবার পড়ে কমেন্ট করলাম। অসম্ভব রকম ভাল লেগেছে ভাইয়া।
Mohammad Anisur Rahman Shanto
"তুমি সুন্দর
তোমার কবিতা সুন্দর
শুধু আমার মন্তব্য অসুন্দর।
আমি ব্যথিত ক্রন্দসী
ব্যথা হ্রাসের মঞ্চে দোষী
আমার এখানে ওখানে--সবখানে ফাঁসি!
আমি যা কিছু ভাবি--ব্যর্থ, সব ব্যর্থ
এখানে তুমি সার্থক!(কবিতা লেখায়)
আমার ভাবনা তোমার ভাবনার মতো
আহা,
হতে পারে না কেন উন্নত!"
ভাই , একটু REMIX মন্তব্য করলাম ,DON'T MIND !
প্রজাপতি মন
তোমার দিকে তাকালে মন আবেগ
মানুষের দিকে তাকালে কান্না আসে
দেশের দিকে তাকালে ভাবনায় পড়ি
দশের দিকে তাকালে আফসোস হয়
জনতার দিকে তাকালে দুঃখ লাগে
জননীর দিকে তাকালে বুক ফেটে যায়
সমাজের দিকে তাকালে ফেলতে হয় দীর্ঘশ্বাস
পরিবেশের দিকে তাকালে শুনি ধিক্কার বাণী!
অসাধারণ!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।