বৈরী সময়.........

বৈরিতা (জুন ২০১৫)

এই মেঘ এই রোদ্দুর
  • ১৭
  • ৯৬
হাপিত্যেশ করে সময় কাটানো বড় কষ্টকর
চোখের চারপাশ জুড়ে ক্রমশ: নেমে আসে আঁধার
আলো জ্বালাতে অকষ্মাৎ কেহই আসে না.....
ধূলো উড়া পথে রয়ে যাই একাই।

এই সেই ধূলো উড়া পথ যেখানে দুপায়ে ধূলো উড়িয়ে
একসাথে আসতাম দল বেঁধে আমরা দুষ্ট পাখির দল
কর্মব্যস্ত দিনের মাঝে সবে আজ নিজেকে দিয়েছে সঁপে।

দিন শেষে ফিরে যায় সবাই আপন ঠিকানায়
আমিও ফিরে যাই, কেউ কারো খবরই রাখিনা
এখন মৌনতার সাথে মিতালি পেতেছি
বিভোর দিনগুলোতো ফেলে দিয়েছি অতীতে।

এক সময় কত বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি স্বপ্নে বিভোর হয়ে
কতভাবে যে সাজিয়েছিলাম আহ্;
এক কানা কড়ি যদি সাজাতে পারতাম
স্বপ্নময় হয়ে উঠত কর্মব্যস্ত দিনগুলোও হয়তো।

দুষ্ট পাখিরা আজ পথের ধুলো উড়ায় না, ভোঁ ভোঁ ধোঁয়া উড়ায় কেউ কেউ
কেউ আর হেঁটে হেঁটে ফিরে না নীড়ে, একটু হাঁটলেই পাখিরা হাঁপিয়ে উঠে
অদম্য চেষ্টা আর আগ্রহ অনেককেই তাদের কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে দিয়েছে।

পাখিদের অনেকেই ফুলের ঘ্রাণ নাকে আর শুঁকে না, কড়ির ঘ্রাণ শুঁকে
যে ঘ্রাণ তাদেরকে শুইয়ে দেয় পরম শান্তির বেঘোর ঘুমে,
একদা যারা ফুল পাওয়ার জন্য হাপিত্যেশ করতো......
গল্প জুড়ে দিতো আড্ডায়, বিমর্ষ বদনে আশায় থাকতো ফুল পাওয়ার বা
বইয়ের পৃষ্ঠায় গোলাপ পাঁপড়ি দিয়ে পাঠাতো
বন্ধুপিয়নের হাতে করে তাদের প্রেয়সীদের হাতে।

এখন তাদের হাতে টাকার তোড়া, ফুলের তোড়া চলে গেছে অতীতের ডাস্টবিনে
সেই সময়ে যারা বটের ছায়ায় বসে প্রমাদ গুনতো কাউকে দেখার
আজ তারা ব্যস্ততায় কাটায় ফাইল আসা যাওয়ার পথ ধরে, হীম এসিতে।

এখন কেউ আর হলুদ, নীল-সাদা খামের অপেক্ষায় থাকে না
ডাকপিয়নের পথ চেয়েও বসে থাকতে হয় না;
হাতে দামী ট্যাব সেট নিয়ে আঙ্গুলের ছোঁয়ায় বন্ধু খুঁজে নেয় মুহুর্তেই
যে বন্ধুগুলোর সংস্পর্শ থাকে অতি অল্প সময়ের জন্য
ভঙ্গুর বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে কিভাবে মানুষ পারে
চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের সম্পর্ককে নিশ্চিহ্ন বা ভেঙ্গে দিতে!

অথচ আমি পড়ে আছি সেই একই জায়গায়
স্থবির হয়ে যায় সময় মাঝে মধ্যেই; বন্ধুত্বের সংস্পর্শে আসতে
বুক জুড়ে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে থাকি, বিপন্ন সময় আমাকে করে দেয় একা।

শহরজুড়ে বন্ধুর অভাব নেই, ন্যাকা ভালবাসারও অভাব নেই
তবুও বন্ধু নেই বর্তমান সমাজে, কত কথাই জমা রয়ে যায় মনের কোঠরে বন্দি
অথচ বন্ধু নেই আমার হাতের নাগালে যাকে বলবো সে সব কথা ।

গিঞ্জি শহরটা তবুও ফাঁকা লাগে প্রতি মুহুর্তে
যদি পারতাম বন্ধু তোদের নিকট পাঠিয়ে আমার সব বিষন্নতা,
একাকিত্ব আর অবিশ্বাসের পলগুলোকে সর্ন্তপনে ভাজ করে একটা নীল খামে ভরে
তোরা বুঝতি তোরাও কোন না কোন ক্ষণে এমনি একা হয়ে যাবি
আর ভুলেছিলি যে বন্ধুত্বের বন্ধন, স্মরণ হলেই মন ভরবে বৈরিতায় তিক্ততায়।

যা ফেলে এসেছিস ভেবেছিস সব ফেলনা, স্মৃতিগুলো ভঙ্গুর
না, তোরা খুঁজবি সে মুহুর্তগুলো যখন এই শহরটা তোদের কাছে লাগবে ফাঁকা
শহরের সাথে গড়ে উঠবে শুধু বৈরিতা!
তখন আমার মত করেই ফিরে যাবি সেখানে, গোলাপ পাঁপড়ি সময়ে
প্রজাপতি সময়ে, বট বৃক্ষের ছায়া সময়ে......
আর এক চিলতে হাসি ঠোঁটে এনে রোমন্থন করবি সেইসব স্মৃতিঘেরা ক্ষণ
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান সুন্দর কবিতা । ভাল লাগা রইল । শুভ কামনা ।
জামিউর রহমান কানন খুব সুন্দর হয়েছে কবিতাটি । শুভকামনা আপি
কাজী সালমা শিল্পী সুন্দর লিখা ভাল লাগল শুভেচ্ছা কবিকে
সবুজ আহমেদ কক্স মুগ্ধকর .......ভোট দিলাম ( অসাধারণ )
হাসনা হেনা দিন শেষে ফিরে যায় সবাই আপন ঠিকানায় আমিও ফিরে যাই, কেউ কারো খবরই রাখিনা এখন মৌনতার সাথে মিতালি পেতেছি বিভোর দিনগুলোতো ফেলে দিয়েছি অতীতে। sundar kobita.Thank yo0u.
এমএআর শায়েল জসিম উদ্দীন, আল মাহমুদ, সামসুর রাহমানের স্টাইলের কবিতা। একটু বড়, তবে ভাল লাগার মতো। ভোট রইল আমার পাতায় আসবেন।
দীপঙ্কর বেরা একটু বড় তবে ভাল লেখা
হুমায়ূন কবির অসাধারন… ভোট থাকল অার অামার গল্পে অামন্ত্রন।

০১ মার্চ - ২০১১ গল্প/কবিতা: ১৬৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পরগাছা”
কবিতার বিষয় "পরগাছা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই,২০২৫